Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রেখে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় নভোচারী

অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পা রেখে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। তাঁর আগে কোনো ভারতীয় আইএসএসে পৌঁছাতে পারেননি।

লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশন সফলভাবে কক্ষপথে থাকা মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এরপর চার সদস্যের অভিযান দলটি স্টেশনে প্রবেশ করেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাবেক অভিজ্ঞ মহাকাশচারী পেগি হুইটসনের নেতৃত্বে গতকাল বুধবার অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশন মহাকাশে যাত্রা শুরু করে।

পোল্যান্ডের স্লাওশ উজনানস্কি-উইসনিয়েস্কি ও হাঙ্গেরির তিবর কাপুকে সঙ্গে নিয়ে চার সদস্যের এই দল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে।

দলের ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা মহাকাশে পা রাখা দ্বিতীয় ভারতীয়। তাঁর এই মহাকাশযাত্রা এসেছে রাকেশ শর্মার ঐতিহাসিক অভিযানের ৪১ বছর পর। ১৯৮৪ সালে রুশ সয়ুজ যানযোগে মহাকাশে পাড়ি দিয়ে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন রাকেশ।

বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সিয়ম স্পেস পরিচালিত অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনটি গতকাল বুধবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করে স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩১ মিনিটে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে সফলভাবে আইএসএসে সংযুক্ত হয় মহাকাশযানটি।

যানটি ও মহাকাশ স্টেশনের মাঝখানে একটি সুরক্ষিত সংযোগপথ তৈরি করার পর উভয় প্রান্তের হ্যাচ খুলে দেওয়া হলে অ্যাক্সিয়ম-৪ দলের মহাকাশচারীরা আইএসএসে প্রবেশ করেন।

তাঁদের আগমনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কর্মরত নভোচারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।

এই মিশন নাসা, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইসা) ও স্পেসএক্সের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে।

(বাঁ থেকে) তিবর কাপু, শুভাংশু শুক্লা, পেগি হুইটসন ও স্লাওশ উজনানস্কি-উইসনিয়েস্কি। ছবি: অ্যাক্সিয়ম স্পেস
(বাঁ থেকে) তিবর কাপু, শুভাংশু শুক্লা, পেগি হুইটসন ও স্লাওশ উজনানস্কি-উইসনিয়েস্কি। ছবি: অ্যাক্সিয়ম স্পেস

দলটিতে থাকা দুই ইউরোপীয় নভোচারী এই অভিযানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ চার দশক পর নিজ নিজ দেশকে আবারও মহাকাশে ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

দুই সপ্তাহব্যাপী এই অভিযানে মহাকাশচারীরা প্রায় ৬০টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

ইসরোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম ভারতীয় মানব মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে তারা।

পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন এবং ২০৪০ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় নভোচারীকে চাঁদে পাঠানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।

‘দারুণ যাত্রা’

আজ দিনের শুরুতে অ্যাক্সিয়ম স্পেস একটি সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে মহাকাশে অবস্থানরত নভোচারীদের সঙ্গে, যেখানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা মহাকাশে তাঁর প্রথম ২৪ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

তিনি বলেন, ‘কী দারুণ যাত্রা! মহাকাশে এভাবে ভেসে থাকার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ।’

হেসে বলেন, ‘যখন আমাদের মহাশূন্যে পাঠানো হলো, তখন খুব একটা ভালো লাগছিল না। তবে শুনেছি, আমি নাকি অনেক ঘুমিয়েছি, আর সেটাই নাকি ভালো লক্ষণ!’

‘আমি দারুণ উপভোগ করছি এই দৃশ্য, এই অভিজ্ঞতা। নতুন করে শিখছি, একদম শিশুর মতো–কীভাবে হাঁটতে হয়, নিজের শরীর নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, খেতে হয় বা বই পড়তে হয়, ’ যোগ করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত