আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে চলা সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে ‘লাইভ ইনপুট’ বা তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে চীন। এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের উপ-সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর. সিংহ। গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চীন বিশেষ করে ভারতের সামরিক মোতায়েন ও আক্রমণের গতিপথ সম্পর্কে পাকিস্তানকে তথ্য দিয়েছে।
রাহুল আর. সিংহের মতে, ভারতের বিরুদ্ধে চলা ওই সংঘাত ছিল চীনের জন্য ‘এক জীবন্ত গবেষণাগার।’ যেখানে চীন তাদের বিভিন্ন অস্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, মে মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলা সামরিক সংঘাতের অভিজ্ঞতা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ ও শিক্ষা উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের সেনা মোতায়েন নজরদারিতে চীনের স্যাটেলাইট ব্যবহার এবং ভারতের আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা।
রাহুল সিংহ বলেন, ‘আমরা আসলে একসঙ্গে তিন প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করেছি—পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক। পাকিস্তান ছিল সামনে, কিন্তু চীন সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছিল। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান যে সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে, তার ৮১ শতাংশই এসেছে চীন থেকে।’
সিংহ বলেন, চীন ওই সংঘাতকে নিজেদের অস্ত্র পরীক্ষার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে এটা যেন একেবারে বাস্তব পরিস্থিতির পরীক্ষাগার ছিল।’ এ সময় পাকিস্তানকে ড্রোনসহ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে তুরস্কের ভূমিকাও তুলে ধরে তিনি জানান, সংঘাত চলাকালে যখন দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের আলোচনার চেষ্টা হচ্ছিল, তখন পাকিস্তান ভারতের সামরিক প্রস্তুতির বিষয়ে নিখুঁত তথ্য জানাচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘ডিজিএমও (ডাইরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস) পর্যায়ের আলোচনায় পাকিস্তান বলছিল, “আমরা জানি তোমাদের অমুক দিকটা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, অনুগ্রহ করে সেটা সরিয়ে নাও। ” এটা প্রমাণ করে যে, চীন থেকে তারা লাইভ ইনপুট পাচ্ছিল। এটা এমন এক জায়গা, যেখানে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেন, সিভিল-মিলিটারি ফিউশন এবং ‘সিফোরআইএসআর’—এর (কমান্ড, কন্ট্রোল, কমিউনিকেশন, কম্পিউটার, ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স ও রিকনেসান্স) গুরুত্ব এই সংঘাত থেকে আবারও স্পষ্ট হয়েছে। এ সময় ভারতের নিজস্ব কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভালো কাজ করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা ধরা পড়েছে বলে স্বীকার করেন সিংহ।
তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের জনবসতির এলাকা খুব একটা লক্ষ্যবস্তু ছিল না। কিন্তু আগামীবার যে সেটা হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আমাদের আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা, রকেট ও ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, এবং সেটা দ্রুত করতে হবে।’
চীনের প্রাচীন সামরিক কৌশলের প্রসঙ্গ টেনে সিংহ বলেন, ‘চীনের ৩৬টি সামরিক কৌশল আর “ধার করা ছুরি দিয়ে শত্রুকে হত্যা” নীতিই এখানে প্রমাণিত হয়েছে। তারা নিজেরা সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে ব্যবহার করে আমাদের ক্ষতি করছে।’
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে চলা সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে ‘লাইভ ইনপুট’ বা তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে চীন। এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের উপ-সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর. সিংহ। গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চীন বিশেষ করে ভারতের সামরিক মোতায়েন ও আক্রমণের গতিপথ সম্পর্কে পাকিস্তানকে তথ্য দিয়েছে।
রাহুল আর. সিংহের মতে, ভারতের বিরুদ্ধে চলা ওই সংঘাত ছিল চীনের জন্য ‘এক জীবন্ত গবেষণাগার।’ যেখানে চীন তাদের বিভিন্ন অস্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, মে মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলা সামরিক সংঘাতের অভিজ্ঞতা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ ও শিক্ষা উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের সেনা মোতায়েন নজরদারিতে চীনের স্যাটেলাইট ব্যবহার এবং ভারতের আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা।
রাহুল সিংহ বলেন, ‘আমরা আসলে একসঙ্গে তিন প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করেছি—পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক। পাকিস্তান ছিল সামনে, কিন্তু চীন সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছিল। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান যে সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে, তার ৮১ শতাংশই এসেছে চীন থেকে।’
সিংহ বলেন, চীন ওই সংঘাতকে নিজেদের অস্ত্র পরীক্ষার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে এটা যেন একেবারে বাস্তব পরিস্থিতির পরীক্ষাগার ছিল।’ এ সময় পাকিস্তানকে ড্রোনসহ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে তুরস্কের ভূমিকাও তুলে ধরে তিনি জানান, সংঘাত চলাকালে যখন দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের আলোচনার চেষ্টা হচ্ছিল, তখন পাকিস্তান ভারতের সামরিক প্রস্তুতির বিষয়ে নিখুঁত তথ্য জানাচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘ডিজিএমও (ডাইরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস) পর্যায়ের আলোচনায় পাকিস্তান বলছিল, “আমরা জানি তোমাদের অমুক দিকটা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, অনুগ্রহ করে সেটা সরিয়ে নাও। ” এটা প্রমাণ করে যে, চীন থেকে তারা লাইভ ইনপুট পাচ্ছিল। এটা এমন এক জায়গা, যেখানে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেন, সিভিল-মিলিটারি ফিউশন এবং ‘সিফোরআইএসআর’—এর (কমান্ড, কন্ট্রোল, কমিউনিকেশন, কম্পিউটার, ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স ও রিকনেসান্স) গুরুত্ব এই সংঘাত থেকে আবারও স্পষ্ট হয়েছে। এ সময় ভারতের নিজস্ব কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভালো কাজ করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা ধরা পড়েছে বলে স্বীকার করেন সিংহ।
তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের জনবসতির এলাকা খুব একটা লক্ষ্যবস্তু ছিল না। কিন্তু আগামীবার যে সেটা হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আমাদের আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা, রকেট ও ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, এবং সেটা দ্রুত করতে হবে।’
চীনের প্রাচীন সামরিক কৌশলের প্রসঙ্গ টেনে সিংহ বলেন, ‘চীনের ৩৬টি সামরিক কৌশল আর “ধার করা ছুরি দিয়ে শত্রুকে হত্যা” নীতিই এখানে প্রমাণিত হয়েছে। তারা নিজেরা সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে ব্যবহার করে আমাদের ক্ষতি করছে।’
আরও খবর পড়ুন:
গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত এক মার্কিন বাইকার গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে। এই গ্যাংটির নাম ‘ইনফিডেলস মোটরসাইকেল ক্লাব’। অতীতে এই ক্লাবের ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের ইতিহাস রয়েছে।
১৯ মিনিট আগেনেপালের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানি মন্ত্রী টপ বাহাদুর রায়মাঝি আবারও শিরোনাম হলেন। তবে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কস ও লেনিনপন্থী) এই নেতা এবার শিরোনাম হয়েছেন দেশে বিশৃঙ্খলার সুযোগে কারাগার থেকে পলায়ন করে।
১ ঘণ্টা আগেনেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সকাল কিছুটা শান্ত মনে হলেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। ভোর থেকে এই শহরের প্রধান মোড়গুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে ভেতরের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সেনারা।
২ ঘণ্টা আগেহিমালয়কন্যা নেপালে সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ২৯ জনের প্রাণ ঝরেছে। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় সরকারেরও পতন হয়েছে। দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগে