মিয়ানমারের সামরিক শাসনের সমালোচনা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত, রাশিয়া ও চীন।
৭৪ বছরের মধ্যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম কোনো প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি ছিল এটি। বিশেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্যের সরকারকে (এনইউজি) সেনাবাহিনী উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।
যুক্তরাজ্য এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। প্রস্তাবটি ১২ ভোটে পাস হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ‘আসিয়ান’-এর বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বের কথা এই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জোটের পাঁচ দফায় ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করা হয়। গত বছর আসিয়ানের সম্মেলনে এসব দফার বিষয়ে একমত হয় সদস্য দেশগুলো।
আসিয়ান নেতৃত্বে মিয়ানমার সমস্যার সমাধানের ওপর জোর দিলেও ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। অবশ্য বিরত থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছে তারা। সে প্রসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি অত্যন্ত ‘জটিল’। তাই ‘শান্তভাবে ও ধৈর্য ধরে’ পদক্ষেপ নিতে চায় ভারত। সে কারণে প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি।
কাম্বোজ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করলে সব পক্ষই আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে। তাতে আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভারত আপাতত এই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিচ্ছে না। ভারত মনে করে, শান্ত ও ধীর পদক্ষেপই এ ক্ষেত্রে ঠিক পথ। তাহলেই গঠনমূলক সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে।’
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে শুধু মিয়ানমার ইস্যু সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোই থাকা উচিত। ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো, যার মিয়ানমারের সঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, সে দেশে অস্থিতিশীলতার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মানবাধিকারের পক্ষে ওকালতি করা ভারতের এভাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা সামরিক জান্তার প্রতি নয়াদিল্লির নরম অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। মিয়ানমার কেবল অধিকাংশ গণতান্ত্রিক নেতৃত্বকে কারারুদ্ধই করেনি, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচার করেছে, যা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তির যোগ্য।
এদিকে গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা দুই দিনের সফরে মিয়ানমারে সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) বা নাগরিক সমাজের কোনো প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি পররাষ্ট্রসচিব।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
মিয়ানমারের সামরিক শাসনের সমালোচনা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত, রাশিয়া ও চীন।
৭৪ বছরের মধ্যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম কোনো প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি ছিল এটি। বিশেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্যের সরকারকে (এনইউজি) সেনাবাহিনী উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।
যুক্তরাজ্য এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। প্রস্তাবটি ১২ ভোটে পাস হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ‘আসিয়ান’-এর বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বের কথা এই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জোটের পাঁচ দফায় ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করা হয়। গত বছর আসিয়ানের সম্মেলনে এসব দফার বিষয়ে একমত হয় সদস্য দেশগুলো।
আসিয়ান নেতৃত্বে মিয়ানমার সমস্যার সমাধানের ওপর জোর দিলেও ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। অবশ্য বিরত থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছে তারা। সে প্রসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি অত্যন্ত ‘জটিল’। তাই ‘শান্তভাবে ও ধৈর্য ধরে’ পদক্ষেপ নিতে চায় ভারত। সে কারণে প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি।
কাম্বোজ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করলে সব পক্ষই আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে। তাতে আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভারত আপাতত এই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিচ্ছে না। ভারত মনে করে, শান্ত ও ধীর পদক্ষেপই এ ক্ষেত্রে ঠিক পথ। তাহলেই গঠনমূলক সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে।’
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে শুধু মিয়ানমার ইস্যু সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোই থাকা উচিত। ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো, যার মিয়ানমারের সঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, সে দেশে অস্থিতিশীলতার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মানবাধিকারের পক্ষে ওকালতি করা ভারতের এভাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা সামরিক জান্তার প্রতি নয়াদিল্লির নরম অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। মিয়ানমার কেবল অধিকাংশ গণতান্ত্রিক নেতৃত্বকে কারারুদ্ধই করেনি, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচার করেছে, যা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তির যোগ্য।
এদিকে গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা দুই দিনের সফরে মিয়ানমারে সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) বা নাগরিক সমাজের কোনো প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি পররাষ্ট্রসচিব।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমেরিকার প্রতি রাশিয়ানদের মনোভাব কিছুটা নরম হয়েছে। হোয়াইট হাউস ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে বলেও জরিপে মন্তব্য করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ এক নারীর করুণ আর্তনাদ ভেসে আসে মেক্সিকো সিটির অভিজাত আবাসিক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। নগ্ন, বিভ্রান্ত সেই নারী দাঁড়িয়ে ছিলেন পঞ্চম তলার ব্যালকনিতে। তাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে পুলিশ। ভেতরে ছিলেন এক নির্বিকার, শান্ত মুখের পুরুষ — পরিচয় দিলেন মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী গভীর রাতে রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে দুটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত করার দাবি করেছে। এই হামলা এমন এক সময় ঘটেছে, যখন রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে ইউক্রেনের সম্মুখ সমর অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য দিলেন তার মা উমা রঘুবংশী। তিনি জানান, রাজা হানিমুনে যাওয়ার সময় ১০ লাখ রুপিরও (১৪ লাখের বেশি টাকা) বেশি মূল্যের সোনার গয়না পরে ছিলেন—যার মধ্যে ছিল একটি হিরের আংটি, একটি চেইন এবং একটি ব্রেসলেট।
৫ ঘণ্টা আগে