Ajker Patrika

অপারেশন সিঁদুরে ৫ পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধানের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪৮
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান অমর প্রীত সিং ওরফে এপি সিং। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান অমর প্রীত সিং ওরফে এপি সিং। ছবি: সংগৃহীত

অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত অন্তত ৫টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় এয়ারক্র্যাফ্ট ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এ পি সিং। আজ শনিবার বেঙ্গালুরুতে ১৬তম এয়ার চিফ মার্শাল এলএম কাত্রে লেকচারে ভাষণ দেওয়ার সময় এ দাবি করেন তিনি।

ভারতের সাফল্য তুলে ধরে এ পি সিং বলেন, রাশিয়ার তৈরি উড়োজাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এ-৪০০ দিয়ে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।

এ পি সিংকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ‘...আমাদের অন্তত পাঁচটি নিশ্চিত যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার রেকর্ড আছে এবং একটি বড় উড়োজাহাজ। এ ছাড়া, প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে একটি ইএলআইএনটি বা এইডব্লিউঅ্যান্ডসি উড়োজাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে।’

এ পি সিং আরও বলেন, পাকিস্তানের ‘শাহবাজ জ্যাকবাবাদ বিমানঘাঁটি—যা দেশটির প্রধান বিমানঘাঁটিগুলোর একটি—আক্রান্ত হয়েছিল। সেখানে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গার ছিল। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত যে ভেতরে কিছু যুদ্ধবিমান ছিল, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এ পি সিং দাবি করেন, ‘আমরা অন্তত দুটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, যেমন মুরিদকে এবং চাকলালাতে আঘাত হানতে পেরেছি। অন্তত ছয়টি রাডার আমরা ধ্বংস করেছি।’

অপারেশন সিঁদুরের সময় মুরিদকেতে লস্কর-ই-তাইয়েবা সদর দপ্তরে হামলার আগে ও পরের ছবি দেখিয়ে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং বলেন, ‘এটি গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতাদের আবাসিক এলাকা। এগুলো ছিল তাদের অফিস ভবন, যেখানে তারা সভা করার জন্য জড়ো হতো। যেহেতু স্থানটি নাগালের মধ্যে ছিল, তাই আমরা আমাদের পাঠানো অস্ত্রগুলো থেকেই ভিডিও পেতে সক্ষম হয়েছিলাম...।’

এ পি সিং বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অসাধারণ কাজ করেছে। সম্প্রতি আমরা যে এস-৪০০ ব্যবস্থা কিনেছিলাম, তা গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এই ব্যবস্থার পাল্লা এতটাই বেশি যে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলোর একটিও তারা সেই অর্থে ব্যবহার করতে পারেনি। কারণ তারা এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারেনি...।’

সিং বলেন, ‘সাফল্যের প্রধান কারণ ছিল রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আমাদের খুব স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ওপর কোনো বাধা আরোপ করা হয়নি...যদি কোনো সীমাবদ্ধতা থেকে থাকে, তা ছিল স্ব-আরোপিত...আমরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে কতটা আক্রমণ করতে হবে...আমাদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। আমাদের আক্রমণগুলো পরিমিত ছিল। কারণ, আমরা এই বিষয়ে পরিণত থাকতে চেয়েছিলাম...তিন বাহিনীর মধ্যে একটি সমন্বয় ছিল...সিডিএস (Chief of Defence Staff)-এর পদটি সত্যিকারের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তিনি আমাদের সবাইকে একত্র করার জন্য ছিলেন...জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও সমস্ত সংস্থাকে একত্র করার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছেন...।’

সিং দাবি করেন, ‘এটি ছিল একটি উচ্চ-প্রযুক্তির যুদ্ধ। ৮০ থেকে ৯০ ঘণ্টার মধ্যে আমরা এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছিলাম যে, তাদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে—যদি তারা চালিয়ে যায়, তাহলে তাদের আরও বেশি মূল্য দিতে হবে। তাই তারা এগিয়ে আসে এবং আমাদের ডিজিএমও (Director General of Military Operations)-কে একটি বার্তা পাঠায় যে তারা কথা বলতে চায়। আমাদের পক্ষ থেকে এটি গৃহীত হয়েছিল।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনের আগে এসআই-এএসআইদের ব্যক্তিগত তথ্য তালাশে পুলিশ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প: ইউএনও-উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শুনানি কাল

ইরানি নকশার ড্রোন হয়ে গেছে রাশিয়ার, ক্ষোভ বাড়ছে তেহরানে

যারা একাত্তরে ফিরতে চায়, তারা চব্বিশ অস্বীকার করে: নাহিদ

ফ্লাইট এক্সপার্ট: গ্রামবাসীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়েছেন এমডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত