
হঠাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। এক দিন আগেই তিনি এমএলএ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কুমারীর এমন পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে এটির কারণ জানা যায়নি।
কৃষ্ণ কুমারী রাইয়ের আকস্মিক পদত্যাগকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিকিমের বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে প্রেম সিং তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক দল ‘সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা’ (এসকেএম)। রাজ্য সভার ৩২টি আসনের ৩১টি আসনেই জয় পায় দলটি।
এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। রাজ্যের নামচি-সিংঘিথাং আসন থেকে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রার্থী বিমল রাইকে ৫ হাজার ৩০২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।
জানা গেছে, কৃষ্ণ কুমারী রাই যখন পদত্যাগ করলেন তখন অরুণাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসা পেমা খান্ডুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই রাজ্যে অবস্থান করছিলেন প্রেম সিং তামাং।
কৃষ্ণ কুমারীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন সিকিম বিধানসভার নবনির্বাচিত স্পিকার মিংমা নরবু শেরপা। এই পদত্যাগের ফলে রাজ্যের নামচি-সিংঘিথাং আসনটি আবারও খালি হয়ে গেছে।

হঠাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। এক দিন আগেই তিনি এমএলএ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কুমারীর এমন পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে এটির কারণ জানা যায়নি।
কৃষ্ণ কুমারী রাইয়ের আকস্মিক পদত্যাগকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিকিমের বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে প্রেম সিং তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক দল ‘সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা’ (এসকেএম)। রাজ্য সভার ৩২টি আসনের ৩১টি আসনেই জয় পায় দলটি।
এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। রাজ্যের নামচি-সিংঘিথাং আসন থেকে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রার্থী বিমল রাইকে ৫ হাজার ৩০২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।
জানা গেছে, কৃষ্ণ কুমারী রাই যখন পদত্যাগ করলেন তখন অরুণাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসা পেমা খান্ডুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই রাজ্যে অবস্থান করছিলেন প্রেম সিং তামাং।
কৃষ্ণ কুমারীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন সিকিম বিধানসভার নবনির্বাচিত স্পিকার মিংমা নরবু শেরপা। এই পদত্যাগের ফলে রাজ্যের নামচি-সিংঘিথাং আসনটি আবারও খালি হয়ে গেছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এক সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে এসপিওনাজে এজেন্ট বলতে যেমনটা বোঝানো হয়, সিআইএ তাঁকে সেভাবে কাজে লাগাতে চায়নি। বরং, সিআইএ উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনি
১২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
৪১ মিনিট আগে
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এক সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে এসপিওনাজে এজেন্ট বলতে যেমনটা বোঝানো হয়, সিআইএ তাঁকে সেভাবে কাজে লাগাতে চায়নি। বরং, সিআইএ উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে চেয়েছিল। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন করে প্রকাশিত নথিতে দেখা গেছে, পূর্ব ইউরোপে সিআইএ-সমর্থিত সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও লিবার্টি তৎকালীন সোভিয়েত নাগরিকদের নিজেদের কমিউনিস্ট নেতাদের বিরুদ্ধে উসকে দিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫৮ সালে রেডিও স্টেশনটির নিয়ন্ত্রকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে অবস্থিত সিআইএ সদর দপ্তরে জানায়, তারা কার্ল মার্কসের মৃত্যুর ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে সময় রাশিয়ায় ‘সংস্কারপন্থীদের’ উত্থান ঘটছিল। এদের আলোচনা সোভিয়েত মার্কসবাদ-লেনিনবাদের কট্টর কাঠামো থেকে বিপরীতে ছিল অনেকটা।
আমেরিকান গোয়েন্দারা এই সংস্কারপন্থী চিন্তকদের কাজে লাগাতে চেয়েছিল। এরা মস্কোকেন্দ্রিক একক সোভিয়েত ব্লকের ধারণার বিরোধিতা করে স্বাধীন কমিউনিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। রেডিও লিবার্টির অনুষ্ঠানগুলো তৈরি করা হয় ‘নতুন ও অপ্রচলিত রাজনৈতিক চিন্তার পরিবেশকে কাজে লাগাতে’ এবং পশ্চিমা চিন্তাবিদদের তুলে ধরতে, যাতে সোভিয়েত রাষ্ট্রের ভাবাদর্শকে দুর্বল করা যায়।
সিআইএ—এর তথ্য অধিকার আইনে প্রকাশিত এক ব্রিফ্রিং নোটে দেখা যায়, ১৯৫৮ সালের ১৪ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত সময়জুড়ে একটি বিশেষ প্রচারণা অভিযান পরিচালিত হয়। এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘বিপরীতধর্মী চিন্তাভাবনা উসকে দেওয়া’ এবং ‘মার্কসবাদের মূল ভিত্তি, ইতিহাস পদ্ধতি ও ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করে যে কোনো ধরনের মার্কসবাদের ওপর আস্থা নষ্ট করা।’
তৎকালীন সোভিয়েত নাগরিকদের কাছে এটা বোঝা সম্ভব ছিল না যে রেডিও লিবার্টি আসলে সিআইএ অর্থায়িত ও ওয়াশিংটন নিয়ন্ত্রিত একটি মাধ্যম। চার্চিল ছিলেন সেই কয়েকজন ব্রিটিশ ব্যক্তিত্বের একজন, যাদের রেডিও লিবার্টি তাদের সম্প্রচারে অংশগ্রহণের আশা করেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
চার্চিল সম্পর্কিত ওই ব্রিফিং নোটে তাঁর সম্ভাব্য সম্প্রচারের বিস্তারিত না থাকলেও উল্লেখ করা আছে, মিউনিখের বিশেষ ইভেন্ট টিম নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের কাছে লিখবে এবং কয়েকজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে।’ সেই তালিকায় ছিলেন আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ ব্যক্তি—সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলি, আনিউরিন বেভান ও হিউ গেইটস্কেল—যাঁরা ছিলেন যুদ্ধ-পরবর্তী প্রভাবশালী লেবার পার্টির নেতা। পাশাপাশি ছিলেন বামপন্থী বুদ্ধিজীবী আর্থার কোয়েস্টলার ও আর্নল্ড টয়েনবি।
অন্য দেশ থেকেও কিছু সম্ভাব্য অতিথির নাম ছিল—মার্কিন দার্শনিক সিডনি হুক, রুশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক ইউজিন লায়ন্স, ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট অরিওল এবং অস্ট্রিয়ার ভাইস-চ্যান্সেলর ব্রুনো পিটারম্যান।
রেডিও লিবার্টি নিজেকে উপস্থাপন করত এক ধরনের প্রবাসী রেডিও স্টেশন হিসেবে, যা সোভিয়েত নাগরিকদের বিশ্ব ঘটনা সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিত। ১৯৫১ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত স্টেশনটি গোপনে সিআইএ অর্থায়নে চলেছে এবং পরবর্তীতে ‘রেডিও ফ্রি ইউরোপ’ এর সঙ্গে একীভূত হয়, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের স্যাটেলাইট স্টেট বা রাষ্ট্রগুলোকে লক্ষ্য করে কাজ করত। বর্তমানে স্টেশনটি এখনো সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থেই পরিচালিত।
চার্চিল ব্যক্তিগতভাবে সিআইএ–এর পরিচালক অ্যালেন ডালেস এবং তাঁর ভাই, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ফস্টার ডালেসের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তিনি ওয়াশিংটন ও লন্ডনে একাধিকবার ছবি তুলেছেন। ১৯৫৮ সালের বসন্তে, যখন তাঁকে রেডিও লিবার্টির ক্যাম্পেইনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছিল, তিনি অসুস্থতার কারণে ওয়াশিংটনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন।
তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৩ বছর। পরের বছর তিনি শেষবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে। এরপর ১৯৬৫ সালে মৃত্যুর আগে আর কখনো আমেরিকায় যাননি। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও গোয়েন্দা ইতিহাসের অধ্যাপক ররি কোরম্যাক বলেন, ১৯৫০-এর দশকে সোভিয়েতবিরোধী কর্মকৌশলের দিক থেকে চার্চিলকে সিআইএ কর্তৃক টানার চেষ্টা ছিল স্বাভাবিক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন,১ শীতল যুদ্ধের সময় প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল কর্তৃত্ব দুর্বল করা, প্রতিষ্ঠিত ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আর চিন্তার ভেতর সন্দেহের জন্ম দেওয়া।’ প্রফেসর কোরম্যাকের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সে সময় ‘বিশ্বাসযোগ্য বক্তা’ খুঁজছিল, যারা সোভিয়েত নাগরিকদের কাছে বার্তা পৌঁছাতে পারবে। সিআইএ অনেক সময় সরাসরি নয়, বরং রেডিও লিবার্টির মতো মাধ্যম বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সেই কাজ করত।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এক সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে এসপিওনাজে এজেন্ট বলতে যেমনটা বোঝানো হয়, সিআইএ তাঁকে সেভাবে কাজে লাগাতে চায়নি। বরং, সিআইএ উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে চেয়েছিল। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন করে প্রকাশিত নথিতে দেখা গেছে, পূর্ব ইউরোপে সিআইএ-সমর্থিত সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও লিবার্টি তৎকালীন সোভিয়েত নাগরিকদের নিজেদের কমিউনিস্ট নেতাদের বিরুদ্ধে উসকে দিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫৮ সালে রেডিও স্টেশনটির নিয়ন্ত্রকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে অবস্থিত সিআইএ সদর দপ্তরে জানায়, তারা কার্ল মার্কসের মৃত্যুর ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে সময় রাশিয়ায় ‘সংস্কারপন্থীদের’ উত্থান ঘটছিল। এদের আলোচনা সোভিয়েত মার্কসবাদ-লেনিনবাদের কট্টর কাঠামো থেকে বিপরীতে ছিল অনেকটা।
আমেরিকান গোয়েন্দারা এই সংস্কারপন্থী চিন্তকদের কাজে লাগাতে চেয়েছিল। এরা মস্কোকেন্দ্রিক একক সোভিয়েত ব্লকের ধারণার বিরোধিতা করে স্বাধীন কমিউনিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। রেডিও লিবার্টির অনুষ্ঠানগুলো তৈরি করা হয় ‘নতুন ও অপ্রচলিত রাজনৈতিক চিন্তার পরিবেশকে কাজে লাগাতে’ এবং পশ্চিমা চিন্তাবিদদের তুলে ধরতে, যাতে সোভিয়েত রাষ্ট্রের ভাবাদর্শকে দুর্বল করা যায়।
সিআইএ—এর তথ্য অধিকার আইনে প্রকাশিত এক ব্রিফ্রিং নোটে দেখা যায়, ১৯৫৮ সালের ১৪ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত সময়জুড়ে একটি বিশেষ প্রচারণা অভিযান পরিচালিত হয়। এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘বিপরীতধর্মী চিন্তাভাবনা উসকে দেওয়া’ এবং ‘মার্কসবাদের মূল ভিত্তি, ইতিহাস পদ্ধতি ও ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করে যে কোনো ধরনের মার্কসবাদের ওপর আস্থা নষ্ট করা।’
তৎকালীন সোভিয়েত নাগরিকদের কাছে এটা বোঝা সম্ভব ছিল না যে রেডিও লিবার্টি আসলে সিআইএ অর্থায়িত ও ওয়াশিংটন নিয়ন্ত্রিত একটি মাধ্যম। চার্চিল ছিলেন সেই কয়েকজন ব্রিটিশ ব্যক্তিত্বের একজন, যাদের রেডিও লিবার্টি তাদের সম্প্রচারে অংশগ্রহণের আশা করেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
চার্চিল সম্পর্কিত ওই ব্রিফিং নোটে তাঁর সম্ভাব্য সম্প্রচারের বিস্তারিত না থাকলেও উল্লেখ করা আছে, মিউনিখের বিশেষ ইভেন্ট টিম নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের কাছে লিখবে এবং কয়েকজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে।’ সেই তালিকায় ছিলেন আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ ব্যক্তি—সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলি, আনিউরিন বেভান ও হিউ গেইটস্কেল—যাঁরা ছিলেন যুদ্ধ-পরবর্তী প্রভাবশালী লেবার পার্টির নেতা। পাশাপাশি ছিলেন বামপন্থী বুদ্ধিজীবী আর্থার কোয়েস্টলার ও আর্নল্ড টয়েনবি।
অন্য দেশ থেকেও কিছু সম্ভাব্য অতিথির নাম ছিল—মার্কিন দার্শনিক সিডনি হুক, রুশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক ইউজিন লায়ন্স, ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট অরিওল এবং অস্ট্রিয়ার ভাইস-চ্যান্সেলর ব্রুনো পিটারম্যান।
রেডিও লিবার্টি নিজেকে উপস্থাপন করত এক ধরনের প্রবাসী রেডিও স্টেশন হিসেবে, যা সোভিয়েত নাগরিকদের বিশ্ব ঘটনা সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিত। ১৯৫১ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত স্টেশনটি গোপনে সিআইএ অর্থায়নে চলেছে এবং পরবর্তীতে ‘রেডিও ফ্রি ইউরোপ’ এর সঙ্গে একীভূত হয়, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের স্যাটেলাইট স্টেট বা রাষ্ট্রগুলোকে লক্ষ্য করে কাজ করত। বর্তমানে স্টেশনটি এখনো সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থেই পরিচালিত।
চার্চিল ব্যক্তিগতভাবে সিআইএ–এর পরিচালক অ্যালেন ডালেস এবং তাঁর ভাই, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ফস্টার ডালেসের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তিনি ওয়াশিংটন ও লন্ডনে একাধিকবার ছবি তুলেছেন। ১৯৫৮ সালের বসন্তে, যখন তাঁকে রেডিও লিবার্টির ক্যাম্পেইনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছিল, তিনি অসুস্থতার কারণে ওয়াশিংটনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন।
তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৩ বছর। পরের বছর তিনি শেষবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে। এরপর ১৯৬৫ সালে মৃত্যুর আগে আর কখনো আমেরিকায় যাননি। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও গোয়েন্দা ইতিহাসের অধ্যাপক ররি কোরম্যাক বলেন, ১৯৫০-এর দশকে সোভিয়েতবিরোধী কর্মকৌশলের দিক থেকে চার্চিলকে সিআইএ কর্তৃক টানার চেষ্টা ছিল স্বাভাবিক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন,১ শীতল যুদ্ধের সময় প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল কর্তৃত্ব দুর্বল করা, প্রতিষ্ঠিত ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আর চিন্তার ভেতর সন্দেহের জন্ম দেওয়া।’ প্রফেসর কোরম্যাকের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সে সময় ‘বিশ্বাসযোগ্য বক্তা’ খুঁজছিল, যারা সোভিয়েত নাগরিকদের কাছে বার্তা পৌঁছাতে পারবে। সিআইএ অনেক সময় সরাসরি নয়, বরং রেডিও লিবার্টির মতো মাধ্যম বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সেই কাজ করত।

হঠাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। এক দিন আগেই তিনি এমএলএ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কুমারীর এমন পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে এটির কারণ জানা যায়নি।
১৩ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
৪১ মিনিট আগে
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্পের শুল্কের সমালোচনা করে কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কণ্ঠ ব্যবহার করে একটি বিজ্ঞাপন বানায়। যেখানে রিগ্যান যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। মূলত, এই বিজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাও স্থগিত করেন। তার দাবি, বিজ্ঞাপনটি ‘ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিকর।’ ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। সেই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন বিজ্ঞাপনটির কথা। ভিডিওটিতে রিগ্যানকে বলতে শোনা যায়, শুল্ক আরোপ বাণিজ্য যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।
অন্টারিও প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রীর সমতুল্য) ডগ ফোর্ড শুক্রবার জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি স্থগিত করা হবে, যাতে বাণিজ্য আলোচনাগুলো আবার শুরু করা যায়।
ট্রাম্প লেখেন, ‘তাদের বিজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ওরা তা প্রচার করেছে গতরাতে ওয়ার্ল্ড সিরিজ চলাকালীন—জেনেও যে এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তাদের তথ্য বিকৃতি ও বৈরী আচরণের কারণে, কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক আরও ১০ শতাংশ বাড়াচ্ছি।’
এদিকে, ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্ক কোন কোন পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কানাডার অধিকাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির আওতায় থাকায় সেগুলো শুল্কমুক্ত। তবে ট্রাম্প প্রশাসন গত আগস্টে এই চুক্তির বাইরে থাকা কানাডীয় পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তার ওপর চলতি বছর ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন, যা কানাডার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানান, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও কার্নি দুজনই মালয়েশিয়ায় আয়োজিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা রাখেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্পের শুল্কের সমালোচনা করে কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কণ্ঠ ব্যবহার করে একটি বিজ্ঞাপন বানায়। যেখানে রিগ্যান যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। মূলত, এই বিজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাও স্থগিত করেন। তার দাবি, বিজ্ঞাপনটি ‘ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিকর।’ ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। সেই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন বিজ্ঞাপনটির কথা। ভিডিওটিতে রিগ্যানকে বলতে শোনা যায়, শুল্ক আরোপ বাণিজ্য যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।
অন্টারিও প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রীর সমতুল্য) ডগ ফোর্ড শুক্রবার জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি স্থগিত করা হবে, যাতে বাণিজ্য আলোচনাগুলো আবার শুরু করা যায়।
ট্রাম্প লেখেন, ‘তাদের বিজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ওরা তা প্রচার করেছে গতরাতে ওয়ার্ল্ড সিরিজ চলাকালীন—জেনেও যে এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তাদের তথ্য বিকৃতি ও বৈরী আচরণের কারণে, কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক আরও ১০ শতাংশ বাড়াচ্ছি।’
এদিকে, ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্ক কোন কোন পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কানাডার অধিকাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির আওতায় থাকায় সেগুলো শুল্কমুক্ত। তবে ট্রাম্প প্রশাসন গত আগস্টে এই চুক্তির বাইরে থাকা কানাডীয় পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তার ওপর চলতি বছর ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন, যা কানাডার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানান, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও কার্নি দুজনই মালয়েশিয়ায় আয়োজিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা রাখেননি।

হঠাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। এক দিন আগেই তিনি এমএলএ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কুমারীর এমন পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে এটির কারণ জানা যায়নি।
১৩ জুন ২০২৪
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এক সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে এসপিওনাজে এজেন্ট বলতে যেমনটা বোঝানো হয়, সিআইএ তাঁকে সেভাবে কাজে লাগাতে চায়নি। বরং, সিআইএ উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনি
১২ মিনিট আগে
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন এক নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা। গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি। কারণ, আবাসিক এলাকার বেশির ভাগ অংশেই ইসরায়েলে ফেলা বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া গাজার খান ইউনিসে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে এক ফিলিস্তিনি একটি বিস্ফোরক বোঝাই অবিস্ফোরিত কিন্তু বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যান দেখতে পান। ধ্বংসস্তূপে আশ্রয়হীন ওই ব্যক্তি বাধ্য হয়ে সেই সাঁজোয়া যানটির ওপরই পরিবার নিয়ে তাঁবু ফেলেছেন।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার দক্ষিণের এই শহরে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দক্ষিণের ত্রাণ শিবিরগুলো থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ উত্তরাঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় ফিরে গেছেন।
ফিরে এসে অনেকে দেখছেন, বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোথাও মাটির নিচে লুকানো বিস্ফোরক, কোথাও পড়ে আছে দাহ্য কোনো অস্ত্র–বোমা। খান ইউনিসের বাসিন্দা আয়মান কাদুরা জানান, নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ভেতর তিনি খুঁজে পান একটি দূরনিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া বিস্ফোরক রোবট, যা ইসরায়েলি সেনারা গাজা জুড়ে ব্যবহার করেছিল পুরো ভবন উড়িয়ে দিতে।
কাদুরা বলেন, তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতেও এমন আরেকটি যন্ত্র ছিল। দু’টি বাড়ির মাঝখানে এফ-১৬ বিমানের ক্ষেপণাস্ত্রে তিন মিটার গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, যদি এসব অবিস্ফোরিত যন্ত্র সক্রিয় হয়, পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তিনি নিয়মিত যন্ত্রগুলো বালি দিয়ে ঢেকে রাখেন।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ কেন্দ্র ইউনোস্যাট জানিয়েছে, শুধু খান ইউনিস গভর্নরেটেই ৪২ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় অন্তত ১৯ হাজার ভবন ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পুরো গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস জানিয়েছে, গাজাজুড়ে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের ঝুঁকি ‘অবিশ্বাস্যভাবে বেশি’। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬০টি বিস্ফোরক বস্তু শনাক্ত করেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত অস্ত্রের কারণে ৩২৮ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
কাদুরা জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া পুরোনো কাপড় পরে তাঁর সন্তানদের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু থাকার মতো জায়গা না থাকায় তিনি বাধ্য হয়েই ওই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন। মানবিক সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির পর খাদ্য, তাঁবু, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়ালেও ইসরায়েল এখনো সহায়তা প্রবাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক সহায়তা গাজায় প্রবেশের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা এখনো অর্জন সম্ভব হয়নি।

গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন এক নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা। গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি। কারণ, আবাসিক এলাকার বেশির ভাগ অংশেই ইসরায়েলে ফেলা বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া গাজার খান ইউনিসে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে এক ফিলিস্তিনি একটি বিস্ফোরক বোঝাই অবিস্ফোরিত কিন্তু বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যান দেখতে পান। ধ্বংসস্তূপে আশ্রয়হীন ওই ব্যক্তি বাধ্য হয়ে সেই সাঁজোয়া যানটির ওপরই পরিবার নিয়ে তাঁবু ফেলেছেন।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার দক্ষিণের এই শহরে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দক্ষিণের ত্রাণ শিবিরগুলো থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ উত্তরাঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় ফিরে গেছেন।
ফিরে এসে অনেকে দেখছেন, বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোথাও মাটির নিচে লুকানো বিস্ফোরক, কোথাও পড়ে আছে দাহ্য কোনো অস্ত্র–বোমা। খান ইউনিসের বাসিন্দা আয়মান কাদুরা জানান, নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ভেতর তিনি খুঁজে পান একটি দূরনিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া বিস্ফোরক রোবট, যা ইসরায়েলি সেনারা গাজা জুড়ে ব্যবহার করেছিল পুরো ভবন উড়িয়ে দিতে।
কাদুরা বলেন, তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতেও এমন আরেকটি যন্ত্র ছিল। দু’টি বাড়ির মাঝখানে এফ-১৬ বিমানের ক্ষেপণাস্ত্রে তিন মিটার গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, যদি এসব অবিস্ফোরিত যন্ত্র সক্রিয় হয়, পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তিনি নিয়মিত যন্ত্রগুলো বালি দিয়ে ঢেকে রাখেন।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ কেন্দ্র ইউনোস্যাট জানিয়েছে, শুধু খান ইউনিস গভর্নরেটেই ৪২ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় অন্তত ১৯ হাজার ভবন ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পুরো গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস জানিয়েছে, গাজাজুড়ে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের ঝুঁকি ‘অবিশ্বাস্যভাবে বেশি’। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬০টি বিস্ফোরক বস্তু শনাক্ত করেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত অস্ত্রের কারণে ৩২৮ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
কাদুরা জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া পুরোনো কাপড় পরে তাঁর সন্তানদের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু থাকার মতো জায়গা না থাকায় তিনি বাধ্য হয়েই ওই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন। মানবিক সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির পর খাদ্য, তাঁবু, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়ালেও ইসরায়েল এখনো সহায়তা প্রবাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক সহায়তা গাজায় প্রবেশের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা এখনো অর্জন সম্ভব হয়নি।

হঠাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। এক দিন আগেই তিনি এমএলএ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কুমারীর এমন পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে এটির কারণ জানা যায়নি।
১৩ জুন ২০২৪
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এক সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে এসপিওনাজে এজেন্ট বলতে যেমনটা বোঝানো হয়, সিআইএ তাঁকে সেভাবে কাজে লাগাতে চায়নি। বরং, সিআইএ উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনি
১২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
৪১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

হঠাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের স্ত্রী কৃষ্ণ কুমারী রাই। এক দিন আগেই তিনি এমএলএ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কুমারীর এমন পদত্যাগ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে এটির কারণ জানা যায়নি।
১৩ জুন ২০২৪
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এক সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে এসপিওনাজে এজেন্ট বলতে যেমনটা বোঝানো হয়, সিআইএ তাঁকে সেভাবে কাজে লাগাতে চায়নি। বরং, সিআইএ উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনি
১২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
৪১ মিনিট আগে
গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর অনেকেই নিজ নিজ এলাকায়, বাড়িতে ফিরছেন। সেখানে অবশ্য কোনো স্থাপনা অবশিষ্ট নেই। তাই বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু গেড়ে থাকতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। তবে সেখানেও বিপত্তি।
১ ঘণ্টা আগে