কলকাতা প্রতিনিধি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা। বৈঠকের পর মোদি স্পষ্ট ভাষায় জানালেন—ইন্ডিয়া ও ব্রিটেন আজ প্রাকৃতিক অংশীদার, এ সম্পর্ক এখন শুধু দুই দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এ সম্পর্কের মূল শক্তি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি দুই দেশের অভিন্ন বিশ্বাস।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কটা সত্যিই বিশেষ। আমরা এখন এমন এক নতুন যুগের পথে, যেখানে ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে একটি আধুনিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলছি।’ স্টারমার ভারতের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ভারতের প্রবৃদ্ধির গল্পটি একেবারেই অনন্য ও অনুপ্রেরণামূলক।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মোদি জানান, ভারত ও যুক্তরাজ্য সামরিক প্রশিক্ষণক্ষেত্রে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে ভারত সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশই মনে করছে, এ সহযোগিতা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক নৌপথের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। মোদি বলেন, ‘ভারত সব সময় বিশ্বাস করে যে সংঘাতের সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমে ও কূটনৈতিক পথে সম্ভব। আমরা এমন সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি, যা শান্তি ফিরিয়ে আনার দিকে এগিয়ে যায়।’
এ বৈঠকের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন রূপরেখা। স্টারমারের সঙ্গে ছিলেন প্রায় ১২৫ জন বিশিষ্ট ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ। তাঁরা গতকাল বুধবার সকালে মুম্বাইয়ে পৌঁছে প্রথমে ভারতীয় শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে দিল্লিতে আসেন। বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়িক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে জুলাই মাসে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটিশ বাজারে প্রবেশ সহজ হবে, অপর দিকে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্যও ভারতীয় বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও সেবা খাতে যৌথ প্রকল্পও চালু হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও দ্রুত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ভারত ও যুক্তরাজ্য বিশ্ব অর্থনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্য নয়, এটি শিক্ষা, প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি ও বৈশ্বিক কূটনীতির ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
দুই দেশ সম্মত হয়েছে যে—আগামী বছরে প্রতিরক্ষা, নৌবাহিনী, সাইবার সুরক্ষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিনিময় আরও বাড়ানো হবে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা, স্কলারশিপ ও ছাত্রবিনিময় কর্মসূচিও বাড়ানোর বিষয়ে দুদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এখন নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রেক্সিটপরবর্তী ইউরোপীয় পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান বাজারে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী আর ভারতও বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ বিলিয়নের বেশি হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমরা এমন এক বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে উন্নয়ন ও শান্তি পাশাপাশি এগিয়ে চলে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ নতুন সহযোগিতা সেই লক্ষ্যে এক দৃঢ় পদক্ষেপ।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা। বৈঠকের পর মোদি স্পষ্ট ভাষায় জানালেন—ইন্ডিয়া ও ব্রিটেন আজ প্রাকৃতিক অংশীদার, এ সম্পর্ক এখন শুধু দুই দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এ সম্পর্কের মূল শক্তি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি দুই দেশের অভিন্ন বিশ্বাস।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কটা সত্যিই বিশেষ। আমরা এখন এমন এক নতুন যুগের পথে, যেখানে ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে একটি আধুনিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলছি।’ স্টারমার ভারতের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ভারতের প্রবৃদ্ধির গল্পটি একেবারেই অনন্য ও অনুপ্রেরণামূলক।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মোদি জানান, ভারত ও যুক্তরাজ্য সামরিক প্রশিক্ষণক্ষেত্রে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে ভারত সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশই মনে করছে, এ সহযোগিতা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক নৌপথের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। মোদি বলেন, ‘ভারত সব সময় বিশ্বাস করে যে সংঘাতের সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমে ও কূটনৈতিক পথে সম্ভব। আমরা এমন সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি, যা শান্তি ফিরিয়ে আনার দিকে এগিয়ে যায়।’
এ বৈঠকের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন রূপরেখা। স্টারমারের সঙ্গে ছিলেন প্রায় ১২৫ জন বিশিষ্ট ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ। তাঁরা গতকাল বুধবার সকালে মুম্বাইয়ে পৌঁছে প্রথমে ভারতীয় শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে দিল্লিতে আসেন। বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়িক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে জুলাই মাসে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটিশ বাজারে প্রবেশ সহজ হবে, অপর দিকে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্যও ভারতীয় বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও সেবা খাতে যৌথ প্রকল্পও চালু হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও দ্রুত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ভারত ও যুক্তরাজ্য বিশ্ব অর্থনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্য নয়, এটি শিক্ষা, প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি ও বৈশ্বিক কূটনীতির ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
দুই দেশ সম্মত হয়েছে যে—আগামী বছরে প্রতিরক্ষা, নৌবাহিনী, সাইবার সুরক্ষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিনিময় আরও বাড়ানো হবে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা, স্কলারশিপ ও ছাত্রবিনিময় কর্মসূচিও বাড়ানোর বিষয়ে দুদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এখন নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রেক্সিটপরবর্তী ইউরোপীয় পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান বাজারে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী আর ভারতও বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ বিলিয়নের বেশি হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমরা এমন এক বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে উন্নয়ন ও শান্তি পাশাপাশি এগিয়ে চলে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ নতুন সহযোগিতা সেই লক্ষ্যে এক দৃঢ় পদক্ষেপ।’
কলকাতা প্রতিনিধি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা। বৈঠকের পর মোদি স্পষ্ট ভাষায় জানালেন—ইন্ডিয়া ও ব্রিটেন আজ প্রাকৃতিক অংশীদার, এ সম্পর্ক এখন শুধু দুই দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এ সম্পর্কের মূল শক্তি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি দুই দেশের অভিন্ন বিশ্বাস।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কটা সত্যিই বিশেষ। আমরা এখন এমন এক নতুন যুগের পথে, যেখানে ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে একটি আধুনিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলছি।’ স্টারমার ভারতের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ভারতের প্রবৃদ্ধির গল্পটি একেবারেই অনন্য ও অনুপ্রেরণামূলক।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মোদি জানান, ভারত ও যুক্তরাজ্য সামরিক প্রশিক্ষণক্ষেত্রে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে ভারত সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশই মনে করছে, এ সহযোগিতা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক নৌপথের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। মোদি বলেন, ‘ভারত সব সময় বিশ্বাস করে যে সংঘাতের সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমে ও কূটনৈতিক পথে সম্ভব। আমরা এমন সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি, যা শান্তি ফিরিয়ে আনার দিকে এগিয়ে যায়।’
এ বৈঠকের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন রূপরেখা। স্টারমারের সঙ্গে ছিলেন প্রায় ১২৫ জন বিশিষ্ট ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ। তাঁরা গতকাল বুধবার সকালে মুম্বাইয়ে পৌঁছে প্রথমে ভারতীয় শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে দিল্লিতে আসেন। বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়িক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে জুলাই মাসে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটিশ বাজারে প্রবেশ সহজ হবে, অপর দিকে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্যও ভারতীয় বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও সেবা খাতে যৌথ প্রকল্পও চালু হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও দ্রুত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ভারত ও যুক্তরাজ্য বিশ্ব অর্থনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্য নয়, এটি শিক্ষা, প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি ও বৈশ্বিক কূটনীতির ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
দুই দেশ সম্মত হয়েছে যে—আগামী বছরে প্রতিরক্ষা, নৌবাহিনী, সাইবার সুরক্ষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিনিময় আরও বাড়ানো হবে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা, স্কলারশিপ ও ছাত্রবিনিময় কর্মসূচিও বাড়ানোর বিষয়ে দুদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এখন নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রেক্সিটপরবর্তী ইউরোপীয় পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান বাজারে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী আর ভারতও বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ বিলিয়নের বেশি হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমরা এমন এক বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে উন্নয়ন ও শান্তি পাশাপাশি এগিয়ে চলে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ নতুন সহযোগিতা সেই লক্ষ্যে এক দৃঢ় পদক্ষেপ।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা। বৈঠকের পর মোদি স্পষ্ট ভাষায় জানালেন—ইন্ডিয়া ও ব্রিটেন আজ প্রাকৃতিক অংশীদার, এ সম্পর্ক এখন শুধু দুই দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এ সম্পর্কের মূল শক্তি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি দুই দেশের অভিন্ন বিশ্বাস।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কটা সত্যিই বিশেষ। আমরা এখন এমন এক নতুন যুগের পথে, যেখানে ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে একটি আধুনিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলছি।’ স্টারমার ভারতের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ভারতের প্রবৃদ্ধির গল্পটি একেবারেই অনন্য ও অনুপ্রেরণামূলক।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মোদি জানান, ভারত ও যুক্তরাজ্য সামরিক প্রশিক্ষণক্ষেত্রে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে ভারত সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশই মনে করছে, এ সহযোগিতা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক নৌপথের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। মোদি বলেন, ‘ভারত সব সময় বিশ্বাস করে যে সংঘাতের সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমে ও কূটনৈতিক পথে সম্ভব। আমরা এমন সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি, যা শান্তি ফিরিয়ে আনার দিকে এগিয়ে যায়।’
এ বৈঠকের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন রূপরেখা। স্টারমারের সঙ্গে ছিলেন প্রায় ১২৫ জন বিশিষ্ট ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ। তাঁরা গতকাল বুধবার সকালে মুম্বাইয়ে পৌঁছে প্রথমে ভারতীয় শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে দিল্লিতে আসেন। বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়িক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে জুলাই মাসে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটিশ বাজারে প্রবেশ সহজ হবে, অপর দিকে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্যও ভারতীয় বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও সেবা খাতে যৌথ প্রকল্পও চালু হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও দ্রুত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে ভারত ও যুক্তরাজ্য বিশ্ব অর্থনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্য নয়, এটি শিক্ষা, প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি ও বৈশ্বিক কূটনীতির ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
দুই দেশ সম্মত হয়েছে যে—আগামী বছরে প্রতিরক্ষা, নৌবাহিনী, সাইবার সুরক্ষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিনিময় আরও বাড়ানো হবে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা, স্কলারশিপ ও ছাত্রবিনিময় কর্মসূচিও বাড়ানোর বিষয়ে দুদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এখন নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রেক্সিটপরবর্তী ইউরোপীয় পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান বাজারে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী আর ভারতও বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ বিলিয়নের বেশি হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমরা এমন এক বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে উন্নয়ন ও শান্তি পাশাপাশি এগিয়ে চলে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ নতুন সহযোগিতা সেই লক্ষ্যে এক দৃঢ় পদক্ষেপ।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে একমাত্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে শশী থারুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে একমাত্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে শশী থারুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাদের (রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে) আমন্ত্রণ না জানানোর আবহে শশী থারুরের এই যোগদান নিঃসন্দেহে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। থারুর নিজেই এই নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ বলে বর্ণনা করেছেন।
থারুর স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর এই আমন্ত্রণের নেপথ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। বরং তাঁর পদাধিকারের গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বর্তমানে বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শশী থারুর বলেন, ‘কিছুদিন পর আবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এলাম। আমার মনে হয়, বেশ কিছু বছর ধরে একটি ভিন্ন মনোভাব ছিল, কিন্তু এবার তারা অন্য কণ্ঠস্বরদের জন্য একটু বেশি দরজা খুলে দিতে রাজি হয়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যেহেতু সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেখভাল করে, তাই আলাপ-আলোচনার পরিবেশ এবং কথোপকথনের কিছু অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া সহায়ক। এই কারণেই আমি এখানে এসে খুব খুশি। এর চেয়ে বেশি বা কম কিছু নয়।’
থারুর আরও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করেন যে, প্রায় ২০ বছর আগে ভূ-রাজনৈতিক সংহতি নিয়ে তিনি যে শব্দটি তৈরি করেছিলেন, তা আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
তবে, বিরোধী দলনেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের নেতা পবন খেড়া এবং জয়রাম রমেশ যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সে প্রসঙ্গে থারুর বলেন, আমন্ত্রণ জানানোর ভিত্তি সম্পর্কে তিনি অবগত নন, কিন্তু আমন্ত্রিত হয়ে তিনি অবশ্যই সম্মানিত।
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে শশী থারুরকে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। এটি তাঁর নিজ দলের অসন্তোষ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, থারুর সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তাঁর নীতি ব্যাখ্যা করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনী এলাকার উন্নতির জন্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা একটি ভিন্ন আলোচনা, যার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রশ্নে আপনি আপনার বিশ্বাস বা নীতিগুলো বিসর্জন দেন না, বরং আপনি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে বের করেন। গণতন্ত্রের একটি অংশ হলো সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে সাধারণ ভিত্তি খুঁজে নিয়ে কাজ করা। আমরা কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করি, কিছু বিষয়ে একমত, এবং যেখানে আমরা একমত, সেখানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো কূটনৈতিক মিশনে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা কংগ্রেসের জন্য বারবার অস্বস্তির কারণ হয়েছে। এই আবহে, কেরালার তিরুবনন্তপুরমের এই সাংসদ কি কোনো বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন?
এই জল্পনার জবাবে থারুর একটি পরিমিত এবং রহস্যময় উত্তর দেন: ‘আমি জানি না কেন এই প্রশ্নটি করতে হবে। আমি কংগ্রেস পার্টির একজন সাংসদ। আমি নির্বাচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করেছি। অন্য কিছু হতে গেলে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা এবং বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করতে হবে।’
থারুর দৃঢ়ভাবে জানান, ভোটারদের প্রতি তাঁর দায়িত্ব সবার আগে। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের এবং আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতি আমার বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এমনকি নৈশভোজের আগে কিছু কথোপকথনেও আমি আমাদের সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম। জনগণের জন্য কাজ আদায় করার এটাই রাজনৈতিক জীবনের মূল চালিকাশক্তি বা লাইফ ব্লাড।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে একমাত্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে শশী থারুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাদের (রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে) আমন্ত্রণ না জানানোর আবহে শশী থারুরের এই যোগদান নিঃসন্দেহে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। থারুর নিজেই এই নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ বলে বর্ণনা করেছেন।
থারুর স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর এই আমন্ত্রণের নেপথ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। বরং তাঁর পদাধিকারের গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বর্তমানে বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শশী থারুর বলেন, ‘কিছুদিন পর আবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এলাম। আমার মনে হয়, বেশ কিছু বছর ধরে একটি ভিন্ন মনোভাব ছিল, কিন্তু এবার তারা অন্য কণ্ঠস্বরদের জন্য একটু বেশি দরজা খুলে দিতে রাজি হয়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যেহেতু সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেখভাল করে, তাই আলাপ-আলোচনার পরিবেশ এবং কথোপকথনের কিছু অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া সহায়ক। এই কারণেই আমি এখানে এসে খুব খুশি। এর চেয়ে বেশি বা কম কিছু নয়।’
থারুর আরও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করেন যে, প্রায় ২০ বছর আগে ভূ-রাজনৈতিক সংহতি নিয়ে তিনি যে শব্দটি তৈরি করেছিলেন, তা আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
তবে, বিরোধী দলনেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের নেতা পবন খেড়া এবং জয়রাম রমেশ যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সে প্রসঙ্গে থারুর বলেন, আমন্ত্রণ জানানোর ভিত্তি সম্পর্কে তিনি অবগত নন, কিন্তু আমন্ত্রিত হয়ে তিনি অবশ্যই সম্মানিত।
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে শশী থারুরকে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। এটি তাঁর নিজ দলের অসন্তোষ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, থারুর সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তাঁর নীতি ব্যাখ্যা করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনী এলাকার উন্নতির জন্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা একটি ভিন্ন আলোচনা, যার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রশ্নে আপনি আপনার বিশ্বাস বা নীতিগুলো বিসর্জন দেন না, বরং আপনি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে বের করেন। গণতন্ত্রের একটি অংশ হলো সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে সাধারণ ভিত্তি খুঁজে নিয়ে কাজ করা। আমরা কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করি, কিছু বিষয়ে একমত, এবং যেখানে আমরা একমত, সেখানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো কূটনৈতিক মিশনে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা কংগ্রেসের জন্য বারবার অস্বস্তির কারণ হয়েছে। এই আবহে, কেরালার তিরুবনন্তপুরমের এই সাংসদ কি কোনো বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন?
এই জল্পনার জবাবে থারুর একটি পরিমিত এবং রহস্যময় উত্তর দেন: ‘আমি জানি না কেন এই প্রশ্নটি করতে হবে। আমি কংগ্রেস পার্টির একজন সাংসদ। আমি নির্বাচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করেছি। অন্য কিছু হতে গেলে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা এবং বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করতে হবে।’
থারুর দৃঢ়ভাবে জানান, ভোটারদের প্রতি তাঁর দায়িত্ব সবার আগে। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের এবং আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতি আমার বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এমনকি নৈশভোজের আগে কিছু কথোপকথনেও আমি আমাদের সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম। জনগণের জন্য কাজ আদায় করার এটাই রাজনৈতিক জীবনের মূল চালিকাশক্তি বা লাইফ ব্লাড।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, নারা জেলা আদালতে ১৪ তম শুনানিতে হাজির হয়ে আবে পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ইয়ামাগামি। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি আবে পরিবারের ভোগান্তির জন্য অনুতপ্ত। তিন বছর ছয় মাস ধরে তারা যে কষ্টে আছে, তা আমি চাইনি, কিন্তু তা হয়েছে—এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
তিনি জানান, নিজের পরিবারেও একজনকে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় এই কষ্টের মূল্য তিনি বোঝেন।
ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই হত্যা করেছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইয়ামাগামির উদ্দেশ্য ছিল ‘ইউনিফিকেশন চার্চ’ নিয়ে ক্ষোভ। তিনি দাবি করেন, এই ধর্মীয় সংগঠনে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় তাঁদের পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইয়ামাগামির ভাষায়, আবে ছিলেন এই চার্চের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক, তাই তিনি তাঁকে লক্ষ্য বানান।
ইয়ামাগামির আইনজীবী আদালতকে জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রটি হাতে তৈরি হওয়ায় জাপানের ‘ফায়ারআর্মস অ্যান্ড সোয়ার্ডস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তাই শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ইউনিফিকেশন চার্চের বিরুদ্ধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আবে হত্যার পর সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্তের আওতায় আসে। চলতি বছরের মার্চে আদালত চার্চ বিলুপ্তির আদেশ দেয়, যদিও সংগঠনটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবেও উপস্থিত থাকেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনার দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আগের দিন তিনি হত্যাকারীর মুখোমুখি হন এবং নীরবে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে জাপানে এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, নারা জেলা আদালতে ১৪ তম শুনানিতে হাজির হয়ে আবে পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ইয়ামাগামি। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি আবে পরিবারের ভোগান্তির জন্য অনুতপ্ত। তিন বছর ছয় মাস ধরে তারা যে কষ্টে আছে, তা আমি চাইনি, কিন্তু তা হয়েছে—এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
তিনি জানান, নিজের পরিবারেও একজনকে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় এই কষ্টের মূল্য তিনি বোঝেন।
ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই হত্যা করেছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইয়ামাগামির উদ্দেশ্য ছিল ‘ইউনিফিকেশন চার্চ’ নিয়ে ক্ষোভ। তিনি দাবি করেন, এই ধর্মীয় সংগঠনে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় তাঁদের পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইয়ামাগামির ভাষায়, আবে ছিলেন এই চার্চের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক, তাই তিনি তাঁকে লক্ষ্য বানান।
ইয়ামাগামির আইনজীবী আদালতকে জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রটি হাতে তৈরি হওয়ায় জাপানের ‘ফায়ারআর্মস অ্যান্ড সোয়ার্ডস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তাই শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ইউনিফিকেশন চার্চের বিরুদ্ধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আবে হত্যার পর সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্তের আওতায় আসে। চলতি বছরের মার্চে আদালত চার্চ বিলুপ্তির আদেশ দেয়, যদিও সংগঠনটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবেও উপস্থিত থাকেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনার দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আগের দিন তিনি হত্যাকারীর মুখোমুখি হন এবং নীরবে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে জাপানে এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে একমাত্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে শশী থারুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে একমাত্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে শশী থারুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।
তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।
তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ভারত সফর করছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক ঘিরে যেমন রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ, তেমনই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে আশা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে একমাত্র কংগ্রেস নেতা হিসেবে শশী থারুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে