ডয়চে ভেলে
তিনটি ট্রেনের প্রায় সব কামরা পড়ে আছে মাটিতে। কোনো কামরা পুরোপুরি উল্টে গেছে। চাকা ওপরে উঠে গেছে। আশপাশে, সামনে-পেছনে শুধু মৃতদেহ। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। ছবি তুলছি। আর সেই সঙ্গে ভয়ংকর মন খারাপ গ্রাস করছে আমাকে। অতি কষ্টে চোখের জল চেপে ধরে ছবি তুলে যাচ্ছি।
এভাবে ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন ডয়েচে ভেলের বিশেষ প্রতিবেদন ওড়িশার সত্যজিৎ সাউ।
ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার পর এখানে পৌঁছে দেখছি ভয়ংকর ছবি।
এমন দৃশ্য যা দেখে মাঝেমধ্যেই আঁতকে উঠছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। চোখের সামনে যা দেখছি, তাতে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, কী করে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে! একটা কামরার ওপরে উঠে গেছে একটা ইঞ্জিন। অধিকাংশ কামরা আর দাঁড়িয়ে নেই। প্রায় সব পড়ে গেছে মাটিতে। কোনোটা গিয়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের নয়ানজুলিতে।
কিছু সময় আগেও যারা বেঁচে ছিল, তারা এখন লাশ মাত্র। রেল মন্ত্রণালয় তাদের সংখ্যা জানাচ্ছে। একটু পর পরই সেই সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ছিল ৩৩, এখন ২৩৮। কোথায় গিয়ে সেই সংখ্যা থামবে তা বুঝতে পারছি না। অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ হুটারের শব্দ মাঝেমধ্যেই কানে আসছে। প্রার্থনা করছি, যাদের নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে, তারা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
চোখের সামনে এই মৃত্যুর মিছিল সহ্য করতে পারছি না। যতই পেশাদার চিত্রসাংবাদিক হই না কেন, নিজের কাজের দিকে যতই মন দেওয়ার চেষ্টা করি না কেন, সামনের এই দৃশ্যের একটা অভিঘাত তো থাকবেই।
কিছু জায়গায় লাইন বলে কিছু নেই। লোহার লাইন ভেঙে গেছে। কংক্রিটের স্লিপার ভেঙেচুরে গেছে। কামরা থেকে বের করা হচ্ছে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই দেহ তোলা হচ্ছে ম্যাটাডোরে। স্বজনদের খুঁজছে মানুষ। তাদের আশা একটাই, যদি এখনো কামরার ভেতরে বেঁচে থাকে তারা। জানি না, তাদের আশা পূরণ হবে কি না, তবে তারাও শিউরে উঠছে, যখন মৃতদেহ বের করা হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষ বলছে, মালগাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। সেই ট্রেন লাইচ্যুত হয়। উল্টোদিক থেকে আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। উল্টে যাওয়া কামরায় ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনের অধিকাংশ কামরা উল্টে যায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা রেল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যাবে। সেটা ভবিষ্যতের কথা। বর্তমান হলো, মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।
তিনটি ট্রেনের প্রায় সব কামরা পড়ে আছে মাটিতে। কোনো কামরা পুরোপুরি উল্টে গেছে। চাকা ওপরে উঠে গেছে। আশপাশে, সামনে-পেছনে শুধু মৃতদেহ। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। ছবি তুলছি। আর সেই সঙ্গে ভয়ংকর মন খারাপ গ্রাস করছে আমাকে। অতি কষ্টে চোখের জল চেপে ধরে ছবি তুলে যাচ্ছি।
এভাবে ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন ডয়েচে ভেলের বিশেষ প্রতিবেদন ওড়িশার সত্যজিৎ সাউ।
ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার পর এখানে পৌঁছে দেখছি ভয়ংকর ছবি।
এমন দৃশ্য যা দেখে মাঝেমধ্যেই আঁতকে উঠছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। চোখের সামনে যা দেখছি, তাতে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, কী করে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে! একটা কামরার ওপরে উঠে গেছে একটা ইঞ্জিন। অধিকাংশ কামরা আর দাঁড়িয়ে নেই। প্রায় সব পড়ে গেছে মাটিতে। কোনোটা গিয়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের নয়ানজুলিতে।
কিছু সময় আগেও যারা বেঁচে ছিল, তারা এখন লাশ মাত্র। রেল মন্ত্রণালয় তাদের সংখ্যা জানাচ্ছে। একটু পর পরই সেই সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ছিল ৩৩, এখন ২৩৮। কোথায় গিয়ে সেই সংখ্যা থামবে তা বুঝতে পারছি না। অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ হুটারের শব্দ মাঝেমধ্যেই কানে আসছে। প্রার্থনা করছি, যাদের নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে, তারা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
চোখের সামনে এই মৃত্যুর মিছিল সহ্য করতে পারছি না। যতই পেশাদার চিত্রসাংবাদিক হই না কেন, নিজের কাজের দিকে যতই মন দেওয়ার চেষ্টা করি না কেন, সামনের এই দৃশ্যের একটা অভিঘাত তো থাকবেই।
কিছু জায়গায় লাইন বলে কিছু নেই। লোহার লাইন ভেঙে গেছে। কংক্রিটের স্লিপার ভেঙেচুরে গেছে। কামরা থেকে বের করা হচ্ছে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই দেহ তোলা হচ্ছে ম্যাটাডোরে। স্বজনদের খুঁজছে মানুষ। তাদের আশা একটাই, যদি এখনো কামরার ভেতরে বেঁচে থাকে তারা। জানি না, তাদের আশা পূরণ হবে কি না, তবে তারাও শিউরে উঠছে, যখন মৃতদেহ বের করা হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষ বলছে, মালগাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। সেই ট্রেন লাইচ্যুত হয়। উল্টোদিক থেকে আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। উল্টে যাওয়া কামরায় ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনের অধিকাংশ কামরা উল্টে যায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা রেল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যাবে। সেটা ভবিষ্যতের কথা। বর্তমান হলো, মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর বর্তমান স্ত্রী জিল বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি বাইডেন তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ৪৪ বছর বয়সী অ্যাশলি ফিলাডেলফিয়ার কোর্ট অব কমন প্লিসে এই আবেদন দাখিল করেন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম এক্স মাধ্যমে পরপর তিনটি পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও কৌশলগত সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সীমানা জোর করে পরিবর্তন করা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। এই সতর্কতা এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে আসন্ন আলাস্কা সম্মেলনের তিন দিন আগে।
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শ্রমিকসংকট মোকাবিলায় হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ানকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর দাসের মতো শর্তে কাজ করানো হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের।
৪ ঘণ্টা আগে