বাংলাদেশের ঢাকায় মারা যাওয়া এক সুফি সাধকের মরদেহ ভারতে নিয়ে পুনঃ দাফনের আবেদন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
হজরত শাহ মুহম্মদ আবদুল মুক্তাদির শাহ মাসউদ আহমাদ নামে ওই সুফি সাধক ২০২২ সালে ঢাকায় মারা যান। তাঁর জন্ম ভারতে। কিন্তু পরে পাকিস্তানে চলে আসেন। মৃত্যুর আগে তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এলাহাবাদে (বর্তমান নাম প্রয়াগরাজ) সমাহিত হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন বলে আদালতে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাঁর শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে প্রয়াগরাজে পুনঃ দাফনের জন্য মরদেহ আনতে কেন্দ্র সরকারের কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছিল হজরত মোল্লা সৈয়দ দরগা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হজরত শাহ মুহম্মদ আবদুল মুক্তাদির এলাহাবাদের আদি বাসিন্দা। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চলে আসেন। মৃত্যুর আগে তিনি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এলাহাবাদ শহরের দরগায় সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
আদালত বলেছেন, ‘তিনি একজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন। আপনি কীভাবে আশা করতে পারেন যে ভারত সরকার তাঁর মৃতদেহ পুনঃ দাফনের জন্য নিয়ে আসবে! (ভারত সরকারের) এমন কোনো অধিকার নেই যার প্রয়োগ চাওয়া যেতে পারে।’
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আরও বলেন, ‘তিনি যদি ভারতীয় নাগরিক হতেন, তবে আবেদনটি গ্রাহ্য করা যেত। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের নীতিগুলোও তো মেনে চলতে হবে!’
দরগার পক্ষের আইনজীবী বলেন, পাকিস্তানে হজরত শাহ মুহম্মদ আবদুল মুক্তাদিরের কোনো পরিবার বা স্বজন ছিলেন না। অধিকন্তু, সুফি সাধক ছিলেন হজরত মোল্লা সৈয়দের মাজারের ‘সাজ্জাদা নাশিন’।
সুফি ঐতিহ্যে একজন সাজ্জাদা নাশিন হলেন সুফি সাধকের উত্তরসূরি, যিনি একটি মাজারের প্রধান হিসেবে থাকেন।
আদালতের বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছেন, সুফি সাধকের মৃতদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে সাংবিধানিকভাবে বলবৎযোগ্য কোনো অধিকার সরকারের নেই, কারণ তিনি একজন পাকিস্তানি নাগরিক।
ওই সুফি সাধক ২০০৮ সালে প্রয়াগরাজে হজরত মোল্লা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহের মাজারের সাজ্জাদা নাশিন মনোনীত হন। তিনি ২০২১ সালে মাজারে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে উইল করেছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় মারা যাওয়ার পর এখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশের ঢাকায় মারা যাওয়া এক সুফি সাধকের মরদেহ ভারতে নিয়ে পুনঃ দাফনের আবেদন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
হজরত শাহ মুহম্মদ আবদুল মুক্তাদির শাহ মাসউদ আহমাদ নামে ওই সুফি সাধক ২০২২ সালে ঢাকায় মারা যান। তাঁর জন্ম ভারতে। কিন্তু পরে পাকিস্তানে চলে আসেন। মৃত্যুর আগে তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এলাহাবাদে (বর্তমান নাম প্রয়াগরাজ) সমাহিত হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন বলে আদালতে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাঁর শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে প্রয়াগরাজে পুনঃ দাফনের জন্য মরদেহ আনতে কেন্দ্র সরকারের কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছিল হজরত মোল্লা সৈয়দ দরগা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হজরত শাহ মুহম্মদ আবদুল মুক্তাদির এলাহাবাদের আদি বাসিন্দা। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) চলে আসেন। মৃত্যুর আগে তিনি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এলাহাবাদ শহরের দরগায় সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
আদালত বলেছেন, ‘তিনি একজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন। আপনি কীভাবে আশা করতে পারেন যে ভারত সরকার তাঁর মৃতদেহ পুনঃ দাফনের জন্য নিয়ে আসবে! (ভারত সরকারের) এমন কোনো অধিকার নেই যার প্রয়োগ চাওয়া যেতে পারে।’
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আরও বলেন, ‘তিনি যদি ভারতীয় নাগরিক হতেন, তবে আবেদনটি গ্রাহ্য করা যেত। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের নীতিগুলোও তো মেনে চলতে হবে!’
দরগার পক্ষের আইনজীবী বলেন, পাকিস্তানে হজরত শাহ মুহম্মদ আবদুল মুক্তাদিরের কোনো পরিবার বা স্বজন ছিলেন না। অধিকন্তু, সুফি সাধক ছিলেন হজরত মোল্লা সৈয়দের মাজারের ‘সাজ্জাদা নাশিন’।
সুফি ঐতিহ্যে একজন সাজ্জাদা নাশিন হলেন সুফি সাধকের উত্তরসূরি, যিনি একটি মাজারের প্রধান হিসেবে থাকেন।
আদালতের বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছেন, সুফি সাধকের মৃতদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে সাংবিধানিকভাবে বলবৎযোগ্য কোনো অধিকার সরকারের নেই, কারণ তিনি একজন পাকিস্তানি নাগরিক।
ওই সুফি সাধক ২০০৮ সালে প্রয়াগরাজে হজরত মোল্লা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহের মাজারের সাজ্জাদা নাশিন মনোনীত হন। তিনি ২০২১ সালে মাজারে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে উইল করেছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় মারা যাওয়ার পর এখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইসরায়েলি নেতৃত্বকে ইরানে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন, তাহলে ইরানের সঙ্গে কূটনীতি ‘সহজেই’ আবার শুরু করা যেতে পারে। গতকাল শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানি।
৩ মিনিট আগেপাকিস্তান সরকার ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংকটকালে তাঁর ‘নির্ণায়ক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের’ স্বীকৃতি হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম...
২০ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে ইরান। ইরানের আণবিক কর্মসূচির বিষয়ে গ্রোসির দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা জানাতে ‘ব্যর্থতার’ অভিযোগ এনেছে তেহরান।
২৭ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহের’ বিরতি ঘোষণার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। সংঘাত থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আরেক মধ্যস্থতাকারী মিসরের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে ইরান। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল
৬ ঘণ্টা আগে