Ajker Patrika

নর্ড স্ট্রিম ২: রাশিয়ার পাইপলাইন প্রকল্প থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন বাইডেন

আপডেট : ২০ মে ২০২১, ১৩: ৩৭
নর্ড স্ট্রিম ২: রাশিয়ার পাইপলাইন প্রকল্প থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন বাইডেন

ঢাকা: রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে বিতর্কিত গ্যাস পাইপলাইনের নির্মাণকারী কোম্পানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নর্ড স্ট্রিম প্রকল্প–২ এজি নামের কোম্পানি এবং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিয়াস ওয়ার্নিগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। জার্মান গোয়েন্দার সাবেক কর্মকর্তা ম্যাথিয়াস ওয়ার্নিগ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মার্কিন কংগ্রসের কাছে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, ক্রেমলিনের জন্য এই পাইপলাইন একটি প্রধান ভূ–রাজনৈতিক উপহার। নর্ড স্ট্রিম-২ প্রকল্পের মাধ্যমে জার্মানি গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। বাল্টিক দেশগুলো এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে এই কারণে যে এই পাইপলাইনকে রক্ষার জন্য রুশ নৌবাহিনী পুরো অঞ্চল জুড়ে টহল দিতে থাকবে। এতে রাশিয়া এমনকি তার সামরিক অভিযানের জন্য একে ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এতে এসব দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।

জানা গেছে, বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করার কাজ শতকরা ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে রয়েছে।

কয়লা এবং পরমাণু জ্বালানি শক্তির ব্যবহার কমিয়ে আনতে পুরোদমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জার্মানি। বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করে।

নর্ড স্ট্রিম-২ রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রথম প্রকল্প নয়। এর আগেও নর্ড স্ট্রিম-১ নামে একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি এখও চালু আছে।

নর্ড স্ট্রিম-১ এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১১ সালে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে ২০২১ সালে। এই পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ২৪৬০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার লাইন এরই মধ্যে বসানো হয়ে গেছে।

এই প্রকল্পের সবচেয়ে জোর বিরোধিতা এসেছে  যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। প্রকল্পের সাথে জড়িত ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর ওপর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত