ভারতে উত্তরাধিকার, দত্তক, বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে একেক ধর্মের মানুষ একেক ধরনের বিধি অনুসরণ করে। ধর্মভেদে আলাদা পারিবারিক আইন বাতিল করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) চালুর বিষয়ে হঠাৎ তোড়জোড় শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার বিজেপির এক সভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোরালো বক্তব্য দেওয়ার পর ভারতের মুসলিম পারিবারিক আইন বোর্ড জরুরি বৈঠকে বসে। আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার পর আইন কমিশনের কাছে পর্যালোচনা তুলে ধরা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিন্ন দেওয়ানি আইন বা পারিবারিক আইন বহু কাঙ্ক্ষিত হলেও তা বাস্তবায়নের সময় এখনো আসেনি বলে এই প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা বলছেন, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য ও ঘৃণা অপরাধ থেকে মানুষের সরাতে এবং বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজের ভাঙন ধরাতেই মোদির এই উদ্যোগ।
লোকসভা ভোটের আগে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে তাঁর সরকার। আইন কমিশনের পক্ষ থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং জনসাধারণের মতামত জানতে চেয়েছে। এর মধ্যেই মোদি জনমত তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলেন। বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
মোদি বলেন, ‘ভারতের মুসলিম ভাইবোনকে এটা বুঝতে হবে, কোনো রাজনৈতিক দল তাদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। আমরা দেখছি, ইউসিসির (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) নাম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আচ্ছা বলুন তো, পরিবারের এক সদস্যের জন্য একটি আইন, অপর সদস্যের জন্য় আরেকটি আইন— এভাবে কি ঘর চলতে পারে! এই ব্যবস্থায় কীভাবে দেশ চলবে? সংবিধানে ভারতের নাগরিকদের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কিন্তু সত্য়িটা হলো এরা মুসলিম মুসলিম নামজপ করলেও মুসলিম ভাইবোন যাতে শিক্ষা, কর্মসংস্থানে পিছিয়ে না পড়ে তার ব্যবস্থা করে না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলছে, কমন কোড নিয়ে এসো।’
মোদির দাবি, ভোট ব্যাংক রক্ষা করতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিরোধীরা মুসলিমদের ভুল বোঝাচ্ছে ও উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু বিজেপি তোষণের রাস্তায় যাবে না, ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করবে না।
নরেন্দ্র মোদির এই উদ্যোগের সমালোচনা করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে অতি সাধারণ ব্যাপার মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার মনে হয়, আইন কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্টে কী বলা হয়েছিল, সেটা ওনার পড়ে নেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে বিজেপির বিভাজনমূলক নীতির জেরে দেশ এমনিতেই বিভক্ত। এই পরিস্থিতিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে বিভাজন আরও বাড়বে। এভাবে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার মানুষের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না।’
সাবেক অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে একটা পরিবারের সঙ্গে তুলনা করছেন। সার্বিকভাবে দেখতে গেলে, সেটাকে ঠিক মনে হতেও পারে। কিন্তু বিষয়টা পুরোপুরি এক নয়। একটা পরিবার জুড়ে থাকে রক্তের বন্ধনে। আর দেশকে একত্রিত রাখতে প্রয়োজন হয় সংবিধানের, যা কি না রাজনৈতিক এবং আইনি নথি। তা ছাড়া পরিবারেও তো বিভেদ থাকে।’
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা খোলাখুলি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করলেও বিরোধী শিবিরেই গুরুত্বপূর্ণ শক্তি আম আদমি পার্টি রয়ে-সয়ে এই বিধি বাস্তবায়ন করার পক্ষে। এই দলের নেতা সন্দীপ পাঠক বলেন, ‘আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করি। সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায়ও তাই বলা হয়েছে। তবে আমাদের মনে হয়, এটা নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দল এবং সব ধরনের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।’
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মূল উদ্দেশ—উত্তরাধিকার, দত্তক, বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ বিষয়ে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যেসব আলাদা আলাদা নিয়ম ও রীতি চালু আছে, তা তুলে দিয়ে দেশে একটি অভিন্ন ব্যবস্থা চালু করা।
ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশনামূলক নীতি বা ডাইরেকটিভ প্রিন্সিপালে বলা হয়েছে, সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত সংবিধান সভা ও পার্লামেন্টে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গত মাসে আইন কমিশন সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে। লোকসভায় এ নিয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছে। ভোটের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের বিষয়টি আবার সামনে আনলেন মোদি।
ভারতে উত্তরাধিকার, দত্তক, বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে একেক ধর্মের মানুষ একেক ধরনের বিধি অনুসরণ করে। ধর্মভেদে আলাদা পারিবারিক আইন বাতিল করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) চালুর বিষয়ে হঠাৎ তোড়জোড় শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার বিজেপির এক সভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোরালো বক্তব্য দেওয়ার পর ভারতের মুসলিম পারিবারিক আইন বোর্ড জরুরি বৈঠকে বসে। আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার পর আইন কমিশনের কাছে পর্যালোচনা তুলে ধরা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিন্ন দেওয়ানি আইন বা পারিবারিক আইন বহু কাঙ্ক্ষিত হলেও তা বাস্তবায়নের সময় এখনো আসেনি বলে এই প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা বলছেন, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য ও ঘৃণা অপরাধ থেকে মানুষের সরাতে এবং বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজের ভাঙন ধরাতেই মোদির এই উদ্যোগ।
লোকসভা ভোটের আগে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে তাঁর সরকার। আইন কমিশনের পক্ষ থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং জনসাধারণের মতামত জানতে চেয়েছে। এর মধ্যেই মোদি জনমত তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলেন। বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
মোদি বলেন, ‘ভারতের মুসলিম ভাইবোনকে এটা বুঝতে হবে, কোনো রাজনৈতিক দল তাদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। আমরা দেখছি, ইউসিসির (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) নাম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আচ্ছা বলুন তো, পরিবারের এক সদস্যের জন্য একটি আইন, অপর সদস্যের জন্য় আরেকটি আইন— এভাবে কি ঘর চলতে পারে! এই ব্যবস্থায় কীভাবে দেশ চলবে? সংবিধানে ভারতের নাগরিকদের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কিন্তু সত্য়িটা হলো এরা মুসলিম মুসলিম নামজপ করলেও মুসলিম ভাইবোন যাতে শিক্ষা, কর্মসংস্থানে পিছিয়ে না পড়ে তার ব্যবস্থা করে না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলছে, কমন কোড নিয়ে এসো।’
মোদির দাবি, ভোট ব্যাংক রক্ষা করতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিরোধীরা মুসলিমদের ভুল বোঝাচ্ছে ও উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু বিজেপি তোষণের রাস্তায় যাবে না, ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করবে না।
নরেন্দ্র মোদির এই উদ্যোগের সমালোচনা করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে অতি সাধারণ ব্যাপার মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার মনে হয়, আইন কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্টে কী বলা হয়েছিল, সেটা ওনার পড়ে নেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে বিজেপির বিভাজনমূলক নীতির জেরে দেশ এমনিতেই বিভক্ত। এই পরিস্থিতিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে বিভাজন আরও বাড়বে। এভাবে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার মানুষের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না।’
সাবেক অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে একটা পরিবারের সঙ্গে তুলনা করছেন। সার্বিকভাবে দেখতে গেলে, সেটাকে ঠিক মনে হতেও পারে। কিন্তু বিষয়টা পুরোপুরি এক নয়। একটা পরিবার জুড়ে থাকে রক্তের বন্ধনে। আর দেশকে একত্রিত রাখতে প্রয়োজন হয় সংবিধানের, যা কি না রাজনৈতিক এবং আইনি নথি। তা ছাড়া পরিবারেও তো বিভেদ থাকে।’
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা খোলাখুলি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করলেও বিরোধী শিবিরেই গুরুত্বপূর্ণ শক্তি আম আদমি পার্টি রয়ে-সয়ে এই বিধি বাস্তবায়ন করার পক্ষে। এই দলের নেতা সন্দীপ পাঠক বলেন, ‘আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করি। সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায়ও তাই বলা হয়েছে। তবে আমাদের মনে হয়, এটা নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দল এবং সব ধরনের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।’
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মূল উদ্দেশ—উত্তরাধিকার, দত্তক, বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ বিষয়ে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যেসব আলাদা আলাদা নিয়ম ও রীতি চালু আছে, তা তুলে দিয়ে দেশে একটি অভিন্ন ব্যবস্থা চালু করা।
ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশনামূলক নীতি বা ডাইরেকটিভ প্রিন্সিপালে বলা হয়েছে, সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত সংবিধান সভা ও পার্লামেন্টে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গত মাসে আইন কমিশন সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে। লোকসভায় এ নিয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছে। ভোটের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের বিষয়টি আবার সামনে আনলেন মোদি।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মন্দিরে ওঠার সিঁড়িতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসব কাগজপত্র ছিল তাঁর কাছে—আধার, ভোটার কার্ড, এমনকি আত্মীয়দের পরিচয়পত্রও। তবু রাজস্থান পুলিশ বিশ্বাস করল না যে সে ভারতীয়। এরপর, এক সকালে চোখ খুলে দেখল, সে আছে অন্য এক দেশে, বাংলাদেশে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমির শেখ নামক ওই তরুণকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে‘আমার বাবা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্রায়শই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একবার তো পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন। দুধ-ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তো দূর কোনোমতে পেট ভরার মতো খাবারও নেই। বেশির ভাগ দিনই আমরা না খেয়ে থাকছি। মাঝে মাঝ
২ ঘণ্টা আগেসৌভাগ্য কাকে বলে, তারই যেন প্রমাণ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় লটারি বিগ টিকিটে প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতে নিয়েছেন ৫০ হাজার দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ লাখ টাকারও বেশি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে