Ajker Patrika

মণিপুর দাঙ্গা নিয়ে নীরবতা: মোদির ৫৬ ইঞ্চি বুককে ব্যঙ্গ করে টেলিগ্রাফের প্রধান শিরোনাম 

মণিপুর দাঙ্গা নিয়ে নীরবতা: মোদির ৫৬ ইঞ্চি বুককে ব্যঙ্গ করে টেলিগ্রাফের প্রধান শিরোনাম 

মণিপুরে জাতিগত সহিংসতায় ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। ঘটনার ৭৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ৭৯ তম দিনে মন্তব্য করেছেন মোদি। নীরবতা ভেঙে মোদির এই মন্তব্য করাকে ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বা মায়াকান্নার সঙ্গে তুলনা করেছে সংবাদমাধ্যমটি। গত ২১ জুলাই প্রকাশিত সংখ্যায় সংবাদমাধ্যমটি এই ব্যঙ্গ করে।  

চলতি বছরের ৩ মে মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি সম্প্রদায় ঘোষণার সিদ্ধান্তের জের ধরে শুরু হয় সহিংসতা। সেই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অনেক নারী। কিন্তু এত কিছুর পরও এত দিন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মোদি। 

ঘটনার ৭৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই নারীকে ধর্ষণের পর নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। ধর্ষণের আগে হত্যা করা ধর্ষিতা এক নারীর ভাইকেও। সেই ঘটনা ভারত তো বটেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই বিক্ষুব্ধ করেছে সাধারণ জনগণকে। অবশেষে সেই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর মণিপুরের দাঙ্গা নিয়ে মন্তব্য করেন মোদি। 

এত দিন পর মোদির মন্তব্য করাকে বোঝাতে সংবাদমাধ্যমটি একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ওপরের অংশে একটি কুমিরের চোখ থেকে পানি ঝরছে। তার নিচেই ছোট ছোট ৭৮টি কুমিরের ছবি ছাপা হয়েছে। এসব কুমিরের প্রতিটি মণিপুরের ঘটনায় পেরিয়ে যাওয়া একেকটি দিনকে নির্দেশ করে—যেসব দিনে মোদি কোনো মন্তব্য না করে নীরব ছিলেন। অবশেষে ৭৯ তম কুমিরের ঘরে এসে সেখানে কোনো ছবি না দিয়ে দেওয়া হয়েছে অশ্রুর ইমোজি। 

ছবির শিরোনাম বলি বা ক্যাপশন যাই বলি না কেন, তাতে লেখা হয়েছে—‘৫৬ ইঞ্চি চামড়া ভেদ করে দুঃখ এবং লজ্জার হৃদয়ে পৌঁছতে সময় লাগল ৭৯ দিন।’ এখানে ৫৬ ইঞ্চি বলতে মূলত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুককে নির্দেশ করা হয়েছে। কারণ মোদি এবং তাঁর ভক্তরা প্রায়ই মোদির ৫৬ ইঞ্চি চওড়া বুক নিয়ে গর্ব করে থাকেন। 

যেহেতু মণিপুরের ঘটনার ৭৯ তম দিনে মোদি মন্তব্য করেছেন তাই টেলিগ্রাফের চিত্রটি মূলত নির্দেশ করে যে,৫৬ ইঞ্চি চওড়া বুক বিশিষ্ট মোদি ঘটনার ৭৯ দিন পর যে মন্তব্য করেছেন তা মূলত কুম্ভীরাশ্রু বা মায়াকান্নাই। 

মণিপুরে মোদির দল বিজেপিই ক্ষমতাসীন। তারপরও মোদি বিষয়টি নিয়ে এত দিন কোনো মন্তব্যই করেননি। অবশেষে নীরবতা ভেঙে মোদি শুক্রবার বলেন, যদিও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মণিপুরে কিন্তু এর কারণে সারা দেশই অপমানিত হয়েছে এবং তাঁর হৃদয় রাগে এবং দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়েছে। মোদি বলেন, মণিপুরে নারীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা কোনোভাবেই উচিত হয়নি এবং এমন ঘটনা কখনোই ঘটা উচিত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত