Ajker Patrika

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৭৪, এখনো উদ্ধার হচ্ছে দেহাবশেষ

কলকাতা সংবাদদাতা
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ৩০টি মরদেহ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ৩০টি মরদেহ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আহমেদাবাদের মেঘানীনগরে গত বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। বিমান ও হোস্টেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো উদ্ধার করা হচ্ছে দেহাবশেষ।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জনে। যদিও সরকারি সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি, উদ্ধারকারী দলের সদস্য ও স্থানীয় হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

এর আগে গতকাল রাজ্য সরকার ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। এর মধ্যে ১৮ জন মেডিকেলের শিক্ষার্থী, ৭ জন হাসপাতালের কর্মী এবং ২৪০ জন বিমানের আরোহী।

বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানায়, উড়োজাহাজে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন ছিলেন যাত্রী এবং ১২ জন উড়োজাহাজ কর্মী।

দুর্ঘটনার পরপরই এনডিআরএফ, ফায়ার ব্রিগেড ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শুরু হয় রাতভর উদ্ধার অভিযান। বহু দেহাবশেষ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

বিমানে থাকা যাত্রীদের পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলের বহু স্থানীয় বাসিন্দা, হোস্টেলের ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীরাও প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরও সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের সঠিক পরিসংখ্যান না জানানোয় ক্ষোভে ফুঁসছে ওই ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের পরিবার ও স্থানীয়রা।

আহত ব্যক্তিদের আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল ও অন্যান্য মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ও মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো সরকারি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত