
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরজি করে হত্যা-ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে অনিবন্ধিত নতুন এক প্ল্যাটফরম। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে তিন ছাত্র।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, নবান্ন অভিযান ঘিরে বাড়তি বল প্রয়োগের উসকানি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সংগঠকদের একজন কলকাতার নামিদামি ফাইভ স্টার হোটেলে ‘একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন’ বলেও পুলিশের তথ্য।
এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নবান্ন ঘিরে ১৮টি পয়েন্টে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। প্রায় ২৬ জন উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার লিখেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে হাওড়ার শরৎ সদনে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক হয় পুলিশের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা।
আজ মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পাশাপাশি নামানো হচ্ছে পুলিশ, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফরশোর রোড, লক্ষ্মীনারায়ণতলা ও মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হচ্ছে।
নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলোও ঘিরে ফেলা হচ্ছে ব্যারিকেড দিয়ে; থাকছে জলকামান ও ড্রোনের ব্যবস্থা। হাওড়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখভালের জন্য চারজন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা থাকবেন।
নবান্ন অভিযান ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দুটি ‘গোপন’ ভিডিও ফাঁস করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো হতে পারে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নবান্ন অভিযানে খুনের পরিকল্পনা করা হতে পারে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, নবান্ন অভিযানে নারী ও ছাত্রদের সামনে রেখে পেছন থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে বলে খবর আছে। পুলিশকে বলপ্র য়োগে উসকানি দিতেই এটা করা হবে।
নবান্ন অভিযান রুখতে সতর্ক পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলির ওপরে দেওয়া হচ্ছে গ্রিজ ও মবিলের পরত।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেনের মাধ্যমে কনটেইনার নামিয়েছে পুলিশ। কলেজ স্ট্রিট ও এজেসি বোস রোডে ইতিমধ্যে কনটেইনার নামানো হয়েছে। কনটেইনারের সামনে রাখা হয়েছে ক্রেনটিও।
এর মধ্যেই জাতীয় পতাকা হাতে সাঁতরাগাছিতে হাজির কয়েকজন আন্দোলনকারী। ওদিকে বেলা ১১টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরজি করে হত্যা-ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে অনিবন্ধিত নতুন এক প্ল্যাটফরম। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে তিন ছাত্র।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, নবান্ন অভিযান ঘিরে বাড়তি বল প্রয়োগের উসকানি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সংগঠকদের একজন কলকাতার নামিদামি ফাইভ স্টার হোটেলে ‘একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন’ বলেও পুলিশের তথ্য।
এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নবান্ন ঘিরে ১৮টি পয়েন্টে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। প্রায় ২৬ জন উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার লিখেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে হাওড়ার শরৎ সদনে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক হয় পুলিশের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা।
আজ মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পাশাপাশি নামানো হচ্ছে পুলিশ, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফরশোর রোড, লক্ষ্মীনারায়ণতলা ও মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হচ্ছে।
নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলোও ঘিরে ফেলা হচ্ছে ব্যারিকেড দিয়ে; থাকছে জলকামান ও ড্রোনের ব্যবস্থা। হাওড়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখভালের জন্য চারজন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা থাকবেন।
নবান্ন অভিযান ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দুটি ‘গোপন’ ভিডিও ফাঁস করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো হতে পারে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নবান্ন অভিযানে খুনের পরিকল্পনা করা হতে পারে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, নবান্ন অভিযানে নারী ও ছাত্রদের সামনে রেখে পেছন থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে বলে খবর আছে। পুলিশকে বলপ্র য়োগে উসকানি দিতেই এটা করা হবে।
নবান্ন অভিযান রুখতে সতর্ক পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলির ওপরে দেওয়া হচ্ছে গ্রিজ ও মবিলের পরত।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেনের মাধ্যমে কনটেইনার নামিয়েছে পুলিশ। কলেজ স্ট্রিট ও এজেসি বোস রোডে ইতিমধ্যে কনটেইনার নামানো হয়েছে। কনটেইনারের সামনে রাখা হয়েছে ক্রেনটিও।
এর মধ্যেই জাতীয় পতাকা হাতে সাঁতরাগাছিতে হাজির কয়েকজন আন্দোলনকারী। ওদিকে বেলা ১১টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
১০ মিনিট আগে
জাপানে ভ্রমণে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দুই চীনা পর্যটক। খাবার খেতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁ থেকে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে তাদের। অপরাধ কী? রেস্তোরাঁর মালিকের চোকে ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক পরিধান। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে—কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমায় দুই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। অঞ্চলটি বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনাকে ‘খুব অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জ্বালানিতে সমস্যা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মালয়েশিয়া থেকে জাপানে যাওয়ার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ওরা মনে করছে, জ্বালানি খারাপ ছিল। আমরা তা খতিয়ে দেখব। লুকানোর কিছু নেই, স্যার।’
নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরী থেকে নিয়মিত টহলের সময় একটি এমএইচ-৬০ আর ‘সি–হক’ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। তৎক্ষণাৎ তিন ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর প্রায় ৩০ মিনিট পর একই রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর আরেকটি এফ/এ-১৮ এফ ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমানও বিধ্বস্ত হয়। দুই পাইলটই প্যারাসুটে অবতরণ করে নিরাপদে উদ্ধার হন বলে জানায় নৌবাহিনী। এ নিয়ে চলতি বছর ৬ কোটি ডলার মূল্যের চতুর্থ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলো।
চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সীমানা ঘেঁষা দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে একাধিক দেশ মালিকানা দাবি করলেও বেইজিং কার্যত গোটা জলসীমার ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। গত দুই দশকে চীন এই অঞ্চলের বিতর্কিত দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এভাবে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ নৌ চলাচলের স্বাধীনতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে টহল ও উপস্থিতি বজায় রাখছে—চীনের সার্বভৌমত্ব দাবির বিরোধিতা ও মিত্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরে রয়েছেন। সফরে তিনি এ সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় থাকবে বাণিজ্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক আবারও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। পরস্পরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল দুই দেশ। তবে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট জানান, চীনের সঙ্গে একটি কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ট্রাম্প–সি বৈঠকের আগে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস নিমিৎজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী। আগামী বছর এটি অবসরে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে—কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমায় দুই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। অঞ্চলটি বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনাকে ‘খুব অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জ্বালানিতে সমস্যা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মালয়েশিয়া থেকে জাপানে যাওয়ার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ওরা মনে করছে, জ্বালানি খারাপ ছিল। আমরা তা খতিয়ে দেখব। লুকানোর কিছু নেই, স্যার।’
নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরী থেকে নিয়মিত টহলের সময় একটি এমএইচ-৬০ আর ‘সি–হক’ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। তৎক্ষণাৎ তিন ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর প্রায় ৩০ মিনিট পর একই রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর আরেকটি এফ/এ-১৮ এফ ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমানও বিধ্বস্ত হয়। দুই পাইলটই প্যারাসুটে অবতরণ করে নিরাপদে উদ্ধার হন বলে জানায় নৌবাহিনী। এ নিয়ে চলতি বছর ৬ কোটি ডলার মূল্যের চতুর্থ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলো।
চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সীমানা ঘেঁষা দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে একাধিক দেশ মালিকানা দাবি করলেও বেইজিং কার্যত গোটা জলসীমার ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। গত দুই দশকে চীন এই অঞ্চলের বিতর্কিত দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এভাবে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ নৌ চলাচলের স্বাধীনতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে টহল ও উপস্থিতি বজায় রাখছে—চীনের সার্বভৌমত্ব দাবির বিরোধিতা ও মিত্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরে রয়েছেন। সফরে তিনি এ সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় থাকবে বাণিজ্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক আবারও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। পরস্পরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল দুই দেশ। তবে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট জানান, চীনের সঙ্গে একটি কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ট্রাম্প–সি বৈঠকের আগে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস নিমিৎজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী। আগামী বছর এটি অবসরে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
জাপানে ভ্রমণে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দুই চীনা পর্যটক। খাবার খেতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁ থেকে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে তাদের। অপরাধ কী? রেস্তোরাঁর মালিকের চোকে ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক পরিধান। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানে ভ্রমণে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দুই চীনা পর্যটক। খাবার খেতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁ থেকে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে তাদের। অপরাধ কী? রেস্তোরাঁর মালিকের চোখে ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক পরিধান। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, জাপানে ভ্রমণে গিয়ে পোশাকের কারণে অপমান করে রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে দুই চীনা পর্যটককে। তাঁরা শুধু স্পোর্টস ভেস্ট ও ঢিলেঢালা প্যান্ট পরেছিলেন। তবে বিষয়টি রেস্তোরাঁর মালিকের চোখে ছিল ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক।
ঘটনাটি ঘটেছে আগস্টের শেষ দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চীনা ব্লগার ও তাঁর এক বন্ধু জাপানের কোবে শহরের জনপ্রিয় থাই রেস্তোরাঁ ‘বান থাই মার্কেটে’ খেতে যান। পরে ওই ব্লগার চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরো অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ওই ব্লগার জানান, তারা রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই মালিক তাদের থেকে তিরস্কার করে বলেন, ‘গ্রীষ্ম তো শেষ হয়ে গেছে, আর নগ্ন হয়ে বেরোতে হবে না।’ ব্লগার আরও বলেন, তাঁদের পোশাক ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক—একটি স্পোর্টস ভেস্ট আর প্যান্ট। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যায়। খাওয়ার মাঝপথে হঠাৎ ম্যানেজার ও কর্মীরা এগিয়ে এসে তাঁদের চপস্টিক ছিনিয়ে নেয়, থালা সরিয়ে নেয় এবং না জিজ্ঞেস করেই পুরো খাবার তুলে ফেলে দেয়।
ব্লগার লিখেছেন, ‘বিল দিতে গিয়ে আমি ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলাম কত দিতে হবে। সে একদমই কিছু বলল না, শুধু কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করল যেন আমরা নিজেরাই দেখে নিই।’ তিনি আরও জানান, পরে গুগল রিভিউ দেখে বুঝতে পারেন, ওই রেস্তোরাঁর একই ম্যানেজারের হাতে অনেকেই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, এই রেস্তোরাঁর ব্যাপারে ‘নেতিবাচক রিভিউয়ের সংখ্যা ভয়াবহ।’
গুগল ম্যাপসের রিভিউগুলোও সেই অভিযোগকে সমর্থন করেছে। বহু ব্যবহারকারী সেখানে মালিকের খারাপ আচরণ, বৈষম্যমূলক মনোভাব এবং প্রকাশ্য বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছেন। এক রিভিউদাতা লিখেছেন, ‘আমি শুধু পারফিউম ব্যবহার করায় রেস্তোরাঁ থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি যখন জাপানি বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলাম, ম্যানেজার ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক; কিন্তু যখন তিনি বুঝলেন আমরা চীনা ভাষায় কথা বলছি, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আচরণ বদলে গেল।’
চীনা পর্যটকদের কাছে সম্প্রতি জাপান সবচেয়ে জনপ্রিয় বিদেশ ভ্রমণ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এমনকি থাইল্যান্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। এর পেছনে রয়েছে সহজতর ভিসা নীতি, দুর্বল ইয়েন মুদ্রা ও খাদ্যভিত্তিক পর্যটনের প্রতি বাড়তি আগ্রহ। এই ঘটনার পর জাপানি নেটিজেনরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই পর্যটকদের পক্ষ নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘ওই ম্যানেজার আসলেই রূঢ় মানুষ। তাঁর খারাপ খ্যাতি বহুদিনের।’ আরেকজন বলেন, ‘এটা পোশাকের কারণে নয়। সে মুহূর্তেই মনোভাব বদলে ফেলেছিল, যখন বুঝল তারা চীনা।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘বৈষম্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। সে বুঝতে পারে না, তার ব্যবসা মূলত পর্যটকদের ওপরই নির্ভর করে।’
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনাটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যদি কেউ বলে—“গ্রীষ্ম শেষ, নগ্ন হয়ে ঘুরতে বেরিও না”,—তখন সোজা উঠে চলে আসাই উচিত। যে নিজের টাকায় অপমানিত হচ্ছে, সে নীরব কেন থাকবে?’

জাপানে ভ্রমণে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দুই চীনা পর্যটক। খাবার খেতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁ থেকে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে তাদের। অপরাধ কী? রেস্তোরাঁর মালিকের চোখে ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক পরিধান। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, জাপানে ভ্রমণে গিয়ে পোশাকের কারণে অপমান করে রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে দুই চীনা পর্যটককে। তাঁরা শুধু স্পোর্টস ভেস্ট ও ঢিলেঢালা প্যান্ট পরেছিলেন। তবে বিষয়টি রেস্তোরাঁর মালিকের চোখে ছিল ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক।
ঘটনাটি ঘটেছে আগস্টের শেষ দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চীনা ব্লগার ও তাঁর এক বন্ধু জাপানের কোবে শহরের জনপ্রিয় থাই রেস্তোরাঁ ‘বান থাই মার্কেটে’ খেতে যান। পরে ওই ব্লগার চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরো অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ওই ব্লগার জানান, তারা রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই মালিক তাদের থেকে তিরস্কার করে বলেন, ‘গ্রীষ্ম তো শেষ হয়ে গেছে, আর নগ্ন হয়ে বেরোতে হবে না।’ ব্লগার আরও বলেন, তাঁদের পোশাক ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক—একটি স্পোর্টস ভেস্ট আর প্যান্ট। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যায়। খাওয়ার মাঝপথে হঠাৎ ম্যানেজার ও কর্মীরা এগিয়ে এসে তাঁদের চপস্টিক ছিনিয়ে নেয়, থালা সরিয়ে নেয় এবং না জিজ্ঞেস করেই পুরো খাবার তুলে ফেলে দেয়।
ব্লগার লিখেছেন, ‘বিল দিতে গিয়ে আমি ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলাম কত দিতে হবে। সে একদমই কিছু বলল না, শুধু কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করল যেন আমরা নিজেরাই দেখে নিই।’ তিনি আরও জানান, পরে গুগল রিভিউ দেখে বুঝতে পারেন, ওই রেস্তোরাঁর একই ম্যানেজারের হাতে অনেকেই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, এই রেস্তোরাঁর ব্যাপারে ‘নেতিবাচক রিভিউয়ের সংখ্যা ভয়াবহ।’
গুগল ম্যাপসের রিভিউগুলোও সেই অভিযোগকে সমর্থন করেছে। বহু ব্যবহারকারী সেখানে মালিকের খারাপ আচরণ, বৈষম্যমূলক মনোভাব এবং প্রকাশ্য বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছেন। এক রিভিউদাতা লিখেছেন, ‘আমি শুধু পারফিউম ব্যবহার করায় রেস্তোরাঁ থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি যখন জাপানি বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলাম, ম্যানেজার ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক; কিন্তু যখন তিনি বুঝলেন আমরা চীনা ভাষায় কথা বলছি, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আচরণ বদলে গেল।’
চীনা পর্যটকদের কাছে সম্প্রতি জাপান সবচেয়ে জনপ্রিয় বিদেশ ভ্রমণ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এমনকি থাইল্যান্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। এর পেছনে রয়েছে সহজতর ভিসা নীতি, দুর্বল ইয়েন মুদ্রা ও খাদ্যভিত্তিক পর্যটনের প্রতি বাড়তি আগ্রহ। এই ঘটনার পর জাপানি নেটিজেনরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই পর্যটকদের পক্ষ নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘ওই ম্যানেজার আসলেই রূঢ় মানুষ। তাঁর খারাপ খ্যাতি বহুদিনের।’ আরেকজন বলেন, ‘এটা পোশাকের কারণে নয়। সে মুহূর্তেই মনোভাব বদলে ফেলেছিল, যখন বুঝল তারা চীনা।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘বৈষম্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। সে বুঝতে পারে না, তার ব্যবসা মূলত পর্যটকদের ওপরই নির্ভর করে।’
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনাটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যদি কেউ বলে—“গ্রীষ্ম শেষ, নগ্ন হয়ে ঘুরতে বেরিও না”,—তখন সোজা উঠে চলে আসাই উচিত। যে নিজের টাকায় অপমানিত হচ্ছে, সে নীরব কেন থাকবে?’

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
১০ মিনিট আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখন প্রতি ২০০ মিটার অন্তর হলুদ রঙের কংক্রিটের ছোট ছোট পিলার বসাচ্ছে—যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল নির্ধারণের জন্য। এই লাইন কার্যত গাজাকে দুই ভাগে কেটে ফেলেছে। পশ্চিমাংশে হামাস আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর সৃষ্ট শূন্যতায় নিজেদের কর্তৃত্ব ফেরাতে চাইছে। তারা প্রকাশ্যে দমন করছে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ও গ্যাং সদস্যদের। যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের গাজার উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তসংলগ্ন পূর্বাংশে আইডিএফ তাদের সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা জোরদার। যে বা যারা ভুলেও এই লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে ওই হলুদ লাইনের পূর্ব পাশের—যা এখন আইডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকা—একসময়ের বাসিন্দা খালেদ আল–হুসাইন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ওই হলুদ লাইনগুলো স্পষ্ট দেখা যায় না। কোথা থেকে শুরু, কোথায় শেষ, কিছুই জানি না।’
তিনি বলেন, ‘যে-ই আমরা ঘরের কাছাকাছি যাই, চারদিক থেকে গুলি ছুটতে থাকে। ছোট ছোট ড্রোন, ওই কোয়াডকপ্টারগুলো, মাথার ওপর ঝুলে থাকে, আমাদের প্রতিটি নড়াচড়া দেখে। গতকাল এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, গুলি থামা পর্যন্ত ওভাবেই ছিলাম। ঘরে ফিরতে পারিনি। আমার মনে হয়, যুদ্ধটা শেষই হয়নি। আমি যদি এখনো ঘরে ফিরতে না পারি, তাহলে এই যুদ্ধবিরতির মানে আসলে কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন দেখি অন্যরা ঘরে ফিরছে, আর আমি রয়ে গেছি আশা আর আতঙ্কের মাঝে। কিন্তু সবচেয়ে ভয় পাই এই ভেবে—এই লাইন হয়তো আর উঠবে না, কেউ হয়তো আর কখনো আমাদের নিজ ভূমিতে ফিরতে দেবে না।’

রোববার ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার নিরাপত্তা তাদেরই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, কোথায়, কাকে আঘাত করবে এবং কোন দেশকে গাজায় শান্তিরক্ষায় অংশ নিতে দেবে—এসব সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেই নেবে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই রক্ষা করব এবং নিজের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করব। এর জন্য কারও অনুমতি আমাদের দরকার নেই।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের আদেশে ওই হলুদ লাইনে গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৯ অক্টোবর রাফাহ শহরে এক হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনার নিহত হওয়ার পর এই নির্দেশ জারি করা হয়।
যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রতিদিনই এখনো গড়ে ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, বেশির ভাগই ওই হলুদ লাইনসংলগ্ন এলাকায়। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষদের খুব কমই কেউ ফিরে যেতে সাহস করছেন আইডিএফ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছানোও এখন দূরবর্তী স্বপ্ন। সেই পর্যায়ে হামাসকে নিরস্ত্র করে একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রশাসন হস্তান্তর এবং আইডিএফের ওই হলুদ লাইন থেকে আরও পিছু হটার কথা ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর জোটের ডানপন্থীরা এমন প্রত্যাহার বা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের তীব্র বিরোধিতা করছে।
এই অচলাবস্থার মধ্যেই হলুদ লাইনটি আরও স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এটি এখন প্রায়ই ‘নতুন সীমান্ত’ নামে উল্লেখ করা হচ্ছে। ইয়েদিওথ আহরোনথ পত্রিকায় সামরিক প্রতিবেদক ইয়োয়াভ জিতুন লিখেছেন, ‘এই লাইনটি ক্রমে একটি উচ্চ, উন্নত প্রাচীরে রূপ নেবে, যা গাজাকে আরও ছোট করবে, পশ্চিম নেগেভকে বড় করবে এবং সেখানে নতুন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পথ খুলে দেবে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেরেমি কোনিনডাইক বলেন, ‘এটা আসলে ধীরে ধীরে গাজা দখলের প্রক্রিয়া।’
মার্কিন মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হলুদ লাইনে আইডিএফের অবস্থান মানে গাজার ৫৩ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে থাকবে। কিন্তু বিবিসির স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন চিহ্নগুলো প্রস্তাবিত সীমারেখার চেয়ে কয়েক শ মিটার ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে—অর্থাৎ আরও এক দফা ভূমি দখল। এ বিষয়ে আইডিএফের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আগের এক বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছিল, ‘ভূমিতে কৌশলগত স্পষ্টতা আনতে ৩ দশমিক ৫ মিটার উচ্চ কংক্রিটের স্তম্ভে হলুদ রঙের দণ্ড বসানো হচ্ছে।’
এখন যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা হলো—গাজা ক্রমেই দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে। ২১ লাখ বেঁচে থাকা মানুষের অর্ধেক এখন গাদাগাদি করে আছে এক অংশে, দুই বছরের টানা বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এক ভূমিতে। আয়মান আবু মানদিল নামে এক গাজাবাসী বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, ওই হলুদ লাইন সালাহউদ্দিন সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।’ গাজা উপত্যকার এই প্রধান সড়কটি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে।
৫৮ বছর বয়সী ৯ সন্তানের জনক মানদিলের বাড়ি ছিল আল-কারারার পূর্ব অংশে, যা এখন আইডিএফের দখলে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা সেখানে ক্রেন, ওয়াচটাওয়ার, ট্যাংক বসিয়েছে। তারা প্রতিটি নড়াচড়া নজরদারি করছে এবং কেউ কাছে গেলে গুলি চালাচ্ছে। আমরা নিজের চোখে ওই হলুদ চিহ্নগুলো দেখিনি। কারণ, যে কেউ কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। মনে হয় যেন নিজের জমির দিকে হাঁটা এখন অপরাধ।’
এই বিভাজন ও সহিংসতার মূল কারণ হলো যুদ্ধবিরতির অস্পষ্টতা। ‘ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা’ নামের ২০ দফা নীতিমালায় কোনো ধাপ বা সময়সীমা ছিল না, কেবল অস্পষ্ট লক্ষ্যগুলোর তালিকা। দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনসের নীতিনির্ধারক রোহান ট্যালবট বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্যভাবে অস্পষ্ট। এখন ইসরায়েলি সরকার, আমেরিকা, আন্তর্জাতিক সমাজ ও মানবিক সংস্থাসহ সবাই নিজেদের মতো করে এই যুদ্ধবিরতি ব্যাখ্যা করছে ও নিজেদের স্বার্থে চালনা করতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে পাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিখতে হবে—ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যেকোনো “অস্থায়ী ব্যবস্থা” খুব দ্রুত স্থায়ী হয়ে যায়।’ এই অবস্থায় গাজার অর্ধেক জনগণ এখনো ঘরে ফিরতে পারছে না, পুনর্গঠনের কথাও ভাবতে পারছে না। যুদ্ধবিরতির যে আশা জেগেছিল, তা দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল আবাসন আল-কবিরার বাসিন্দা সালাহ আবু সালাহ। যুদ্ধবিরতির কারণে তিনি এখন ‘ভুল’ পাশে পড়ে গেছেন, হলুদ লাইনের ওপারে—যেখানে তার ঘর, কিন্তু প্রবেশাধিকার নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার যখন ঘরের দিকে যাই, দেখি নতুন ধ্বংস, নতুন গোলাবর্ষণ, নতুন সেনা অগ্রযাত্রা। ট্যাংক, ড্রোন আর কামান থেকে গোলা ছোড়া বন্ধ হয়নি। মনে হয় যুদ্ধটা যেন কখনো শেষই হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভয় হয়, সেনারা হয়তো সত্যিই নতুন সীমান্ত তৈরি করছে, যা আমরা আর কখনো পার হতে পারব না।’

গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখন প্রতি ২০০ মিটার অন্তর হলুদ রঙের কংক্রিটের ছোট ছোট পিলার বসাচ্ছে—যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল নির্ধারণের জন্য। এই লাইন কার্যত গাজাকে দুই ভাগে কেটে ফেলেছে। পশ্চিমাংশে হামাস আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর সৃষ্ট শূন্যতায় নিজেদের কর্তৃত্ব ফেরাতে চাইছে। তারা প্রকাশ্যে দমন করছে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ও গ্যাং সদস্যদের। যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের গাজার উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তসংলগ্ন পূর্বাংশে আইডিএফ তাদের সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা জোরদার। যে বা যারা ভুলেও এই লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে ওই হলুদ লাইনের পূর্ব পাশের—যা এখন আইডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকা—একসময়ের বাসিন্দা খালেদ আল–হুসাইন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ওই হলুদ লাইনগুলো স্পষ্ট দেখা যায় না। কোথা থেকে শুরু, কোথায় শেষ, কিছুই জানি না।’
তিনি বলেন, ‘যে-ই আমরা ঘরের কাছাকাছি যাই, চারদিক থেকে গুলি ছুটতে থাকে। ছোট ছোট ড্রোন, ওই কোয়াডকপ্টারগুলো, মাথার ওপর ঝুলে থাকে, আমাদের প্রতিটি নড়াচড়া দেখে। গতকাল এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, গুলি থামা পর্যন্ত ওভাবেই ছিলাম। ঘরে ফিরতে পারিনি। আমার মনে হয়, যুদ্ধটা শেষই হয়নি। আমি যদি এখনো ঘরে ফিরতে না পারি, তাহলে এই যুদ্ধবিরতির মানে আসলে কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন দেখি অন্যরা ঘরে ফিরছে, আর আমি রয়ে গেছি আশা আর আতঙ্কের মাঝে। কিন্তু সবচেয়ে ভয় পাই এই ভেবে—এই লাইন হয়তো আর উঠবে না, কেউ হয়তো আর কখনো আমাদের নিজ ভূমিতে ফিরতে দেবে না।’

রোববার ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার নিরাপত্তা তাদেরই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, কোথায়, কাকে আঘাত করবে এবং কোন দেশকে গাজায় শান্তিরক্ষায় অংশ নিতে দেবে—এসব সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেই নেবে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই রক্ষা করব এবং নিজের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করব। এর জন্য কারও অনুমতি আমাদের দরকার নেই।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের আদেশে ওই হলুদ লাইনে গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৯ অক্টোবর রাফাহ শহরে এক হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনার নিহত হওয়ার পর এই নির্দেশ জারি করা হয়।
যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রতিদিনই এখনো গড়ে ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, বেশির ভাগই ওই হলুদ লাইনসংলগ্ন এলাকায়। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষদের খুব কমই কেউ ফিরে যেতে সাহস করছেন আইডিএফ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছানোও এখন দূরবর্তী স্বপ্ন। সেই পর্যায়ে হামাসকে নিরস্ত্র করে একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রশাসন হস্তান্তর এবং আইডিএফের ওই হলুদ লাইন থেকে আরও পিছু হটার কথা ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর জোটের ডানপন্থীরা এমন প্রত্যাহার বা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের তীব্র বিরোধিতা করছে।
এই অচলাবস্থার মধ্যেই হলুদ লাইনটি আরও স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এটি এখন প্রায়ই ‘নতুন সীমান্ত’ নামে উল্লেখ করা হচ্ছে। ইয়েদিওথ আহরোনথ পত্রিকায় সামরিক প্রতিবেদক ইয়োয়াভ জিতুন লিখেছেন, ‘এই লাইনটি ক্রমে একটি উচ্চ, উন্নত প্রাচীরে রূপ নেবে, যা গাজাকে আরও ছোট করবে, পশ্চিম নেগেভকে বড় করবে এবং সেখানে নতুন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পথ খুলে দেবে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেরেমি কোনিনডাইক বলেন, ‘এটা আসলে ধীরে ধীরে গাজা দখলের প্রক্রিয়া।’
মার্কিন মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হলুদ লাইনে আইডিএফের অবস্থান মানে গাজার ৫৩ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে থাকবে। কিন্তু বিবিসির স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন চিহ্নগুলো প্রস্তাবিত সীমারেখার চেয়ে কয়েক শ মিটার ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে—অর্থাৎ আরও এক দফা ভূমি দখল। এ বিষয়ে আইডিএফের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আগের এক বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছিল, ‘ভূমিতে কৌশলগত স্পষ্টতা আনতে ৩ দশমিক ৫ মিটার উচ্চ কংক্রিটের স্তম্ভে হলুদ রঙের দণ্ড বসানো হচ্ছে।’
এখন যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা হলো—গাজা ক্রমেই দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে। ২১ লাখ বেঁচে থাকা মানুষের অর্ধেক এখন গাদাগাদি করে আছে এক অংশে, দুই বছরের টানা বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এক ভূমিতে। আয়মান আবু মানদিল নামে এক গাজাবাসী বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, ওই হলুদ লাইন সালাহউদ্দিন সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।’ গাজা উপত্যকার এই প্রধান সড়কটি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে।
৫৮ বছর বয়সী ৯ সন্তানের জনক মানদিলের বাড়ি ছিল আল-কারারার পূর্ব অংশে, যা এখন আইডিএফের দখলে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা সেখানে ক্রেন, ওয়াচটাওয়ার, ট্যাংক বসিয়েছে। তারা প্রতিটি নড়াচড়া নজরদারি করছে এবং কেউ কাছে গেলে গুলি চালাচ্ছে। আমরা নিজের চোখে ওই হলুদ চিহ্নগুলো দেখিনি। কারণ, যে কেউ কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। মনে হয় যেন নিজের জমির দিকে হাঁটা এখন অপরাধ।’
এই বিভাজন ও সহিংসতার মূল কারণ হলো যুদ্ধবিরতির অস্পষ্টতা। ‘ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা’ নামের ২০ দফা নীতিমালায় কোনো ধাপ বা সময়সীমা ছিল না, কেবল অস্পষ্ট লক্ষ্যগুলোর তালিকা। দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনসের নীতিনির্ধারক রোহান ট্যালবট বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্যভাবে অস্পষ্ট। এখন ইসরায়েলি সরকার, আমেরিকা, আন্তর্জাতিক সমাজ ও মানবিক সংস্থাসহ সবাই নিজেদের মতো করে এই যুদ্ধবিরতি ব্যাখ্যা করছে ও নিজেদের স্বার্থে চালনা করতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে পাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিখতে হবে—ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যেকোনো “অস্থায়ী ব্যবস্থা” খুব দ্রুত স্থায়ী হয়ে যায়।’ এই অবস্থায় গাজার অর্ধেক জনগণ এখনো ঘরে ফিরতে পারছে না, পুনর্গঠনের কথাও ভাবতে পারছে না। যুদ্ধবিরতির যে আশা জেগেছিল, তা দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল আবাসন আল-কবিরার বাসিন্দা সালাহ আবু সালাহ। যুদ্ধবিরতির কারণে তিনি এখন ‘ভুল’ পাশে পড়ে গেছেন, হলুদ লাইনের ওপারে—যেখানে তার ঘর, কিন্তু প্রবেশাধিকার নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার যখন ঘরের দিকে যাই, দেখি নতুন ধ্বংস, নতুন গোলাবর্ষণ, নতুন সেনা অগ্রযাত্রা। ট্যাংক, ড্রোন আর কামান থেকে গোলা ছোড়া বন্ধ হয়নি। মনে হয় যুদ্ধটা যেন কখনো শেষই হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভয় হয়, সেনারা হয়তো সত্যিই নতুন সীমান্ত তৈরি করছে, যা আমরা আর কখনো পার হতে পারব না।’

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
১০ মিনিট আগে
জাপানে ভ্রমণে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দুই চীনা পর্যটক। খাবার খেতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁ থেকে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে তাদের। অপরাধ কী? রেস্তোরাঁর মালিকের চোকে ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক পরিধান। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তারা বলছেন, নরিনকোর এই পি–৬০ যান প্রমাণ করে চীন কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের নেতারাই এখন সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। রয়টার্স শতাধিক গবেষণাপত্র, পেটেন্ট ও সরকারি ক্রয় নথি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, চীন নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
চীনের এসব নতুন অস্ত্র কীভাবে কাজ করে, তা গোপন। তবে পেটেন্ট ও ক্রয়ের নথিপত্র থেকে দেখা যায়, দেশটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রযুক্তি তৈরি করছে। আর এসবই মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে, রয়টার্স নিশ্চিত হতে পারেনি এসব পণ্য তৈরি করা হয়েছে কি না। কারণ, পেটেন্ট মানেই যে সেগুলো তৈরি হয়ে গেছে এমন নয়।
নথিতে দেখা গেছে, চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এখনো এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহার করছে বা খুঁজছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এই চিপের যে মডেলগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলোও তালাশ করছে চীন। এই চিপগুলো নিষেধাজ্ঞার আগেই মজুত করা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি।
এনভিডিয়ার মুখপাত্র বলেছেন, পুরোনো বা পুনর্ব্যবহৃত চিপ দিয়ে নতুন কিছু সম্ভব নয়, আর সামরিক কাজে এগুলো ব্যবহার করাও কঠিন,। কারণ সফটওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের সহায়তা পাওয়া যাবে না। আর তাই চীনের সেনাবাহিনী এখন দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের গবেষক সানি চিয়ুং বলেন, পিএলএ এখন বেশি ঠিকাদার ব্যবহার করছে যারা কেবল দেশীয় পণ্য, যেমন হুয়াওয়ের চিপ, ব্যবহার করার পক্ষে।
দরপত্র ও পেটেন্ট নথিতে দেখা গেছে, পিএলএ–এর বিভিন্ন ইউনিট হুয়াওয়ে চিপ ব্যবহার করছে। হুয়াওয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, নরিনকো, ও ডিপসিকও সামরিক কাজে এআই ব্যবহারের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিপসিক নির্ভরতা
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে পিএলএ–এর এক ডজনেরও বেশি দরপত্রে ডিপসিক মডেলের উল্লেখ আছে। অন্যদিকে আলিবাবার প্রতিদ্বন্দ্বী মডেল ‘কিউওয়েন’–এর উল্লেখ মাত্র একটিতে। ডিপসিক–সম্পর্কিত দরপত্রের সংখ্যা এ বছর অনেক বেড়েছে। প্রায়ই নতুন সামরিক প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে পিএলএর ওয়েবসাইটে।
ডিপসিকের জনপ্রিয়তা চীনের ঘোষিত ‘অ্যালগরিদমিক সার্বভৌমত্ব’-এর অংশ। অর্থাৎ, পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে তারা বলেছে, ডিপসিক চীনের সেনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে সহায়তা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে পারে। তারা আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপদভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাত থেকে তা রক্ষা করবে।
এআই–নির্ভর পরিকল্পনা ও যুদ্ধ প্রযুক্তি
চীন এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তারা এমন রোবট কুকুর বানাতে চায়, যেগুলো দলবদ্ধভাবে টহল দেবে, হুমকি খুঁজে বের করবে এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে চীনের সেনাবাহিনী (পিএলএ) এই রোবট কুকুরের জন্য দরপত্র দেয়। তবে তা কার্যকর হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, পিএলএ আগেও ইউনিট্রি নামের কোম্পানির তৈরি সশস্ত্র রোবট কুকুর মহড়ায় ব্যবহার করেছে। কোম্পানিটি কোনো মন্তব্য করেনি। গত দুই বছরে প্রকাশিত পেটেন্ট, দরপত্র ও গবেষণাপত্রে দেখা যায়—পিএলএ এখন যুদ্ধ ও সামরিকবাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনায় এআই ব্যবহার করছে। এআই স্যাটেলাইট ও ড্রোনের তোলা ছবি দ্রুত বিশ্লেষণের প্রযুক্তি তৈরি করছে।
ল্যান্ডশিপ ইনফরমেশন টেকনোলজি নামে একটি কোম্পানি জানিয়েছে, হুয়াওয়ের চিপে তৈরি তাদের প্রযুক্তি দ্রুত লক্ষ্য শনাক্ত করতে পারে। এটি রাডার ও বিমানের সঙ্গে কাজ করে অভিযান পরিচালনা করতে পারে। শি’আন টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এআইয়ের কারণে অভিযান পরিকল্পনা অনেক দ্রুত করা যায়। তাদের তৈরি ডিপসিক সিস্টেম ৪৮ সেকেন্ডে ১০ হাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। এই কাজ সাধারণ মানুষের দল করলে ৪৮ ঘণ্টা লাগত।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা
চীনের সেনাবাহিনী এখন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তৈরিতে বিনিয়োগ করছে। বিভিন্ন পেটেন্ট ও দরপত্রে দেখা গেছে, তারা ড্রোনে এআই সংযোজন করছে, যাতে ড্রোনগুলো নিজে থেকে লক্ষ্য চিনে ফেলতে ও অনুসরণ করতে পারে। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় এক পেটেন্টে জানিয়েছে, তারা ডিপসিক প্রযুক্তি দিয়ে ড্রোন স্কোয়াডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সক্ষমতা উন্নত করছে। বিশেষ করে ছোট, ধীর ও নিম্নউচ্চতার হুমকি শনাক্তে।
চীনের প্রতিরক্ষা নেতৃত্ব বলেছে, অস্ত্র ব্যবস্থায় মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তারা এআইচালিত অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এড়াতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রও এআইভিত্তিক যুদ্ধ প্রযুক্তি বাড়াচ্ছে। তারা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হাজারো স্বয়ংক্রিয় ড্রোন মোতায়েন করতে চায়। এর লক্ষ্য—চীনের ড্রোন সংখ্যার আধিক্য মোকাবিলা করা।
আমেরিকান চিপ, চীনা মডেল
চীনের প্রতিরক্ষা কোম্পানি শানসি ১০০ ট্রাস্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি বলেছে, তারা এখন দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে। হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়ে তারা এআই মডেল চালাচ্ছে। তবে গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, এখনো এনভিডিয়া কোম্পানির চিপ ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।
পিএলএ–এর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজি (এনইউডিটি) এবং ‘সেভেন সন্স’ নামে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এনভিডিয়ার A100 চিপের ওপর ভিত্তি করে ৩৫টি আবেদন করেছে। তারা হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়েও ১৫টি এআই-সম্পর্কিত পেটেন্ট জমা দিয়েছে।
২০২৫ সালের জুনে পিএলএ–এর রকেট ফোর্স ইউনিভার্সিটি জানায়, তারা দূর-সংবেদনশীল লক্ষ্য শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় এ–১০০ চিপ ব্যবহার করেছে। এনইউডিটির কর্নেল ঝু কিচাও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের গবেষণায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু তারা প্রযুক্তিগত ব্যবধান কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এনভিডিয়ার কর্মকর্তা রিজ্জো বলেন, চীনের সেনাবাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত দেশীয় চিপ রয়েছে, তাই তাদের এনভিডিয়া চিপের ওপর তেমন নির্ভর করতে হয় না।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তারা বলছেন, নরিনকোর এই পি–৬০ যান প্রমাণ করে চীন কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের নেতারাই এখন সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। রয়টার্স শতাধিক গবেষণাপত্র, পেটেন্ট ও সরকারি ক্রয় নথি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, চীন নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
চীনের এসব নতুন অস্ত্র কীভাবে কাজ করে, তা গোপন। তবে পেটেন্ট ও ক্রয়ের নথিপত্র থেকে দেখা যায়, দেশটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রযুক্তি তৈরি করছে। আর এসবই মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে, রয়টার্স নিশ্চিত হতে পারেনি এসব পণ্য তৈরি করা হয়েছে কি না। কারণ, পেটেন্ট মানেই যে সেগুলো তৈরি হয়ে গেছে এমন নয়।
নথিতে দেখা গেছে, চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এখনো এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহার করছে বা খুঁজছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এই চিপের যে মডেলগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলোও তালাশ করছে চীন। এই চিপগুলো নিষেধাজ্ঞার আগেই মজুত করা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি।
এনভিডিয়ার মুখপাত্র বলেছেন, পুরোনো বা পুনর্ব্যবহৃত চিপ দিয়ে নতুন কিছু সম্ভব নয়, আর সামরিক কাজে এগুলো ব্যবহার করাও কঠিন,। কারণ সফটওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের সহায়তা পাওয়া যাবে না। আর তাই চীনের সেনাবাহিনী এখন দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের গবেষক সানি চিয়ুং বলেন, পিএলএ এখন বেশি ঠিকাদার ব্যবহার করছে যারা কেবল দেশীয় পণ্য, যেমন হুয়াওয়ের চিপ, ব্যবহার করার পক্ষে।
দরপত্র ও পেটেন্ট নথিতে দেখা গেছে, পিএলএ–এর বিভিন্ন ইউনিট হুয়াওয়ে চিপ ব্যবহার করছে। হুয়াওয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, নরিনকো, ও ডিপসিকও সামরিক কাজে এআই ব্যবহারের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিপসিক নির্ভরতা
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে পিএলএ–এর এক ডজনেরও বেশি দরপত্রে ডিপসিক মডেলের উল্লেখ আছে। অন্যদিকে আলিবাবার প্রতিদ্বন্দ্বী মডেল ‘কিউওয়েন’–এর উল্লেখ মাত্র একটিতে। ডিপসিক–সম্পর্কিত দরপত্রের সংখ্যা এ বছর অনেক বেড়েছে। প্রায়ই নতুন সামরিক প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে পিএলএর ওয়েবসাইটে।
ডিপসিকের জনপ্রিয়তা চীনের ঘোষিত ‘অ্যালগরিদমিক সার্বভৌমত্ব’-এর অংশ। অর্থাৎ, পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে তারা বলেছে, ডিপসিক চীনের সেনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে সহায়তা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে পারে। তারা আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপদভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাত থেকে তা রক্ষা করবে।
এআই–নির্ভর পরিকল্পনা ও যুদ্ধ প্রযুক্তি
চীন এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তারা এমন রোবট কুকুর বানাতে চায়, যেগুলো দলবদ্ধভাবে টহল দেবে, হুমকি খুঁজে বের করবে এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে চীনের সেনাবাহিনী (পিএলএ) এই রোবট কুকুরের জন্য দরপত্র দেয়। তবে তা কার্যকর হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, পিএলএ আগেও ইউনিট্রি নামের কোম্পানির তৈরি সশস্ত্র রোবট কুকুর মহড়ায় ব্যবহার করেছে। কোম্পানিটি কোনো মন্তব্য করেনি। গত দুই বছরে প্রকাশিত পেটেন্ট, দরপত্র ও গবেষণাপত্রে দেখা যায়—পিএলএ এখন যুদ্ধ ও সামরিকবাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনায় এআই ব্যবহার করছে। এআই স্যাটেলাইট ও ড্রোনের তোলা ছবি দ্রুত বিশ্লেষণের প্রযুক্তি তৈরি করছে।
ল্যান্ডশিপ ইনফরমেশন টেকনোলজি নামে একটি কোম্পানি জানিয়েছে, হুয়াওয়ের চিপে তৈরি তাদের প্রযুক্তি দ্রুত লক্ষ্য শনাক্ত করতে পারে। এটি রাডার ও বিমানের সঙ্গে কাজ করে অভিযান পরিচালনা করতে পারে। শি’আন টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এআইয়ের কারণে অভিযান পরিকল্পনা অনেক দ্রুত করা যায়। তাদের তৈরি ডিপসিক সিস্টেম ৪৮ সেকেন্ডে ১০ হাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। এই কাজ সাধারণ মানুষের দল করলে ৪৮ ঘণ্টা লাগত।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা
চীনের সেনাবাহিনী এখন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তৈরিতে বিনিয়োগ করছে। বিভিন্ন পেটেন্ট ও দরপত্রে দেখা গেছে, তারা ড্রোনে এআই সংযোজন করছে, যাতে ড্রোনগুলো নিজে থেকে লক্ষ্য চিনে ফেলতে ও অনুসরণ করতে পারে। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় এক পেটেন্টে জানিয়েছে, তারা ডিপসিক প্রযুক্তি দিয়ে ড্রোন স্কোয়াডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সক্ষমতা উন্নত করছে। বিশেষ করে ছোট, ধীর ও নিম্নউচ্চতার হুমকি শনাক্তে।
চীনের প্রতিরক্ষা নেতৃত্ব বলেছে, অস্ত্র ব্যবস্থায় মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তারা এআইচালিত অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এড়াতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রও এআইভিত্তিক যুদ্ধ প্রযুক্তি বাড়াচ্ছে। তারা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হাজারো স্বয়ংক্রিয় ড্রোন মোতায়েন করতে চায়। এর লক্ষ্য—চীনের ড্রোন সংখ্যার আধিক্য মোকাবিলা করা।
আমেরিকান চিপ, চীনা মডেল
চীনের প্রতিরক্ষা কোম্পানি শানসি ১০০ ট্রাস্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি বলেছে, তারা এখন দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে। হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়ে তারা এআই মডেল চালাচ্ছে। তবে গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, এখনো এনভিডিয়া কোম্পানির চিপ ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।
পিএলএ–এর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজি (এনইউডিটি) এবং ‘সেভেন সন্স’ নামে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এনভিডিয়ার A100 চিপের ওপর ভিত্তি করে ৩৫টি আবেদন করেছে। তারা হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়েও ১৫টি এআই-সম্পর্কিত পেটেন্ট জমা দিয়েছে।
২০২৫ সালের জুনে পিএলএ–এর রকেট ফোর্স ইউনিভার্সিটি জানায়, তারা দূর-সংবেদনশীল লক্ষ্য শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় এ–১০০ চিপ ব্যবহার করেছে। এনইউডিটির কর্নেল ঝু কিচাও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের গবেষণায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু তারা প্রযুক্তিগত ব্যবধান কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এনভিডিয়ার কর্মকর্তা রিজ্জো বলেন, চীনের সেনাবাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত দেশীয় চিপ রয়েছে, তাই তাদের এনভিডিয়া চিপের ওপর তেমন নির্ভর করতে হয় না।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
১০ মিনিট আগে
জাপানে ভ্রমণে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দুই চীনা পর্যটক। খাবার খেতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁ থেকে অপমানিত হয়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে তাদের। অপরাধ কী? রেস্তোরাঁর মালিকের চোকে ‘অনেক বেশি খোলামেলা’ পোশাক পরিধান। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগে