Ajker Patrika

নবান্ন অভিযান ঘিরে দুর্গে পরিণত কলকাতা: ৬০০০ পুলিশ মোতায়েন, তিন স্তরের নিরাপত্তা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ৪৫
Thumbnail image

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা নগরীকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ; নবান্ন ঘিরে অন্তত ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

আরজি করে হত্যা-ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে অনিবন্ধিত নতুন এক প্ল্যাটফরম। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে তিন ছাত্র। 

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, নবান্ন অভিযান ঘিরে বাড়তি বল প্রয়োগের উসকানি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সংগঠকদের একজন কলকাতার নামিদামি ফাইভ স্টার হোটেলে ‘একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন’ বলেও পুলিশের তথ্য।

এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নবান্ন ঘিরে ১৮টি পয়েন্টে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। প্রায় ২৬ জন উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হবে।

পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার লিখেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে হাওড়ার শরৎ সদনে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক হয় পুলিশের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা। 

আজ মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পাশাপাশি নামানো হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফরশোর রোড, লক্ষ্মীনারায়ণতলা ও মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হচ্ছে। 

নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলোও ঘিরে ফেলা হচ্ছে ব্যারিকেড দিয়ে; থাকছে জলকামান ও ড্রোনের ব্যবস্থা। হাওড়ার নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখভালের জন্য চারজন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা থাকবেন। 

নবান্ন অভিযান ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দুটি ‘গোপন’ ভিডিও ফাঁস করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো হতে পারে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নবান্ন অভিযানে খুনের পরিকল্পনা করা হতে পারে। 

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, নবান্ন অভিযানে নারী ও ছাত্রদের সামনে রেখে পেছন থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে বলে খবর আছে। পুলিশকে বলপ্র য়োগে উসকানি দিতেই এটা করা হবে। 

নবান্ন অভিযান রুখতে সতর্ক পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলির ওপরে দেওয়া হচ্ছে গ্রিজ ও মবিলের পরত। 

বিক্ষোভকারীদের আটকাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেনের মাধ্যমে কনটেইনার নামিয়েছে পুলিশ। কলেজ স্ট্রিট ও এজেসি বোস রোডে ইতিমধ্যে কনটেইনার নামানো হয়েছে। কনটেইনারের সামনে রাখা হয়েছে ক্রেনটিও। 

এর মধ্যেই জাতীয় পতাকা হাতে সাঁতরাগাছিতে হাজির কয়েকজন আন্দোলনকারী। ওদিকে বেলা ১১টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত