কলকাতা সংবাদদাতা

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠিও দিয়েছেন।
কেন্দ্র যদি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তবে এর প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও এরপর সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তিস্তা ও গঙ্গার পানি বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সবকিছুই জানানো হয়েছে। সকল বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁরা সবটাই জানে, এখন মিথ্যা দাবি করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল। তাঁরা সবকিছুই জানত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকল বিষয়ে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, পানিবণ্টন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিনির্ধারক ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, ভারত-বাংলাদেশ পানিবণ্টন বহু শত বছরের ইতিহাস ও ভূ-প্রকৃতির মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয়। এর ওপরে নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মানুষের পানি পাওয়া, গঙ্গার ভাঙ্গনজনিত সমস্যা, কৃষি কাজ, শিল্প, সেচ, খাবার পানিসহ একাধিক বিষয় রয়েছে।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, তা হলো ২০২৩ সালের ২৪ জুলাইয়ের বিষয়। ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করেছিল। তাতে পরবর্তীতে মোট ১২ জন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। যার মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন। এরপর চলতি বছরেই ১৪ জুলাইয়ের একটি চিঠি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তাতে টেকনিক্যাল কমিটিতে ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনকে তাঁদের রিপোর্ট দেয়। যেটা ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। ওরা (ভারত সরকার) বলেছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার তার মতো দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা জয়েন্ট সেক্রেটারির কাছে দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া কিছু চাওয়া হয়নি তাঁর কাছ থেকে।
মমতার প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, অনলাইন বৈঠকে এবং পরে ই-মেইল মারফত আমাদের দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া এই রিপোর্টে আর কিছু প্রতিফলিত হয়নি। তবে এই রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাময়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনের কোনো প্রয়াস করে না। এই রিপোর্টে কয়েকজন প্রকৌশলী তাঁদের কিছু টেকনিক্যাল মতো দিয়েছিলেন। তাতে তিস্তা, পুনর্ভবা, আত্রেয়ীসহ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও মধ্য বঙ্গের মধ্য দিয়ে যেসব নদী পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে যায় তার উল্লেখ মাত্র নেই।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে গঙ্গা ও তিস্তার পানিবণ্টন, গঙ্গার ভাঙনসহ যতগুলো ইস্যু আছে এর প্রতিফলন এই টেকনিক্যাল রিপোর্টে নেই, তা থাকার কথাও নয় বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কোনো চিঠি দেয়নি। এ বিষয়ে কোনো টিম পাঠায়নি বা কোনো আলোচনা হয়নি।
আলাপন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পানিবণ্টন সম্পর্কিত এবং রাজ্যের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত, নদী ক্ষয়, নদী ভাঙ্গনজনিত যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন টেকনিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ নেই।
সবশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পানিবণ্টন ইস্যু ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি নির্ধারণ ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের নীতি নির্ণায়ক ও নীতিনির্ধারক স্তরের কোনো যোগাযোগ নেই। যে কারণে তাঁদের কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠিও দিয়েছেন।
কেন্দ্র যদি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তবে এর প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও এরপর সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তিস্তা ও গঙ্গার পানি বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সবকিছুই জানানো হয়েছে। সকল বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁরা সবটাই জানে, এখন মিথ্যা দাবি করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল। তাঁরা সবকিছুই জানত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকল বিষয়ে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, পানিবণ্টন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিনির্ধারক ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, ভারত-বাংলাদেশ পানিবণ্টন বহু শত বছরের ইতিহাস ও ভূ-প্রকৃতির মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয়। এর ওপরে নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মানুষের পানি পাওয়া, গঙ্গার ভাঙ্গনজনিত সমস্যা, কৃষি কাজ, শিল্প, সেচ, খাবার পানিসহ একাধিক বিষয় রয়েছে।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, তা হলো ২০২৩ সালের ২৪ জুলাইয়ের বিষয়। ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করেছিল। তাতে পরবর্তীতে মোট ১২ জন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। যার মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন। এরপর চলতি বছরেই ১৪ জুলাইয়ের একটি চিঠি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তাতে টেকনিক্যাল কমিটিতে ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনকে তাঁদের রিপোর্ট দেয়। যেটা ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। ওরা (ভারত সরকার) বলেছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার তার মতো দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা জয়েন্ট সেক্রেটারির কাছে দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া কিছু চাওয়া হয়নি তাঁর কাছ থেকে।
মমতার প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, অনলাইন বৈঠকে এবং পরে ই-মেইল মারফত আমাদের দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া এই রিপোর্টে আর কিছু প্রতিফলিত হয়নি। তবে এই রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাময়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনের কোনো প্রয়াস করে না। এই রিপোর্টে কয়েকজন প্রকৌশলী তাঁদের কিছু টেকনিক্যাল মতো দিয়েছিলেন। তাতে তিস্তা, পুনর্ভবা, আত্রেয়ীসহ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও মধ্য বঙ্গের মধ্য দিয়ে যেসব নদী পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে যায় তার উল্লেখ মাত্র নেই।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে গঙ্গা ও তিস্তার পানিবণ্টন, গঙ্গার ভাঙনসহ যতগুলো ইস্যু আছে এর প্রতিফলন এই টেকনিক্যাল রিপোর্টে নেই, তা থাকার কথাও নয় বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কোনো চিঠি দেয়নি। এ বিষয়ে কোনো টিম পাঠায়নি বা কোনো আলোচনা হয়নি।
আলাপন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পানিবণ্টন সম্পর্কিত এবং রাজ্যের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত, নদী ক্ষয়, নদী ভাঙ্গনজনিত যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন টেকনিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ নেই।
সবশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পানিবণ্টন ইস্যু ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি নির্ধারণ ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের নীতি নির্ণায়ক ও নীতিনির্ধারক স্তরের কোনো যোগাযোগ নেই। যে কারণে তাঁদের কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
কলকাতা সংবাদদাতা

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠিও দিয়েছেন।
কেন্দ্র যদি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তবে এর প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও এরপর সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তিস্তা ও গঙ্গার পানি বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সবকিছুই জানানো হয়েছে। সকল বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁরা সবটাই জানে, এখন মিথ্যা দাবি করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল। তাঁরা সবকিছুই জানত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকল বিষয়ে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, পানিবণ্টন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিনির্ধারক ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, ভারত-বাংলাদেশ পানিবণ্টন বহু শত বছরের ইতিহাস ও ভূ-প্রকৃতির মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয়। এর ওপরে নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মানুষের পানি পাওয়া, গঙ্গার ভাঙ্গনজনিত সমস্যা, কৃষি কাজ, শিল্প, সেচ, খাবার পানিসহ একাধিক বিষয় রয়েছে।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, তা হলো ২০২৩ সালের ২৪ জুলাইয়ের বিষয়। ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করেছিল। তাতে পরবর্তীতে মোট ১২ জন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। যার মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন। এরপর চলতি বছরেই ১৪ জুলাইয়ের একটি চিঠি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তাতে টেকনিক্যাল কমিটিতে ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনকে তাঁদের রিপোর্ট দেয়। যেটা ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। ওরা (ভারত সরকার) বলেছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার তার মতো দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা জয়েন্ট সেক্রেটারির কাছে দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া কিছু চাওয়া হয়নি তাঁর কাছ থেকে।
মমতার প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, অনলাইন বৈঠকে এবং পরে ই-মেইল মারফত আমাদের দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া এই রিপোর্টে আর কিছু প্রতিফলিত হয়নি। তবে এই রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাময়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনের কোনো প্রয়াস করে না। এই রিপোর্টে কয়েকজন প্রকৌশলী তাঁদের কিছু টেকনিক্যাল মতো দিয়েছিলেন। তাতে তিস্তা, পুনর্ভবা, আত্রেয়ীসহ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও মধ্য বঙ্গের মধ্য দিয়ে যেসব নদী পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে যায় তার উল্লেখ মাত্র নেই।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে গঙ্গা ও তিস্তার পানিবণ্টন, গঙ্গার ভাঙনসহ যতগুলো ইস্যু আছে এর প্রতিফলন এই টেকনিক্যাল রিপোর্টে নেই, তা থাকার কথাও নয় বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কোনো চিঠি দেয়নি। এ বিষয়ে কোনো টিম পাঠায়নি বা কোনো আলোচনা হয়নি।
আলাপন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পানিবণ্টন সম্পর্কিত এবং রাজ্যের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত, নদী ক্ষয়, নদী ভাঙ্গনজনিত যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন টেকনিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ নেই।
সবশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পানিবণ্টন ইস্যু ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি নির্ধারণ ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের নীতি নির্ণায়ক ও নীতিনির্ধারক স্তরের কোনো যোগাযোগ নেই। যে কারণে তাঁদের কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠিও দিয়েছেন।
কেন্দ্র যদি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তবে এর প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও এরপর সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তিস্তা ও গঙ্গার পানি বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সবকিছুই জানানো হয়েছে। সকল বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁরা সবটাই জানে, এখন মিথ্যা দাবি করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল। তাঁরা সবকিছুই জানত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকল বিষয়ে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, পানিবণ্টন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিনির্ধারক ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, ভারত-বাংলাদেশ পানিবণ্টন বহু শত বছরের ইতিহাস ও ভূ-প্রকৃতির মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয়। এর ওপরে নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মানুষের পানি পাওয়া, গঙ্গার ভাঙ্গনজনিত সমস্যা, কৃষি কাজ, শিল্প, সেচ, খাবার পানিসহ একাধিক বিষয় রয়েছে।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, তা হলো ২০২৩ সালের ২৪ জুলাইয়ের বিষয়। ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করেছিল। তাতে পরবর্তীতে মোট ১২ জন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। যার মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন। এরপর চলতি বছরেই ১৪ জুলাইয়ের একটি চিঠি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তাতে টেকনিক্যাল কমিটিতে ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনকে তাঁদের রিপোর্ট দেয়। যেটা ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। ওরা (ভারত সরকার) বলেছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার তার মতো দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা জয়েন্ট সেক্রেটারির কাছে দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া কিছু চাওয়া হয়নি তাঁর কাছ থেকে।
মমতার প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, অনলাইন বৈঠকে এবং পরে ই-মেইল মারফত আমাদের দু-একটি ছোট টেকনিক্যাল ইনপুট ছাড়া এই রিপোর্টে আর কিছু প্রতিফলিত হয়নি। তবে এই রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাময়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনের কোনো প্রয়াস করে না। এই রিপোর্টে কয়েকজন প্রকৌশলী তাঁদের কিছু টেকনিক্যাল মতো দিয়েছিলেন। তাতে তিস্তা, পুনর্ভবা, আত্রেয়ীসহ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও মধ্য বঙ্গের মধ্য দিয়ে যেসব নদী পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে যায় তার উল্লেখ মাত্র নেই।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে গঙ্গা ও তিস্তার পানিবণ্টন, গঙ্গার ভাঙনসহ যতগুলো ইস্যু আছে এর প্রতিফলন এই টেকনিক্যাল রিপোর্টে নেই, তা থাকার কথাও নয় বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কোনো চিঠি দেয়নি। এ বিষয়ে কোনো টিম পাঠায়নি বা কোনো আলোচনা হয়নি।
আলাপন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পানিবণ্টন সম্পর্কিত এবং রাজ্যের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত, নদী ক্ষয়, নদী ভাঙ্গনজনিত যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন টেকনিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ নেই।
সবশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পানিবণ্টন ইস্যু ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি নির্ধারণ ও নীতি নির্ণায়ক স্তরের সঙ্গে ভারত সরকারের নীতি নির্ণায়ক ও নীতিনির্ধারক স্তরের কোনো যোগাযোগ নেই। যে কারণে তাঁদের কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। তিস্তা ও ফারাক্কা গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
২৬ জুন ২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। তিস্তা ও ফারাক্কা গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
২৬ জুন ২০২৪
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। তিস্তা ও ফারাক্কা গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
২৬ জুন ২০২৪
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানান তিনি। তিস্তা ও ফারাক্কা গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
২৬ জুন ২০২৪
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৪ ঘণ্টা আগে