পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার হুগলি জেলার ফুরফুরা মাজার শরিফের উন্নয়নে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা (২ কোটি ৬০ লাখ রুপি) বরাদ্দ দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ নামের একটি সরকারি সংস্থা উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এই অর্থের দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।
ফিরহাদের বক্তব্য শেষে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ও ভাঙড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি প্রশ্ন তোলেন, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায়? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘এখনো কোনো অফিস আমরা পাইনি। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গেছে, সেখানেই অফিস হবে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই অফিস, মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে পর্ষদের।’
ফুরফুরা শরীফের ধর্মগুরু পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয় এই মাজারের উন্নয়নের জন্য মোটা অঙ্কের এই বরাদ্দ দিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই তহবিলটি মূলত ২০টি হাই মাস্ট, ৪০০টি এলইডি স্ট্রিট লাইট এবং মাজারের অন্যান্য সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ব্যয় করা হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে অর্থ বিভাগ কমপক্ষে ৬০টি প্রকল্প এবং ফুরফুরা শরীফ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জন্য প্রায় ২০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে।’
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফুরফুরা পবিত্র তীর্থস্থান। সেখানকার পীরজাদাদের ঘিরে আবেগও তেমনই। সারা বছর রাজনীতিকদেরও যাতায়াত লেগে থাকে হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের এই জনপদে। অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের ফুরফুরায় যাওয়ার পেছনে সংখ্যালঘুদের ভোটের অঙ্ক থাকে। সিপিএম আমল থেকেই এটি চলে আসছে। একটা সময়ে হুগলির প্রয়াত সিপিএম নেতা সুনীল সরকার দলের পক্ষ থেকে ফুরফুরার সঙ্গে ‘সমন্বয়’ রাখতেন।
২০০৮ সাল থেকে বদলাতে শুরু করে এই চিত্র। ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সম্পর্ক এবং ঘনিষ্ঠতা রাজ্য রাজনীতিতে সুবিদিত ছিল। সে সময় আনুষ্ঠানিকতা সারতে অন্য দলের নেতারা গেলেও ফুরফুরা কার্যত তৃণমূলের হয়ে গিয়েছিল বলেই প্রচার হয়ে গিয়েছিল। ওই বছরই গঠন করা হয় ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ, আর তার চেয়ারম্যান হন ফিরহাদ।
এতদিন এভাবেই চলছিল। ত্বহা অবশ্য মাঝে মাঝে ‘বিদ্রোহী’ হতেন, আবার চুপও করে যেতেন।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে এ সমীকরণে কিছুটা বদল আসে। অনেকের মতে, তৃণমূল খানিকটা বিপাকে পড়েছিল আব্বাস সিদ্দিকি এবং নওশাদের আগমনে। ভাঙড়ে নওশাদের জয় পরিস্থিতি আরও খানিকটা ঘোরালো করেছিল। অনেকের অভিমত, সেই কারণেই একদা নওশাদদের কথা বলতে গিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের নেতা তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির উদাহরণ টেনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পরে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বদল করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ফিরহাদকে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে। মমতাই সরকারে এসে ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেছিলেন। যেমন করেছেন তারকেশ্বরের ক্ষেত্রেও। অনেকের মতে, অতীতেও ফুরফুরা শরিফে হুজুরদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন ছিল। ত্বহার উল্টো সুরে চিরকাল কথা বলে এসেছেন ইব্রাহিম সিদ্দিকি। কিন্তু সেই বিভাজন শাসকদলকে কখনও ‘বিড়ম্বিত’ করেনি। নওশাদদের ‘উত্থানে’ সেই বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে।
হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং মালদহ, মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ফুরফুরার প্রভাব রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন। লোকসভা ভোটের আগে ফুরফুরা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠবে নানা অঙ্কে। সে দিক থেকে ফুরফুরার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের কথা বিধানসভায় মন্ত্রীর জানানোও ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার হুগলি জেলার ফুরফুরা মাজার শরিফের উন্নয়নে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা (২ কোটি ৬০ লাখ রুপি) বরাদ্দ দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ নামের একটি সরকারি সংস্থা উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এই অর্থের দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।
ফিরহাদের বক্তব্য শেষে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ও ভাঙড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি প্রশ্ন তোলেন, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায়? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘এখনো কোনো অফিস আমরা পাইনি। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গেছে, সেখানেই অফিস হবে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই অফিস, মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে পর্ষদের।’
ফুরফুরা শরীফের ধর্মগুরু পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয় এই মাজারের উন্নয়নের জন্য মোটা অঙ্কের এই বরাদ্দ দিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই তহবিলটি মূলত ২০টি হাই মাস্ট, ৪০০টি এলইডি স্ট্রিট লাইট এবং মাজারের অন্যান্য সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ব্যয় করা হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে অর্থ বিভাগ কমপক্ষে ৬০টি প্রকল্প এবং ফুরফুরা শরীফ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জন্য প্রায় ২০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে।’
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফুরফুরা পবিত্র তীর্থস্থান। সেখানকার পীরজাদাদের ঘিরে আবেগও তেমনই। সারা বছর রাজনীতিকদেরও যাতায়াত লেগে থাকে হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের এই জনপদে। অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের ফুরফুরায় যাওয়ার পেছনে সংখ্যালঘুদের ভোটের অঙ্ক থাকে। সিপিএম আমল থেকেই এটি চলে আসছে। একটা সময়ে হুগলির প্রয়াত সিপিএম নেতা সুনীল সরকার দলের পক্ষ থেকে ফুরফুরার সঙ্গে ‘সমন্বয়’ রাখতেন।
২০০৮ সাল থেকে বদলাতে শুরু করে এই চিত্র। ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সম্পর্ক এবং ঘনিষ্ঠতা রাজ্য রাজনীতিতে সুবিদিত ছিল। সে সময় আনুষ্ঠানিকতা সারতে অন্য দলের নেতারা গেলেও ফুরফুরা কার্যত তৃণমূলের হয়ে গিয়েছিল বলেই প্রচার হয়ে গিয়েছিল। ওই বছরই গঠন করা হয় ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ, আর তার চেয়ারম্যান হন ফিরহাদ।
এতদিন এভাবেই চলছিল। ত্বহা অবশ্য মাঝে মাঝে ‘বিদ্রোহী’ হতেন, আবার চুপও করে যেতেন।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে এ সমীকরণে কিছুটা বদল আসে। অনেকের মতে, তৃণমূল খানিকটা বিপাকে পড়েছিল আব্বাস সিদ্দিকি এবং নওশাদের আগমনে। ভাঙড়ে নওশাদের জয় পরিস্থিতি আরও খানিকটা ঘোরালো করেছিল। অনেকের অভিমত, সেই কারণেই একদা নওশাদদের কথা বলতে গিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের নেতা তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির উদাহরণ টেনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পরে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বদল করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ফিরহাদকে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে। মমতাই সরকারে এসে ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেছিলেন। যেমন করেছেন তারকেশ্বরের ক্ষেত্রেও। অনেকের মতে, অতীতেও ফুরফুরা শরিফে হুজুরদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন ছিল। ত্বহার উল্টো সুরে চিরকাল কথা বলে এসেছেন ইব্রাহিম সিদ্দিকি। কিন্তু সেই বিভাজন শাসকদলকে কখনও ‘বিড়ম্বিত’ করেনি। নওশাদদের ‘উত্থানে’ সেই বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে।
হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং মালদহ, মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ফুরফুরার প্রভাব রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন। লোকসভা ভোটের আগে ফুরফুরা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠবে নানা অঙ্কে। সে দিক থেকে ফুরফুরার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের কথা বিধানসভায় মন্ত্রীর জানানোও ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
৫ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে