Ajker Patrika

প্রয়োজনে পাকিস্তানের আরও ভেতরে ঢুকে হামলা চালাবে ভারত

অনলাইন ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: ইপিএ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: ইপিএ

প্রয়োজনে পাকিস্তানের আরও ভেতরে ঢুকে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, আবার যদি পেহেলগাম হামলার মতো বর্বর ঘটনা ঘটে, তবে সন্ত্রাসী সংগঠন ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে হামলা চালাবে ভারত। ইউরোপ সফররত জয়শঙ্কর সোমবার পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ‘তারা যদি এমন বর্বরতা চালাতে থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়া হবে। আর সেই প্রতিশোধ হবে সন্ত্রাসী সংগঠন ও তাদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। আমরা তখন দেখব না, তারা কোথায় আছে—যদি তারা পাকিস্তানের গভীরে থাকে, আমরা সেখানেও যাব।’

গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কাশ্মীর ইস্যু। ওই হামলায় ২৫ পর্যটক ও একজন স্থানীয় গাইড নিহত হন। একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তারা অস্বীকার করে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে; ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এর পর থেকে দেশ দুটি একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। প্রথমে এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে থাকলেও দ্রুত সামরিক সংঘাতের দিকে মোড় নেয়।

পেহেলগাম হামলার জেরে ৬-৭ মে রাতে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান পরিচালনা করে ভারত। পরদিন ৭ মে রাতে ভারতের হামলার জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। ভারতের দাবি, এই অভিযানে তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের ভেতরে ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার মধ্যে লস্কর-ই-তাইয়েবার সদর দপ্তরও ছিল।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান চার দিনের সংঘাত যখন ভয়াবহ মোড় নিচ্ছিল, তখন আকস্মিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ মে ঘোষণা দেন, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হয়।

তবে জয়শঙ্কর বলেন, সংঘর্ষ বন্ধ হলেও মূল সমস্যা রয়ে গেছে। তাঁর ভাষায়, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করে। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান প্রকাশ্যেই হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং তাদের ভারতমুখী করছে। ভারত কখনোই এটা মেনে নেবে না।

জয়শঙ্কর দাবি করেন, ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের আটটি প্রধান বিমানঘাঁটি অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এ কারণে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, ‘১০ মে সকালে আমরা পাকিস্তানের আটটি প্রধান বিমানঘাঁটিতে হামলা চালাই, তারপরই যুদ্ধ থেমে যায়। গুগল ইমেজেও সেসব বিধ্বস্ত রানওয়ে ও হ্যাঙ্গারের ছবি পাওয়া যাবে।’

পেহেলগাম হামলার পর ৩৩টি দেশে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে ভারত, যাতে বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিজদের অবস্থান তুলে ধরা যায়। এদিকে ইউরোপ সফরের অংশ হিসেবে জয়শঙ্কর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এ সময় তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র কথাও পুনর্ব্যক্ত করবেন বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচারের অর্থে দুবাইয়ে মেয়ের ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট—অভিযোগ নিয়ে যা বললেন গভর্নর

সুধা সদন এখন কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীর আখড়া

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শতকোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

দোকান দখলে যুবদল-কৃষক দল নেতা, আ.লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে ১৬ মামলা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এখন বৈঠকে রাজি নন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত