Ajker Patrika

পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত রাখতে পুতিনের ‘স্পেশাল অ্যালার্টের’ পর বৈঠকে সম্মত জেলেনস্কি

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১: ২২
পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত রাখতে পুতিনের ‘স্পেশাল অ্যালার্টের’ পর বৈঠকে সম্মত জেলেনস্কি

রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি। রোববার জেলেনস্কি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলাপের পর ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলকে রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের অনুমতি দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে কথোপকথনের পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মত হয়েছি যে, ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল প্রিপিয়াত নদীর নিকটবর্তী ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলকে বেলারুশ গমন, আলোচনা ও প্রত্যাবর্তনের সময় বেলারুশের ভূখণ্ডে অবস্থানরত সব যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দিয়েছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।’ 

তবে রাশিয়া বা বেলারুশ কেউই এখনো সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। 

উল্লেখ্য, এর আগে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, বেলারুশে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন তিনি। এ নিয়ে জেলেনস্কি বলেন, বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক সম্ভাব্য স্থান হতে পারত, যদি রাশিয়া বেলারুশ নিজ ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনে আক্রমণ না করত। তবে বেলারুশ ছাড়া অন্য কোনো স্থানে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অবশ্যই আমরা শান্তি চাই, আমরা মিলিত হতে চাই, যুদ্ধের অবসান চাই। ওয়ারশ, ব্রাটিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল অথবা বাকুতে আলোচনা হতে পারে।’

এদিকে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেলারুশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ।

এর আগে ‘পরমাণু অস্ত্র’ প্রস্তুত রাখতে ‘স্পেশাল অ্যালার্ট’ জারি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি এই নির্দেশনা জারি করেন। এই ‘স্পেশাল অ্যালার্ট’ দেশটির কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা।

রাশিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু এবং সেনাবাহিনীর অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন এ নির্দেশ দেন। আলাপকালে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর অবৈধ অবরোধ আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো অ-বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত