Ajker Patrika

লটারি জয়ের ই-মেইল এসেছে, রুথের কোনো খবরই নেই

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ২৮
Thumbnail image
স্বামী পিটারের সঙ্গে রুথ ডোইল। ছবি: বিবিসি

পশ্চিম ইংল্যান্ডের উইলস্টায়ার শহরে স্বামী পিটারকে নিয়ে বাস করেন রুথ ডোইল। ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল লটারি বিজয়ী ছিলেন তিনি। এক মিলিয়ন পাউন্ডের (১৫ কোটি টাকার বেশি) এই লটারি তাঁদের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। কিন্তু লটারি বিজয়ের সেই খবরটি তাঁরা প্রায় দুই মাস পর জানতে পেরেছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, সেবার—অর্থাৎ ২০১৪ সালে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল জুন মাসে। রুথের তখন খুব ব্যস্ত সময়। কাজ করছিলেন শহরের বাইরে। এত ব্যস্ততা যে ঠিকঠাক ই-মেইলও চেক করতে পারছিলেন না। ফলে লটারি জয়ের খবরটি পেতে তাঁর আগস্ট মাস লেগেছিল।

যা হোক, জীবনে একটু ভালো থাকার জন্য যখন সংগ্রামের কোনো শেষ নেই—তখনই জীবনের সেরা খবরটি পেয়ে আমূল বদলে গিয়েছিল রুথের জীবন। টাকা পেয়ে সময়ের অনেক আগেই স্বামীকে নিয়ে অবসরজীবন বেছে নিয়েছেন তিনি। এর ফলে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে তাঁরা আরও অনেক বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন।

রুথ বলেন, ‘লটারির সেই টিকিটটি যদি আমাদের না হতো, তাহলে আমাদের সংগ্রামের জীবন চলতেই থাকত। আমরা এখন অনেক ভালো আছি।’

মজার বিষয় হলো—একদিন রুথ তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোত্থেকে যেন ২৫ পাউন্ড এসে যোগ হয়েছে দেখতে পান। কিন্তু এই টাকা যে তাঁর লটারি জয়ের প্রাপ্ত টাকা থেকে কিয়দংশ পাঠানো হয়েছে, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। হঠাৎ যোগ হওয়া এই টাকাগুলোকে তিনি একটি সাধারণ সংযোজন হিসেবেই ভেবে নিয়েছিলেন।

এদিকে মাসের পর মাস কেটে যাওয়ার পরও রুথ তাঁর বিজয়ী টিকিট নিয়ে হাজির না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ ফোন করে তাঁকে খবরটি নিশ্চিত করে। সেই মুহূর্তটির কথা ভেবে রুথ বলেন, ‘শুক্রবারের সাধারণ একটি বিকেল ছিল সেই সময়টি। তারপর সবকিছু বদলে গেল।’

রুথ এবং তাঁর স্বামী পিটারকে যখন পুরস্কারের কথা জানানো হচ্ছিল, প্রথমে তাঁরা বিষয়টিকে কৌতুক ভেবেছিলেন। কিন্তু যখন তাঁরা দুজনই লটারি বিজয়ের বিষয়টি বুঝতে পারেন, তখন তাঁরা হতবিহ্বল হয়ে যান। বুঝতে পারছিলেন না, এই টাকা দিয়ে তাঁরা কী করবেন।

পরে অবশ্য বিষয়টিকে তাঁরা ‘সময়ের উপহার’ হিসেবে ভেবে নিয়েছিলেন। বিপুল অর্থ পেয়ে প্রথমেই তাঁরা তাঁদের সব ঋণ পরিশোধ করে দেন। ব্রিস্টল শিশু হাসপাতালের একটি দাতব্য সংস্থাকে সাহায্য করার জন্য তাঁরা একটি ভাস্কর্যও কিনেছিলেন। ‘শন দ্য শিপ’ নামের সেই ভাস্কর্যটি এখন তাঁদের বসার ঘরেই আছে।

পাশাপাশি তাঁরা রোমানিয়ার কুকুরদের উদ্ধার করার জন্য একটি প্রকল্পের সঙ্গেও জড়িত হয়েছেন। প্রাণীদের সুরক্ষায় নিজস্ব একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত