Ajker Patrika

মার্কিন সহায়তা না পেলে ইউক্রেন বাহিনীকে পিছু হটতে হবে: জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৪২
Thumbnail image

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন সহায়তা না পেলে ইউক্রেন বাহিনীকে পিছু হটতে হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কংগ্রেসে বিরোধের কারণে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তার প্রতিশ্রুতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জেলেনস্কি বলেন, ‘মার্কিন কোনো সহায়তা না থাকা মানে হলো আমাদের কোনো বিমান প্রতিরক্ষা থাকবে না, কোনো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে না, ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্য কোনো জ্যামার থাকবে না এবং কোনো ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি রাউন্ড থাকবে না।’ 

জেলেনস্কি বলেন, ‘এর মানে হলো, আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপে পিছু হটতে হবে। আমরা পিছু না হটার উপায় খোঁজার চেষ্টা করছি। গোলাবারুদের সংকট মানে হলো, আপনাকে কম সরঞ্জাম দিয়ে কাজ চালাতে হবে। তা কীভাবে হবে? এর জন্য অবশ্যই পিছু হটতে হবে আর সম্মুখযুদ্ধ কমিয়ে ফেলতে হবে। সম্মুখ সারির প্রতিরক্ষা ভেঙে গেলে রুশরা বড় শহরের মধ্যে ঢুকে পড়বে।’ 

রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, হাউস স্পিকার মাইক জনসন দেশের অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে কয়েক মাস ধরে বিষয়টি আটকে রেখেছেন। 

গত বৃহস্পতিবার টেলিফোন আলাপে জনসনকে জেলেনস্কি বলেন, এই প্যাকেজটির অনুমোদন অত্যন্ত জরুরি। গত মাসে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। তখন থেকে ছোট ছোট অগ্রগতি করেই যাচ্ছে দেশটি। তবে কয়েক মাসে ফ্রন্ট লাইনের খুব সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে। 

সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটতি পূরণ করতে দেশে উৎপাদিত অস্ত্রশস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাব্যবহার করছে ইউক্রেন। তবে তা যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জ্বালানি ও অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে অগ্রসর হতে পারছে না ইউক্রেনীয় সেনারা। জেলেনস্কি বলছেন, তেল শোধনাগারসহ রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যেতে চায় কিয়েভ। 

তিনি বলেন, ইউক্রেনের হামলা সম্পর্কে ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়া ‘ইতিবাচক নয়’, তবে কিয়েভ নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করে এসব হামলা চালাচ্ছে। 

সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা আমাদের ড্রোন ব্যবহার করেছি। কেউ আমাদের নিষেধ করতে পারবে না। আমাদের জ্বালানিব্যবস্থা রক্ষার জন্য যদি কোনো বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না থাকে আর রুশরা যদি সেখানে হামলা চালায়, তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, ‘আমরা কেন তাদের জবাব দিতে পারব না?’ 

‘তাদের জনগণকেও পেট্রল, ডিজেল ও বিদ্যুৎ ছাড়া থাকা শিখতে হবে। রাশিয়া যখন এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেবে, আমরাও বন্ধ করে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত