Ajker Patrika

ডিমের জন্য ক্ষমা চাইতে হলো পুতিনকে

অনলাইন ডেস্ক
ডিমের জন্য ক্ষমা চাইতে হলো পুতিনকে

ডিমের জন্য হাহাকার করছে রাশিয়ার সাধারণ মানুষ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় ডিমের দামও বাড়ছে সপ্তাহে সপ্তাহে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরুতে দেশটিতে ডিমের যে দাম ছিল তার থেকে এখন ৪২ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। 

নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছেন রাশিয়ার পরাক্রমশালী প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। কারণ আগামী বছরের মার্চে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো সব প্রার্থীকে জেলে কিংবা নির্বাসনে পাঠিয়ে আসন্ন নির্বাচনেও নিশ্চিত বিজয়ের মুখে আছেন তিনি। এ অবস্থায় ডিমের জন্য গণ অসন্তোষের মতো অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চাইছেন না তিনি। 

রুশ গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, সাইবেরিয়ার নভোসিবিরস্ক অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ডিমের দোকানগুলোর সামনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিষয়টিকে সোভিয়েত আমলের খাদ্য সংকটের সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। প্রচুর চাহিদার মুখে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ কয়টি ডিম কিনতে পারবেন—তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন খুচরা দোকানিরা। আর বেশি দামে যারা ডিম কিনতে পারছেন না তাদেরও আলাদাভাবে কিছু ডিম সরবরাহের চেষ্টা করছে তারা। 

এদিকে আর ক’দিন পরই অনুষ্ঠিত হবে খ্রিষ্ট ধর্মীয় প্রধান উৎসব ‘ক্রিসমাস’, চলে এসেছে নতুন বছরও। এসব উৎসবে রুশ পরিবারগুলোর ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাদ্য তৈরিতে ডিমের কোনো বিকল্প নেই। 

উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ একটি সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ মানুষের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে ডিমের দাম বৃদ্ধির জন্য যথা সময়ে ডিম আমদানি করতে সরকারের ব্যর্থতাকে স্বীকার করেছেন। 

পুতিন বলেন, ‘সময়মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ডিম আমদানি করা হয়নি। আমি এই বিষয়ে দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কথা দিচ্ছি, পরিস্থিতি খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।’ 

জানা গেছে, ডিমের দাম স্বাভাবিক করার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষ তাদের তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকে কোনো শুল্ক ছাড়াই ১২০ কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্ত ডিমের বাজারের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সরবরাহ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।’ 

একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের বেশির ভাগ সময় ধরেই রাশিয়ানরা ত্বরিত ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে। বিষয়টি ডিমের দামের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার মানুষেরা সস্তা ও বিকল্প পণ্যগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। কিন্তু যেসব পণ্যের দিকে তারা ধাবিত হচ্ছেন—চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ফলে সেগুলোর দামও বেড়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত