আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তি দীর্ঘদিনের মালিকানা বিতর্কের নতুন মোড়।
এর আগে ২০২৪ সালে রেডবার্ড ক্যাপিটাল আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ইনভেস্টমেন্টস (আইএমআই) ফার্মের সঙ্গে ‘রেডবার্ড-আইএমআই’ নামে টেলিগ্রাফের মালিকানা কিনতে চেয়েছিল। তবে সে সময় ব্রিটিশ সরকার বিদেশি রাষ্ট্রের মালিকানায় সংবাদপত্র কেনা নিষিদ্ধ করার আইন পাস করায় এই চুক্তি ব্যর্থ হয়। বর্তমানে লেবার পার্টির সরকার এই আইন শিথিল করে বিদেশি রাষ্ট্রকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারের অনুমতি দেওয়ায় রেডবার্ড নতুনভাবে এই চুক্তি করেছে। তবে আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আইএমআই অল্প শেয়ারে মালিকানায় থাকবে।
ডেইলি টেলিগ্রাফ, জনপ্রিয়তার জন্য ‘টোরিগ্রাফ’ নামেও পরিচিত, এটি ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির ঘনিষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালে রেডবার্ড-আইএমআই বার্কলি পরিবারের ঋণ পরিশোধ করে টেলিগ্রাফ ও স্পেকটেটর ম্যাগাজিনের মালিকানা নেয়। তবে বিদেশি মালিকানা নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্কের পর গত বছর স্পেকটেটরকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে ব্রিটিশ হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারী পল মার্শালের কাছে বিক্রি করে দেয় রেডবার্ড-আইএমআই।
১১ বছর বয়সী রেডবার্ড একটি সুপরিচিত গণমাধ্যম বিনিয়োগকারী সংস্থা, যার মালিকানায় রয়েছে স্কাইডান্স মিডিয়া, ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ (বোস্টন রেড সক্স ও লিভারপুল এফসি) এবং নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে রেডবার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই চুক্তি টেলিগ্রাফের দুই বছরের মালিকানা অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছে।
রেডবার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জেরি কার্ডিনালে বলেন, ‘মালিকানা পরিবর্তন টেলিগ্রাফের জন্য নতুন যুগের সূচনা করবে। আমরা এর প্রযুক্তি, গ্রাহকসংখ্যা ও বৈশ্বিকভাবে এর উপস্থিতি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রসার বাড়াতে চাই।’ তিনি জানান, রেডবার্ড টেলিগ্রাফের ডিজিটাল কার্যক্রম সম্প্রসারণেরও পরিকল্পনা করছে।
রেডবার্ড-আইএমআইয়ের প্রাথমিক চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর নিউইয়র্ক সানের মালিক ডোভিড এফুনসহ বেশ কয়েকজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব টেলিগ্রাফ কেনার চেষ্টা করেছিলেন। ২০২৪ সালে সংসদে বিতর্কের পর তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী লুসি ফ্রেজার মুক্ত সংবাদ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য এই চুক্তি স্থগিত করেছিলেন। বর্তমান সংস্কৃতিমন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি ১৫ শতাংশ বিদেশি মালিকানার সীমা নির্ধারণ করেছেন, যা মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তি দীর্ঘদিনের মালিকানা বিতর্কের নতুন মোড়।
এর আগে ২০২৪ সালে রেডবার্ড ক্যাপিটাল আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ইনভেস্টমেন্টস (আইএমআই) ফার্মের সঙ্গে ‘রেডবার্ড-আইএমআই’ নামে টেলিগ্রাফের মালিকানা কিনতে চেয়েছিল। তবে সে সময় ব্রিটিশ সরকার বিদেশি রাষ্ট্রের মালিকানায় সংবাদপত্র কেনা নিষিদ্ধ করার আইন পাস করায় এই চুক্তি ব্যর্থ হয়। বর্তমানে লেবার পার্টির সরকার এই আইন শিথিল করে বিদেশি রাষ্ট্রকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারের অনুমতি দেওয়ায় রেডবার্ড নতুনভাবে এই চুক্তি করেছে। তবে আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আইএমআই অল্প শেয়ারে মালিকানায় থাকবে।
ডেইলি টেলিগ্রাফ, জনপ্রিয়তার জন্য ‘টোরিগ্রাফ’ নামেও পরিচিত, এটি ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির ঘনিষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালে রেডবার্ড-আইএমআই বার্কলি পরিবারের ঋণ পরিশোধ করে টেলিগ্রাফ ও স্পেকটেটর ম্যাগাজিনের মালিকানা নেয়। তবে বিদেশি মালিকানা নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্কের পর গত বছর স্পেকটেটরকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে ব্রিটিশ হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারী পল মার্শালের কাছে বিক্রি করে দেয় রেডবার্ড-আইএমআই।
১১ বছর বয়সী রেডবার্ড একটি সুপরিচিত গণমাধ্যম বিনিয়োগকারী সংস্থা, যার মালিকানায় রয়েছে স্কাইডান্স মিডিয়া, ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ (বোস্টন রেড সক্স ও লিভারপুল এফসি) এবং নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে রেডবার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই চুক্তি টেলিগ্রাফের দুই বছরের মালিকানা অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছে।
রেডবার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জেরি কার্ডিনালে বলেন, ‘মালিকানা পরিবর্তন টেলিগ্রাফের জন্য নতুন যুগের সূচনা করবে। আমরা এর প্রযুক্তি, গ্রাহকসংখ্যা ও বৈশ্বিকভাবে এর উপস্থিতি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রসার বাড়াতে চাই।’ তিনি জানান, রেডবার্ড টেলিগ্রাফের ডিজিটাল কার্যক্রম সম্প্রসারণেরও পরিকল্পনা করছে।
রেডবার্ড-আইএমআইয়ের প্রাথমিক চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর নিউইয়র্ক সানের মালিক ডোভিড এফুনসহ বেশ কয়েকজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব টেলিগ্রাফ কেনার চেষ্টা করেছিলেন। ২০২৪ সালে সংসদে বিতর্কের পর তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী লুসি ফ্রেজার মুক্ত সংবাদ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য এই চুক্তি স্থগিত করেছিলেন। বর্তমান সংস্কৃতিমন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি ১৫ শতাংশ বিদেশি মালিকানার সীমা নির্ধারণ করেছেন, যা মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা
৩৪ মিনিট আগে
ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজনাথ সিং আরও দাবি করেন, নেহরু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্যাটেলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কূয়া ও সড়ক নির্মাণে ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
গুজরাটের ভাদোদরার কাছে সাধলি গ্রামে সর্দার প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ঐক্য যাত্রা’য় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনাথ সিং প্যাটেলকে প্রকৃত উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন, যিনি কখনো তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু অযোধ্যায় সরকারি অর্থে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। যদি কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে থাকেন, তিনি ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, এক গুজরাটি মায়ের সন্তান। তিনি সরকারি টাকায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ হতে দেননি।’
নেহরু যখন গুজরাটের সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রসঙ্গ তোলেন, তখন প্যাটেল পরিষ্কার করে দেন যে এখানে বিষয়টি ভিন্ন, কারণ মন্দির সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ লাখ রুপি সাধারণ মানুষই দান করেছিলেন, বলে তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল এবং সোমনাথ মন্দিরের কাজে সরকারের এক পয়সাও খরচ হয়নি। একইভাবে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণেও সরকার এক রুপি দেয়নি। পুরো অর্থ এসেছে দেশের মানুষের কাছ থেকেই। এটাকেই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা বলা যায়।
রাজনাথ সিং দাবি করেন, সর্দার প্যাটেল চাইলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু জীবনে কোনো পদ-পদবি নিয়ে তিনি কখনো লোভ করেননি। নেহরুর সঙ্গে মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তিনি কাজ করেছেন, কারণ এ বিষয়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি দাবি করেন, ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির পদে নেহরু নির্বাচিত হন শুধুমাত্র এই কারণে যে গান্ধীর অনুরোধে প্যাটেল নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন। সিং বলেন, ‘১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কংগ্রেস কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বল্লভভাই প্যাটেলের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু গান্ধীজি যখন প্যাটেলকে নেহরুকে সভাপতি হতে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং নিজের নাম প্রত্যাহার করতে বলেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা মেনে নেন।’
কারো নাম উল্লেখ না করেই সিং বলেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি প্যাটেলের উত্তরাধিকার মুছে ফেলতে চাইছিল। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় প্যাটেলকে তাঁর যথাযথ জায়গায় ফিরিয়ে আনতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কিছু লোক’ প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত তারা সফল হবে না। সিং আরও বলেন, ‘প্যাটেলের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষ তাঁর স্মৃতিসৌধ গড়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু এই খবর নেহরুজির কাছে পৌঁছালে তিনি বলেন, সর্দার প্যাটেল কৃষকদের নেতা ছিলেন, তাই এ অর্থ দিয়ে গ্রামের কূয়া ও রাস্তা নির্মাণ করা উচিত।
কী অদ্ভুত কথা! কূয়া আর রাস্তা বানানো তো সরকারের কাজ। স্মৃতিসৌধের অর্থ সেখানে খরচ করতে বলাটা হাস্যকর।’
রাজনাথ সিং দাবি করেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে যে সে সময়কার সরকার যেকোনো মূল্যে প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করতে চেয়েছিল। সিং আরও বলেন, নেহরু নিজের জন্য ভারতরত্ন নিয়েছেন, কিন্তু তখন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে কেন সেই সম্মান দেওয়া হয়নি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ গড়ে প্যাটেলকে যথাযথ সম্মান দিয়েছেন। এটিকে তিনি মোদির অসাধারণ কাজ বলে উল্লেখ করেন।
সিং বলেন, প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বয়স বেশি ছিল, এ ধরনের যুক্তি সম্পূর্ণ ভুল। তাঁর ভাষায় ,‘মোরারজি দেশাই ৮০ বছরের বেশি বয়সে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে ৮০-এর নিচে থাকা সর্দার প্যাটেল কেন পারবেন না?’
কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সে সময়ে প্যাটেলের উত্থাপিত দাবিগুলো গুরুত্ব পেলে আজ এত দীর্ঘ সময় কাশ্মীর সমস্যায় ভারতকে ভুগতে হতো না।
তিনি বলেন, প্যাটেল সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাস করতেন। সিং বলেন, ‘তবে সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি কঠোর অবস্থান নিতে দ্বিধা করতেন না। হায়দরাবাদের সংযুক্তির সময় তিনি যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তা না হলে হয়তো হায়দরাবাদ আজ ভারতের অংশ হতো না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারও অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে সেই মূল্যবোধ ধরে রেখেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত বিশ্বকে দেখিয়েছে, শান্তি ও সম্প্রীতির ভাষা যারা বোঝে না, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে। শুধু ভারতে নয়, পৃথিবীর নানা দেশেই অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজনাথ সিং আরও দাবি করেন, নেহরু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্যাটেলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কূয়া ও সড়ক নির্মাণে ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
গুজরাটের ভাদোদরার কাছে সাধলি গ্রামে সর্দার প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ঐক্য যাত্রা’য় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনাথ সিং প্যাটেলকে প্রকৃত উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন, যিনি কখনো তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু অযোধ্যায় সরকারি অর্থে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। যদি কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে থাকেন, তিনি ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, এক গুজরাটি মায়ের সন্তান। তিনি সরকারি টাকায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ হতে দেননি।’
নেহরু যখন গুজরাটের সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রসঙ্গ তোলেন, তখন প্যাটেল পরিষ্কার করে দেন যে এখানে বিষয়টি ভিন্ন, কারণ মন্দির সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ লাখ রুপি সাধারণ মানুষই দান করেছিলেন, বলে তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল এবং সোমনাথ মন্দিরের কাজে সরকারের এক পয়সাও খরচ হয়নি। একইভাবে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণেও সরকার এক রুপি দেয়নি। পুরো অর্থ এসেছে দেশের মানুষের কাছ থেকেই। এটাকেই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা বলা যায়।
রাজনাথ সিং দাবি করেন, সর্দার প্যাটেল চাইলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু জীবনে কোনো পদ-পদবি নিয়ে তিনি কখনো লোভ করেননি। নেহরুর সঙ্গে মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তিনি কাজ করেছেন, কারণ এ বিষয়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি দাবি করেন, ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির পদে নেহরু নির্বাচিত হন শুধুমাত্র এই কারণে যে গান্ধীর অনুরোধে প্যাটেল নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন। সিং বলেন, ‘১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কংগ্রেস কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বল্লভভাই প্যাটেলের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু গান্ধীজি যখন প্যাটেলকে নেহরুকে সভাপতি হতে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং নিজের নাম প্রত্যাহার করতে বলেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা মেনে নেন।’
কারো নাম উল্লেখ না করেই সিং বলেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি প্যাটেলের উত্তরাধিকার মুছে ফেলতে চাইছিল। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় প্যাটেলকে তাঁর যথাযথ জায়গায় ফিরিয়ে আনতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কিছু লোক’ প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত তারা সফল হবে না। সিং আরও বলেন, ‘প্যাটেলের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষ তাঁর স্মৃতিসৌধ গড়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু এই খবর নেহরুজির কাছে পৌঁছালে তিনি বলেন, সর্দার প্যাটেল কৃষকদের নেতা ছিলেন, তাই এ অর্থ দিয়ে গ্রামের কূয়া ও রাস্তা নির্মাণ করা উচিত।
কী অদ্ভুত কথা! কূয়া আর রাস্তা বানানো তো সরকারের কাজ। স্মৃতিসৌধের অর্থ সেখানে খরচ করতে বলাটা হাস্যকর।’
রাজনাথ সিং দাবি করেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে যে সে সময়কার সরকার যেকোনো মূল্যে প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করতে চেয়েছিল। সিং আরও বলেন, নেহরু নিজের জন্য ভারতরত্ন নিয়েছেন, কিন্তু তখন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে কেন সেই সম্মান দেওয়া হয়নি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ গড়ে প্যাটেলকে যথাযথ সম্মান দিয়েছেন। এটিকে তিনি মোদির অসাধারণ কাজ বলে উল্লেখ করেন।
সিং বলেন, প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বয়স বেশি ছিল, এ ধরনের যুক্তি সম্পূর্ণ ভুল। তাঁর ভাষায় ,‘মোরারজি দেশাই ৮০ বছরের বেশি বয়সে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে ৮০-এর নিচে থাকা সর্দার প্যাটেল কেন পারবেন না?’
কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সে সময়ে প্যাটেলের উত্থাপিত দাবিগুলো গুরুত্ব পেলে আজ এত দীর্ঘ সময় কাশ্মীর সমস্যায় ভারতকে ভুগতে হতো না।
তিনি বলেন, প্যাটেল সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাস করতেন। সিং বলেন, ‘তবে সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি কঠোর অবস্থান নিতে দ্বিধা করতেন না। হায়দরাবাদের সংযুক্তির সময় তিনি যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তা না হলে হয়তো হায়দরাবাদ আজ ভারতের অংশ হতো না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারও অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে সেই মূল্যবোধ ধরে রেখেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত বিশ্বকে দেখিয়েছে, শান্তি ও সম্প্রীতির ভাষা যারা বোঝে না, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে। শুধু ভারতে নয়, পৃথিবীর নানা দেশেই অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’

ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
২৩ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা
৩৪ মিনিট আগে
ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এই স্থগিতাদেশ এমন ১৯টি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো জুন মাসেই আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছিল। এতে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ যোগ হলো, যা ট্রাম্পের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি। তালিকায় আফগানিস্তান ও সোমালিয়া রয়েছে।
নতুন নীতির সরকারি স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার কথা, যেখানে আফগান একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত হন, আরেকজন গুরুতর আহত হন।
ট্রাম্প সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সোমালিদের বিরুদ্ধে বক্তব্য আরও তীব্র করেছেন। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।’
জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প আক্রমণাত্মকভাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বড় বড় মার্কিন শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠানো, আর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলো তাঁর নীতির অংশ। এত দিন প্রশাসন বহিষ্কারের অভিযানকে বেশি তুলে ধরলেও আইনিভাবে অভিবাসন বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার দিকে তুলনামূলক কম নজর ছিল। তবে ন্যাশনাল গার্ডে হামলার পর একের পর এক নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা থেকে স্পষ্ট যে আইনি অভিবাসনেও তার নজর আরও কড়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার যুক্তিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, আর দায় চাপানো হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির ওপর।
বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যেসব দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে—আফগানিস্তান, বার্মা (মিয়ানমার), চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। জুনে এগুলোর ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যেখানে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রবেশ সম্পূর্ণ স্থগিত ছিল।
অন্যদিকে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা বাকি দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
নতুন নীতিতে এসব দেশের নাগরিকদের সব মুলতবি আবেদন আটকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আবেদনকারীদের ‘পুনরায় পূর্ণাঙ্গ পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যেখানে প্রয়োজন হলে সাক্ষাৎকার এবং পুনঃসাক্ষাৎকারও নিতে হবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার সব ঝুঁকি যাচাই করা যায়।’
স্মারকে সাম্প্রতিক বেশ কিছু অপরাধের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোর জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এই স্থগিতাদেশ এমন ১৯টি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো জুন মাসেই আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছিল। এতে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ যোগ হলো, যা ট্রাম্পের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি। তালিকায় আফগানিস্তান ও সোমালিয়া রয়েছে।
নতুন নীতির সরকারি স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার কথা, যেখানে আফগান একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত হন, আরেকজন গুরুতর আহত হন।
ট্রাম্প সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সোমালিদের বিরুদ্ধে বক্তব্য আরও তীব্র করেছেন। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।’
জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প আক্রমণাত্মকভাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বড় বড় মার্কিন শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠানো, আর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলো তাঁর নীতির অংশ। এত দিন প্রশাসন বহিষ্কারের অভিযানকে বেশি তুলে ধরলেও আইনিভাবে অভিবাসন বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার দিকে তুলনামূলক কম নজর ছিল। তবে ন্যাশনাল গার্ডে হামলার পর একের পর এক নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা থেকে স্পষ্ট যে আইনি অভিবাসনেও তার নজর আরও কড়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার যুক্তিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, আর দায় চাপানো হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির ওপর।
বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যেসব দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে—আফগানিস্তান, বার্মা (মিয়ানমার), চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। জুনে এগুলোর ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যেখানে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রবেশ সম্পূর্ণ স্থগিত ছিল।
অন্যদিকে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা বাকি দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
নতুন নীতিতে এসব দেশের নাগরিকদের সব মুলতবি আবেদন আটকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আবেদনকারীদের ‘পুনরায় পূর্ণাঙ্গ পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যেখানে প্রয়োজন হলে সাক্ষাৎকার এবং পুনঃসাক্ষাৎকারও নিতে হবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার সব ঝুঁকি যাচাই করা যায়।’
স্মারকে সাম্প্রতিক বেশ কিছু অপরাধের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোর জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও রয়েছে।

ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
২৩ মে ২০২৫
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। অ্যাপল, ভিভোসহ সব নির্মাতাকে ৯০ দিনের মধ্যে এই শর্ত মানতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগ দাবি করেছে—‘সঞ্চার সাথি’ মূলত চুরি বা হারানো ফোন ট্র্যাক ও ব্লক করতে এবং ব্যবহারকারীর নামে থাকা ভুয়া মোবাইল সংযোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। অ্যাপটি এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ডাউনলোডযোগ্য হলেও নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব নতুন ডিভাইসেই এটি প্রি-লোড করতে হবে এর ‘ফাংশনালিটি সীমিত বা নিষ্ক্রিয় করার’ কোনো উপায় না রেখেই। অর্থাৎ কেউ চাইলেই এটি ফোন থেকে ডিলিট করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্তটি ‘গোপনীয়তায় স্থায়ী হস্তক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির ডিজিটাল অধিকার সংগঠন ‘ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন’ (আইএফএফ)। সংগঠনটি ঘোষণা করেছে, নির্দেশনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।
এ অবস্থায় জনমনে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে, যখন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন—ব্যবহারকারীরা নাকি চাইলেই অ্যাপটি ‘সক্রিয় বা মুছে ফেলতে’ পারবেন। তবে তিনি নির্দেশনার সেই অংশটি ব্যাখ্যা করেননি, যেখানে অ্যাপ নিষ্ক্রিয় বা সীমিত করা নিষিদ্ধ বলা আছে। সরকারও নতুন কোনো ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছে। বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন—অ্যাপটি ফোনের ক্যামেরা, কল লগ, ফাইল স্টোরেজ ও এসএমএস–সহ বিস্তৃত অ্যাকসেস চায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার-পয়েন্ট-এর তরুণ পাঠক বলেন, ‘ইউরোপের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট ব্যবহারকারীকে অ্যাপ মুছে ফেলার অধিকার দেয়। আর আমরা সেই জায়গা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।’
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্মাতা কোম্পানিগুলো প্রকাশ্যে অবস্থান না নিলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ্যাপল ও চীনা ব্র্যান্ডগুলো শিল্প সংগঠনের মাধ্যমে নীরবে ভারত সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। ভারতে ভিভো, অপ্পো ও শাওমি মিলেই বাজারের অর্ধেকের বেশি দখলে রেখেছে। অন্যদিকে অ্যাপল ইতিমধ্যে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখে রয়েছে, যা তাদের জন্য আরও ঝুঁকি তৈরি করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপল এই নির্দেশনা মানতে আগ্রহী নয়। তবে কোম্পানিটি এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়াতে পারে।

ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। অ্যাপল, ভিভোসহ সব নির্মাতাকে ৯০ দিনের মধ্যে এই শর্ত মানতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগ দাবি করেছে—‘সঞ্চার সাথি’ মূলত চুরি বা হারানো ফোন ট্র্যাক ও ব্লক করতে এবং ব্যবহারকারীর নামে থাকা ভুয়া মোবাইল সংযোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। অ্যাপটি এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ডাউনলোডযোগ্য হলেও নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব নতুন ডিভাইসেই এটি প্রি-লোড করতে হবে এর ‘ফাংশনালিটি সীমিত বা নিষ্ক্রিয় করার’ কোনো উপায় না রেখেই। অর্থাৎ কেউ চাইলেই এটি ফোন থেকে ডিলিট করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্তটি ‘গোপনীয়তায় স্থায়ী হস্তক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির ডিজিটাল অধিকার সংগঠন ‘ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন’ (আইএফএফ)। সংগঠনটি ঘোষণা করেছে, নির্দেশনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।
এ অবস্থায় জনমনে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে, যখন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন—ব্যবহারকারীরা নাকি চাইলেই অ্যাপটি ‘সক্রিয় বা মুছে ফেলতে’ পারবেন। তবে তিনি নির্দেশনার সেই অংশটি ব্যাখ্যা করেননি, যেখানে অ্যাপ নিষ্ক্রিয় বা সীমিত করা নিষিদ্ধ বলা আছে। সরকারও নতুন কোনো ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছে। বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন—অ্যাপটি ফোনের ক্যামেরা, কল লগ, ফাইল স্টোরেজ ও এসএমএস–সহ বিস্তৃত অ্যাকসেস চায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার-পয়েন্ট-এর তরুণ পাঠক বলেন, ‘ইউরোপের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট ব্যবহারকারীকে অ্যাপ মুছে ফেলার অধিকার দেয়। আর আমরা সেই জায়গা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।’
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্মাতা কোম্পানিগুলো প্রকাশ্যে অবস্থান না নিলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ্যাপল ও চীনা ব্র্যান্ডগুলো শিল্প সংগঠনের মাধ্যমে নীরবে ভারত সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। ভারতে ভিভো, অপ্পো ও শাওমি মিলেই বাজারের অর্ধেকের বেশি দখলে রেখেছে। অন্যদিকে অ্যাপল ইতিমধ্যে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখে রয়েছে, যা তাদের জন্য আরও ঝুঁকি তৈরি করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপল এই নির্দেশনা মানতে আগ্রহী নয়। তবে কোম্পানিটি এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়াতে পারে।

ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
২৩ মে ২০২৫
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা
৩৪ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
মস্কোতে এক বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতাকালে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না—এটি শতবার বলেছি। কিন্তু যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করতে চায়, তবে আমরা এই মুহূর্তেই প্রস্তুত। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এ সময় তিনি সতর্ক করেন—ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যেখানে আলোচনার জন্য কোনো পক্ষই অবশিষ্ট থাকবে না।
পুতিন দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এরই মধ্যে তিনি জানান, দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্কও এখন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এ ছাড়া সম্প্রতি একটি রুশ তেলে ট্যাংকারে ইউক্রেনের হামলাকে ‘সমুদ্র দস্যুতা’ হিসেবে অভিহিত করেন পুতিন। তিনি ইউক্রেনের বন্দর ও জাহাজে রাশিয়ার পাল্টা হামলা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
এদিকে পুতিনের সঙ্গে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার্কিন মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার এখন মস্কোতে আছেন। ওয়াশিংটন আশাবাদী, এই কথোপকথনের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একটি রূপরেখা সামনে আসতে পারে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ড সফর করছেন ভলদিমির জেলেনস্কি। আইরিশ রাজধানী ডাবলিনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। তবে তা নির্ভর করবে মস্কোর আলোচনার সফলতার ওপর।
জেলেনস্কি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিয়েভ ২০ দফা শান্তি কাঠামো তৈরি করেছে। তবে ‘সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ শান্তি’ পেতে এখনো কিছু বিষয়ের সমাধান বাকি রয়েছে।
আয়ারল্যান্ড ইউক্রেনকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অ-প্রাণঘাতী সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ বছর ইউক্রেনে পাঠানো আয়ারল্যান্ডের মোট সহায়তা ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি দুই দেশের নেতারা নতুন ‘ইউক্রেন–আইরিশ পার্টনারশিপ রোডম্যাপ ২০৩০ ’–এ সই করতে যাচ্ছেন, যেখানে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো পুনর্গঠন, ইইউ–এ অনুপ্রবেশ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা উল্লেখ আছে।
জেলেনস্কি আয়ারল্যান্ডের রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার সৎ ও নীতিগত অবস্থানকে প্রশংসা করেন এবং বলেন, রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ অনেক আগেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত ছিল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধের পথে যেতে চায়, তবে রাশিয়া এখনই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত যোগ করছে এবং মূলত যুদ্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
মস্কোতে এক বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতাকালে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না—এটি শতবার বলেছি। কিন্তু যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করতে চায়, তবে আমরা এই মুহূর্তেই প্রস্তুত। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এ সময় তিনি সতর্ক করেন—ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যেখানে আলোচনার জন্য কোনো পক্ষই অবশিষ্ট থাকবে না।
পুতিন দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এরই মধ্যে তিনি জানান, দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্কও এখন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এ ছাড়া সম্প্রতি একটি রুশ তেলে ট্যাংকারে ইউক্রেনের হামলাকে ‘সমুদ্র দস্যুতা’ হিসেবে অভিহিত করেন পুতিন। তিনি ইউক্রেনের বন্দর ও জাহাজে রাশিয়ার পাল্টা হামলা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
এদিকে পুতিনের সঙ্গে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার্কিন মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার এখন মস্কোতে আছেন। ওয়াশিংটন আশাবাদী, এই কথোপকথনের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একটি রূপরেখা সামনে আসতে পারে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ড সফর করছেন ভলদিমির জেলেনস্কি। আইরিশ রাজধানী ডাবলিনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। তবে তা নির্ভর করবে মস্কোর আলোচনার সফলতার ওপর।
জেলেনস্কি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিয়েভ ২০ দফা শান্তি কাঠামো তৈরি করেছে। তবে ‘সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ শান্তি’ পেতে এখনো কিছু বিষয়ের সমাধান বাকি রয়েছে।
আয়ারল্যান্ড ইউক্রেনকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অ-প্রাণঘাতী সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ বছর ইউক্রেনে পাঠানো আয়ারল্যান্ডের মোট সহায়তা ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি দুই দেশের নেতারা নতুন ‘ইউক্রেন–আইরিশ পার্টনারশিপ রোডম্যাপ ২০৩০ ’–এ সই করতে যাচ্ছেন, যেখানে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো পুনর্গঠন, ইইউ–এ অনুপ্রবেশ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা উল্লেখ আছে।
জেলেনস্কি আয়ারল্যান্ডের রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার সৎ ও নীতিগত অবস্থানকে প্রশংসা করেন এবং বলেন, রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ অনেক আগেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত ছিল।

ব্রিটেনের ১৭০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের মালিকানা পরিবর্তন হতে চলেছে। মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা রেডবার্ড ক্যাপিটাল পার্টনার্স (২৩ মে) ঘোষণা করেছে, তারা টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপের মালিকানা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
২৩ মে ২০২৫
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা
৩৪ মিনিট আগে
ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন।
৮ ঘণ্টা আগে