Ajker Patrika

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনা আজ, ফলাফল কী হতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ১৪: ১৭
ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদে ২০১৯ সালের এক বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি
ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদে ২০১৯ সালের এক বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

প্রায় তিন বছর পর সরাসরি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে লড়াইরত দুই প্রতিবেশী রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সবার নজর এখন ইস্তাম্বুলের দিকে। কারণ, এই বৈঠকই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।

গতকাল বুধবার গভীর রাতে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন ঘোষণা দিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন না। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে আলোচনায় যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও তিনিও উপস্থিত থাকবেন না বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত রোববার পুতিন তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা যেখানে এত দিন প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার চেষ্টা চালিয়েছিল, সেখানে পুতিন সরাসরি বৈঠকের কথা বলেন। তিনি ২০২২ সালে তুরস্কে হওয়া সরাসরি আলোচনার কথা উল্লেখ করে তা আবার শুরু করার পক্ষে যুক্তি দেন।

পুতিন বলেন, ‘২০২২ সালে আলোচনা রাশিয়া ভেঙে দেয়নি। কিয়েভই সেটা করেছিল। তবু আমরা কিয়েভকে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সরাসরি আলোচনা আবার শুরু করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে। এর অল্প সময় পরই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনা করেছিল।

ভলোদিমির জেলেনস্কির মতে, রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে দনবাস অঞ্চলের দখল ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানোয় সেই আলোচনা ভেঙে যায়। দনবাস অঞ্চল ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত, যার কিছু অংশ রাশিয়া দখল করে নিয়েছে।

জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়া চেয়েছিল ইউক্রেন দীর্ঘ পাল্লার অস্ত্র সমর্পণ করুক, নিরপেক্ষতা ঘোষণার জন্য সংবিধানে পরিবর্তন আনুক এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীর আকার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ফেলুক। জেলেনস্কি সে সময় বলেছিলেন, ‘কোনো আলোচনাই হয়নি, এটি ছিল এক খুনির চরমপত্র।’

জেলেনস্কি আগে বলেছিলেন, যেকোনো শান্তি চুক্তির জন্য রাশিয়াকে দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি বলেন, ন্যাটো যদি বর্তমানে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের অংশের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয় তবে যুদ্ধের ‘উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়’ শেষ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যে ভূমি দখল করেছে তা কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।

লন্ডনভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউসের সিনিয়র কনসালটিং ফেলো কিয়ের জাইলস আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমেরিকা যে চাপ সৃষ্টি করেছে, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। মনে হচ্ছে এই পরিবর্তনের সাম্প্রতিক উপাদানগুলো, বিশেষ করে ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় সংহতি, রাশিয়াকে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে বাধ্য করেছে।’

ইউক্রেনের চার প্রধান ইউরোপীয় মিত্র পুতিনকে নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বা নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে চরমপত্র দেওয়ার একদিন পর আলোচনায় পুতিনের আগ্রহ দেখা দেয়। এই ৪ ইউরোপীয় দেশ হলো—ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং পোল্যান্ড। তারা কিয়েভ সফরের পর এই চরমপত্র দেয়।

এই চার দেশ পুতিনকে ১২ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। ১১ মে পুতিন যুদ্ধবিরতি মানার প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে কার্যকর আলোচনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর উদ্দেশ্য হলো—সংঘাতের মূল কারণ দূর করা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে একটি দীর্ঘমেয়াদি, স্থায়ী শান্তি স্থাপন করা।’

আলোচনা আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনাটি ইস্তাম্বুলের দোলমাবাগ প্রাসাদে রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। ইস্তাম্বুল শহর এশিয়া ও ইউরোপের সীমানা জুড়ে অবস্থিত। বসফোরাস প্রণালির ওপর অবস্থিত এই প্রাসাদটি ১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।

চার ইউরোপীয় নেতা—ব্রিটেনের কিয়ের স্টারমার, ফ্রান্সের ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ এবং পোল্যান্ডের দোনাল্দ তুস্ক—বলেছেন, তাঁরা পুতিনকে তাদের চরমপত্র সম্পর্কে ফোন কলের মাধ্যমে ট্রাম্পকে জানিয়েছেন এবং ইঙ্গিত দেন, ট্রাম্পও এর পক্ষে। কিন্তু পুতিন যখন কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান, তখন ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনকে ‘অবিলম্বে’ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন।

ট্রাম্প ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান ঘটাবেন। ট্রাম্প প্রশাসন ফেব্রুয়ারি থেকেই সেই প্রচেষ্টা শুরু করে। সে সময় সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের পৃথক বেশ কয়েক দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোনো চুক্তি সে সময় হয়নি।

এ ছাড়া, গত এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার অবস্থান থেকে একধাপ পিছিয়ে আসার ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছিল, তারা চায় ইউরোপ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় নেতৃত্ব দিক। দেশটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অগ্রাধিকার রয়েছে, যার মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা অন্যতম। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহে ট্রাম্প এবং তাঁর দল আলোচনায় অর্থপূর্ণ অগ্রগতির অভাবে ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং শান্তি মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছেন।

আজ ইস্তাম্বুলে যে আলোচনা হবে, তাতে ইউক্রেনের যোগদানের ওপর জোর দেওয়ার ব্যাখ্যায় ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘অন্তত তারা নির্ধারণ করতে পারবে যে একটি চুক্তি সম্ভব কিনা এবং যদি সম্ভব না হয় তবে ইউরোপীয় নেতারা এবং যুক্তরাষ্ট্র জানতে পারবে পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারবে!’

এদিকে, পুতিনের আহ্বানের পর জেলেনস্কি সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (রুশ প্রেসিডেন্ট) পুতিনের সঙ্গে সরাসরি যে আলোচনার ধারণা দিয়েছেন, তা সমর্থন করেছি। আমি প্রকাশ্যে সাক্ষাতের জন্য আমার প্রস্তুতি তুলে ধরেছি। আমি তুরস্কে থাকব। আমি আশা করি, রাশিয়ানরা সাক্ষাৎ এড়িয়ে যাবে না।’

গত মঙ্গলবারও জেলেনস্কি ঘোষণা করেন, তিনি বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় থাকবেন। এ সময় তিনি সেখানে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা পরবর্তীতে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগকে ইস্তাম্বুলের আলোচনায় যোগ দিতে পাঠাবেন। বুধবার রাতে রাশিয়া আলোচনার জন্য তাদের দলের ঘোষণা দিয়েছে। এতে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন এবং প্রধান গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিচালক ইগর কোস্তিউকভ।

জেলেনস্কি আগে বলেছিলেন, পুতিন উপস্থিত থাকলেই কেবল তিনি সরাসরি আলোচনায় থাকবেন। জেলেনস্কি মঙ্গলবার এক্স পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়ায় সবকিছুর সিদ্ধান্ত পুতিন নেন, তাই তিনিই যুদ্ধের সমাধান করবেন। এটা তাঁর যুদ্ধ। সুতরাং, আলোচনা তারই সঙ্গে হওয়া উচিত।’ পুতিন যেহেতু এখন উপস্থিত থাকার জন্য প্রস্তুত নন, তাই জেলেনস্কি নিজে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনায় অংশ নেবেন কিনা বা তিনি তাঁর দলের ওপর ছেড়ে দেবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

তবে, জেলেনস্কি অনেক দিক থেকে পুতিনের চেয়ে এগিয়ে গেছেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এবং তাঁকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে। কিয়ের জাইলস বলেছেন, ‘জেলেনস্কি রাশিয়ার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যাতে তারা দেখাতে পারে যে, তাদের সত্যিকারের আগ্রহ আছে; রাশিয়া এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে নাকি করবে না, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে।’

এদিকে, তুরস্কের বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা অনুমান করা কঠিন। জাইলস বলেছেন, ‘বৈঠকে কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা হবে কি না তা ভবিষ্যদ্বাণী করা হঠকারিতা হবে। কারণ, দুই পক্ষের গ্রহণযোগ্য ফল এখনো অনেক দূরে। রাশিয়া ইউক্রেনকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিষ্ক্রিয় করতে চায়, আর ইউক্রেন টিকে থাকতে চায়।’

বর্তমানে, ইউক্রেন ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া জোর দিয়ে বলেছে—তারা এই ধরনের যুদ্ধবিরতিতে যোগ দেওয়ার আগে তাদের বেশ কয়েকটি দাবি মানতে হবে। মস্কো বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থার ব্যাপারে নিশ্চয়তা চায় এবং ইউক্রেন যেন এই সুযোগে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ ও আরও সৈন্য সমাবেশ না করে। এর পরিবর্তে, পুতিন সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত, একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। তবে ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া আসলে কখনো মেনে চলেনি।

পুতিন রোববার বলেন, ‘আমরা এটা উড়িয়ে দিচ্ছি না যে এই আলোচনা চলাকালে, কিছু নতুন যুদ্ধবিরতি, একটি নতুন যুদ্ধবিরতি এবং একটি বাস্তব যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে একমত হওয়া সম্ভব হবে, যা কেবল রাশিয়াই নয়, ইউক্রেনীয় পক্ষও মেনে চলবে। (এটি) হবে প্রথম পদক্ষেপ। আমি আবারও বলছি, এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল শান্তির দিকে এবং সশস্ত্র সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার কোনো পূর্বাভাস নয়।’

জাইলস বলেছেন, যদি আলোচনা হয়, ‘তবে তা-ই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শান্তি আলোচনা বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তার কোনোটিই আসলে সেরকম ছিল না।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে হওয়া দুটি সমান্তরাল আলোচনার কথা উল্লেখ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘরে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনা নারীদের ‘এআই প্র্যাঙ্ক’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।

এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।

আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।

ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।

চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সর্বোচ্চ গতির ট্রেনের পরীক্ষা চালাচ্ছে চীন, ঘণ্টায় পাড়ি দিতে সক্ষম ৪৫০ কিমি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে। ছবি: সিনহুয়া
চীন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে। ছবি: সিনহুয়া

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।

চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

china-2
china-2

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।

৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।

ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

china-3
china-3

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।

ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের এক ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু, সক্ষমতা কত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১০
সুবিনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত
সুবিনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’

২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।

মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।

অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।

এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাশুড়িকে রাখতে আপত্তি স্ত্রীর, যুবকের আত্মহত্যা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।

যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।

প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।

ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।

যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।

পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।

চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত