Ajker Patrika

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে হবে ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ১৮
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে আবারও বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তাঁর ও পুতিনের মধ্যে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ টেলিফোন আলাপের পর দুই নেতা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, বৈঠকটি সম্ভবত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরে বলা হয়েছে, এই ফোনালাপের এক দিন পরই ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে জেলেনস্কি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুরোধ জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অস্ত্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরের আরও গভীর এলাকায় হামলা চালাতে সক্ষম করবে।

ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, শুক্রবার ওভাল অফিসে জেলেনস্কিকে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করবেন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজকের টেলিফোন আলাপে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

ট্রাম্প আরও জানান, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করবেন, যাতে তার ও পুতিনের পরবর্তী সাক্ষাতের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। আলাস্কায় আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকের পর এটিই দুই নেতার প্রথম প্রকাশ্য ফোনালাপ।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘শক্তি ও ন্যায়ের ভাষাই কেবল রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে দেখছি, টোমাহকের কথা শোনামাত্রই মস্কো আলোচনায় ফিরতে তাড়াহুড়া করছে।’

এদিকে বৃহস্পতিবারও রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। শত শত ড্রোন ও ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তারা জ্বালানি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ইউক্রেনের জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনারজো জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত আটটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ডিটিইকে জানায়, রাজধানী কিয়েভে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে এবং কেন্দ্রীয় পলতাভা অঞ্চলে গ্যাস উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি নাফতোগ্যাজ জানিয়েছে, চলতি মাসে এটি ছিল গ্যাস অবকাঠামোর ওপর ষষ্ঠ হামলা।

এর আগের সপ্তাহে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে একটি হাসপাতাল ও জাতিসংঘের একটি ত্রাণবহরে হামলা চালায়। এতে ৫৭ জন আহত হন এবং ৫০ জন রোগীকে সরিয়ে নিতে হয়। অন্যদিকে কিয়েভও পাল্টা আক্রমণ জোরদার করেছে। ইউক্রেন সম্প্রতি রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত