
কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমের অনেকে দেশেই বিপুলসংখ্যক শিখ অভিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। এখন যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশে প্রভাবশালী কয়েকজন শিখের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে শিখদের আলাদা রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অবতার সিং খন্দ (৩৫)। চলতি বছরের জুনে বার্মিংহামে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘনিষ্ঠজনদের সন্দেহ, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
যুক্তরাজ্যের পশ্চিম মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, তারা এ ঘটনা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং সন্দেহজনক কিছু পায়নি। এ ঘটনার পুনঃতদন্তের প্রয়োজন নেই।
তবে ব্রিটিশ শিখরা দীর্ঘদিন ধরেই নানামুখী চাপে থাকার অভিযোগ করে আসছেন। কারণ, ভারত সরকার শিখ ‘চরমপন্থীদের’ দমন করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে বেশ কয়েকবার আহ্বান করেছে।
স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটন শহরের বাসিন্দা গুরপ্রীত জোহাল পেশায় আইনজীবী ও শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
ছয় বছর আগে গুরপ্রীতের ভাই জগতার বিয়ে করার জন্য ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন তিনি বিনা বিচার জেলা খাটছেন। জগতার খালিস্তানপন্থী ও শিখ অধিকারকর্মী হিসেবে সুপরিচিত।
জোহালের পরিবার বলে, পাঞ্জাবের রামি মন্ডি নামে একটি শহরে জগতারকে অপরিচিত একটি গাড়িতে জোর করে তোলা হয়। এর পর থেকে জগতার বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের কারাগারেই আছেন।
জগতার জোহাল বলেন, তাঁকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েক বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।
জাস্টিন ট্রুডো ঠিক কাজ করেছেন উল্লেখ করে গুরপ্রীত জোহাল বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁর নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রিভ বলে, ভারতে জোহালের গ্রেপ্তারের পেছনে ব্রিটিশ সিকিউরিটি এজেন্সির হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
জগতারের ঘটনায় ব্রিটিশ শিখ কমিউনিটি ক্ষুব্ধ। এমনকি কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া এবং বৈষম্যমূলকভাবে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে জগতার জোহালের মুক্তি চেয়েছে জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। যুক্তরাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জোহাল বলেন, ‘মনে হচ্ছে, যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে নাগরিকদের চেয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জগতার জোহালের মুক্তি দাবি করে কোনো লাভ হবে না, বরং পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি জোহালের মামলার যত দ্রুত সম্ভব সমাধান দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রায়ই ব্রিটেনে শিখদের তৎপরতার বিষয়টি উত্থাপন করেন।
চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ অধিকার ও খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারত সরকার বারবার ব্রিটেনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা চরমপন্থীদের দমন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
১৯৮০-এর দশকে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পরবর্তী সময় ভারতের সব রাজনৈতিক দল এমন ধারণার তীব্র বিরোধিতা করলে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে, সম্প্রতি শিখ প্রবাসীদের মধ্যে আবারও এ আন্দোলনের পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন শান্তিপূর্ণ তৎপরতায় রূপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যে খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা প্রায়ই ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। একে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৪ সালে লন্ডন সফরকালে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় জেনারেল কুলদীপ সিং ব্রারকে গলায় ও মুখে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৯৮৪ সালে শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাব প্রদেশে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ব্রার অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। শিখ ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র এ স্থান সে সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
স্বর্ণ মন্দিরে চালানো সে অভিযানে শত শত শিখ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী থাকলেও বেশির ভাগই ছিলেন তীর্থযাত্রী। এর প্রতিশোধ হিসেবে চার মাস পরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁরই শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হন।
সে ঘটনার কিছুটা হলেও প্রভাব আজও শিখদের চেতনায় রয়ে গেছে।
২০১৪ সালে লন্ডনে হামলায় জেনারেল ব্রার বেঁচে যান। তাঁকে হামলাকারীর মধ্যে একজন ব্রিটিশ শিখ, যিনি স্বর্ণ মন্দির অভিযানে তাঁর বাবা ও ভাই হারিয়েছেন। হামলাকারীদের আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সম্প্রতি কয়েক বছরে স্কটল্যান্ডের নাগরিক জগতার জোহালের কারাদণ্ডসহ অনেক ব্রিটিশ শিখই দিল্লির চাপে নিজ দেশে হয়রানি বা জেল-জরিমানার শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে লন্ডন ও মিডল্যান্ডের পাঁচ শিখ নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। শিখ সংগঠনগুলো বলছে, এ অভিযানের বিস্তারিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ থেকে বোঝা যায়, এ অভিযানে দিল্লির হাত ছিল।
এদিকে চলতি বছর ব্রিটেনের ধর্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসীদের তৎপরতা নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের ফেইথ এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজর কলিন ব্লুম। সেখানে অন্য ধর্মবিশ্বাসের তুলনায় শিখদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ব্রিটেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিখরা তাঁদের অবস্থান নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বিগ্নও।
কয়েক বছরের গবেষণা শেষে কলিন ব্লুম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, শিখদের ‘চরমপন্থী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম’ সামগ্রিকভাবে মুসলিম, চরম ডানপন্থী এবং হিন্দু চরমপন্থীদের চেয়েও বেশি। ব্রিটিশ সরকারের এই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বার্তাই দিচ্ছে যে বিশেষ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে শিখ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তাঁর যে অবস্থান সেটি যথার্থ।
গত মাসে ‘খালিস্তানপন্থী উগ্রবাদ’ মোকাবিলায় নতুন করে ৯৫ হাজার পাউন্ড তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমের অনেকে দেশেই বিপুলসংখ্যক শিখ অভিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। এখন যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশে প্রভাবশালী কয়েকজন শিখের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে শিখদের আলাদা রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অবতার সিং খন্দ (৩৫)। চলতি বছরের জুনে বার্মিংহামে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘনিষ্ঠজনদের সন্দেহ, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
যুক্তরাজ্যের পশ্চিম মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, তারা এ ঘটনা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং সন্দেহজনক কিছু পায়নি। এ ঘটনার পুনঃতদন্তের প্রয়োজন নেই।
তবে ব্রিটিশ শিখরা দীর্ঘদিন ধরেই নানামুখী চাপে থাকার অভিযোগ করে আসছেন। কারণ, ভারত সরকার শিখ ‘চরমপন্থীদের’ দমন করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে বেশ কয়েকবার আহ্বান করেছে।
স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটন শহরের বাসিন্দা গুরপ্রীত জোহাল পেশায় আইনজীবী ও শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
ছয় বছর আগে গুরপ্রীতের ভাই জগতার বিয়ে করার জন্য ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন তিনি বিনা বিচার জেলা খাটছেন। জগতার খালিস্তানপন্থী ও শিখ অধিকারকর্মী হিসেবে সুপরিচিত।
জোহালের পরিবার বলে, পাঞ্জাবের রামি মন্ডি নামে একটি শহরে জগতারকে অপরিচিত একটি গাড়িতে জোর করে তোলা হয়। এর পর থেকে জগতার বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের কারাগারেই আছেন।
জগতার জোহাল বলেন, তাঁকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েক বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।
জাস্টিন ট্রুডো ঠিক কাজ করেছেন উল্লেখ করে গুরপ্রীত জোহাল বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁর নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রিভ বলে, ভারতে জোহালের গ্রেপ্তারের পেছনে ব্রিটিশ সিকিউরিটি এজেন্সির হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
জগতারের ঘটনায় ব্রিটিশ শিখ কমিউনিটি ক্ষুব্ধ। এমনকি কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া এবং বৈষম্যমূলকভাবে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে জগতার জোহালের মুক্তি চেয়েছে জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। যুক্তরাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জোহাল বলেন, ‘মনে হচ্ছে, যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে নাগরিকদের চেয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জগতার জোহালের মুক্তি দাবি করে কোনো লাভ হবে না, বরং পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি জোহালের মামলার যত দ্রুত সম্ভব সমাধান দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রায়ই ব্রিটেনে শিখদের তৎপরতার বিষয়টি উত্থাপন করেন।
চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ অধিকার ও খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারত সরকার বারবার ব্রিটেনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা চরমপন্থীদের দমন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
১৯৮০-এর দশকে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পরবর্তী সময় ভারতের সব রাজনৈতিক দল এমন ধারণার তীব্র বিরোধিতা করলে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে, সম্প্রতি শিখ প্রবাসীদের মধ্যে আবারও এ আন্দোলনের পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন শান্তিপূর্ণ তৎপরতায় রূপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যে খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা প্রায়ই ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। একে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৪ সালে লন্ডন সফরকালে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় জেনারেল কুলদীপ সিং ব্রারকে গলায় ও মুখে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৯৮৪ সালে শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাব প্রদেশে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ব্রার অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। শিখ ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র এ স্থান সে সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
স্বর্ণ মন্দিরে চালানো সে অভিযানে শত শত শিখ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী থাকলেও বেশির ভাগই ছিলেন তীর্থযাত্রী। এর প্রতিশোধ হিসেবে চার মাস পরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁরই শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হন।
সে ঘটনার কিছুটা হলেও প্রভাব আজও শিখদের চেতনায় রয়ে গেছে।
২০১৪ সালে লন্ডনে হামলায় জেনারেল ব্রার বেঁচে যান। তাঁকে হামলাকারীর মধ্যে একজন ব্রিটিশ শিখ, যিনি স্বর্ণ মন্দির অভিযানে তাঁর বাবা ও ভাই হারিয়েছেন। হামলাকারীদের আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সম্প্রতি কয়েক বছরে স্কটল্যান্ডের নাগরিক জগতার জোহালের কারাদণ্ডসহ অনেক ব্রিটিশ শিখই দিল্লির চাপে নিজ দেশে হয়রানি বা জেল-জরিমানার শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে লন্ডন ও মিডল্যান্ডের পাঁচ শিখ নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। শিখ সংগঠনগুলো বলছে, এ অভিযানের বিস্তারিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ থেকে বোঝা যায়, এ অভিযানে দিল্লির হাত ছিল।
এদিকে চলতি বছর ব্রিটেনের ধর্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসীদের তৎপরতা নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের ফেইথ এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজর কলিন ব্লুম। সেখানে অন্য ধর্মবিশ্বাসের তুলনায় শিখদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ব্রিটেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিখরা তাঁদের অবস্থান নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বিগ্নও।
কয়েক বছরের গবেষণা শেষে কলিন ব্লুম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, শিখদের ‘চরমপন্থী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম’ সামগ্রিকভাবে মুসলিম, চরম ডানপন্থী এবং হিন্দু চরমপন্থীদের চেয়েও বেশি। ব্রিটিশ সরকারের এই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বার্তাই দিচ্ছে যে বিশেষ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে শিখ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তাঁর যে অবস্থান সেটি যথার্থ।
গত মাসে ‘খালিস্তানপন্থী উগ্রবাদ’ মোকাবিলায় নতুন করে ৯৫ হাজার পাউন্ড তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪২ মিনিট আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকায় মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা মূলত এই অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তবে তিনি কখন বা কোথায় আক্রমণ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করেননি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪২ মিনিট আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকায় মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা মূলত এই অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তবে তিনি কখন বা কোথায় আক্রমণ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করেননি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের হাতে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আইনি জটিলতা নিয়ে তাঁর করা পোস্টগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তিনি ইলন মাস্ককে তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘দৃশ্যমানতা ফিল্টারিং’ (visibility filtering) নামে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জেমিমা বলেন, তাঁর ছেলেদের তাদের বাবার সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমরান খানকে ২২ মাস ধরে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই নেতা একজন মৌলিক মানবিক অধিকারহীন রাজনৈতিক বন্দী—এই কথা বিশ্বকে জানানোর জন্য এক্স-ই তাঁর কাছে একমাত্র জায়গা। তিনি অভিযোগ, পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর পোস্টের ‘রিচ’ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আপনি বাকস্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা, কিন্তু কেউ শুনতে পাবে না, এমনটা নয়।’
A personal plea to @elonmusk
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) December 12, 2025
My two sons have not been allowed to see or speak to their father Imran Khan who has been held unlawfully (acc to the UN) for 22 months of solitary confinement.
X is the only place left where we can still tell the world he is a political prisoner...
এর আগেও জেমিমা অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তাঁর ছেলেদের বাবার সাথে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ইমরান খানের প্রতি হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তাঁর বোন আলিমা খানও গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা গত ৮ মাস ধরে এখানে আসছি। প্রতি মঙ্গলবার আমরা এখানে এসে বসে থাকি। আমাদের ইমরান খানের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা তাকে নির্যাতন করছে। তাকে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তাদের উচিত ইমরান খানের উপর এই নির্যাতন বন্ধ করা।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খানকে ইচ্ছেমতো আটক রাখার কারণে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিল। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইমরান খানের কারাদণ্ড স্পষ্টতই তাঁকে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের হাতে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আইনি জটিলতা নিয়ে তাঁর করা পোস্টগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তিনি ইলন মাস্ককে তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘দৃশ্যমানতা ফিল্টারিং’ (visibility filtering) নামে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জেমিমা বলেন, তাঁর ছেলেদের তাদের বাবার সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমরান খানকে ২২ মাস ধরে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই নেতা একজন মৌলিক মানবিক অধিকারহীন রাজনৈতিক বন্দী—এই কথা বিশ্বকে জানানোর জন্য এক্স-ই তাঁর কাছে একমাত্র জায়গা। তিনি অভিযোগ, পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর পোস্টের ‘রিচ’ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আপনি বাকস্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা, কিন্তু কেউ শুনতে পাবে না, এমনটা নয়।’
A personal plea to @elonmusk
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) December 12, 2025
My two sons have not been allowed to see or speak to their father Imran Khan who has been held unlawfully (acc to the UN) for 22 months of solitary confinement.
X is the only place left where we can still tell the world he is a political prisoner...
এর আগেও জেমিমা অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তাঁর ছেলেদের বাবার সাথে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ইমরান খানের প্রতি হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তাঁর বোন আলিমা খানও গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা গত ৮ মাস ধরে এখানে আসছি। প্রতি মঙ্গলবার আমরা এখানে এসে বসে থাকি। আমাদের ইমরান খানের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা তাকে নির্যাতন করছে। তাকে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তাদের উচিত ইমরান খানের উপর এই নির্যাতন বন্ধ করা।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খানকে ইচ্ছেমতো আটক রাখার কারণে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিল। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইমরান খানের কারাদণ্ড স্পষ্টতই তাঁকে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকায় মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা মূলত এই অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তবে তিনি কখন বা কোথায় আক্রমণ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করেননি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়। সেই এস্টেট থেকে হাউস ওভারসাইট কমিটি ৯৫ হাজার ছবি হাতে পেয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ১৯টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে কোনো ক্যাপশন বা প্রেক্ষাপট না থাকলেও এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাদা-কালো ছবিতে তাঁকে ছয়জন নারীর সঙ্গে দেখা গেছে। যদিও ট্রাম্প একসময় এপস্টাইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবে যৌন পাচারের অভিযোগ ওঠার অনেক আগেই তিনি এপস্টাইন থেকে দূরত্ব তৈরি করেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া ছবিগুলোতে স্টিভ ব্যানন, বিল গেটস, রিচার্ড ব্র্যানসন, হার্ভার্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ল্যারি সামারস এবং আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ-সহ আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দেখা গেছে। অন্য একটি ছবিতে ট্রাম্পের ক্যারিক্যাচার (ব্যঙ্গচিত্র) এবং ‘I’m HUUUUGE!’ লেখাসহ কনডমের একটি বাটি দেখা যায়, যার পাশে ‘$ 4.50’ মূল্যের একটি সাইনও রয়েছে।
এর আগে অবশ্য এপস্টাইনের ব্যক্তিগত জেটে ভ্রমণ করার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তবে তাঁর মুখপাত্রের মাধ্যমে তিনি জানান, এপস্টাইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। অন্যদিকে এপস্টাইনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর রাজকীয় উপাধি ও বিশেষাধিকার হারিয়েছেন; যদিও তিনি কোনো ভুল করার কথা অস্বীকার করেছেন।
ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছে, বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত মামলার নথিপত্রের বাইরে এই ছবিগুলো প্রকাশের ফলে এপস্টাইন তদন্তে নথি প্রকাশে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অনীহার বিপরীতে চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।
ওভারসাইট কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসের এই লুকোচুরির সমাপ্তি ঘটানোর এবং জেফরি এপস্টাইন ও তাঁর ক্ষমতাধর বন্ধুদের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সময় এসেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ছবিগুলো এপস্টাইন এবং বিশ্বের কিছু ক্ষমতাধর পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে। আমরা সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত থামব না। বিচার বিভাগকে অবিলম্বে সব নথি প্রকাশ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি ইতিমধ্যে এপস্টাইন এস্টেট থেকে পাওয়া হাজার হাজার নথি, ই-মেইল এবং কথোপকথন প্রকাশ করেছে। সেই ই-মেইলগুলোতে এপস্টাইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প এপস্টাইনের অন্যতম প্রধান অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া জিওফ্রির (প্রয়াত) সঙ্গে ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন’। ট্রাম্প ‘মেয়েদের সম্পর্কে জানতেন’। যদিও তরুণীদের প্রলুব্ধ করে বেআইনি কাজে ব্যবহার করার কারণে এপস্টাইনকে তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়। সেই এস্টেট থেকে হাউস ওভারসাইট কমিটি ৯৫ হাজার ছবি হাতে পেয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ১৯টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে কোনো ক্যাপশন বা প্রেক্ষাপট না থাকলেও এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাদা-কালো ছবিতে তাঁকে ছয়জন নারীর সঙ্গে দেখা গেছে। যদিও ট্রাম্প একসময় এপস্টাইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবে যৌন পাচারের অভিযোগ ওঠার অনেক আগেই তিনি এপস্টাইন থেকে দূরত্ব তৈরি করেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া ছবিগুলোতে স্টিভ ব্যানন, বিল গেটস, রিচার্ড ব্র্যানসন, হার্ভার্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ল্যারি সামারস এবং আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎজ-সহ আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দেখা গেছে। অন্য একটি ছবিতে ট্রাম্পের ক্যারিক্যাচার (ব্যঙ্গচিত্র) এবং ‘I’m HUUUUGE!’ লেখাসহ কনডমের একটি বাটি দেখা যায়, যার পাশে ‘$ 4.50’ মূল্যের একটি সাইনও রয়েছে।
এর আগে অবশ্য এপস্টাইনের ব্যক্তিগত জেটে ভ্রমণ করার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তবে তাঁর মুখপাত্রের মাধ্যমে তিনি জানান, এপস্টাইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। অন্যদিকে এপস্টাইনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর রাজকীয় উপাধি ও বিশেষাধিকার হারিয়েছেন; যদিও তিনি কোনো ভুল করার কথা অস্বীকার করেছেন।
ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছে, বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত মামলার নথিপত্রের বাইরে এই ছবিগুলো প্রকাশের ফলে এপস্টাইন তদন্তে নথি প্রকাশে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অনীহার বিপরীতে চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।
ওভারসাইট কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রবার্ট গার্সিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসের এই লুকোচুরির সমাপ্তি ঘটানোর এবং জেফরি এপস্টাইন ও তাঁর ক্ষমতাধর বন্ধুদের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সময় এসেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ছবিগুলো এপস্টাইন এবং বিশ্বের কিছু ক্ষমতাধর পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে। আমরা সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত থামব না। বিচার বিভাগকে অবিলম্বে সব নথি প্রকাশ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি ইতিমধ্যে এপস্টাইন এস্টেট থেকে পাওয়া হাজার হাজার নথি, ই-মেইল এবং কথোপকথন প্রকাশ করেছে। সেই ই-মেইলগুলোতে এপস্টাইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প এপস্টাইনের অন্যতম প্রধান অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া জিওফ্রির (প্রয়াত) সঙ্গে ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন’। ট্রাম্প ‘মেয়েদের সম্পর্কে জানতেন’। যদিও তরুণীদের প্রলুব্ধ করে বেআইনি কাজে ব্যবহার করার কারণে এপস্টাইনকে তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪২ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকায় মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা মূলত এই অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তবে তিনি কখন বা কোথায় আক্রমণ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করেননি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকায় মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা মূলত এই অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তবে তিনি কখন বা কোথায় আক্রমণ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করেননি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম চোশুন ইলবোর খবরে বলা হয়েছে, গতকাল ১২ ডিসেম্বর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সমুদ্রপথে প্রবেশকারী ৯৬ শতাংশ মাদক আটকে দিয়েছি। আমরা এখন স্থল অভিযান শুরু করব, আর স্থলভাগ অনেক সহজ। এটি শিগগির ঘটবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর বা যুদ্ধ মন্ত্রণালয় (মিনিস্ট্রি অব ওয়ার) সেপ্টেম্বর থেকে ভেনেজুয়েলার নিকটবর্তী ক্যারিবীয় সাগর এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরসহ লাতিন আমেরিকার অন্যান্য উপকূলীয় জলসীমায় ‘মাদক পরিবহনকারী জাহাজ’ হিসেবে চিহ্নিত জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে আসছে। এতে বিপুল প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
এর আগে গত আগস্টে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাদক পাচারকারী’র তকমা দেন ট্রাম্প। তাঁকে আটকের তথ্যের জন্য পুরস্কার ২৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প সমুদ্রপথের চাপ ছাড়াও বারবার স্থল অভিযানের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও আগে এই ধরনের মন্তব্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। ট্রাম্প এবার বলেছেন যে স্থল হামলা শুধু ভেনেজুয়েলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য যে ভেনেজুয়েলাই হতে হবে, এমনটি নয়। যারা আমাদের দেশে মাদক নিয়ে আসে, তাদের সবাইকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক সমস্যাকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবে দেখছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইকে কার্যত একটি ‘যুদ্ধ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে সামরিক পদক্ষেপের বৈধতা বারবার তুলে ধরেছে। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, যদি মাদকের অতিরিক্ত মাত্রায় মৃত্যুর সংখ্যাকে যুদ্ধের হতাহতের মতো করে গণনা করা হয়; তবে ‘এটি একটি তুলনাহীন যুদ্ধ হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে স্থল হামলা চালাবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য এর আগে ‘সামরিক অভিযানের জন্য সুস্পষ্ট আইনি ভিত্তির অভাব’ উল্লেখ করেছেন। ব্লুমবার্গ মূল্যায়ন করেছে যে ‘স্থল হামলা লাতিন আমেরিকান অঞ্চলে পরিস্থিতির গুরুতর বৃদ্ধি বোঝাবে।’
এই বিষয়ে মাদুরো বলেছেন, ‘যদি আমরা কোনো বিদেশি আক্রমণের মুখোমুখি হই, তবে শ্রমিক শ্রেণিকে সাধারণ ধর্মঘট ও গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আরও উগ্র বিপ্লব অনুসরণ করতে হবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকায় মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা মূলত এই অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তবে তিনি কখন বা কোথায় আক্রমণ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করেননি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম চোশুন ইলবোর খবরে বলা হয়েছে, গতকাল ১২ ডিসেম্বর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সমুদ্রপথে প্রবেশকারী ৯৬ শতাংশ মাদক আটকে দিয়েছি। আমরা এখন স্থল অভিযান শুরু করব, আর স্থলভাগ অনেক সহজ। এটি শিগগির ঘটবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর বা যুদ্ধ মন্ত্রণালয় (মিনিস্ট্রি অব ওয়ার) সেপ্টেম্বর থেকে ভেনেজুয়েলার নিকটবর্তী ক্যারিবীয় সাগর এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরসহ লাতিন আমেরিকার অন্যান্য উপকূলীয় জলসীমায় ‘মাদক পরিবহনকারী জাহাজ’ হিসেবে চিহ্নিত জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে আসছে। এতে বিপুল প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
এর আগে গত আগস্টে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাদক পাচারকারী’র তকমা দেন ট্রাম্প। তাঁকে আটকের তথ্যের জন্য পুরস্কার ২৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প সমুদ্রপথের চাপ ছাড়াও বারবার স্থল অভিযানের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও আগে এই ধরনের মন্তব্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। ট্রাম্প এবার বলেছেন যে স্থল হামলা শুধু ভেনেজুয়েলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য যে ভেনেজুয়েলাই হতে হবে, এমনটি নয়। যারা আমাদের দেশে মাদক নিয়ে আসে, তাদের সবাইকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক সমস্যাকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবে দেখছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইকে কার্যত একটি ‘যুদ্ধ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে সামরিক পদক্ষেপের বৈধতা বারবার তুলে ধরেছে। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, যদি মাদকের অতিরিক্ত মাত্রায় মৃত্যুর সংখ্যাকে যুদ্ধের হতাহতের মতো করে গণনা করা হয়; তবে ‘এটি একটি তুলনাহীন যুদ্ধ হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে স্থল হামলা চালাবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য এর আগে ‘সামরিক অভিযানের জন্য সুস্পষ্ট আইনি ভিত্তির অভাব’ উল্লেখ করেছেন। ব্লুমবার্গ মূল্যায়ন করেছে যে ‘স্থল হামলা লাতিন আমেরিকান অঞ্চলে পরিস্থিতির গুরুতর বৃদ্ধি বোঝাবে।’
এই বিষয়ে মাদুরো বলেছেন, ‘যদি আমরা কোনো বিদেশি আক্রমণের মুখোমুখি হই, তবে শ্রমিক শ্রেণিকে সাধারণ ধর্মঘট ও গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আরও উগ্র বিপ্লব অনুসরণ করতে হবে।’

কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪২ মিনিট আগে
যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের এস্টেট থেকে হাউস ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত ১৯টি নতুন ছবিতে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন এবং ব্রিটেনের সাবেক রাজপুত্র অ্যান্ড্রুকে। ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকাকালে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগে