চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে দেশটির রাজধানী মস্কোর দিকে রওনা হয়েছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ তাঁর সঙ্গে ছিল অনুগত ৩৫ হাজার ভাগনার যোদ্ধা।
তবে সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিন এখন বেলারুশে। অনেক দেন-দরবার করে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো তাঁকে মস্কো যাত্রার মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনেন এবং নিজের দেশে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, একটি নিবন্ধিত জেট বিমানে চড়ে প্রিগোঝিন মঙ্গলবার সকালে বেলারুশের মাটিতে পা রেখেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেলারুশে পৌঁছে দেশটির রাজধানী মিনস্কের গোটা কয়েক হোটেলের একটিতে অবস্থান করছেন প্রিগোঝিন। তবে এই হোটেলের কোনো জানালা নেই।
এর আগে প্রিগোঝিনকে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে। তার পর থেকেই তাঁর অবস্থান জানা সম্ভব হচ্ছিল না। সর্বশেষ মার্কিন সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজকে জানান, মিনস্কের জানালাবিহীন ওই হোটেলকক্ষেই অবস্থান করছেন প্রিগোঝিন। তবে নিজের নিরাপত্তা তথা গুপ্তহত্যা থেকে বাঁচার জন্যই ওই হোটেলটিকে তিনি বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওয়ার্নার।
এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর প্রিগোঝিন কোথায় অবস্থান করছেন, সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই এবং বিস্তারিত কিছু বলতে আমি অক্ষম।’
পেসকোভ জানান, বাজে পরিস্থিতি এড়াতেই ভাগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোঝিনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, ভাগনার গ্রুপের সেনারা মস্কোযাত্রা থামিয়ে দেবে। এর বদলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার কোনো অভিযোগ আনা হবে না।
এ বিষয়ে পেসকোভ বলেন, বিদ্রোহ থামাতে যে চুক্তি হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ, ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় তাঁর কথা রাখেন।
তবে মার্কিন ও পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রিগোঝিনকে এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র পুতিন নন। রুশ প্রেসিডেন্ট সম্ভবত প্রিগোঝিনকে ফাঁদে ফেলার ছক কষছেন।
তাঁরা বলছেন, বিদ্রোহে অংশ নেওয়া ভাগনার যোদ্ধাদের জন্য তিনটি বিকল্প পথের যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন। এ অনুযায়ী ভাগনার যোদ্ধারা হয় রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন, নয়তো অবসর নেবেন। অন্যথায় তাঁরা বেলারুশে তাঁদের নেতা প্রিগোঝিনের সঙ্গে অবস্থান নেবেন।
তবে যুদ্ধবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার’ (আইএসডব্লিউ) কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বেলারুশকে ভাগনার যোদ্ধাদের জন্য ফাঁদ হিসেবে রেখেছেন পুতিন। অর্থাৎ এই গ্রুপের যেসব সেনা বেলারুশে চলে যাবেন, তাঁদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করবে ক্রেমলিন।
এর আগে ২০২০ সালে বেলারুশ থেকে ৩৩ জন ভাগনার যোদ্ধাকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্রেমলিনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। আইএসডব্লিউ বলছে, ‘পুতিনঘনিষ্ঠ লুকাশেঙ্কো যে ওই কাজটি দ্বিতীয়বার করবেন না তার কী নিশ্চয়তা আছে?’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে দেশটির রাজধানী মস্কোর দিকে রওনা হয়েছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ তাঁর সঙ্গে ছিল অনুগত ৩৫ হাজার ভাগনার যোদ্ধা।
তবে সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিন এখন বেলারুশে। অনেক দেন-দরবার করে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো তাঁকে মস্কো যাত্রার মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনেন এবং নিজের দেশে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, একটি নিবন্ধিত জেট বিমানে চড়ে প্রিগোঝিন মঙ্গলবার সকালে বেলারুশের মাটিতে পা রেখেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেলারুশে পৌঁছে দেশটির রাজধানী মিনস্কের গোটা কয়েক হোটেলের একটিতে অবস্থান করছেন প্রিগোঝিন। তবে এই হোটেলের কোনো জানালা নেই।
এর আগে প্রিগোঝিনকে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে। তার পর থেকেই তাঁর অবস্থান জানা সম্ভব হচ্ছিল না। সর্বশেষ মার্কিন সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজকে জানান, মিনস্কের জানালাবিহীন ওই হোটেলকক্ষেই অবস্থান করছেন প্রিগোঝিন। তবে নিজের নিরাপত্তা তথা গুপ্তহত্যা থেকে বাঁচার জন্যই ওই হোটেলটিকে তিনি বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওয়ার্নার।
এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর প্রিগোঝিন কোথায় অবস্থান করছেন, সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই এবং বিস্তারিত কিছু বলতে আমি অক্ষম।’
পেসকোভ জানান, বাজে পরিস্থিতি এড়াতেই ভাগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোঝিনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, ভাগনার গ্রুপের সেনারা মস্কোযাত্রা থামিয়ে দেবে। এর বদলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার কোনো অভিযোগ আনা হবে না।
এ বিষয়ে পেসকোভ বলেন, বিদ্রোহ থামাতে যে চুক্তি হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ, ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় তাঁর কথা রাখেন।
তবে মার্কিন ও পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রিগোঝিনকে এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র পুতিন নন। রুশ প্রেসিডেন্ট সম্ভবত প্রিগোঝিনকে ফাঁদে ফেলার ছক কষছেন।
তাঁরা বলছেন, বিদ্রোহে অংশ নেওয়া ভাগনার যোদ্ধাদের জন্য তিনটি বিকল্প পথের যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন। এ অনুযায়ী ভাগনার যোদ্ধারা হয় রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন, নয়তো অবসর নেবেন। অন্যথায় তাঁরা বেলারুশে তাঁদের নেতা প্রিগোঝিনের সঙ্গে অবস্থান নেবেন।
তবে যুদ্ধবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার’ (আইএসডব্লিউ) কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বেলারুশকে ভাগনার যোদ্ধাদের জন্য ফাঁদ হিসেবে রেখেছেন পুতিন। অর্থাৎ এই গ্রুপের যেসব সেনা বেলারুশে চলে যাবেন, তাঁদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করবে ক্রেমলিন।
এর আগে ২০২০ সালে বেলারুশ থেকে ৩৩ জন ভাগনার যোদ্ধাকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্রেমলিনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। আইএসডব্লিউ বলছে, ‘পুতিনঘনিষ্ঠ লুকাশেঙ্কো যে ওই কাজটি দ্বিতীয়বার করবেন না তার কী নিশ্চয়তা আছে?’
ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধিসৌধ চত্বরে একটি গম্বুজ ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও দা হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
২৬ মিনিট আগেআধুনিক ও দক্ষ পরিকাঠামোয় উন্নত ও বিশ্বব্যাপী আর্থিক কর্মকাণ্ডের একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাপুর পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয়। সে সঙ্গে বহু বিদেশিও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য দেশটিকে পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে রাখেন। স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইলে সিঙ্গাপুরে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর)...
১ ঘণ্টা আগেপ্লাস্টিক দূষণ বন্ধে প্রস্তাবিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির খসড়া গত বুধবার প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘের প্রায় ১০০টি দেশ। চুক্তিটিকে ‘দুর্বল’ ও ‘অপর্যাপ্ত’ মনে করায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। জুরিস্ট নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের আন্তসরকারি আলোচনাকারী কমিটির (আইএনসি) চেয়ারম্যান লুইস ভায়াস...
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘এ’ লেভেলে অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এর পেছনে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘এ’ লেভেলে শীর্ষ পাঁচ জনপ্রিয় বিষয়ের মধ্যে উঠে এসেছে ব্যবসায় শিক্ষা।
২ ঘণ্টা আগে