Ajker Patrika

ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠালে পোল্যান্ডকে বাধা দেবে না জার্মানি

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

পোল্যান্ড যদি ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠায় তবে জার্মানি বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনা বেয়ারবক। তবে পোল্যান্ড এখনো ট্যাংক রপ্তানির অনুমতি চায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি বলেছিলেন, ‘বার্লিন যদি অনুমতি দেয়, তবে তারা কিয়েভকে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাবে। এ ব্যাপারে তারা প্রস্তুত আছে।’ 

পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার ফ্রান্সের এলসিআই টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আনা বেয়ারবক বলেছেন, ‘ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে পোল্যান্ড এখনো আমাদের কাছে কিছু জানায়নি। তারা যদি ট্যাংক পাঠাতে চায়, তবে আমরা বাধা দেব না।’ 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া টি-৯০ ট্যাংক ব্যবহার করছে। এই ট্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য লেপার্ড-২ ট্যাংকগুলো সক্ষম। কিন্তু ট্যাংকগুলো ইউক্রেনের কাছে নেই। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ হাজারেরও বেশি লেপার্ড-২ ট্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০টি ট্যাংক পেলে, তারা রাশিয়ার পরাজয় নিশ্চিত করতে পারবে। 

জার্মানির বেশ কয়েকটি মিত্র দেশে লেপার্ড-২ ট্যাংক রয়েছে। কিন্তু তারা ইউক্রেনে ট্যাংকগুলো পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। 

এদিকে জার্মানি এখনো ইউক্রেনে কোনো সাঁজোয়া যান পাঠায়নি। কারণ দেশটির রপ্তানি আইনে এসব ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ছাড়া জার্মানির প্রবিধানে রয়েছে, পোল্যান্ড ও অন্যান্য দেশ যদি ট্যাংকগুলো রপ্তানি করতে চায়, তবে বার্লিনের কাছ থেকে পুনঃরপ্তানির অনুমোদন নিতে হবে। 

গত শুক্রবার অর্ধ শতাধিক মিত্র দেশের সঙ্গে বৈঠক করেছে জার্মানি। কিন্তু ট্যাংক সরবরাহ কিংবা রপ্তানি লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে জার্মানি নিজেদের ট্যাংক রপ্তানি বন্ধের বিষয়টিও অস্বীকার করেছে। 

এদিকে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত শনিবার এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জার্মানিকে বলেছেন, এখন ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করা উচিত। 

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই দেশের নেতা যুদ্ধ-পরবর্তী জোট গঠনের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। 

ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে হালকা ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত