Ajker Patrika

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে ৭ লাখ সেনা, জানালেন পুতিন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪, ১৫: ৪৮
Thumbnail image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে প্রায় সাত লাখ সেনা। এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করা সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় এ তথ্য দেন পুতিন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

রুশ সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই ইউক্রেনে রুশ সেনা সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার। সেই হিসাবে বর্তমানে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাসংখ্যা প্রায় ১ লাখ বেশি। চলতি বছরের এপ্রিলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বছরের শুরু থেকে ১ লাখেরও বেশি রুশ নাগরিক স্বেচ্ছায় সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হয়েছেন। 
 
এদিকে, গতকাল যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য ইউক্রেনকে শর্ত বেঁধে দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে রাশিয়ার দাবি করা অঞ্চলগুলো থেকে ইউক্রেনের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। 

মস্কোয় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে রাখা বক্তব্যে পুতিন ইউক্রেন সরকারকে রাশিয়ার আংশিক দখল করা চারটি অঞ্চল—দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ইউক্রেনকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের প্রচেষ্টা ছেড়ে দিতে হবে।’ রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনের সরকার যদি শর্ত মেনে নেয়, তবে যে মুহূর্তে তারা সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যাবে। 

জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্কাই ইতালিয়াকে বলেছেন, ‘পুতিন বারবার বলেন, তিনি আমাদের কিছু অঞ্চল নিয়ে নেবেন। এর মধ্যে কিছু অঞ্চল তাঁরা এরই মধ্যে দখল করে নিয়েছেন এবং কিছু এখনো দখল করেননি। তিনি (পুতিন) বলেন, এরপর তিনি থেমে যাবেন এবং যুদ্ধ স্থিতাবস্থায় চলবে না।’ জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এটি এমন একধরনে বিষয়, যা হিটলার বলতেন।’ 

হিটলারের দিকে ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, ‘তিনি বলছিলেন, “আমাকে চেক প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ দিয়ে দাও, তাহলে যুদ্ধ শেষ হবে”—কিন্তু তিনি কেবলই মিথ্যা বলছিলেন। কারণ, এরপর তিনি পোল্যান্ডের দাবি করে বলেছিলেন, “আমাকে পোল্যান্ডের একটি অংশ দিন” এবং এরপর তো পুরো ইউরোপই তাঁর দখল চলে আসে।’ 

এ সময় পুতিনের মনোভাবকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নাৎসিবাদের বিষয় এটি এবং আমরা পুতিনকে এ কারণেই বিশ্বাস করতে পারি না। কারণ, তিনি একই পথে আছেন।’ জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘জনগণের মনে রাখা উচিত, যুদ্ধের আগে রাশিয়া কেবল ক্রিমিয়া ও দনবাস অঞ্চলগুলো দাবি করেছিল, কিন্তু এখন তার ভূমি দখলের এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত