
রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কি না—তা স্পষ্ট নয়। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সূত্র দুটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ক্রেমলিনের শর্তগুলো বেশ বিস্তৃত এবং পূর্বে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মতোই।
এর আগে, রাশিয়া দাবি করেছিল—ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না, দেশটিতে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে অবশ্যই যুদ্ধের ‘মূল কারণসমূহ’ সমাধান করতে হবে। এর মধ্যে একটি মূল কারণ হলো—ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পুতিনের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন যে, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন কি না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেনে নেবেন।
পুতিন এই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত এবং এর বিস্তারিত শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকের আশঙ্কা, সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারেন।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত দুই দশকে রাশিয়া এ ধরনের অনেক দাবি উত্থাপন করেছে এবং এর কিছু দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, ২০২১ সালের শেষ ও ২০২২ সালের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মস্কো এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সে সময় কয়েক হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছিল, আক্রমণের নির্দেশের অপেক্ষায়।
রাশিয়া তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করা। বাইডেন প্রশাসন কিছু শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও, যুদ্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনা করা একটি খসড়া চুক্তি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি। ওই আলোচনায় রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্র হতে হবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর ওপর রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে চলমান আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করছে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি পৃথক আলোচনায় যুক্ত—একটি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়ে, অন্যটি ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির বিষয়ে। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসে সিএনএনকে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আলোচনাগুলো ছিল ‘যুক্তিসংগত ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ এবং তা ‘শান্তি চুক্তির পথপ্রদর্শক হতে পারে।’
কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলোগ সম্প্রতি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ইস্তাম্বুল চুক্তিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সম্পূর্ণ নতুন কিছু তৈরি করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার এসব দাবি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি গঠনের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং পশ্চিমা সমর্থকদের সঙ্গেও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতেই করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে—যা পশ্চিমাদের ইউরোপে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি তৈরির সক্ষমতাকে সীমিত করবে এবং সম্ভবত পুতিনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।’ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা স্টেন্ট বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো মোটেও পরিবর্তিত হয়নি। আমি মনে করি, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি বা অর্থবহ যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসন আসন্ন বলে মনে করা হয়েছিল। তা প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রেমলিনের তিনটি দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
এই দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিষিদ্ধ করা, ইউরোপ বা রাশিয়ার সীমানার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিষিদ্ধ করা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ককেশাস ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক ও পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা কোরি শাকে বলেন, ‘এগুলো সেই পুরোনো রুশ দাবি, যা ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম দেখে ইউরোপীয়রা শুধু ভয় পাচ্ছে যে আমরা তাদের পরিত্যাগ করছি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে আমরা শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কি না—তা স্পষ্ট নয়। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সূত্র দুটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ক্রেমলিনের শর্তগুলো বেশ বিস্তৃত এবং পূর্বে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মতোই।
এর আগে, রাশিয়া দাবি করেছিল—ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না, দেশটিতে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে অবশ্যই যুদ্ধের ‘মূল কারণসমূহ’ সমাধান করতে হবে। এর মধ্যে একটি মূল কারণ হলো—ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পুতিনের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন যে, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন কি না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেনে নেবেন।
পুতিন এই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত এবং এর বিস্তারিত শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকের আশঙ্কা, সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারেন।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত দুই দশকে রাশিয়া এ ধরনের অনেক দাবি উত্থাপন করেছে এবং এর কিছু দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, ২০২১ সালের শেষ ও ২০২২ সালের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মস্কো এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সে সময় কয়েক হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছিল, আক্রমণের নির্দেশের অপেক্ষায়।
রাশিয়া তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করা। বাইডেন প্রশাসন কিছু শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও, যুদ্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনা করা একটি খসড়া চুক্তি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি। ওই আলোচনায় রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্র হতে হবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর ওপর রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে চলমান আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করছে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি পৃথক আলোচনায় যুক্ত—একটি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়ে, অন্যটি ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির বিষয়ে। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসে সিএনএনকে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আলোচনাগুলো ছিল ‘যুক্তিসংগত ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ এবং তা ‘শান্তি চুক্তির পথপ্রদর্শক হতে পারে।’
কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলোগ সম্প্রতি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ইস্তাম্বুল চুক্তিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সম্পূর্ণ নতুন কিছু তৈরি করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার এসব দাবি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি গঠনের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং পশ্চিমা সমর্থকদের সঙ্গেও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতেই করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে—যা পশ্চিমাদের ইউরোপে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি তৈরির সক্ষমতাকে সীমিত করবে এবং সম্ভবত পুতিনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।’ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা স্টেন্ট বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো মোটেও পরিবর্তিত হয়নি। আমি মনে করি, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি বা অর্থবহ যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসন আসন্ন বলে মনে করা হয়েছিল। তা প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রেমলিনের তিনটি দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
এই দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিষিদ্ধ করা, ইউরোপ বা রাশিয়ার সীমানার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিষিদ্ধ করা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ককেশাস ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক ও পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা কোরি শাকে বলেন, ‘এগুলো সেই পুরোনো রুশ দাবি, যা ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম দেখে ইউরোপীয়রা শুধু ভয় পাচ্ছে যে আমরা তাদের পরিত্যাগ করছি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে আমরা শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
১৩ মিনিট আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’
গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।
কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’
মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।
সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’
গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।
কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’
মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।
সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
১৩ মিনিট আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে চলমান সামরিক যান মোতায়েন শেষ করার কাছাকাছি সময়ে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে আনা হচ্ছে। সুপারক্যারিয়ারটির সঙ্গে রয়েছে কয়েক ডজন স্টিলথ ফাইটার জেট ও নজরদারি বিমান, সেই সঙ্গে অন্যান্য সহগামী যুদ্ধজাহাজ তো থাকছেই।
ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ক্যারিবীয় সাগরে পাঠানোর ঘটনাটি প্রশাসনের সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর সবচেয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা সন্দেহভাজন ছোট মাদকবাহী নৌকায় আঘাত হানা হচ্ছিল, কিন্তু এখন স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই সুপারক্যারিয়ারে থাকা ডজনখানেক এফ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াবে এবং ভেনেজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেবে। বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে মার্কিন বিশেষ আভিযানিক দল বা ড্রোনগুলোর জন্য স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার পথ প্রশস্ত হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বর্ধিত নৌ উপস্থিতি অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিহত করার মার্কিন সক্ষমতাকে জোরদার করবে। এসব অপতৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন উপস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’
এই বর্ধিত মার্কিন সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। শুক্রবার দিনের শেষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা আর কখনো কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, আর এখন তারা একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৯টি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁর সামরিক অভিযানের পরবর্তী পর্যায় হবে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা। ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলই হবে পরবর্তী (লক্ষ্য)।’
তবে কোন দেশের কোন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানতে চায়, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। যদিও তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রশাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কংগ্রেসকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি হামলা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে, আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব, ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি নৌকায় প্রথম হামলার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরও হামলার কথা জানানো হলেও নিহতের সংখ্যা এবং নৌকাগুলোতে মাদক ছিল—এই দাবি ছাড়া আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসন হামলার আইনি ন্যায্যতা দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা দাবি করছে, এই নৌকাগুলো চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ জড়িত।
তবে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়নি যে নৌকায় হামলায় নিহত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছিলেন। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, কংগ্রেসের কাছে ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু নৌকাগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখা কার্টেলগুলোর সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তাই সেগুলোতে হামলা বৈধ।
এই সামরিক অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) জড়িত। ট্রাম্প ১৫ অক্টোবর নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর তথাকথিত ‘গোপন কার্যক্রমের’ অনুমোদন দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিমান হামলায় ব্যবহৃত গোয়েন্দা তথ্যের একটি বড় অংশ সিআইএ সরবরাহ করেছে।

মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে চলমান সামরিক যান মোতায়েন শেষ করার কাছাকাছি সময়ে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে আনা হচ্ছে। সুপারক্যারিয়ারটির সঙ্গে রয়েছে কয়েক ডজন স্টিলথ ফাইটার জেট ও নজরদারি বিমান, সেই সঙ্গে অন্যান্য সহগামী যুদ্ধজাহাজ তো থাকছেই।
ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ক্যারিবীয় সাগরে পাঠানোর ঘটনাটি প্রশাসনের সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর সবচেয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা সন্দেহভাজন ছোট মাদকবাহী নৌকায় আঘাত হানা হচ্ছিল, কিন্তু এখন স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই সুপারক্যারিয়ারে থাকা ডজনখানেক এফ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াবে এবং ভেনেজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেবে। বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে মার্কিন বিশেষ আভিযানিক দল বা ড্রোনগুলোর জন্য স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার পথ প্রশস্ত হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বর্ধিত নৌ উপস্থিতি অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিহত করার মার্কিন সক্ষমতাকে জোরদার করবে। এসব অপতৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন উপস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’
এই বর্ধিত মার্কিন সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। শুক্রবার দিনের শেষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা আর কখনো কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, আর এখন তারা একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৯টি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁর সামরিক অভিযানের পরবর্তী পর্যায় হবে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা। ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলই হবে পরবর্তী (লক্ষ্য)।’
তবে কোন দেশের কোন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানতে চায়, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। যদিও তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রশাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কংগ্রেসকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি হামলা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে, আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব, ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি নৌকায় প্রথম হামলার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরও হামলার কথা জানানো হলেও নিহতের সংখ্যা এবং নৌকাগুলোতে মাদক ছিল—এই দাবি ছাড়া আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসন হামলার আইনি ন্যায্যতা দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা দাবি করছে, এই নৌকাগুলো চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ জড়িত।
তবে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়নি যে নৌকায় হামলায় নিহত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছিলেন। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, কংগ্রেসের কাছে ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু নৌকাগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখা কার্টেলগুলোর সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তাই সেগুলোতে হামলা বৈধ।
এই সামরিক অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) জড়িত। ট্রাম্প ১৫ অক্টোবর নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর তথাকথিত ‘গোপন কার্যক্রমের’ অনুমোদন দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিমান হামলায় ব্যবহৃত গোয়েন্দা তথ্যের একটি বড় অংশ সিআইএ সরবরাহ করেছে।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
১৩ মিনিট আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
গত ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের একটি এক্স পোস্টে দেখা গেছে—নীল রঙের একটি নৌকা দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। পরে সেটি আঘাতপ্রাপ্ত ও বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ভিডিওতে হেগসেথ মন্তব্য করেছেন, ‘আল-কায়েদার মতোই কার্টেলগুলো আমাদের সীমান্ত ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কোনো প্রশ্রয় বা ক্ষমা হবে না—শুধুই ন্যায়বিচার।’
এখন পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দুটি হামলায় আক্রান্ত নৌকা দুটিকে যথাক্রমে ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ক্যারিবিয়ান সাগরে আরও একটি হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব হামলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৪৩-এ পৌঁছেছে।
তবে মার্কিন প্রশাসন এখনো জনসমক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি যে, নৌকাগুলোতে যারা ছিলেন, তাঁরা আসলে কোনো মাদক কার্টেলের সদস্য ছিলেন বা নৌকাগুলো মাদক বহন করছিল। এর ফলে বিষয়টি আইনি বৈধতা ও হোয়াইট হাউসের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এনপিআর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার আগে থেকেই মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলে শক্তি বাড়িয়েছে। নৌবহর ও সৈন্যদল এমনভাবে মোতায়েন করেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে নজিরবিহীন বলছেন। এ অবস্থায় ছোট ছোট নৌকাকে লক্ষ্য করে এত সামরিক শক্তি প্রয়োগকে একটি অতিরঞ্জিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এটি ভেনেজুয়েলার নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্য প্রকাশ কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে সেনা উত্থানকে উসকে দেওয়ার কৌশলও হতে পারে।
ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই ধরনের হামলা করার আইনি ক্ষমতা তাঁর প্রশাসনের আছে। এটিকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলছেন, এই হামলাগুলো আমেরিকানদের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু আইনগতভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে এবং কংগ্রেস মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। ডেমোক্র্যাট, এমনকি রিপাবলিকান কয়েকজন নেতাও এই হামলাগুলোকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করেছেন। কেন্টাকি সিনেটর র্যান্ড পল বলেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়াই, মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া অনৈতিক।’
এদিকে জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইনগত ভিত্তি ছাড়া মারণাস্ত্র প্রয়োগ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন এবং নির্বিচারে হত্যার সমান হতে পারে। প্রতিবেশী কলম্বিয়াও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কিছু হামলায় তাঁর দেশের নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিসংখ্যান ও প্রমাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন ক্রমেই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, তা জানতে সারা বিশ্ব এখন সমুদ্রে তাকিয়ে আছে।

সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
গত ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের একটি এক্স পোস্টে দেখা গেছে—নীল রঙের একটি নৌকা দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। পরে সেটি আঘাতপ্রাপ্ত ও বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ভিডিওতে হেগসেথ মন্তব্য করেছেন, ‘আল-কায়েদার মতোই কার্টেলগুলো আমাদের সীমান্ত ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কোনো প্রশ্রয় বা ক্ষমা হবে না—শুধুই ন্যায়বিচার।’
এখন পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দুটি হামলায় আক্রান্ত নৌকা দুটিকে যথাক্রমে ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ক্যারিবিয়ান সাগরে আরও একটি হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব হামলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৪৩-এ পৌঁছেছে।
তবে মার্কিন প্রশাসন এখনো জনসমক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি যে, নৌকাগুলোতে যারা ছিলেন, তাঁরা আসলে কোনো মাদক কার্টেলের সদস্য ছিলেন বা নৌকাগুলো মাদক বহন করছিল। এর ফলে বিষয়টি আইনি বৈধতা ও হোয়াইট হাউসের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এনপিআর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার আগে থেকেই মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলে শক্তি বাড়িয়েছে। নৌবহর ও সৈন্যদল এমনভাবে মোতায়েন করেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে নজিরবিহীন বলছেন। এ অবস্থায় ছোট ছোট নৌকাকে লক্ষ্য করে এত সামরিক শক্তি প্রয়োগকে একটি অতিরঞ্জিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এটি ভেনেজুয়েলার নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্য প্রকাশ কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে সেনা উত্থানকে উসকে দেওয়ার কৌশলও হতে পারে।
ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই ধরনের হামলা করার আইনি ক্ষমতা তাঁর প্রশাসনের আছে। এটিকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলছেন, এই হামলাগুলো আমেরিকানদের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু আইনগতভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে এবং কংগ্রেস মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। ডেমোক্র্যাট, এমনকি রিপাবলিকান কয়েকজন নেতাও এই হামলাগুলোকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করেছেন। কেন্টাকি সিনেটর র্যান্ড পল বলেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়াই, মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া অনৈতিক।’
এদিকে জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইনগত ভিত্তি ছাড়া মারণাস্ত্র প্রয়োগ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন এবং নির্বিচারে হত্যার সমান হতে পারে। প্রতিবেশী কলম্বিয়াও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কিছু হামলায় তাঁর দেশের নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিসংখ্যান ও প্রমাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন ক্রমেই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, তা জানতে সারা বিশ্ব এখন সমুদ্রে তাকিয়ে আছে।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
১৩ মিনিট আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে