লিঙ্গ রূপান্তরের বয়স ও অন্যান্য বিষয় শিথিল করে আইন পাস করেছে ইউরোপের দুই দেশ সুইডেন ও জার্মানি। দেশ দুটিতে এখন লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সংশয়ে থাকা ১৬-১৮ বছর বয়সীরা লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেখানে পূর্বে লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য চিকিৎসক ও পরিবার আদালতের অনুমোদন বা সুপারিশের প্রয়োজন হতো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সুইডেনের আইনসভায় লিঙ্গ রূপান্তরের আইনটি ২৩৪ ভোটে পাস হয়েছে। এর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯৪টি। অপরদিকে জার্মানিতে ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে ‘জেন্ডার আইডেনটিটি’ আইনটি ৩৭৪ ভোটে পাস হয়েছে। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২৫১টি।
আইনটি পাস হওয়ার আগে জার্মানিতে লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য চিকিৎসকের সার্টিফিকেট ও পরিবার আদালতের অনুমোদন প্রয়োজন হতো। তবে এখনো ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের সম্মতির প্রয়োজন হবে। আর ১৪ বছরের কম বয়সীদের লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। লিঙ্গ রূপান্তরের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আর কোনো পরিবর্তন বা আগের লিঙ্গে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
এদিকে নর্ডিক দেশ সুইডেন ১৯৭২ সালে প্রথম আইনিভাবে লিঙ্গ রূপান্তর আইন করে। নতুন এই আইনের লক্ষ্য ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয়ের অনুমোদন পদ্ধতিটিকে সহজ করা। তবে নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রক্ষণশীল সুইস প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের কেন্দ্র-ডান জোট এই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ক্রিস্টারসনের মডারেট এবং লিবারেলরা আইনটিকে সমর্থন করেছে। তবে ছোট খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
জার্মানিতে লিঙ্গ রূপান্তরের আবেদন করার তিন মাস পর রেজিস্ট্রি অফিসে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রারের সময় নিজের লিঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধের সুযোগ রয়েছে। নতুন এই আইনে শুধুমাত্র লিঙ্গ রূপান্তরের আইনি প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লিঙ্গে পরিবর্তনে আগের সার্জারির নিয়ম বহাল রয়েছে।
জার্মানির ‘ট্র্যাফিক লাইট’ জোটের নেতৃত্বে পাশ হওয়া আইনটি আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, ‘অপরের অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে আমরা ট্রান্স, ইন্টারসেক্স এবং নন-বাইনারি লোকদের প্রতি সম্মান দেখাই। এভাবেই আমরা দেশের আধুনিকীকরণ যাত্রা অব্যাহত রেখেছি। এর মধ্যে রয়েছে জীবনের বাস্তবতাগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তার পক্ষে আইন করা।’
তবে জার্মানির রক্ষণশীল এবং অতি-ডানপন্থী এএফডি পার্টি এর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে তাঁরা সতর্ক করেছেন।
লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার অ্যান্ড ইন্টারসেক্স রাইটস (আরএফএসএল) এর সুইডিশ ফেডারেশনের সভাপতি পিটার সিডলুন্ড পোনকালা এএফপিকে বলেছেন, ‘বর্তমান প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘ। সুইডেনে আইনিভাবে আপনার লিঙ্গ পরিবর্তন করতে ৭ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
তবে সুইডেনে নতুন দুই আইন ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এর মধ্য একটি অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অপরটি সরকারি রেজিস্ট্রারে আইনি লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনিক পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
লিঙ্গ রূপান্তরের বয়স ও অন্যান্য বিষয় শিথিল করে আইন পাস করেছে ইউরোপের দুই দেশ সুইডেন ও জার্মানি। দেশ দুটিতে এখন লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সংশয়ে থাকা ১৬-১৮ বছর বয়সীরা লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেখানে পূর্বে লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য চিকিৎসক ও পরিবার আদালতের অনুমোদন বা সুপারিশের প্রয়োজন হতো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সুইডেনের আইনসভায় লিঙ্গ রূপান্তরের আইনটি ২৩৪ ভোটে পাস হয়েছে। এর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯৪টি। অপরদিকে জার্মানিতে ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে ‘জেন্ডার আইডেনটিটি’ আইনটি ৩৭৪ ভোটে পাস হয়েছে। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২৫১টি।
আইনটি পাস হওয়ার আগে জার্মানিতে লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য চিকিৎসকের সার্টিফিকেট ও পরিবার আদালতের অনুমোদন প্রয়োজন হতো। তবে এখনো ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের সম্মতির প্রয়োজন হবে। আর ১৪ বছরের কম বয়সীদের লিঙ্গ রূপান্তরের জন্য পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। লিঙ্গ রূপান্তরের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আর কোনো পরিবর্তন বা আগের লিঙ্গে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
এদিকে নর্ডিক দেশ সুইডেন ১৯৭২ সালে প্রথম আইনিভাবে লিঙ্গ রূপান্তর আইন করে। নতুন এই আইনের লক্ষ্য ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয়ের অনুমোদন পদ্ধতিটিকে সহজ করা। তবে নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রক্ষণশীল সুইস প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের কেন্দ্র-ডান জোট এই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ক্রিস্টারসনের মডারেট এবং লিবারেলরা আইনটিকে সমর্থন করেছে। তবে ছোট খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
জার্মানিতে লিঙ্গ রূপান্তরের আবেদন করার তিন মাস পর রেজিস্ট্রি অফিসে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রারের সময় নিজের লিঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধের সুযোগ রয়েছে। নতুন এই আইনে শুধুমাত্র লিঙ্গ রূপান্তরের আইনি প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লিঙ্গে পরিবর্তনে আগের সার্জারির নিয়ম বহাল রয়েছে।
জার্মানির ‘ট্র্যাফিক লাইট’ জোটের নেতৃত্বে পাশ হওয়া আইনটি আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, ‘অপরের অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে আমরা ট্রান্স, ইন্টারসেক্স এবং নন-বাইনারি লোকদের প্রতি সম্মান দেখাই। এভাবেই আমরা দেশের আধুনিকীকরণ যাত্রা অব্যাহত রেখেছি। এর মধ্যে রয়েছে জীবনের বাস্তবতাগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তার পক্ষে আইন করা।’
তবে জার্মানির রক্ষণশীল এবং অতি-ডানপন্থী এএফডি পার্টি এর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে তাঁরা সতর্ক করেছেন।
লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার অ্যান্ড ইন্টারসেক্স রাইটস (আরএফএসএল) এর সুইডিশ ফেডারেশনের সভাপতি পিটার সিডলুন্ড পোনকালা এএফপিকে বলেছেন, ‘বর্তমান প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘ। সুইডেনে আইনিভাবে আপনার লিঙ্গ পরিবর্তন করতে ৭ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
তবে সুইডেনে নতুন দুই আইন ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এর মধ্য একটি অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অপরটি সরকারি রেজিস্ট্রারে আইনি লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনিক পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে