আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ব্রিটিশ রাজপুত্র উইলিয়াম বলেছেন, তিনি রাজা হলে রাজতন্ত্রের ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘ভালোর জন্য পরিবর্তনকে আমি স্বাগত জানাই। এ ধরনের পরিবর্তন আমি পছন্দ করি। আমি ভয় পাই না; বরং পরিবর্তন আনার মতো পরিকল্পনা আমাকে উদ্দীপ্ত করে। তবে সে পরিবর্তন একেবারে আমূল পরিবর্তন নয়। আমি মনে করি, পরিবর্তনটা হবে প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে।’
উইন্ডসরে কানাডীয় অভিনেতা ইউজিন লেভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন প্রিন্স উইলিয়াম। অ্যাপল টিভি প্লাসের শো ‘দ্য রিলাকট্যান্ট ট্রাভেলার’-এর জন্য সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর যুক্তরাজ্যের সিংহাসনে বসেছেন প্রিন্স উইলিয়ামের বাবা চার্লস। চার্লসের দুই ছেলের মধ্যে বড় প্রিন্স উইলিয়াম ব্রিটিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী। উইলিয়ামের ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারি। রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর বেশ আগে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর পারিবারিক টানাপোড়েনের জেরে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ছাড়েন হ্যারি-মেগান দম্পতি। তবে এখনো প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে ডিউক অব সাসেক্স পদবি ধারণ করেন। আর হ্যারিকে বিয়ের সুবাদে মেগান ডাচেস অব সাসেক্স।
বিবিসি জানায়, ইউজিন লেভিকে উইন্ডসর ক্যাসেল ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতেই প্রিন্স উইলিয়াম সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন। তিনি লেভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে এসে। স্কুটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই স্কুটারে চড়েই তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলের ভেতরে ঘুরে বেড়ান।
সাক্ষাৎকারে নিজের পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য দেন প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সতর্ক না থাকেন, তাহলে ইতিহাস আপনার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে। এমন কি মনে হতে পারে, আপনার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’
প্রিন্স উইলিয়াম এ সময় ঐতিহ্য বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তবে এটাও বলেন, রাজতন্ত্রকে প্রাসঙ্গিক রাখতে প্রশ্ন তুলতে তিনি দ্বিধা করেন না। তিনি বলেন, ‘ধারণ করে রাখা ঐতিহ্য নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এখনো কি এগুলো প্রাসঙ্গিক? এখনো কি এগুলো অনুসরণ কিংবা ধারণ করা উচিত? কাজেই আমি প্রশ্ন করতে পছন্দ করি।’
সাক্ষাৎকারের একটা পর্যায়ে প্রিন্স উইলিয়াম ও অভিনেতা লেভি ব্রিটিশ রাজপরিবারের পোষা কুকুর ওরলাকে নিয়ে দুর্গের ভেতরে ঘুরতে বের হন। এ সময় তাঁরা পরিবার, সন্তান, সংবাদমাধ্যমসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। বাবা রাজা চার্লস এবং স্ত্রী ক্যাথেরিনের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে পরিবারে, সে নিয়েও কথা বলেন উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘পরিবারকে ঘিরে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ আমাকে অনেকটাই বিপর্যস্ত করে তোলে।’
উইলিয়াম এ সময় স্ত্রী ক্যাথেরিন অসুস্থ থাকার সময় তাঁদের সন্তানদের কী অবস্থা হয়েছিল, সে নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় তাদের (সন্তান) প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। আমরা খুবই খোলামেলা পরিবার। যে বিষয়গুলো আমাদের ভাবায়, দুশ্চিন্তায় ফেলে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরস্পরের পাশে থাকা, সন্তানদের নিশ্চয়তা দেওয়া যে সবকিছু ঠিক আছে—এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় অভিনেতা লেভি প্রিন্স হ্যারির প্রসঙ্গ তোলেননি। তবে প্রিন্স উইলিয়াম নিজেই তাঁর ছোট ভাইয়ের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, হ্যারি আর আমি যখন বড় হয়েছি, সে সময়কার চর্চাগুলোয় আমরা আর ফেরত যাব না। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমি যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই করব।’
পরে অভিনেতা লেভি বিবিসিকে বলেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি লক্ষ করেছেন, প্রিন্স উইলিয়াম একদম অকপট। তিনি বিষয়টি লক্ষ করে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ সাক্ষাৎকার একেবারেই একটি খোলামেলা আলাপচারিতার মতো মনে হয়েছে। তিনি (প্রিন্স উইলিয়াম) আমাকে অকপটে তাঁর চিন্তা-চেতনার কথাগুলো বলেছেন।’
সাক্ষাৎকারের শেষদিকে এসে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, তিনি এমন এক বিশ্ব গড়তে চান, যা দেখে তাঁর ছেলের গর্ব হবে। তিনি বলেন, ‘জীবন সব সময় আমাদের পরীক্ষা নেয়। কখনো কখনো কোনো কোনো বিষয় চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। সে চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারার মধ্যেই আমাদের (মানুষ) পরিচয় লুকিয়ে রয়েছে। আমার স্ত্রী, আমার বাবা যেভাবে গত বছরের কঠিন সময়টা সামলেছেন, আমাদের সন্তানেরা যে সুন্দরভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলেছে, তার জন্য আমি গর্বিত।’
ব্রিটিশ রাজপুত্র উইলিয়াম বলেছেন, তিনি রাজা হলে রাজতন্ত্রের ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘ভালোর জন্য পরিবর্তনকে আমি স্বাগত জানাই। এ ধরনের পরিবর্তন আমি পছন্দ করি। আমি ভয় পাই না; বরং পরিবর্তন আনার মতো পরিকল্পনা আমাকে উদ্দীপ্ত করে। তবে সে পরিবর্তন একেবারে আমূল পরিবর্তন নয়। আমি মনে করি, পরিবর্তনটা হবে প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে।’
উইন্ডসরে কানাডীয় অভিনেতা ইউজিন লেভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন প্রিন্স উইলিয়াম। অ্যাপল টিভি প্লাসের শো ‘দ্য রিলাকট্যান্ট ট্রাভেলার’-এর জন্য সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর যুক্তরাজ্যের সিংহাসনে বসেছেন প্রিন্স উইলিয়ামের বাবা চার্লস। চার্লসের দুই ছেলের মধ্যে বড় প্রিন্স উইলিয়াম ব্রিটিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী। উইলিয়ামের ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারি। রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর বেশ আগে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর পারিবারিক টানাপোড়েনের জেরে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ছাড়েন হ্যারি-মেগান দম্পতি। তবে এখনো প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে ডিউক অব সাসেক্স পদবি ধারণ করেন। আর হ্যারিকে বিয়ের সুবাদে মেগান ডাচেস অব সাসেক্স।
বিবিসি জানায়, ইউজিন লেভিকে উইন্ডসর ক্যাসেল ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতেই প্রিন্স উইলিয়াম সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন। তিনি লেভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে এসে। স্কুটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই স্কুটারে চড়েই তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলের ভেতরে ঘুরে বেড়ান।
সাক্ষাৎকারে নিজের পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য দেন প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সতর্ক না থাকেন, তাহলে ইতিহাস আপনার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে। এমন কি মনে হতে পারে, আপনার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’
প্রিন্স উইলিয়াম এ সময় ঐতিহ্য বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তবে এটাও বলেন, রাজতন্ত্রকে প্রাসঙ্গিক রাখতে প্রশ্ন তুলতে তিনি দ্বিধা করেন না। তিনি বলেন, ‘ধারণ করে রাখা ঐতিহ্য নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এখনো কি এগুলো প্রাসঙ্গিক? এখনো কি এগুলো অনুসরণ কিংবা ধারণ করা উচিত? কাজেই আমি প্রশ্ন করতে পছন্দ করি।’
সাক্ষাৎকারের একটা পর্যায়ে প্রিন্স উইলিয়াম ও অভিনেতা লেভি ব্রিটিশ রাজপরিবারের পোষা কুকুর ওরলাকে নিয়ে দুর্গের ভেতরে ঘুরতে বের হন। এ সময় তাঁরা পরিবার, সন্তান, সংবাদমাধ্যমসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। বাবা রাজা চার্লস এবং স্ত্রী ক্যাথেরিনের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে পরিবারে, সে নিয়েও কথা বলেন উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘পরিবারকে ঘিরে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ আমাকে অনেকটাই বিপর্যস্ত করে তোলে।’
উইলিয়াম এ সময় স্ত্রী ক্যাথেরিন অসুস্থ থাকার সময় তাঁদের সন্তানদের কী অবস্থা হয়েছিল, সে নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় তাদের (সন্তান) প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। আমরা খুবই খোলামেলা পরিবার। যে বিষয়গুলো আমাদের ভাবায়, দুশ্চিন্তায় ফেলে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরস্পরের পাশে থাকা, সন্তানদের নিশ্চয়তা দেওয়া যে সবকিছু ঠিক আছে—এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় অভিনেতা লেভি প্রিন্স হ্যারির প্রসঙ্গ তোলেননি। তবে প্রিন্স উইলিয়াম নিজেই তাঁর ছোট ভাইয়ের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, হ্যারি আর আমি যখন বড় হয়েছি, সে সময়কার চর্চাগুলোয় আমরা আর ফেরত যাব না। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমি যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই করব।’
পরে অভিনেতা লেভি বিবিসিকে বলেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি লক্ষ করেছেন, প্রিন্স উইলিয়াম একদম অকপট। তিনি বিষয়টি লক্ষ করে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ সাক্ষাৎকার একেবারেই একটি খোলামেলা আলাপচারিতার মতো মনে হয়েছে। তিনি (প্রিন্স উইলিয়াম) আমাকে অকপটে তাঁর চিন্তা-চেতনার কথাগুলো বলেছেন।’
সাক্ষাৎকারের শেষদিকে এসে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, তিনি এমন এক বিশ্ব গড়তে চান, যা দেখে তাঁর ছেলের গর্ব হবে। তিনি বলেন, ‘জীবন সব সময় আমাদের পরীক্ষা নেয়। কখনো কখনো কোনো কোনো বিষয় চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। সে চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারার মধ্যেই আমাদের (মানুষ) পরিচয় লুকিয়ে রয়েছে। আমার স্ত্রী, আমার বাবা যেভাবে গত বছরের কঠিন সময়টা সামলেছেন, আমাদের সন্তানেরা যে সুন্দরভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলেছে, তার জন্য আমি গর্বিত।’
সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। কিন্তু এই ছবি পছন্দ না হওয়ায় ম্যাগাজিনটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন—ছবিতে তাঁর চুল ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
১২ ঘণ্টা আগে