
অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই ভোটে হারলে কে হতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন হবু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে তাঁদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। রয়টার্সের তালিকায় বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাবি এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডন্ট।
লিজ ট্রাস 
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়া এই নেত্রী এবং দলের হাইকমান্ডেও সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি লিজ ট্রাস নিজেকে ইংল্যান্ডের লৌহমানবী বলে খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের মতো করে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। 
৪৬ বছরের এই নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমলে প্রথমে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতেও রেখেছে কার্যকরী ভূমিকা। সর্বশেষ গত বছর তাঁর কাজের মূল্যায়ন হিসেবে তিনি ব্রিটেনের পক্ষ থেকে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রধান আলোচক হিসেবে নিযুক্ত হন।
তবে, লিজ ট্রাস জানিয়েছেন—তিনি এখনো বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ আস্থা রাখছেন এবং তাঁর অন্যান্য সহকর্মীদেরও উচিত বরিসকে সমর্থন করা।
জেরেমি হান্ট 
৫৫ বছর বয়সী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার। এর আগে দলীয় নেতা নির্বাচনের সময় ২০১৯ সালে তিনি বরিস জনসনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। সেসময় দ্বিতীয় স্থানেই ছিলেন এই নেতা। বিশ্লেষকদের ধারণা, জেরেমি হান্ট বরিস জনসনের চেয়ে আরও সচেতন এবং কম বিতর্কিতভাবে শাসনক্ষমতা চালিয়ে নিতে সক্ষম। 
বিগত দুই বছরে বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে জেরেমি হান্ট দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির করোনা মহামারি পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামলেছেন। এমনকি, এ বছরের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা তাঁর এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
ঋষি সুনাক 
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত বছর পর্যন্তও জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। সেসময় তিনি, করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্যাকেজ গ্রহণের জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। যার কারণে দেশটি গণ বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। 
তবে তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছেন, জনসাধারণকে গৃহস্থালির ব্যয় বৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। এ ছাড়া, তাঁর স্ত্রীকেন্দ্রিক দুর্নীতি এবং পার্টিগেট কেলেঙ্কারি তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা হিসেবে হাজির হতে পারে।
এ ছাড়া, তাঁর ট্যাক্স এবং ব্যয় বাজেট গত বছর ব্রিটেনকে ১৯৫০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধরনের ট্যাক্সের মুখোমুখি করেছে। এটিও তাঁর জন্য একটি ডিমেরিট পয়েন্ট হিসেবে দেখা দিতে পারে। তবে, লিজ ট্রাসের মতো সুনাকও জানিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনসনের প্রতিই তাঁর আস্থা।
নাদিম জাহাবি 
ব্রিটেনের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এর আগে দেশটির ভ্যাকসিন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তাঁর দায়িত্বেই ব্রিটেন করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে। ব্যক্তি জীবনে ইরাক থেকে ইংল্যান্ডে শরণার্থী হয়ে আসা জাহাবি তরুণ বয়েস থেকেই কনজারভেটিভ দলের রাজনীতির দিকে ঝোঁকেন। ২০১০ সালে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। 
নাদিম জাহাবি বৈশ্বিক জনমত যাচাইকারী সংস্থা ‘ইউগভ’–এর একজন সহ–প্রতিষ্ঠাতা। গত সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে নাদিম বলেছিলেন ‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া তাঁর জন্য একটি বড় পাওয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।’
পেনি মরডন্ট 
রয়টার্সের করা তালিকায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও যে যে নামটি রয়েছে তা হলো পেনি মরডন্ট। ব্রিটেনের সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জনসন ক্ষমতায় আসার পর বরখাস্ত করেছিলেন। কারণ, ২০১৯ সালে দলীয় নেতা নির্বাচনের সময় মরডন্ট জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে সমর্থন দিয়েছিলেন। 
মরডন্ট ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পোলের অন্যতম সমর্থনকারী নেতা। তিনি সেসময় প্রায়ই বিভিন্ন টিভি শোতে এসে ব্রেক্সিটের পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা চালাতেন।
বর্তমানে দেশটির জুনিয়র ট্রেড মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মরডন্ট জনসন কর্তৃক কোভিড আইন ভঙ্গ করে পার্টি করার ঘটনাকে সরকারের জন্য ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণ সরকারের কাছ থেকে পেশাদারিত্ব এবং যোগ্যতার পরিচয় চায়। স্পষ্টতই তিনি জনসনের বিরোধী।

অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই ভোটে হারলে কে হতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন হবু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে তাঁদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। রয়টার্সের তালিকায় বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাবি এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডন্ট।
লিজ ট্রাস 
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়া এই নেত্রী এবং দলের হাইকমান্ডেও সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি লিজ ট্রাস নিজেকে ইংল্যান্ডের লৌহমানবী বলে খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের মতো করে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। 
৪৬ বছরের এই নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমলে প্রথমে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতেও রেখেছে কার্যকরী ভূমিকা। সর্বশেষ গত বছর তাঁর কাজের মূল্যায়ন হিসেবে তিনি ব্রিটেনের পক্ষ থেকে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রধান আলোচক হিসেবে নিযুক্ত হন।
তবে, লিজ ট্রাস জানিয়েছেন—তিনি এখনো বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ আস্থা রাখছেন এবং তাঁর অন্যান্য সহকর্মীদেরও উচিত বরিসকে সমর্থন করা।
জেরেমি হান্ট 
৫৫ বছর বয়সী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার। এর আগে দলীয় নেতা নির্বাচনের সময় ২০১৯ সালে তিনি বরিস জনসনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। সেসময় দ্বিতীয় স্থানেই ছিলেন এই নেতা। বিশ্লেষকদের ধারণা, জেরেমি হান্ট বরিস জনসনের চেয়ে আরও সচেতন এবং কম বিতর্কিতভাবে শাসনক্ষমতা চালিয়ে নিতে সক্ষম। 
বিগত দুই বছরে বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে জেরেমি হান্ট দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির করোনা মহামারি পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামলেছেন। এমনকি, এ বছরের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা তাঁর এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
ঋষি সুনাক 
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত বছর পর্যন্তও জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। সেসময় তিনি, করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্যাকেজ গ্রহণের জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। যার কারণে দেশটি গণ বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। 
তবে তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছেন, জনসাধারণকে গৃহস্থালির ব্যয় বৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। এ ছাড়া, তাঁর স্ত্রীকেন্দ্রিক দুর্নীতি এবং পার্টিগেট কেলেঙ্কারি তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা হিসেবে হাজির হতে পারে।
এ ছাড়া, তাঁর ট্যাক্স এবং ব্যয় বাজেট গত বছর ব্রিটেনকে ১৯৫০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধরনের ট্যাক্সের মুখোমুখি করেছে। এটিও তাঁর জন্য একটি ডিমেরিট পয়েন্ট হিসেবে দেখা দিতে পারে। তবে, লিজ ট্রাসের মতো সুনাকও জানিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনসনের প্রতিই তাঁর আস্থা।
নাদিম জাহাবি 
ব্রিটেনের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এর আগে দেশটির ভ্যাকসিন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তাঁর দায়িত্বেই ব্রিটেন করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে। ব্যক্তি জীবনে ইরাক থেকে ইংল্যান্ডে শরণার্থী হয়ে আসা জাহাবি তরুণ বয়েস থেকেই কনজারভেটিভ দলের রাজনীতির দিকে ঝোঁকেন। ২০১০ সালে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। 
নাদিম জাহাবি বৈশ্বিক জনমত যাচাইকারী সংস্থা ‘ইউগভ’–এর একজন সহ–প্রতিষ্ঠাতা। গত সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে নাদিম বলেছিলেন ‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া তাঁর জন্য একটি বড় পাওয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।’
পেনি মরডন্ট 
রয়টার্সের করা তালিকায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও যে যে নামটি রয়েছে তা হলো পেনি মরডন্ট। ব্রিটেনের সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জনসন ক্ষমতায় আসার পর বরখাস্ত করেছিলেন। কারণ, ২০১৯ সালে দলীয় নেতা নির্বাচনের সময় মরডন্ট জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে সমর্থন দিয়েছিলেন। 
মরডন্ট ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পোলের অন্যতম সমর্থনকারী নেতা। তিনি সেসময় প্রায়ই বিভিন্ন টিভি শোতে এসে ব্রেক্সিটের পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা চালাতেন।
বর্তমানে দেশটির জুনিয়র ট্রেড মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মরডন্ট জনসন কর্তৃক কোভিড আইন ভঙ্গ করে পার্টি করার ঘটনাকে সরকারের জন্য ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণ সরকারের কাছ থেকে পেশাদারিত্ব এবং যোগ্যতার পরিচয় চায়। স্পষ্টতই তিনি জনসনের বিরোধী।


নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
২ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এএনপি জানায়, ইউরোপপন্থী এই লিবারেল দলটিকে এখন আর গির্ট উইল্ডার্সের কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) পেছনে ফেলতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসের সব পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএনপি।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘দেশের ভোটাররা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট গঠন করতে চাই, যারা বাসস্থান, অভিবাসন, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করবে।’
তবে পরাজয় স্বীকার করেননি গির্ট উইল্ডার্স। তিনি এক্সে জেটেনকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করা অন্যায়।’ দেশটির নির্বাচনী পরিষদ আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবে।
এএনপির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ডি৬৬ এখন সরকারের নেতৃত্ব গঠনের প্রথম পর্বের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে ১৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির অন্তত তিনটি জোটসঙ্গীর প্রয়োজন হবে। নেদারল্যান্ডসে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে।
উইল্ডার্স দাবি করেন, সারা দেশ থেকে তাঁকে ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। যদিও তিনি নিজেই বলেন, এসব বার্তা কতটা সত্য, তা তিনি জানেন না, তবে সেগুলো তদন্ত করা উচিত।
এদিকে এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে কিছু কেন্দ্র। আমস্টারডামের উত্তরাঞ্চলের শহর জানস্টাড পৌর কর্তপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভোট গ্রহণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
এই নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ডি৬৬ নিজেদের আসনসংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়া পিভিভির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
তবে ভোট গণনা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ—প্রাথমিক ফলাফলে ডি৬৬ সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যায়ে পিভিভি সাময়িকভাবে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এএনপি নিশ্চিত করে, জয়ের ব্যবধান অল্প হলেও ডি৬৬-ই এগিয়ে রয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত ডাচ নাগরিকদের ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনার পর আগামী সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। জয়ী দলের নেতারা মঙ্গলবার থেকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।

নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এএনপি জানায়, ইউরোপপন্থী এই লিবারেল দলটিকে এখন আর গির্ট উইল্ডার্সের কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) পেছনে ফেলতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসের সব পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএনপি।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘দেশের ভোটাররা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট গঠন করতে চাই, যারা বাসস্থান, অভিবাসন, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করবে।’
তবে পরাজয় স্বীকার করেননি গির্ট উইল্ডার্স। তিনি এক্সে জেটেনকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করা অন্যায়।’ দেশটির নির্বাচনী পরিষদ আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবে।
এএনপির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ডি৬৬ এখন সরকারের নেতৃত্ব গঠনের প্রথম পর্বের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে ১৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির অন্তত তিনটি জোটসঙ্গীর প্রয়োজন হবে। নেদারল্যান্ডসে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে।
উইল্ডার্স দাবি করেন, সারা দেশ থেকে তাঁকে ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। যদিও তিনি নিজেই বলেন, এসব বার্তা কতটা সত্য, তা তিনি জানেন না, তবে সেগুলো তদন্ত করা উচিত।
এদিকে এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে কিছু কেন্দ্র। আমস্টারডামের উত্তরাঞ্চলের শহর জানস্টাড পৌর কর্তপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভোট গ্রহণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
এই নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ডি৬৬ নিজেদের আসনসংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়া পিভিভির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
তবে ভোট গণনা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ—প্রাথমিক ফলাফলে ডি৬৬ সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যায়ে পিভিভি সাময়িকভাবে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এএনপি নিশ্চিত করে, জয়ের ব্যবধান অল্প হলেও ডি৬৬-ই এগিয়ে রয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত ডাচ নাগরিকদের ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনার পর আগামী সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। জয়ী দলের নেতারা মঙ্গলবার থেকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।


অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই ভোটে হারলে কে হতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
০৬ জুন ২০২২
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে। তবে রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন থেকে তিনি তাঁর ভাই রাজা চার্লসের আর্থিক অনুদানে জীবন চালাবেন। রাজা নিজেই অ্যান্ড্রুর নতুন আবাসনের খরচ বহন করছেন বলে জানা গেছে।
শুধু ভাই অ্যন্ড্রু নয়, রাজপরিবারের আরও অনেক খাতেই রাজাকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এত বিপুল রাজকীয় ব্যয় রাজা কীভাবে সামাল দেন, কোন উৎস থেকে তিনি টাকা পান, সাধারণ মানুষের কাছে তা চরম কৌতূহলের বিষয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকেই কোটি কোটি পাউন্ড পায় ব্রিটিশ রাজপরিবার। ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এটি রাজা চার্লসের একমাত্র আয় নয়।
‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ থেকে কত আসে?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২১ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অনুদান ছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড ছিল মূল রাজকীয় ব্যয়ের জন্য এবং ৩ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড ব্যয় করা হয় বাকিংহাম প্যালেস আধুনিকায়ন প্রকল্পে।
২০১২ সালে এই বরাদ্দ যখন চালু হয়েছিল, তখন এটির পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
আছে ‘ক্রাউন এস্টেট’ আয়
এই অনুদান নির্ধারিত হয় ‘ক্রাউন এস্টেট’ এর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে। এই সম্পত্তি রাজার মালিকানাধীন হলেও তা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং আয় সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এরপর সেই মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ সালে ক্রাউন এস্টেটের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটসহ বিপুল সম্পত্তি ও উপকূলবর্তী ভূমি। তবে এই সম্পত্তি রাজা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি বা নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না।
এই খাতের আয় থেকে ২০১৭ সালে রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দের হার বাড়িয়ে মুনাফার ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছিল মূলত বাকিংহাম প্যালেস সংস্কারের জন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়। তবু অফশোর উইন্ডফার্মের মুনাফা বৃদ্ধির কারণে এই বছর এই রাজা চার্লস প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি পেয়েছেন।
রাজপরিবারের অন্য আয়
রাজা চার্লস ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার নামের একটি ব্যক্তিগত এস্টেট থেকেও আয় করেন, যা ১৮ হাজার হেক্টর জমি ও বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ পাউন্ড।
অন্যদিকে, রাজার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম পান ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে আয়। ওই সম্পদের মূল্য ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড।
এই দুটি সম্পত্তির আয় রাজা ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এস্টেটের সম্পদ বিক্রি করলে, সেই অর্থ নিজেদের কাছে রাখতে পারেন না।
চার্লসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ‘বালমোরাল’ ও ‘স্যান্ড্রিংহাম’ এস্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটেই থাকতে দেবেন রাজা চার্লস।
কর দেয় রাজপরিবার
১৯৯২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজের আয় থেকে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজা চার্লসও তা অনুসরণ করছেন। তবে তাঁরা কত কর দেন তা প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দ ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ এই করের আওতায় পড়ে না।
এদিকে ‘রিপাবলিক’ নামে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যয়সহ রাজতন্ত্র বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের জনগণের বছরে প্রায় ৫১ কোটি পাউন্ড খরচ হয়।

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে। তবে রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন থেকে তিনি তাঁর ভাই রাজা চার্লসের আর্থিক অনুদানে জীবন চালাবেন। রাজা নিজেই অ্যান্ড্রুর নতুন আবাসনের খরচ বহন করছেন বলে জানা গেছে।
শুধু ভাই অ্যন্ড্রু নয়, রাজপরিবারের আরও অনেক খাতেই রাজাকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এত বিপুল রাজকীয় ব্যয় রাজা কীভাবে সামাল দেন, কোন উৎস থেকে তিনি টাকা পান, সাধারণ মানুষের কাছে তা চরম কৌতূহলের বিষয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকেই কোটি কোটি পাউন্ড পায় ব্রিটিশ রাজপরিবার। ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এটি রাজা চার্লসের একমাত্র আয় নয়।
‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ থেকে কত আসে?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২১ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অনুদান ছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড ছিল মূল রাজকীয় ব্যয়ের জন্য এবং ৩ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড ব্যয় করা হয় বাকিংহাম প্যালেস আধুনিকায়ন প্রকল্পে।
২০১২ সালে এই বরাদ্দ যখন চালু হয়েছিল, তখন এটির পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
আছে ‘ক্রাউন এস্টেট’ আয়
এই অনুদান নির্ধারিত হয় ‘ক্রাউন এস্টেট’ এর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে। এই সম্পত্তি রাজার মালিকানাধীন হলেও তা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং আয় সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এরপর সেই মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ সালে ক্রাউন এস্টেটের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটসহ বিপুল সম্পত্তি ও উপকূলবর্তী ভূমি। তবে এই সম্পত্তি রাজা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি বা নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না।
এই খাতের আয় থেকে ২০১৭ সালে রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দের হার বাড়িয়ে মুনাফার ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছিল মূলত বাকিংহাম প্যালেস সংস্কারের জন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়। তবু অফশোর উইন্ডফার্মের মুনাফা বৃদ্ধির কারণে এই বছর এই রাজা চার্লস প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি পেয়েছেন।
রাজপরিবারের অন্য আয়
রাজা চার্লস ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার নামের একটি ব্যক্তিগত এস্টেট থেকেও আয় করেন, যা ১৮ হাজার হেক্টর জমি ও বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ পাউন্ড।
অন্যদিকে, রাজার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম পান ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে আয়। ওই সম্পদের মূল্য ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড।
এই দুটি সম্পত্তির আয় রাজা ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এস্টেটের সম্পদ বিক্রি করলে, সেই অর্থ নিজেদের কাছে রাখতে পারেন না।
চার্লসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ‘বালমোরাল’ ও ‘স্যান্ড্রিংহাম’ এস্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটেই থাকতে দেবেন রাজা চার্লস।
কর দেয় রাজপরিবার
১৯৯২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজের আয় থেকে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজা চার্লসও তা অনুসরণ করছেন। তবে তাঁরা কত কর দেন তা প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দ ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ এই করের আওতায় পড়ে না।
এদিকে ‘রিপাবলিক’ নামে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যয়সহ রাজতন্ত্র বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের জনগণের বছরে প্রায় ৫১ কোটি পাউন্ড খরচ হয়।


অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই ভোটে হারলে কে হতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
০৬ জুন ২০২২
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে এই সংখ্যা যোগ করলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০।
কিতোকা জানান, দলের সদস্যরা দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এএফপি জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা সূত্র থেকেও একই ধরনের তথ্য পেয়েছে।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তানজানিয়া সরকারও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেনি, শুধু বলেছে—দেশে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়’ নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র সেইফ মাগাঙ্গো আজ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ না করে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।’
এর আগে গত বুধবার তানজানিয়ার বাণিজ্যিক শহর দার এস সালামে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ শহরে ৭০ লাখের বেশি মানুষের বাস। ওই দিন নির্বাচনে প্রধান দুই বিরোধী দলকে অংশ নিতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন, একটি পেট্রলপাম্প ও কয়েকটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল জ্যাকব জন মুকুন্দা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া ভাষণে জেনারেল মুকুন্দা বলেন, গত বুধবার কিছু লোক রাস্তায় নেমে অপরাধমূলক কাজ করেছে। তারা অপরাধী এবং এই অপরাধমূলক কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামের রাস্তায় আবারও নেমেছেন। আজ তাঁরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির নির্বাচন কমিশনকে ফল ঘোষণা বন্ধ করার দাবি জানান। কিন্তু সরকার সেনা মোতায়েন করে এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
চাদেমা মুখপাত্র কিতোকা বলেন, ‘আমরা সংস্কারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’
এদিকে, সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কায় তানজানিয়ার প্রধান মুসলিম ধর্মগুরু শেখ আবুবকর জুবাইর বিন আলি মুসলমানদের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তানজানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির তথ্যমতে, দেশের মোট ১০০টি অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮০টি অঞ্চলের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান আবারও নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলটি ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তানজানিয়া শাসন করছে। আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামিয়া হাসান ২০২১ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর সরকার সমালোচক, সাংবাদিক ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত।
জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে ‘বিরোধীদের ওপর আক্রমণ, গুম ও নির্যাতনের’ ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তাঁর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান বিরোধী দল চাদেমা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জাতীয় নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে দলের নেতা তুনদু লিসু এক জনসভায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুললে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল এসিটি ওয়াজালেন্দোর প্রার্থী লুহাগা এমপিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির পর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মাসের পর মাস ধরে তানজানিয়ার নির্বাচনসংক্রান্ত সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। গত জুনে জাতিসংঘের নয়জন বিশেষজ্ঞ প্যানেল এক বিবৃতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করে এবং ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাধিক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করার কথা জানায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত ১০টি রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত হামলা, হয়রানি, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এ ছাড়া গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনের ওপর ব্যাপক সীমাবদ্ধতাও আরোপ করা হয়েছে।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে এই সংখ্যা যোগ করলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০।
কিতোকা জানান, দলের সদস্যরা দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এএফপি জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা সূত্র থেকেও একই ধরনের তথ্য পেয়েছে।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তানজানিয়া সরকারও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেনি, শুধু বলেছে—দেশে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়’ নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র সেইফ মাগাঙ্গো আজ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ না করে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।’
এর আগে গত বুধবার তানজানিয়ার বাণিজ্যিক শহর দার এস সালামে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ শহরে ৭০ লাখের বেশি মানুষের বাস। ওই দিন নির্বাচনে প্রধান দুই বিরোধী দলকে অংশ নিতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন, একটি পেট্রলপাম্প ও কয়েকটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল জ্যাকব জন মুকুন্দা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া ভাষণে জেনারেল মুকুন্দা বলেন, গত বুধবার কিছু লোক রাস্তায় নেমে অপরাধমূলক কাজ করেছে। তারা অপরাধী এবং এই অপরাধমূলক কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামের রাস্তায় আবারও নেমেছেন। আজ তাঁরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির নির্বাচন কমিশনকে ফল ঘোষণা বন্ধ করার দাবি জানান। কিন্তু সরকার সেনা মোতায়েন করে এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
চাদেমা মুখপাত্র কিতোকা বলেন, ‘আমরা সংস্কারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’
এদিকে, সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কায় তানজানিয়ার প্রধান মুসলিম ধর্মগুরু শেখ আবুবকর জুবাইর বিন আলি মুসলমানদের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তানজানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির তথ্যমতে, দেশের মোট ১০০টি অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮০টি অঞ্চলের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান আবারও নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলটি ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তানজানিয়া শাসন করছে। আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামিয়া হাসান ২০২১ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর সরকার সমালোচক, সাংবাদিক ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত।
জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে ‘বিরোধীদের ওপর আক্রমণ, গুম ও নির্যাতনের’ ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তাঁর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান বিরোধী দল চাদেমা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জাতীয় নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে দলের নেতা তুনদু লিসু এক জনসভায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুললে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল এসিটি ওয়াজালেন্দোর প্রার্থী লুহাগা এমপিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির পর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মাসের পর মাস ধরে তানজানিয়ার নির্বাচনসংক্রান্ত সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। গত জুনে জাতিসংঘের নয়জন বিশেষজ্ঞ প্যানেল এক বিবৃতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করে এবং ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাধিক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করার কথা জানায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত ১০টি রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত হামলা, হয়রানি, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এ ছাড়া গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনের ওপর ব্যাপক সীমাবদ্ধতাও আরোপ করা হয়েছে।


অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই ভোটে হারলে কে হতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
০৬ জুন ২০২২
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
২ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
২ ঘণ্টা আগে
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকারে রুহানি তাঁর শাসনামলকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
একই সঙ্গে বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) এর নীতির সমালোচনা করছেন রুহানি। এমনকি এক সাহসী মন্তব্যে তিনি বলেছেন—সাম্প্রতিক ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময় জনগণ দেশকেই সমর্থন করেছে, কোনো শাসকগোষ্ঠীকে নয়। তাঁর এই বক্তব্য সরাসরি ইরান সরকারের প্রচলিত কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ করে।
এদিকে ৮৬ বছর বয়সী খামেনির পর নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রুহানি নিজেকে এক বাস্তববাদী ও সংস্কারমুখী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চান—যিনি পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত ও অভ্যন্তরীণ দমননীতি কিছুটা শিথিল করতে পারেন।
তবে রুহানির সম্ভাব্য উত্থান কঠোরপন্থীদের আতঙ্কিত করেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ফাঁস হয়, যেখানে রুহানির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক উপদেষ্টা আলি শামখানির মেয়েকে বিয়ের অনুষ্ঠানে খোলামেলা পোশাকে দেখা গেছে। শামখানির কন্যার এমন পোশাক দেখে রক্ষণশীল মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু শামখানির সমর্থকেরা অভিযোগ করেছেন, ওই ভিডিও ফাঁসের পেছনে রুহানির শিবিরের হাত রয়েছে।
এরপর থেকেই আইআরজিসি-এর শীর্ষ নেতারা রুহানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলি জাফারি অভিযোগ করেছেন, রুহানি তাঁর আমলে বিপ্লবী গার্ডের বাজেট সীমিত করেছিলেন। রুহানি ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে রাশিয়ার সমালোচনার জন্য অভিযুক্ত করেছেন সংসদের বর্তমান স্পিকার ও সাবেক আরেক কমান্ডার বাঘের গালিবাফ। এমনকি সংসদে কিছু সদস্য ‘রুহানির বিচার চাই’ ও ‘ফেরেদিউনের মৃত্যু হোক’ (রুহানির জন্মনাম ফেরেদিউন) বলে স্লোগান দিয়েছেন।
তবে এসবের প্রতিক্রিয়ায় রুহানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হেসামউদ্দিন আশনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিপ্লবী গার্ড যেন ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ না খোলে। তাহলে তাদের দুর্নীতির নথি প্রকাশ পাবে। এর আগেও গার্ডের দুর্নীতি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও আলোড়ন তুলেছিল।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি নিজে সম্প্রতি দলগুলোর ঐক্য কামনা করেছেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তাঁর জীবিত থাকা পর্যন্ত হয়তো লড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার ঘিরে যে সংকট আসছে, তা ইরানের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকারে রুহানি তাঁর শাসনামলকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
একই সঙ্গে বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) এর নীতির সমালোচনা করছেন রুহানি। এমনকি এক সাহসী মন্তব্যে তিনি বলেছেন—সাম্প্রতিক ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময় জনগণ দেশকেই সমর্থন করেছে, কোনো শাসকগোষ্ঠীকে নয়। তাঁর এই বক্তব্য সরাসরি ইরান সরকারের প্রচলিত কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ করে।
এদিকে ৮৬ বছর বয়সী খামেনির পর নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রুহানি নিজেকে এক বাস্তববাদী ও সংস্কারমুখী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চান—যিনি পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত ও অভ্যন্তরীণ দমননীতি কিছুটা শিথিল করতে পারেন।
তবে রুহানির সম্ভাব্য উত্থান কঠোরপন্থীদের আতঙ্কিত করেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ফাঁস হয়, যেখানে রুহানির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক উপদেষ্টা আলি শামখানির মেয়েকে বিয়ের অনুষ্ঠানে খোলামেলা পোশাকে দেখা গেছে। শামখানির কন্যার এমন পোশাক দেখে রক্ষণশীল মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু শামখানির সমর্থকেরা অভিযোগ করেছেন, ওই ভিডিও ফাঁসের পেছনে রুহানির শিবিরের হাত রয়েছে।
এরপর থেকেই আইআরজিসি-এর শীর্ষ নেতারা রুহানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলি জাফারি অভিযোগ করেছেন, রুহানি তাঁর আমলে বিপ্লবী গার্ডের বাজেট সীমিত করেছিলেন। রুহানি ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে রাশিয়ার সমালোচনার জন্য অভিযুক্ত করেছেন সংসদের বর্তমান স্পিকার ও সাবেক আরেক কমান্ডার বাঘের গালিবাফ। এমনকি সংসদে কিছু সদস্য ‘রুহানির বিচার চাই’ ও ‘ফেরেদিউনের মৃত্যু হোক’ (রুহানির জন্মনাম ফেরেদিউন) বলে স্লোগান দিয়েছেন।
তবে এসবের প্রতিক্রিয়ায় রুহানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হেসামউদ্দিন আশনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিপ্লবী গার্ড যেন ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ না খোলে। তাহলে তাদের দুর্নীতির নথি প্রকাশ পাবে। এর আগেও গার্ডের দুর্নীতি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও আলোড়ন তুলেছিল।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি নিজে সম্প্রতি দলগুলোর ঐক্য কামনা করেছেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তাঁর জীবিত থাকা পর্যন্ত হয়তো লড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার ঘিরে যে সংকট আসছে, তা ইরানের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।


অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির দায়ে তাঁকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই ভোটে হারলে কে হতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
০৬ জুন ২০২২
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
২ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে