Ajker Patrika

ইইউ থেকে সরে আসার হুঁশিয়ারি এরদোয়ানের

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১: ০৩
ইইউ থেকে সরে আসার হুঁশিয়ারি এরদোয়ানের

প্রয়োজনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে সরে আসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি কত দূর এগিয়েছে—এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে এ কথা জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইইউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদ্যমান কাঠামোয় কোনো অবস্থাতেই আঙ্কারাকে ২৭ সদস্যের জোটে যুক্ত করা সম্ভব নয়।

তুরস্ক ২৪ বছর ধরে ইইউয়ের সদস্য হতে চাইলেও জোটটি তুরস্কের মানবাধিকার ও আইনের শাসনের বিষয়টি নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব বিষয়ের ইউরোপীয় জোটের উদ্বেগের কারণে বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশটির ইইউভুক্ত হওয়ার আলোচনা স্থগিত রয়েছে। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান বলেন, ‘ইইউ তুরস্ককে দূরে রাখার চেষ্টা করছে’। তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা নিজেরাই এসব বিষয় মূল্যায়ন (ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্ক বিষয়ে মূল্যায়ন) করতে সক্ষম এবং প্রয়োজনে ইইউ থেকে সরে আসবে তুরস্ক।’

চলতি সপ্তাহের শুরুতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। একটি দেশকে সদস্যভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইইউর এই আচরণ অস্পষ্ট ও অদূরদর্শী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নামাজ পড়ায় গোমূত্র দিয়ে দুর্গ ‘শুদ্ধ’ করলেন বিজেপি এমপি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
‘শনিবার ওয়াড়া’তে নারীদের নামাজ ও বিজেপি এমপির গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধিকরণ। ছবি: এনডিটিভি
‘শনিবার ওয়াড়া’তে নারীদের নামাজ ও বিজেপি এমপির গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধিকরণ। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের পুনেতে অবস্থিত দুর্গ ‘শনিবার ওয়াড়া’ মারাঠিদের ঐতিহ্য। সম্প্রতি এই দুর্গে নারীদের নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনজন নারী চাদর বিছিয়ে নামাজ পড়ছেন। এই ভিডিও দেখে ওই স্থানটি গোমূত্র দিয়ে ‘শুদ্ধ’ করলেন বিজেপি সংসদ সদস্য মেধা কুলকার্নি। এ ঘটনায় ভারতের রাজনীতিতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

মেধা কুলকার্নির এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের নেতাদের নিয়ে নারীদের নামাজ পড়ার স্থানটি ‘শুদ্ধ’ করার জন্য গোমূত্র (গরুর প্রস্রাব) দিয়ে পরিস্কার করছেন এবং শিববন্দনা করছেন। কুলকার্নির মতে, মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতীক এই বিখ্যাত পুনের দুর্গে এমন ঘটনা (নামাজ পড়া) প্রত্যেক পুনেবাসীর জন্য ‘উদ্বেগ ও ক্ষোভের কারণ’।

কুলকার্নি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক। শনিবার ওয়াড়া নামাজ পড়ার জায়গা নয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। আমরা শনিবার ওয়াড়ায় শিববন্দনা করেছি। স্থানটি শুদ্ধ করেছি। একটি গেরুয়া পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কর্মকর্তারা দেননি। এই লোকেরা যেকোনো জায়গায় নামাজ পড়ে। তারপর সেটাকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলতে থাকে। এখন হিন্দু সমাজ সতর্ক হয়ে গেছে।’

দুর্গে নামাজ পড়া নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নিতেশ রানে। তিনি বলেন, ‘শনিবার ওয়াড়ার একটি ইতিহাস আছে। এটি সাহসিকতার প্রতীক। শনিবার ওয়াড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি হিন্দুরা হাজি আলী দরগায় গিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ শুরু করেন, তাহলে কি মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে না? আপনারা মসজিদে নামাজ পড়ুন। এমনটা চললে হাজি আলীতে হনুমান চালিসা এবং আরতি করলে তাহলে আপনাদেরও আপত্তি করা উচিত হবে না।’

এদিকে বিজেপি সাংসদ মেধা কুলকার্নির এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতারা। অজিত পাওয়ারের এনসিপির মুখপাত্র রূপালী পাটিল থোমব্রে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে কুলকার্নির বিরুদ্ধে মামলা করতে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। থোমব্রে বলেন, ‘তিনি হিন্দু বনাম মুসলিমের প্রশ্ন তুলছেন, অথচ পুনেতে উভয় সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে।’

বিজেপিকে ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বহুত্ববাদ ধ্বংস করার’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর মুখপাত্র ওয়ারিশ পাঠান। তিনি বলেন, “তারা শুধু বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। জুম্মার দিনে যদি ৩-৪ জন নারী একটি জায়গায় নামাজ পড়েছে তাতে কী সমস্যা হলো? আমরা তো কখনো আপত্তি করিনি যখন হিন্দুরা ট্রেনে বা বিমানবন্দরে ‘গারবা’ (নবরাত্রি পালনের আচার) করে। এএসআই স্মৃতিসৌধ সবার জন্য। মাত্র ৩ মিনিটের নামাজে আপনার এত বিরক্তির হলো? কিন্তু সংবিধানের ধারা ২৫ ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার প্রদান করে। তাহলে আপনারা আর কত ঘৃণা ছড়াবেন? আপনাদের মন শুদ্ধ করা উচিত, মনে বিদ্বেষ বাসা বেঁধেছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গে নামাজ পড়ার ঘটনায় ওই নারীদের বিরুদ্ধে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)-এর এক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা করা হয়েছে। দুর্গে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ‘শনিবার ওয়াড়ার এএসআই স্মৃতিসৌধের ভেতরে ধর্মীয় প্রার্থনা করা হয়েছিল। এএসআই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করব। আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা দেব, নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি থাকবে না। এএসআইর কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকতে আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি। এএসআইর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫০
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটুকরো বাংলাদেশ। ছবি: ফেসবুক
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটুকরো বাংলাদেশ। ছবি: ফেসবুক

গত ১৯ সেপ্টেম্বর দক্ষ কর্মীদের জন্য নির্ধারিত এইচ-১বি ভিসার ওপর বার্ষিক এক লাখ ডলারের ফি আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল, চিকিৎসা ও গবেষণার মতো খাতগুলোতে প্রতিবছর বিদেশি দক্ষ কর্মীরা কাজের সুযোগ পান। এইচ-১বি ভিসা তিন বছর মেয়াদের হয়ে থাকে, যা পরে সর্বোচ্চ ছয় বছর বাড়ানো যায়। আর এ সময়ের মধ্যে চাইলে গ্রিন কার্ডের আবেদনও করতে পারেন কর্মীরা। এ কারণে এই ভিসার জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে আবেদন পড়ে।

ট্রাম্পের এই ফি আরোপের ঘোষণা বিশ্বজুড়ে এইচ-১বি ভিসাধারী এবং প্রত্যাশী দক্ষ কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে। পরে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, বার্ষিক নয়, এককালীন হবে এই ফি এবং যারা এরই মধ্যে দেশটিতে অবস্থান করছেন বা ভিসাটি নিয়েছেন তাঁদের আর ফি দিতে হবে না। শুধু সম্পূর্ণ নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে এই ফি।

প্রশাসনের এ ঘোষণায় ভিসাধারীদের মনে স্বস্তি এলেও যাঁরা এইচ-১বি ভিসা প্রত্যাশী বা অপেক্ষমাণ তাঁদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। দক্ষ কর্মী খাতে প্রতি কর্মীর পেছনে এক লাখ ডলার ফি স্পনসর করবে কি না মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো—এ চিন্তায় পড়ে যান কর্মীরা। এই কর্মীগোষ্ঠীতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশিও রয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকেও খুব কমসংখ্যক দক্ষ কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পান, তবে শিক্ষার্থী হিসেবে দেশটিতে গিয়ে পরে কর্মী ভিসা নেওয়ার সংখ্যাই বেশি। যাঁদের মধ্যে অনেকে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য দ্বিতীয় দফায় পড়া শুরু করেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে এফ-১ ভিসায় পড়াশোনা শেষে অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং বা ওপিটিতে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। এ সময়ের পর যদি ওই স্নাতক ডিগ্রিধারীকে কোনো কোম্পানি চাকরিতে রাখতে চায়, তাহলে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।

২০২৪ সালের ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১৭ হাজার ৯৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যান। যা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তুলনায়, যা ২৬ শতাংশ বেশি। এ বৃদ্ধি বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ১৩তম স্থান থেকে অষ্টম স্থানে নিয়ে আসে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির কারণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি করার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। প্রচুর শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পর দেশে ফেরত আসার কথা ভাবতে হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে মার্কিন ভিসাধারীদের এইচ-১বি ভিসা নিয়ে সুখবর দিল ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন সার্ভিস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, যারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার জন্য স্পনসরড হয়েছেন, তাঁদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের গত মাসে আরোপিত এক লাখ ডলারের ভিসা ফি প্রযোজ্য হবে না।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা এই বিতর্কিত প্রেসিডেনশিয়াল প্রোক্লেমেশন নিয়োগকর্তা এবং ভিসাধারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, এর আগে মার্কিন সংস্থাগুলোর দেওয়া নির্দেশিকায় অনেক প্রশ্নের উত্তর ছিল না।

গতকাল ২০ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নির্দেশিকায় ইউএসসিআইএস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই বিশাল ফি ‘চেঞ্জ অব স্ট্যাটাস’-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কোনো ব্যক্তি যখন যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ না করে এক ক্যাটাগরি থেকে অন্য ক্যাটাগরিতে ভিসা পরিবর্তন করেন, তাঁর ক্ষেত্রে এই এইচ-১বি ভিসার ফি আরোপ হবে না। এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা থেকে এইচ-১বি স্ট্যাটাসে পরিবর্তন করলে এক লাখ ডলার ভিসা ফি লাগবে না। এ ছাড়া, যাঁরা আমেরিকায় থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ফি লাগবে না।

তবে, সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আছেন বা যাঁদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের আগে দেশ ছাড়তে হবে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রযোজ্য হবে। তবে বর্তমানে এইচ-১বি ভিসা ধারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বা প্রস্থান করতে বাধা পাবেন না।

ট্রাম্প প্রশাসন আরও জানিয়েছে, এফ-১ অর্থাৎ শিক্ষার্থী ভিসা এবং এল-১ অর্থাৎ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিদেশি শাখায় কর্মরত কর্মীর ক্ষেত্রে এইচ-১বি ভিসা পেতে চাইলে কোনো ফি দিতে হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আল জাজিরার প্রতিবেদন /গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল, নাকি ভেস্তে গেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ০৩
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বিধ্বস্ত গাজায় ফিরছে বাসিন্দারা। ছবিটি কয়েকদিন আগের তোলা। ছবি: এএফপি
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বিধ্বস্ত গাজায় ফিরছে বাসিন্দারা। ছবিটি কয়েকদিন আগের তোলা। ছবি: এএফপি

গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে, ইসরায়েলি সেনারা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং একাধিকবার গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ঘটনায় রোববার ইসরায়েল দাবি করে, হামাস যোদ্ধারা রাফাহে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের কমিশন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে এই যুদ্ধে ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনারা রোববার অভিযোগ করে, হামাস চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং রাফাহে গোষ্ঠীটি তাদের দুই সেনাকে হত্যা করেছে। এরপর ইসরায়েল গাজা অঞ্চলে ‘বিশাল ও ব্যাপক’ হামলা চালায়। হামাসের সশস্ত্র শাখা ক্বাসাম ব্রিগেড জানায়, তারা কোনো সংঘর্ষের খবর জানে না। তারা আরও জানিয়েছে, রাফাহ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের সশস্ত্র শাখার কোনো যোদ্ধার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই।

এর আগেও, হামাসকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, হামাস ২৮ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব করছে। এই বন্দীরা মূলত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে মারা গেছেন। হামাস বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় এসব বন্দীর লাশ ধ্বংসস্তূপের অনেক গভীরে চাপা পড়ে গেছে। এ জন্য ভারী খনন সরঞ্জামের প্রয়োজন, যাতে তারা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারে। হামাস ইসরায়েলিদের মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে পেয়েছে।

যুদ্ধবিরতির শর্ত কী ছিল

যুক্তরাষ্ট্র সেপ্টেম্বরের শেষে কাতার, মিসর ও তুরস্কের সহায়তায় একটি ২০ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে। শর্তাবলি ছিল—১. গাজায় ইসরায়েল ও হামাস উভয়ের আগ্রাসন শেষ হবে; ২. ইসরায়েল গাজায় সব সাহায্য প্রবেশ এবং বিতরণে বাধা দেবে না; ৩. হামাস সব বন্দীকে মুক্তি দেবে—জীবিত বা মৃত; ৪. ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী ও নিখোঁজদের মুক্তি দেবে; ৫. হামাস গাজার শাসন থেকে সরে যাবে, যা একটি প্রযুক্তিভিত্তিক সরকারের হাতে হস্তান্তর হবে; ৬. ইসরায়েলি বাহিনী পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে সরে যাবে এবং ৭. হামাস নিরস্ত্রীকরণ করবে, কিছু সদস্যকে ক্ষমা এবং অন্যদের নিরাপদ স্থানান্তর।

হামাস শর্তগুলোর মধ্যে জিম্মি মুক্তি ও গাজার শাসন ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের’ হাতে দেওয়ার শর্ত মেনে নিয়েছে। বাকি শর্তগুলো ‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামোর মধ্যে সমাধান করা হবে, যার অংশ আমরা হব এবং অবদান রাখব’ বলে উল্লেখ করেছে।

ইসরায়েল কি শর্ত মেনে চলেছে?

গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয় বলছে, ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং কমপক্ষে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শুক্রবার ইসরায়েলি সেনারা এক বেসামরিক গাড়িতে গুলি চালিয়ে আবু শাবান পরিবারের ১১ জনকে হত্যা করে। গাড়িতে ছিল সাত শিশু এবং তিন নারী। পরিবারটি বাড়ি ফিরছিল।

রোববার ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে বহু লোককে হত্যা করে। সোমবার, আবার চুক্তি মানার ঘোষণা দেওয়ার পরও, উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। ইসরায়েল ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমেও বাধা দিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রেখেছিল এবং জাতিসংঘকে জানিয়েছে তারা কেবল দৈনিক ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে, যা চুক্তিতে উল্লেখিত সংখ্যার অর্ধেক।

হামাস কি শর্ত মেনে চলেছে?

হামাস জীবিত ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছে। হামাস বারবার বলেছে, তারা চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে বিশাল ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া কঠিন। নতুন সরঞ্জাম এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া কাজ ধীর গতিতে হবে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি মৃত ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে কি?

প্রকৃতপক্ষে, খুব কম পরিমাণ সাহায্যই পৌঁছেছে। পুরো এলাকা ইসরায়েলি বোমায় ধ্বংস হয়েছে। অনেকেরই নিজের বাড়ি কোথায় তা বোঝা কঠিন। এ ছাড়া, চুক্তিতে নির্ধারিত ‘অদৃশ্য হলুদ রেখা’ পার করলে গুলি খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রায় ৫৮ শতাংশ গাজা এই রেখার বাইরে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনো তীব্রভাবে স্বল্প।

ইসরায়েল ঘোষণা দেয়নি কবে তারা পুরোপুরি বাহিনী সরাবে। তারা বলেছে, পুনরুত্থিত সন্ত্রাসের হুমকি না থাকা পর্যন্ত একটি বাফার জোন রাখা হতে পারে।

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেছে না কি এখনো কার্যকর?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর। ইসরায়েলি সেনারা রোববার জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আবার শুরু হয়েছে এবং সাহায্য প্রবাহও পুনরায় কার্যকর। হামাস বলেছে, তারা এখনো চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করছে। তবে এত কিছুর পরও ইসরায়েলের কার্যক্রম আসলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে আদৌ যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে কি না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিপাবলিকান নেতা ম্যাসিকে প্রেসিডেন্ট দেখতে চান টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কেনটাকির কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসি ও টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। ছবি: সংগৃহীত
কেনটাকির কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসি ও টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। ছবি: সংগৃহীত

কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক। কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

গত রোববার রাতে জ্যাক ডরসি এক্স-এ ছয় শব্দের একটি বার্তা পোস্ট করেন, ‘@RepThomasMassie for president. ’ (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য থমাস ম্যাসিকে সমর্থন করি।)

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পায় পোস্টটি। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে লিবারটারিয়ান, ট্রাম্প সমর্থক এবং প্রগতিশীলদের বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ম্যাসিকে প্রেসিডেন্ট পদে ডরসির সমর্থন করার পোস্টটি ৩০ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।

স্বতন্ত্র অবস্থান এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘন ঘন বিরোধিতার জন্য পরিচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাসিরও নজরে পড়ে এই সমর্থন এবং তিনি দ্রুতই ডরসির সমর্থনের প্রতিক্রিয়া জানান।

ম্যাসি লেখেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (POTUS) প্রার্থী হব বলে মনে হয় না, তবে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ@jack।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে খুশি হব যদি আমরা কংগ্রেসে আরও চার-পাঁচজন পাই, যারা কেবল তাদের দল যা বলে তা-ই সবসময় করে না।’

সিলিকন ভ্যালির এক বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা এবং কেনটাকির গ্রাম থেকে উঠে আসা এক প্রকৌশলী-রাজনীতিকের অপ্রত্যাশিত জোটকে সামনে নিয়ে আসে এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথনটি। মুহূর্তেই দিনের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর একটিতে পরিণত হয় এই সমর্থন।

৫৪ বছর বয়সী ম্যাসি কেনটাকির চতুর্থ কংগ্রেশনাল জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ওয়াশিংটনের সবচেয়ে স্বতন্ত্রচেতা রাজনীতিকদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেন্সএবল টেকনোলজিস নামে একটি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু করেন। এই কোম্পানি এমন একটি হ্যাপটিক ডিভাইস তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্পর্শের অনুভূতিতে ভার্চুয়াল বস্তু অনুভব করতে পারতেন।

নিজের অঙ্গরাজ্যে ফিরে ম্যাসি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চালিত একটি অফ-গ্রিড বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপরই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি বিশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে কংগ্রেসে প্রবেশ করেন ম্যাসি।

এরপর থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের পরিবহন ও বিচারবিষয়ক কমিটিতে কাজ করেছেন এবং প্রায়ই বড় ব্যয় পরিকল্পনা ও দ্বিদলীয় বিলের বিপক্ষে ভোট দেন। এসব প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বা আর্থিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করেন তিনি।

নিজ দল, এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মতবিরোধে জড়িয়েছেন তিনি। ভিন্নমত পোষণের এই অভ্যাস ম্যাসিকে রিপাবলিকান ককাসে একইসঙ্গে প্রশংসিত এবং একঘরে করেছে।

ম্যাসিকে সমর্থন জানানো ৪৮ বছর বয়সী ডরসিও প্রযুক্তি জগতে একই ধরনের স্বতন্ত্রতার পথ অনুসরণ করেছেন।

২০০৬ সালে টুইটার সহপ্রতিষ্ঠা করেন ডরসি। ২০২১ সালে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সরকার এবং কর্পোরেট দুই ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণ, বাকস্বাধীনতার অধিকার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বারবার কথা বলেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বেশ কিছু প্রথাবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন ডরসি, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ডেমোক্র্যাট থেকে স্বতন্ত্র পরিচয় বেছে নেওয়া রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র; সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী অ্যান্ড্রু ইয়াং এবং বর্তমান জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।

সবশেষে রিপাবলিকান ম্যাসিকে সমর্থন ডরসির লিবারটারিয়ান ও স্বতন্ত্রচিন্তার দিকে ঝুঁকে পড়াকেই প্রকাশ্যে এনেছে। ডরসি বারবারই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামোর বিপক্ষে কথা বলেছেন, সেটা হোক সিলিকন ভ্যালি বা ওয়াশিংটন।

বিটকয়েনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রকল্প ব্লুস্কাই-এও বড় অঙ্কের অর্থায়ন করেছেন ডরসি। ব্লুস্কাইয়ে বিনিয়োগকে তিনি ‘ব্যবহারকারীদের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার’ উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত