অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রক্ষণশীল দলের সদস্য ব্যারোনেস গ্যাবি বার্টিন এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। তিনি চলতি বছরের শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী পিটার কাইলকে কিছু পর্নোগ্রাফিক ছবি দেখিয়ে চমকে দিয়েছিলেন।
বার্টিন জানান, তিনি এমন কিছু স্ক্রিনশট দেখিয়েছিলেন, যেখানে ছোট মেয়েদের চুল বাঁধা অবস্থায় ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের তাদের গলা চেপে ধরতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিগুলো শিশু নির্যাতনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, অথচ একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে এগুলো সহজে ও আইনগতভাবে পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন, এটা কতটা ভয়াবহ।’ তাঁর মতে, মন্ত্রী ছবিগুলো দেখে হতবাক ও বিচলিত হয়েছিলেন। পরে তিনি দ্রুত ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেন।
বার্টিন লক্ষ করেছেন, তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি নিয়ে খোলামেলা আলোচনার প্রবণতা কম। চলতি সপ্তাহে তাঁর পর্নোগ্রাফি টাস্কফোর্সের উদ্বোধনী সভায় তিনি সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি দেখেছি, দুপুরের খাবারের সময় মানুষ আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। কেউ আমার পাশে বসতে চায় না এই ভয়ে যে আমার মুখ থেকে কখন কী কথা বের হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে সহানুভূতির সঙ্গে অনেককে হাসতেও শোনা গেছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বার্টিনকে অনলাইন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ পর্যালোচনার দায়িত্ব দেন। বার্টিন বলেন, এই ইস্যুতে দুই ধরনের ট্যাবু রাজনীতিকদের চুপ করে থাকতে বাধ্য করছে—এক পক্ষ মনে করে, বিষয়টি লজ্জাজনক; অন্যরা চান না তাঁরা যেন ‘অতিরিক্ত রক্ষণশীল’ হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে না বলার কারণেই আমরা এত বড় সমস্যায় পড়েছি। কেউ বলতে চায় না, তাই বিষয়গুলো নীরবেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্তৃত হচ্ছে।’
বার্টিন বলেন, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারকে একজন নির্দিষ্ট মন্ত্রী নিয়োগ দিতে হবে; কারণ, এখন এটি হোম অফিস ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলির মধ্যে পড়ে রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনায় ৩২টি সুপারিশ উঠে আসে, যার প্রথমটি ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে—গলা চেপে ধরার মতো পর্নোগ্রাফি অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার।
বার্টিনের নতুন টাস্কফোর্সে পুলিশ, বিজ্ঞাপন সংস্থা, মানব পাচারবিরোধী সংগঠন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। তবে তিনি পর্নো ইন্ডাস্ট্রির কাউকে এতে রাখেননি। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেন, নিজেদের কাজের মূল্যায়ন নিজেরাই করলে সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে না।
বার্টিন বলেন, ‘টেইলর সুইফট যখনই দেখেন, তাঁর গান কোথাও পাইরেটেড হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে পর্নো সাইটগুলো কেন নির্যাতনের ভিডিও থামাতে পারে না?’
সম্প্রতি ব্রিটিশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক অফকম জানায়, বড় পর্নো সাইটগুলো এখন থেকে অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সীদের জন্য শক্তিশালী যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করবে। তা না হলে ১০ শতাংশ বৈশ্বিক আয়ের জরিমানা দিতে হবে বা যুক্তরাজ্যে ওই ওয়েবসাইট ব্লক হয়ে যাবে।
বার্টিন বলেন, অনলাইনে যে ভয়ংকর কনটেন্ট সহজে পাওয়া যায়; যেমন শিশুর অভিনয়ে যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ বা মরদেহের সঙ্গে যৌনকর্ম। এসবের অনেক কিছুই অফিশিয়ালি ‘চাইল্ড সেক্স অ্যাবিউজ’-এর মতো দেখায়, অথচ সেগুলো নিষিদ্ধ নয়।
১৯৭০ সালের ‘উইমেন্স আওয়ার’ সাক্ষাৎকারে মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন, পর্নোগ্রাফির উত্থান একটি নতুন উদার সমাজের ‘ভয়ংকর’ প্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, পর্নোগ্রাফি পারিবারিক বন্ধনকে দুর্বল করছে। বার্টিনও নিজেকে একজন উদার রক্ষণশীল হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে তিনি পর্নোবিরোধী নন বা নৈতিক ক্রুসেড চালাচ্ছেন না।
তাঁর মতে, ‘কনসেন্টিং প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন স্বাধীনতা আমি আটকাতে চাই না। কিন্তু যখন একটি মেয়েকে গলা চেপে ধরা হয়, তাকে গালি দেওয়া হয়, অনেক পুরুষ মিলে তাকে লাথি দেয়—এটা যৌন স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। এই ধরনের কনটেন্টই আমরা বন্ধ করতে চাই।’
যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ১৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন পর্নো দেখেন। একসময় সিনেমা হলেও এসব দেখানোর সংস্কৃতি যুক্তরাজ্যে ছিল। কিন্তু এখন অনলাইনে সহজলভ্য হওয়ায় হিংসাত্মক, অবমাননাকর ও নারীবিদ্বেষী কনটেন্ট বেড়ে গেছে, যা স্বাভাবিকভাবে সমাজকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেন ব্যারোনেস গ্যাবি বার্টিন।
অনলাইন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রক্ষণশীল দলের সদস্য ব্যারোনেস গ্যাবি বার্টিন এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। তিনি চলতি বছরের শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী পিটার কাইলকে কিছু পর্নোগ্রাফিক ছবি দেখিয়ে চমকে দিয়েছিলেন।
বার্টিন জানান, তিনি এমন কিছু স্ক্রিনশট দেখিয়েছিলেন, যেখানে ছোট মেয়েদের চুল বাঁধা অবস্থায় ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের তাদের গলা চেপে ধরতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিগুলো শিশু নির্যাতনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, অথচ একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে এগুলো সহজে ও আইনগতভাবে পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন, এটা কতটা ভয়াবহ।’ তাঁর মতে, মন্ত্রী ছবিগুলো দেখে হতবাক ও বিচলিত হয়েছিলেন। পরে তিনি দ্রুত ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেন।
বার্টিন লক্ষ করেছেন, তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি নিয়ে খোলামেলা আলোচনার প্রবণতা কম। চলতি সপ্তাহে তাঁর পর্নোগ্রাফি টাস্কফোর্সের উদ্বোধনী সভায় তিনি সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি দেখেছি, দুপুরের খাবারের সময় মানুষ আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। কেউ আমার পাশে বসতে চায় না এই ভয়ে যে আমার মুখ থেকে কখন কী কথা বের হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে সহানুভূতির সঙ্গে অনেককে হাসতেও শোনা গেছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বার্টিনকে অনলাইন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ পর্যালোচনার দায়িত্ব দেন। বার্টিন বলেন, এই ইস্যুতে দুই ধরনের ট্যাবু রাজনীতিকদের চুপ করে থাকতে বাধ্য করছে—এক পক্ষ মনে করে, বিষয়টি লজ্জাজনক; অন্যরা চান না তাঁরা যেন ‘অতিরিক্ত রক্ষণশীল’ হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে না বলার কারণেই আমরা এত বড় সমস্যায় পড়েছি। কেউ বলতে চায় না, তাই বিষয়গুলো নীরবেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্তৃত হচ্ছে।’
বার্টিন বলেন, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারকে একজন নির্দিষ্ট মন্ত্রী নিয়োগ দিতে হবে; কারণ, এখন এটি হোম অফিস ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলির মধ্যে পড়ে রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনায় ৩২টি সুপারিশ উঠে আসে, যার প্রথমটি ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে—গলা চেপে ধরার মতো পর্নোগ্রাফি অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার।
বার্টিনের নতুন টাস্কফোর্সে পুলিশ, বিজ্ঞাপন সংস্থা, মানব পাচারবিরোধী সংগঠন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। তবে তিনি পর্নো ইন্ডাস্ট্রির কাউকে এতে রাখেননি। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেন, নিজেদের কাজের মূল্যায়ন নিজেরাই করলে সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে না।
বার্টিন বলেন, ‘টেইলর সুইফট যখনই দেখেন, তাঁর গান কোথাও পাইরেটেড হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে পর্নো সাইটগুলো কেন নির্যাতনের ভিডিও থামাতে পারে না?’
সম্প্রতি ব্রিটিশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক অফকম জানায়, বড় পর্নো সাইটগুলো এখন থেকে অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সীদের জন্য শক্তিশালী যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করবে। তা না হলে ১০ শতাংশ বৈশ্বিক আয়ের জরিমানা দিতে হবে বা যুক্তরাজ্যে ওই ওয়েবসাইট ব্লক হয়ে যাবে।
বার্টিন বলেন, অনলাইনে যে ভয়ংকর কনটেন্ট সহজে পাওয়া যায়; যেমন শিশুর অভিনয়ে যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ বা মরদেহের সঙ্গে যৌনকর্ম। এসবের অনেক কিছুই অফিশিয়ালি ‘চাইল্ড সেক্স অ্যাবিউজ’-এর মতো দেখায়, অথচ সেগুলো নিষিদ্ধ নয়।
১৯৭০ সালের ‘উইমেন্স আওয়ার’ সাক্ষাৎকারে মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন, পর্নোগ্রাফির উত্থান একটি নতুন উদার সমাজের ‘ভয়ংকর’ প্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, পর্নোগ্রাফি পারিবারিক বন্ধনকে দুর্বল করছে। বার্টিনও নিজেকে একজন উদার রক্ষণশীল হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে তিনি পর্নোবিরোধী নন বা নৈতিক ক্রুসেড চালাচ্ছেন না।
তাঁর মতে, ‘কনসেন্টিং প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন স্বাধীনতা আমি আটকাতে চাই না। কিন্তু যখন একটি মেয়েকে গলা চেপে ধরা হয়, তাকে গালি দেওয়া হয়, অনেক পুরুষ মিলে তাকে লাথি দেয়—এটা যৌন স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। এই ধরনের কনটেন্টই আমরা বন্ধ করতে চাই।’
যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ১৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন পর্নো দেখেন। একসময় সিনেমা হলেও এসব দেখানোর সংস্কৃতি যুক্তরাজ্যে ছিল। কিন্তু এখন অনলাইনে সহজলভ্য হওয়ায় হিংসাত্মক, অবমাননাকর ও নারীবিদ্বেষী কনটেন্ট বেড়ে গেছে, যা স্বাভাবিকভাবে সমাজকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেন ব্যারোনেস গ্যাবি বার্টিন।
তিনি ঘটনার জন্য আংশিকভাবে হলেও ভুক্তভোগী নারীকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, মেয়েটি যদি প্রথমে ঘটনাস্থলে না যেত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের ২০ জুনের মধ্যে নিহত মোট মাওবাদীর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ নারী মাওবাদী রয়েছেন। ২০০১ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ নারী নকশাল হতাহতের সংখ্যা। এ ছাড়া শুধু ২০২৫ সালে ১৯৯ জন মাওবাদী সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, যা বামপন্থী চরমপন্থার ওপর একটি বড় আঘাত বলে বিবেচিত হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্য দুই সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র ও ইভাঙ্কা ট্রাম্প বাবার রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করলেও ৪১ বছর বয়সী এরিক বরাবরই রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। পারিবারিক ব্যবসায় বরং ঝোঁক তাঁর।
৪ ঘণ্টা আগেইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মজুত ব্যবহার করেছে। এতে দেশটির মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮০ কোটি ডলার।
৫ ঘণ্টা আগে