Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির লেপার্ড ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরদিনই ইউক্রেনে রুশ হামলা, নিহত ১১

আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২: ১৫
যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির লেপার্ড ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরদিনই ইউক্রেনে রুশ হামলা, নিহত ১১

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির শক্তিশালী ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর প্রতিশ্রুতির পরদিনই ইউক্রেনে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১১ জন।

কিয়েভের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরার আঘাতে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ওই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছিল। এ ছাড়া অন্য আরও ১০ জনের মৃত্যু কোথায়, কীভাবে হয়েছে, তা বিস্তারিত জানাতে পারেনি এএফপি। 

এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে একের পর এক ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এর মধ্যে ৪৭টি তারা ধ্বংস করেছে। 

গত বছরের অক্টোবর থেকে ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা করছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো অভিযোগ করে বলছেন, ‘ইউক্রেনের জ্বালানিব্যবস্থা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।’ 

গতকালের রুশ হামলার পর কিয়েভের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে বিকেলের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ওদেসার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের বিভ্রাট এখনো অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিটিইকে।

ওদেসায় ছিলেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কলোনা। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে সাহায্য-সহযোগিতা বিষয়ে বৈঠকের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু গতকালের রুশ হামলার কারণে সেই বৈঠক পিছিয়ে গেছে। 

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইউক্রেনে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক পাঠাবে এবং জার্মানি বলেছে, তারা ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেন বলেছে, আগামী মার্চের শেষের দিকে তারাও ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠাবে। 

এর আগে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর কাছে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ট্যাংক পাঠাতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। তাদের এই সিদ্ধান্তের পরপরই ইউক্রেনজুড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। 

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পশ্চিমাদের ট্যাংক পাঠানোই প্রমাণ করে তারা সংঘাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে ফ্রান্স এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাজিলে পুলিশের ব্যাপক অভিযান, নিহত অন্তত ৬৪

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোতে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ছবি: এএফপি
ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোতে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ছবি: এএফপি

ব্রাজিলের অন্যতম বড় শহর রিও দে জেনেইরোতে পুলিশের ব্যাপক অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪ জন পুলিশ। স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সিএনএন ব্রাজিলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এই অভিযান ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

রিও দে জেনেইরো রাজ্যের গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে ‘বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় দ্রব্য’ জব্দ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, অভিযানের সময় অন্তত ৪২টি রাইফেলও জব্দ করা হয়েছে। এক্সে শেয়ার করা পোস্টে কাস্ত্রো অভিযানটিকে ‘রিও দে জেনেইরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

আগামী সপ্তাহে রিও দে জেনেইরোতে জলবায়ু সম্মেলন, ‘সি–৪০ ওয়ার্ল্ড মেয়ার্স সামিট’ অনুষ্ঠিত হবে। তার ঠিক আগে, অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকালের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, অভিযান চলাকালে আলেমাও ফাভেলায় বিশাল কালো ধোঁয়ার স্তম্ভ উঠছে।

রিও দে জেনেইরো রাজ্য সরকার এক্সে জানিয়েছে, অভিযানটি ‘কমান্ডো ভারমেলো বা রেড কমান্ড’ অপরাধী গোষ্ঠীর আঞ্চলিক সম্প্রসারণ রোধে চালানো হয়েছে। সরকার বলেছে, এই অভিযান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিকল্পিত ছিল এবং এতে ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি সামরিক ও বেসামরিক পুলিশ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

কমান্ডো ভারমেলো ব্রাজিলের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় অপরাধী গোষ্ঠী। বামপন্থী বন্দীদের এই সংগঠনটি ব্রাজিলে সামরিক শাসনের সময় গঠিত হয়েছিল। এরপর রেড কমান্ড ক্রমেই বড়, আন্তর্জাতিক অপরাধী গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হয়েছে, মাদক পাচার ও ফৌজদারি ব্যবসায় যুক্ত।

মঙ্গলবার অন্তত ৮১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রিও দে জেনেইরো পুলিশ। অভিযানের সময় গ্যাং সদস্যরা পুলিশের ওপর ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এসব ড্রোন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলাও হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘স্বাগত জানাতে’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তরের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০৫
ট্রাম্প দক্ষিণ পৌঁছানোর পরপরই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প দক্ষিণ পৌঁছানোর পরপরই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এশিয়া সফরে এসে মালয়েশিয়া ও জাপানের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। তিনি সিউলে পৌঁছানোর ঠিক পরেই প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন যদি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান, তাহলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে তাঁর অবস্থান দীর্ঘায়িত করবেন। তবে জবাবে কিম কিছু না বলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ট্রাম্পকে ‘স্বাগত জানিয়েছেন’ বলে মনে করছেন অনেকে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম বিএনই ইন্টেলিনিউজের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া নিশ্চিত করেছে যে তারা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উল্লম্বভাবে ছোড়া হয় এবং প্রায় ১৩০ মিনিট পর্যন্ত উড়েছে। এই পরীক্ষা এমন এক সময়ে হল, যার ঠিক আগে ট্রাম্প এপেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ব্যাপকভাবে দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতার সংকেত হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

এপেকের আলোচনার মূল বিষয় বাণিজ্য হলেও তবে অনেকের দৃষ্টি কিম জং-উনের অনুপস্থিতির দিকে। জল্পনা আছে, হয়তো ট্রাম্প এই সফরে তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন, ২০১৯ সালের পর এটি হতে পারে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প যে উত্তেজনা দেখিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে—কিম সাক্ষাতে রাজি হলে তিনি হয়তো দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও কিছুদিন থাকবেন এবং তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হতে পারে।

এ পর্যন্ত কিমের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘স্বাগত জানাতে’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মাধ্যম এই উৎক্ষেপণকে দেশটির শত্রুদের জন্য উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তির ‘স্মারক’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এই উৎক্ষেপণে জাতিসংঘের বিধিনিষেধ ভঙ্গ হয়নি। কারণ, বিধিনিষেধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নয়।

ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিনিময়ে শুল্কের হার ২৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামানো হবে। তবে এই বিনিয়োগের কতটা সরাসরি নগদে হবে, তা এখনো নির্ধারিত নয়। সিউলে উদ্বেগ রয়েছে যে অত্যধিক বড় প্রতিশ্রুতি দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ফেলতে পারে।

উল্লেখ্য, এই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠক হবে। তাঁরা দুজনেই গিয়ংজুতে থাকবেন, সেখানে নিরাপত্তা প্রস্তুতি ব্যাপক। তাঁদের জন্য নির্ধারিত কামরাগুলোয় বুলেটপ্রুফ কাচ বসানো হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী, আর্মার্ড ভেহিকেল এবং অ্যান্টিড্রোন ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসামে কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত’, বিজেপির তোপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪৭
আসামে অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত’ গাওয়া নিয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। ছবি: সংগৃহীত
আসামে অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত’ গাওয়া নিয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশ সংলগ্ন রাজ্য আসামে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আসামের করিমগঞ্জ জেলায়—যেটির বর্তমান নাম শ্রীভূমি—কংগ্রেসের এক দলীয় আয়োজনে এক নেতাকে ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গাইতে শোনা যায়। এই ঘটনার পর বিজেপি বলেছে, কংগ্রেস ‘বাংলাদেশ নিয়ে সব সময় ঘোরের মধ্যে থাকে।’

এই ঘটনার পর বিজেপি বিপুল রাজনৈতিক আক্রমণ শানালেও মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ১৯০৫ সালে, প্রথম বঙ্গবিভাজনের প্রতিবাদে। এই উদ্যোগ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছিল এবং ১৯১১ সালে বিভাজন বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালে এটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করে।

আমার সোনার বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বঙ্গের মানুষের তার ভূমির সঙ্গে গভীর সংযোগের কথা বর্ণনা করেছেন। সীমান্তের দুই পাশে থাকা বাংলাভাষীরা অনুষ্ঠান বা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে এই গান প্রায়ই গায়। এমনকি ভারতের বিভিন্ন স্থানে, যেমন দিল্লিতে, বাংলার খাবারের রেস্তোরাঁর নাম ‘আমার সোনার বাংলা’ রাখা হয়েছে।

আসামে শ্রীভূমি জেলা বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত এবং এটি বাংলাভাষা–প্রধান বরাক উপত্যকার অংশ। তাই সেখানে এই গান গাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কংগ্রেস এখনো বিজেপির সমালোচনার জবাব দেয়নি।

https://x.com/TheAshokSinghal/status/1983154913590030572?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1983154913590030572%7Ctwgr%5Eabcf50b337355d781dfe38f3ff506178e53048cb%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.ndtv.com%2Findia-news%2Famar-sonar-bangla-assam-congress-bangladesh-national-anthem-sung-at-congress-event-why-its-not-a-problem-9535260

তবে বিজেপি ভিডিওটি তুলে ধরে কংগ্রেসকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছে। বিজেপি আসাম ইউনিট এক্সে লিখেছে, ‘চিহ্নগুলো স্পষ্ট। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সাহস দেখিয়ে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল যা পুরো উত্তর-পূর্বকে দেখাচ্ছে এবং এখন বাংলাদেশ নিয়ে ঘোরের মধ্যে থাকা কংগ্রেস গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এখানে, এই আসামে গাইছে। এরপরও যদি কেউ উদ্দেশ্যটি দেখতে না পারে, তারা হয় অন্ধ, বা সহমর্মী, বা উভয়ই।’

অসমের মন্ত্রী অশোক সিংহাল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত—আমার সোনার বাংলা—কংগ্রেসের সভায় শ্রীভূমি, অসমে গাওয়া হয়েছে। অথচ, সেই একই দেশ উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে আলাদা করতে চায়!’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এবার স্পষ্ট হলো, কেন কংগ্রেস দশকের পর দশক ধরে আসামে অবৈধ মিয়া (বাংলাভাষী মুসলিমদের তুচ্ছার্থে মিঞা/মিয়া বলে থাকে অসমীয়রা) অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে। তারা ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন করে “বৃহত্তর বাংলাদেশ” তৈরি করতে চায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ২৮
দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে ক্লাউড সিডিংয়ের উদ্যোগ নিলেও ব্যর্থ হয়েছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে ক্লাউড সিডিংয়ের উদ্যোগ নিলেও ব্যর্থ হয়েছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণ কমাতে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই উদ্যোগে কাজ করছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) কানপুর। তবে উদ্যোগটি ভেস্তে গেছে। কোনো বৃষ্টি হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির আকাশে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঘটানোর উদ্দেশ্যে ক্লাউড সিডিংয়ের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা ‘পুরোপুরি সফল হয়নি’। কারণ, সেদিন মেঘে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল খুবই কম। ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে আইআইটি কানপুরের পরিচালক মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেন, এই প্রক্রিয়া কোনো জাদুকরি সমাধান নয়, বরং দূষণ মোকাবিলায় এক ধরনের জরুরি বা অস্থায়ী উদ্যোগ।

এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আগরওয়াল বলেন, দিল্লি সরকারের সহযোগিতায় তাঁদের প্রতিষ্ঠান এই পরীক্ষা চালাচ্ছে। বুধবার আবারও চেষ্টা করা হবে এবং তখন ফলাফল আরও ভালো হবে বলে তাঁরা আশা করছেন। তিনি জানান, মেঘে বৃষ্টি ঘটাতে যে মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে, তার ২০ শতাংশ সিলভার আয়োডাইড, বাকি অংশে রয়েছে রক সল্ট ও সাধারণ লবণের সংমিশ্রণ। মঙ্গলবার মোট ১৪টি ফ্লেয়ার ছোড়া হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টি হয়নি।

আগরওয়াল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি। সে অর্থে এটি সম্পূর্ণ সফল বলা যাবে না। আজকের মেঘে আর্দ্রতা মাত্র ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে ছিল। এত কম আর্দ্রতায় বৃষ্টি ঘটানোর সম্ভাবনা স্বাভাবিকভাবেই খুব কম। তবে এই পরীক্ষা আমাদের দলকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে আমরা এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারি।’

আগরওয়াল আরও বলেন, ‘আজকের বৃষ্টি নিয়ে পূর্বাভাসগুলো পরস্পরবিরোধী ছিল। কেউ বলেছেন বৃষ্টি হবে, কেউ বলেছেন হবে না। আমাদের দল যে এলাকায় ক্লাউড সিডিংয়ের কাজ করেছে, সেখানে মেঘের আর্দ্রতা ছিল খুব কম। তাই আজ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললে চলে।’ তিনি জানিয়েছেন, বুধবার আরও দুটি ফ্লাইট থেকে একইভাবে পরীক্ষা চালানো হবে এবং মেঘের উপস্থিতি থাকলে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

দিল্লির স্থায়ী দূষণ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান কি এই ক্লাউড সিডিং হতে পারে—এ প্রশ্নের জবাবে আইআইটি পরিচালক স্পষ্টভাবে বলেন, ‘না।’ তিনি বলেন, ‘এটি এক ধরনের জরুরি সমাধান। অর্থাৎ যখন দূষণের মাত্রা ভয়াবহ রকম বেড়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে দূষণ কমানোর জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে স্থায়ী সমাধান হলো দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন এক সময়ের দিকে যাওয়া, যখন ক্লাউড সিডিংয়ের প্রয়োজনই থাকবে না, কারণ বাতাস তখন পরিষ্কার থাকবে। কিন্তু তত দিন পর্যন্ত এটি একটি সম্ভাব্য হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগতে পারে।’

তিনি আরও জানান, এই প্রক্রিয়ার খরচ বেশি হচ্ছে, কারণ ফ্লাইটগুলো চালানো হচ্ছে উত্তর প্রদেশ থেকে। তবে ভবিষ্যতে এই খরচ কমানো সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো প্রচেষ্টা যা দূষণ কমাতে সাহায্য করে, তা সবারই উপকারে আসে। এটি স্থায়ী সমাধান না হলেও কয়েক দিন পর যদি বৃষ্টি হয়, অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।’

অন্যদিকে দিল্লি সরকার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্লাউড সিডিংয়ের পরীক্ষার ফলে যেখানে প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছে, সেখানে বায়ুর দূষণমাত্রায় কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নয়ডায় বিকেল ৪টার দিকে ০.১ মিলিমিটার এবং গ্রেটার নয়ডায় একই সময়ে তার দ্বিগুণ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত