আজকের পত্রিকা ডেস্ক
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিক্ষোভ চলাকালীন ফিলিস্তিনপন্থীরা ইসরায়েল বিরোধী নানান স্লোগান দেয়, যা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে ইসরায়েলপন্থী পাল্টা বিক্ষোভকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীর উদ্দেশে ‘ফিলিস্তিনে জেনোসাইড হচ্ছে না’ বলে স্লোগান দেয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নামে একটি সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে যুক্তরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছিল, যারা এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানাবে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ম্যানচেস্টার, এডিনবার্গ, ব্রিস্টল, ট্রুরো এবং লন্ডনে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামক একটি সংগঠনের সমন্বয়ে এই বিক্ষোভ হচ্ছে, যেখানে ইতিমধ্যে কয়েক ডজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, ব্রিস্টলে ১৯ জন এবং ম্যানচেস্টারে ১৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া লন্ডনডেরিসহ সারা দেশে মোট ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ারে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের জন্য ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর ধারা ১৩-এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভের সময় ‘আওয়ার ফাইট’ নামের একটি সংগঠন ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। এই সংগঠনের একজন কর্মীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষের জন্য আপনারা গণহত্যার কথা বলছেন। আসলে সেখানে জেনোসাইড হচ্ছে না—৫০ জন জিম্মি কিন্তু এখনো বন্দী।’ এর জবাবে কিছু ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী ‘আওয়ার ফাইট’-এর কর্মীদের উদ্দেশে ‘ফ্যাসিবাদী’ এবং ‘ফ** ইওর জিউশ স্টেট’ স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি পার্লামেন্ট স্কয়ারে পৌঁছালে গান্ধীর ভাস্কর্যের কাছে একদল বিক্ষোভকারী খালি প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন। পরে সেগুলোতে মার্কার দিয়ে লেখেন, ‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। এখান থেকে পুলিশ প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের বেশ কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘এই দেশে বাক্স্বাধীনতা মৃত—মেট্রোপলিটন পুলিশের লজ্জা হওয়া উচিত।’
লন্ডনে শনিবারের পুলিশি অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যাডে অ্যাডেলেকান বলেন, ‘যাঁরা প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, তাঁরা অপরাধ করছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারের ফল অত্যন্ত গুরুতর; যেমন; ভবিষ্যতে ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, এমনকি আর্থিক ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
কর্নওয়ালের ট্রুরো ক্যাথেড্রালের সিঁড়িতেও প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১ বছর বয়সী সাবেক একজন ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে পার্লামেন্ট স্কয়ারে একই ধরনের বিক্ষোভ থেকে ৭০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ বলছে, যুক্তরাজ্যজুড়ে মোট ১২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এমপিরা গত সপ্তাহে বিপুল ভোটে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের এই সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০০ সংশোধনের খসড়া আদেশ পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩৮৫ ভোটে পাস হয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৬টি। এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো, ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিক্ষোভ চলাকালীন ফিলিস্তিনপন্থীরা ইসরায়েল বিরোধী নানান স্লোগান দেয়, যা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে ইসরায়েলপন্থী পাল্টা বিক্ষোভকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীর উদ্দেশে ‘ফিলিস্তিনে জেনোসাইড হচ্ছে না’ বলে স্লোগান দেয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নামে একটি সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে যুক্তরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছিল, যারা এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানাবে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ম্যানচেস্টার, এডিনবার্গ, ব্রিস্টল, ট্রুরো এবং লন্ডনে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামক একটি সংগঠনের সমন্বয়ে এই বিক্ষোভ হচ্ছে, যেখানে ইতিমধ্যে কয়েক ডজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, ব্রিস্টলে ১৯ জন এবং ম্যানচেস্টারে ১৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া লন্ডনডেরিসহ সারা দেশে মোট ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ারে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের জন্য ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর ধারা ১৩-এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভের সময় ‘আওয়ার ফাইট’ নামের একটি সংগঠন ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। এই সংগঠনের একজন কর্মীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষের জন্য আপনারা গণহত্যার কথা বলছেন। আসলে সেখানে জেনোসাইড হচ্ছে না—৫০ জন জিম্মি কিন্তু এখনো বন্দী।’ এর জবাবে কিছু ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী ‘আওয়ার ফাইট’-এর কর্মীদের উদ্দেশে ‘ফ্যাসিবাদী’ এবং ‘ফ** ইওর জিউশ স্টেট’ স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি পার্লামেন্ট স্কয়ারে পৌঁছালে গান্ধীর ভাস্কর্যের কাছে একদল বিক্ষোভকারী খালি প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন। পরে সেগুলোতে মার্কার দিয়ে লেখেন, ‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। এখান থেকে পুলিশ প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের বেশ কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘এই দেশে বাক্স্বাধীনতা মৃত—মেট্রোপলিটন পুলিশের লজ্জা হওয়া উচিত।’
লন্ডনে শনিবারের পুলিশি অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যাডে অ্যাডেলেকান বলেন, ‘যাঁরা প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, তাঁরা অপরাধ করছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারের ফল অত্যন্ত গুরুতর; যেমন; ভবিষ্যতে ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, এমনকি আর্থিক ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
কর্নওয়ালের ট্রুরো ক্যাথেড্রালের সিঁড়িতেও প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১ বছর বয়সী সাবেক একজন ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে পার্লামেন্ট স্কয়ারে একই ধরনের বিক্ষোভ থেকে ৭০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ বলছে, যুক্তরাজ্যজুড়ে মোট ১২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এমপিরা গত সপ্তাহে বিপুল ভোটে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের এই সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০০ সংশোধনের খসড়া আদেশ পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩৮৫ ভোটে পাস হয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৬টি। এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো, ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিক্ষোভ চলাকালীন ফিলিস্তিনপন্থীরা ইসরায়েল বিরোধী নানান স্লোগান দেয়, যা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে ইসরায়েলপন্থী পাল্টা বিক্ষোভকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীর উদ্দেশে ‘ফিলিস্তিনে জেনোসাইড হচ্ছে না’ বলে স্লোগান দেয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নামে একটি সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে যুক্তরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছিল, যারা এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানাবে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ম্যানচেস্টার, এডিনবার্গ, ব্রিস্টল, ট্রুরো এবং লন্ডনে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামক একটি সংগঠনের সমন্বয়ে এই বিক্ষোভ হচ্ছে, যেখানে ইতিমধ্যে কয়েক ডজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, ব্রিস্টলে ১৯ জন এবং ম্যানচেস্টারে ১৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া লন্ডনডেরিসহ সারা দেশে মোট ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ারে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের জন্য ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর ধারা ১৩-এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভের সময় ‘আওয়ার ফাইট’ নামের একটি সংগঠন ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। এই সংগঠনের একজন কর্মীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষের জন্য আপনারা গণহত্যার কথা বলছেন। আসলে সেখানে জেনোসাইড হচ্ছে না—৫০ জন জিম্মি কিন্তু এখনো বন্দী।’ এর জবাবে কিছু ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী ‘আওয়ার ফাইট’-এর কর্মীদের উদ্দেশে ‘ফ্যাসিবাদী’ এবং ‘ফ** ইওর জিউশ স্টেট’ স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি পার্লামেন্ট স্কয়ারে পৌঁছালে গান্ধীর ভাস্কর্যের কাছে একদল বিক্ষোভকারী খালি প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন। পরে সেগুলোতে মার্কার দিয়ে লেখেন, ‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। এখান থেকে পুলিশ প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের বেশ কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘এই দেশে বাক্স্বাধীনতা মৃত—মেট্রোপলিটন পুলিশের লজ্জা হওয়া উচিত।’
লন্ডনে শনিবারের পুলিশি অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যাডে অ্যাডেলেকান বলেন, ‘যাঁরা প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, তাঁরা অপরাধ করছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারের ফল অত্যন্ত গুরুতর; যেমন; ভবিষ্যতে ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, এমনকি আর্থিক ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
কর্নওয়ালের ট্রুরো ক্যাথেড্রালের সিঁড়িতেও প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১ বছর বয়সী সাবেক একজন ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে পার্লামেন্ট স্কয়ারে একই ধরনের বিক্ষোভ থেকে ৭০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ বলছে, যুক্তরাজ্যজুড়ে মোট ১২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এমপিরা গত সপ্তাহে বিপুল ভোটে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের এই সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০০ সংশোধনের খসড়া আদেশ পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩৮৫ ভোটে পাস হয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৬টি। এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো, ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিক্ষোভ চলাকালীন ফিলিস্তিনপন্থীরা ইসরায়েল বিরোধী নানান স্লোগান দেয়, যা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে ইসরায়েলপন্থী পাল্টা বিক্ষোভকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীর উদ্দেশে ‘ফিলিস্তিনে জেনোসাইড হচ্ছে না’ বলে স্লোগান দেয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নামে একটি সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে যুক্তরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছিল, যারা এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানাবে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ম্যানচেস্টার, এডিনবার্গ, ব্রিস্টল, ট্রুরো এবং লন্ডনে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামক একটি সংগঠনের সমন্বয়ে এই বিক্ষোভ হচ্ছে, যেখানে ইতিমধ্যে কয়েক ডজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, ব্রিস্টলে ১৯ জন এবং ম্যানচেস্টারে ১৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া লন্ডনডেরিসহ সারা দেশে মোট ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ারে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের জন্য ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর ধারা ১৩-এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভের সময় ‘আওয়ার ফাইট’ নামের একটি সংগঠন ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। এই সংগঠনের একজন কর্মীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষের জন্য আপনারা গণহত্যার কথা বলছেন। আসলে সেখানে জেনোসাইড হচ্ছে না—৫০ জন জিম্মি কিন্তু এখনো বন্দী।’ এর জবাবে কিছু ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী ‘আওয়ার ফাইট’-এর কর্মীদের উদ্দেশে ‘ফ্যাসিবাদী’ এবং ‘ফ** ইওর জিউশ স্টেট’ স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি পার্লামেন্ট স্কয়ারে পৌঁছালে গান্ধীর ভাস্কর্যের কাছে একদল বিক্ষোভকারী খালি প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন। পরে সেগুলোতে মার্কার দিয়ে লেখেন, ‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। এখান থেকে পুলিশ প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের বেশ কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘এই দেশে বাক্স্বাধীনতা মৃত—মেট্রোপলিটন পুলিশের লজ্জা হওয়া উচিত।’
লন্ডনে শনিবারের পুলিশি অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যাডে অ্যাডেলেকান বলেন, ‘যাঁরা প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, তাঁরা অপরাধ করছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারের ফল অত্যন্ত গুরুতর; যেমন; ভবিষ্যতে ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, এমনকি আর্থিক ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
কর্নওয়ালের ট্রুরো ক্যাথেড্রালের সিঁড়িতেও প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১ বছর বয়সী সাবেক একজন ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে পার্লামেন্ট স্কয়ারে একই ধরনের বিক্ষোভ থেকে ৭০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ বলছে, যুক্তরাজ্যজুড়ে মোট ১২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এমপিরা গত সপ্তাহে বিপুল ভোটে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের এই সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০০ সংশোধনের খসড়া আদেশ পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩৮৫ ভোটে পাস হয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৬টি। এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো, ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
৩ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
৩ ঘণ্টা আগেজেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ তুলেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। বিজেপি নেতা অমিতাভ মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালীকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে! লজ্জা, লজ্জা—এই কলঙ্ক লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’
বিজেপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন প্রথমে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে মন্দিরের গেটে তালা লাগায়। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা আবার খুলতে বাধ্য হয়।’
বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার না করে মা কালীর প্রতিমা পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! সাতজন হিন্দুরক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনাদের রাজ্য, আপনারা যা চান, তা-ই করতে পারেন!’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য সরকার কট্টরপন্থীদের তোষণে ব্যস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতারা বারবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু মা কালীকে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি ভক্তের মাথা লজ্জায় নত করার মতো।’
এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে। দলের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেন, পুলিশ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু কিছু লোক একে বিকৃত রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ তুলেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। বিজেপি নেতা অমিতাভ মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালীকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে! লজ্জা, লজ্জা—এই কলঙ্ক লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’
বিজেপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন প্রথমে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে মন্দিরের গেটে তালা লাগায়। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা আবার খুলতে বাধ্য হয়।’
বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার না করে মা কালীর প্রতিমা পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! সাতজন হিন্দুরক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনাদের রাজ্য, আপনারা যা চান, তা-ই করতে পারেন!’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য সরকার কট্টরপন্থীদের তোষণে ব্যস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতারা বারবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু মা কালীকে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি ভক্তের মাথা লজ্জায় নত করার মতো।’
এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে। দলের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেন, পুলিশ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু কিছু লোক একে বিকৃত রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
১৯ জুলাই ২০২৫১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
৩ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
৩ ঘণ্টা আগেজেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন না ফিলিস্তিনের সবচেয়ে আলোচিত বন্দী মারওয়ান বারগুতি। ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা এবং ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বারগুতি।
জনমত জরিপের তথ্য অনুসারে, বারগুতি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং মনে করা হয়, তিনি ফিলিস্তিনি সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। কিন্তু দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা কীভাবে তাঁদের গ্রামে হামলা চালিয়ে তাঁর প্রিয় কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে।
বারগুতি কৈশোরে যোগ দেন ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দলে। এই ফাতাহ সে সময় গোপনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করত। ১৮ বছর বয়সে ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম বারগুতিকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই তাঁর জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতনের অধ্যায়।
২০১৭ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, ইসরায়েলি কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এক ইসরায়েলি সেনা তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিল।
দখলদার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বারগুতি চার বছর ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি রামাল্লার নিকটবর্তী বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৮৭ সালে ইসরায়েল তাঁকে জর্ডানে নির্বাসিত করে। ওই বছরই শুরু হয় প্রথম ইন্তিফাদা, যা পাঁচ বছর স্থায়ী হয়। বারগুতি তখন প্রবাসে থেকে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কাজ চালান। পরে ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তাঁর দেশে ফেরার সুযোগ হয়।
দেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে তিনি ফাতাহর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অনেক ফিলিস্তিনিকে হতাশ করে তোলে। ১৯৯৫ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ সময় আরাফাতের প্রভাব কমতে থাকলেও বারগুতির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, লিকুদ নেতা অ্যারিয়েল শ্যারন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করলে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। এ থেকেই পরে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা। এতে বারগুতি হয়ে ওঠেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা।
বারগুতির সহকর্মী আহমাদ গ্লোনেইম বলেন, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা; টি-শার্ট ও প্যান্ট পরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতেন।
২০০২ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য একাধিক অভিযান চালায়। কয়েকবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অবশেষে গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচটি হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে তাঁকে পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ইসরায়েলের একটি আদালত। তবে বারগুতি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
লন্ডনের সাওয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিমের সুলতানি বলেন, ‘বারগুতির বিচার ছিল রাজনৈতিক। আসলে লক্ষ্য ছিল আরাফাত ও দ্বিতীয় ইন্তিফাদা আন্দোলনকেই অপরাধী প্রমাণ করা।’
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল বারগুতিকে। কিন্তু তখন তিনি কারাগারে বন্দী। ২০০৬ সালে চ্যানেল-৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেছিলেন, ইসরায়েল দখলবিরোধী প্রত্যেক মানুষকেই সন্ত্রাসী মনে করে। কিন্তু সেটি সত্য নয়।
২০০২ সাল থেকে বারগুতি বিভিন্ন কারাগারে বন্দী। বেশির ভাগ সময় তাঁকে একা একা থাকতে হয়েছে। একাকী বন্দিত্বের পর তিনি কারাগারে শিক্ষাদান শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে নিয়ে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তখন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েল একটি দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা কার্যত বিচারিক বর্ণবাদের শামিল।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে কারাগারে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছে, খাবার-পানিতে কড়াকড়ি আনা হয়েছে, ওজন কমেছে প্রায় ১০ কেজি।
২০২৫ সালের আগস্টে ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে বারগুতিকে হুমকি দিতে দেখা যায়।
সাম্প্রতিক ঘটনায় বারগুতির অবস্থান স্পষ্ট জানা না গেলেও বারগুতি বরাবরই ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছেন।
তিনি হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী, যা তাঁকে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করেছে। ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মেইর শিত্রিত বলেন, ‘তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন, সত্যিকারের শান্তির।’
২০০৬ সালে চ্যানেল-৪-এ এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, নারী, শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। ফিলিস্তিন বা ইসরায়েল কোথাও নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া, তবে দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার আমাদের আছে।’
ফাতাহ ও হামাস—দুই সংগঠনই বারগুতির মুক্তির দাবিতে একমত। ২০১১ ও ২০২৫ সালের বন্দিবিনিময় আলোচনাতেও তাঁর নাম তোলা হয়েছিল, তবে ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানায়, সাম্প্রতিক বন্দিবিনিময় তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমনকি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফও এতে সম্মত হন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস তা বাদ দেয়।
ইসরায়েলি চ্যানেল-১৪ জানায়, বারগুতির মুক্তিকে ‘লাল রেখা’ (অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির। বারগুতিকে মুক্তি দিলে তিনি সরকারের জোট ভাঙার হুমকিও দেন। তবু ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানসহ অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বারগুতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনে নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হতে পারে।
বারগুতির মুক্তির কোনো তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গাজার শেষ জিম্মিদের মুক্তির পর ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর চাপও এখন দুর্বল। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জন্য রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থী মহল তাঁকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতীক হিসেবে দেখে, যা তাদের দখলনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
বারগুতির ছেলে আরব বারগুতি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৭৬ জন রাজনৈতিক বন্দীকে হারিয়েছি। এবার বাবার জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ জরুরি। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি পুরো ফিলিস্তিনের আস্থা অর্জন করেছেন। সে কারণেই বর্তমান ইসরায়েলি সরকার তাঁকে ভয় পায়।’
তথ্যসূত্র: দ্য মিডল ইস্ট আই
চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন না ফিলিস্তিনের সবচেয়ে আলোচিত বন্দী মারওয়ান বারগুতি। ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা এবং ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বারগুতি।
জনমত জরিপের তথ্য অনুসারে, বারগুতি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং মনে করা হয়, তিনি ফিলিস্তিনি সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। কিন্তু দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা কীভাবে তাঁদের গ্রামে হামলা চালিয়ে তাঁর প্রিয় কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে।
বারগুতি কৈশোরে যোগ দেন ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দলে। এই ফাতাহ সে সময় গোপনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করত। ১৮ বছর বয়সে ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম বারগুতিকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই তাঁর জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতনের অধ্যায়।
২০১৭ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, ইসরায়েলি কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এক ইসরায়েলি সেনা তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিল।
দখলদার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বারগুতি চার বছর ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি রামাল্লার নিকটবর্তী বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৮৭ সালে ইসরায়েল তাঁকে জর্ডানে নির্বাসিত করে। ওই বছরই শুরু হয় প্রথম ইন্তিফাদা, যা পাঁচ বছর স্থায়ী হয়। বারগুতি তখন প্রবাসে থেকে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কাজ চালান। পরে ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তাঁর দেশে ফেরার সুযোগ হয়।
দেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে তিনি ফাতাহর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অনেক ফিলিস্তিনিকে হতাশ করে তোলে। ১৯৯৫ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ সময় আরাফাতের প্রভাব কমতে থাকলেও বারগুতির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, লিকুদ নেতা অ্যারিয়েল শ্যারন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করলে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। এ থেকেই পরে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা। এতে বারগুতি হয়ে ওঠেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা।
বারগুতির সহকর্মী আহমাদ গ্লোনেইম বলেন, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা; টি-শার্ট ও প্যান্ট পরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতেন।
২০০২ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য একাধিক অভিযান চালায়। কয়েকবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অবশেষে গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচটি হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে তাঁকে পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ইসরায়েলের একটি আদালত। তবে বারগুতি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
লন্ডনের সাওয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিমের সুলতানি বলেন, ‘বারগুতির বিচার ছিল রাজনৈতিক। আসলে লক্ষ্য ছিল আরাফাত ও দ্বিতীয় ইন্তিফাদা আন্দোলনকেই অপরাধী প্রমাণ করা।’
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল বারগুতিকে। কিন্তু তখন তিনি কারাগারে বন্দী। ২০০৬ সালে চ্যানেল-৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেছিলেন, ইসরায়েল দখলবিরোধী প্রত্যেক মানুষকেই সন্ত্রাসী মনে করে। কিন্তু সেটি সত্য নয়।
২০০২ সাল থেকে বারগুতি বিভিন্ন কারাগারে বন্দী। বেশির ভাগ সময় তাঁকে একা একা থাকতে হয়েছে। একাকী বন্দিত্বের পর তিনি কারাগারে শিক্ষাদান শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে নিয়ে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তখন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েল একটি দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা কার্যত বিচারিক বর্ণবাদের শামিল।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে কারাগারে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছে, খাবার-পানিতে কড়াকড়ি আনা হয়েছে, ওজন কমেছে প্রায় ১০ কেজি।
২০২৫ সালের আগস্টে ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে বারগুতিকে হুমকি দিতে দেখা যায়।
সাম্প্রতিক ঘটনায় বারগুতির অবস্থান স্পষ্ট জানা না গেলেও বারগুতি বরাবরই ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছেন।
তিনি হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী, যা তাঁকে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করেছে। ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মেইর শিত্রিত বলেন, ‘তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন, সত্যিকারের শান্তির।’
২০০৬ সালে চ্যানেল-৪-এ এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, নারী, শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। ফিলিস্তিন বা ইসরায়েল কোথাও নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া, তবে দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার আমাদের আছে।’
ফাতাহ ও হামাস—দুই সংগঠনই বারগুতির মুক্তির দাবিতে একমত। ২০১১ ও ২০২৫ সালের বন্দিবিনিময় আলোচনাতেও তাঁর নাম তোলা হয়েছিল, তবে ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানায়, সাম্প্রতিক বন্দিবিনিময় তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমনকি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফও এতে সম্মত হন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস তা বাদ দেয়।
ইসরায়েলি চ্যানেল-১৪ জানায়, বারগুতির মুক্তিকে ‘লাল রেখা’ (অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির। বারগুতিকে মুক্তি দিলে তিনি সরকারের জোট ভাঙার হুমকিও দেন। তবু ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানসহ অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বারগুতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনে নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হতে পারে।
বারগুতির মুক্তির কোনো তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গাজার শেষ জিম্মিদের মুক্তির পর ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর চাপও এখন দুর্বল। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জন্য রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থী মহল তাঁকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতীক হিসেবে দেখে, যা তাদের দখলনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
বারগুতির ছেলে আরব বারগুতি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৭৬ জন রাজনৈতিক বন্দীকে হারিয়েছি। এবার বাবার জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ জরুরি। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি পুরো ফিলিস্তিনের আস্থা অর্জন করেছেন। সে কারণেই বর্তমান ইসরায়েলি সরকার তাঁকে ভয় পায়।’
তথ্যসূত্র: দ্য মিডল ইস্ট আই
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
১৯ জুলাই ২০২৫ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
৩ ঘণ্টা আগেজেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর রিচমন্ড অঞ্চলে। কিউ এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত সকালে কাজে যাওয়ার পথে তাঁর কাপে বাকি থাকা সামান্য কফি রাস্তার পাশের ড্রেনে ঢেলে দেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, বাসে উঠতে গিয়ে ওই কফিটুকু শরীরে ছিটকে পড়তে পারে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ওই বাসটিকে তাড়া করে এসে থামান এবং ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন-এর ৩৩ নম্বর ধারায় বুরজু ইয়েসিলিউর্তকে জরিমানা করেন।
এই বিষয়ে পরে অপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইয়েসিলিউর্ত বলেন, ‘আমি ভাবলাম দায়িত্বশীল কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ তিন অফিসার এসে আমাকে ঘিরে ধরলেন—এটা সত্যিই ধাক্কার মতো ছিল।’
তিনি জানান, তাঁকে জানানো হয়, তরল বর্জ্যও ড্রেনে ফেলা আইনত নিষিদ্ধ এবং তা পরিবেশদূষণ হিসেবে গণ্য হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কফির অবশিষ্ট অংশটুকু নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলা উচিত ছিল।
ইয়েসিলিউর্ত অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কোথাও কোনো সতর্কবার্তা বা সাইনবোর্ড ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কোনো সাইন আছে কি? তারা কিছু বলল না।’ ঘটনাটি তাঁকে ভীত ও অস্থির করে তুললেও পরে তিনি তাঁর কাজে যান।
জরিমানার পরিমাণ ১৫০ পাউন্ড হলেও ১৪ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করলে ১০০ পাউন্ডে নামানো যাবে। ইয়েসিলিউর্ত অবশ্য এখনো অর্থ পরিশোধ করেননি। এর বদলে তিনি কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘আইনটি যদি এত কড়াকড়ি হয়, তবে সড়ক ও বাসস্টপে স্পষ্টভাবে সতর্কতামূলক সাইন থাকা উচিত।’
এদিকে এই বিষয়ে রিচমন্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, ইয়েসিলিউর্তকে বৈধভাবেই জরিমানা করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পেশাদার ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছেন। কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা রিচমন্ডের জলপথ ও সড়ক পরিষ্কার রাখতে বদ্ধপরিকর। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগ করা হয়। কেউ যদি মনে করেন তাঁর ওপর আরোপ করা জরিমানাটি অন্যায্য, তবে তিনি পর্যালোচনার আবেদন করতে পারেন।’
যুক্তরাজ্যের পরিবেশ সুরক্ষা আইনে বলা আছে, এমন কোনো বর্জ্য বা তরল ফেলা অপরাধ যা মাটি বা জল দূষণের কারণ হতে পারে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনে তরল ঢালাও এর অন্তর্ভুক্ত।
লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর রিচমন্ড অঞ্চলে। কিউ এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত সকালে কাজে যাওয়ার পথে তাঁর কাপে বাকি থাকা সামান্য কফি রাস্তার পাশের ড্রেনে ঢেলে দেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, বাসে উঠতে গিয়ে ওই কফিটুকু শরীরে ছিটকে পড়তে পারে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ওই বাসটিকে তাড়া করে এসে থামান এবং ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন-এর ৩৩ নম্বর ধারায় বুরজু ইয়েসিলিউর্তকে জরিমানা করেন।
এই বিষয়ে পরে অপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইয়েসিলিউর্ত বলেন, ‘আমি ভাবলাম দায়িত্বশীল কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ তিন অফিসার এসে আমাকে ঘিরে ধরলেন—এটা সত্যিই ধাক্কার মতো ছিল।’
তিনি জানান, তাঁকে জানানো হয়, তরল বর্জ্যও ড্রেনে ফেলা আইনত নিষিদ্ধ এবং তা পরিবেশদূষণ হিসেবে গণ্য হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কফির অবশিষ্ট অংশটুকু নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলা উচিত ছিল।
ইয়েসিলিউর্ত অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কোথাও কোনো সতর্কবার্তা বা সাইনবোর্ড ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কোনো সাইন আছে কি? তারা কিছু বলল না।’ ঘটনাটি তাঁকে ভীত ও অস্থির করে তুললেও পরে তিনি তাঁর কাজে যান।
জরিমানার পরিমাণ ১৫০ পাউন্ড হলেও ১৪ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করলে ১০০ পাউন্ডে নামানো যাবে। ইয়েসিলিউর্ত অবশ্য এখনো অর্থ পরিশোধ করেননি। এর বদলে তিনি কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘আইনটি যদি এত কড়াকড়ি হয়, তবে সড়ক ও বাসস্টপে স্পষ্টভাবে সতর্কতামূলক সাইন থাকা উচিত।’
এদিকে এই বিষয়ে রিচমন্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, ইয়েসিলিউর্তকে বৈধভাবেই জরিমানা করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পেশাদার ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছেন। কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা রিচমন্ডের জলপথ ও সড়ক পরিষ্কার রাখতে বদ্ধপরিকর। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগ করা হয়। কেউ যদি মনে করেন তাঁর ওপর আরোপ করা জরিমানাটি অন্যায্য, তবে তিনি পর্যালোচনার আবেদন করতে পারেন।’
যুক্তরাজ্যের পরিবেশ সুরক্ষা আইনে বলা আছে, এমন কোনো বর্জ্য বা তরল ফেলা অপরাধ যা মাটি বা জল দূষণের কারণ হতে পারে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনে তরল ঢালাও এর অন্তর্ভুক্ত।
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
১৯ জুলাই ২০২৫ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
৩ ঘণ্টা আগেজেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
ভার্জিনিয়ার আত্মহত্যার ছয় মাস পর গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘নোবডিজ গার্ল’ শিরোনামের বইটি। এতে তিনি তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, একসময় তিনি ভেবেছিলেন হয়তো যৌন দাসী হিসেবেই তাঁর মৃত্যু হবে। তবে ১৯ বছর বয়সেই তিনি এপস্টেইনের কবল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বইটিতে ভার্জিনিয়া লিখেছেন, ‘তারা আমাকে অসংখ্য ধনী ও ক্ষমতাধর মানুষের হাতে তুলে দিত। আমাকে মাঝেমধ্যেই অপমান, মারধর ও রক্তাক্ত করা হতো।’
তিনি দাবি করেন, এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে অবস্থানকালে তাঁকে এমন একজন ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয় যিনি তাঁকে সবচেয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
তিনি আরও লেখেন, ‘সেই মানুষটি আমাকে একাধিকবার শ্বাসরোধ করেছিল, আমার ভয় দেখে আনন্দ পেয়েছিল। আমাকে যখন আঘাত করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তখন ভয়ংকরভাবে হাসছিলেন।’
পরে কেঁদে কেঁদে তিনি এপস্টেইনকে অনুরোধ করেন যেন তাঁকে আর সেই ব্যক্তির কাছে না পাঠানো হয়। কিন্তু এপস্টেইন ঠান্ডা গলায় উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এ রকমটা মাঝে মাঝে হবেই।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বইটির যুক্তরাষ্ট্র সংস্করণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রী’ বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সংস্করণে ওই ব্যক্তিকে ‘সাবেক মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
এই আত্মজীবনী প্রকাশের ফলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ধনী ও ক্ষমতাধরদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক। বিশেষ করে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর নাম আবারও সামনে এসেছে। ভার্জিনিয়ার আগে অভিযোগ করেছিলেন, এপস্টেইন তাঁকে অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তিনবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথমবার যখন তিনি অ্যান্ড্রুর সঙ্গে মিলিত হন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর।
অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০২২ সালে তিনি ভার্জিনিয়ার সঙ্গে আদালতের বাইরে মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, সেই সময়টিতে অ্যান্ড্রুর দল অনলাইনে ‘ট্রল’ ভাড়া করে তাঁকে হয়রানির চেষ্টা করেছিল।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু ২০১১ সালে নিজের এক দেহরক্ষীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজে বের করতে। এই বিষয়ে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করছে।
এই স্মৃতিকথা প্রকাশের ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সুনাম আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যদিও ব্রিটিশ রাজপরিবার বহু বছর ধরেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছিল। সম্প্রতি এই কেলেঙ্কারির দায়ে রাজপরিবারের উপাধি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন অ্যান্ড্রু।
জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
ভার্জিনিয়ার আত্মহত্যার ছয় মাস পর গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘নোবডিজ গার্ল’ শিরোনামের বইটি। এতে তিনি তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, একসময় তিনি ভেবেছিলেন হয়তো যৌন দাসী হিসেবেই তাঁর মৃত্যু হবে। তবে ১৯ বছর বয়সেই তিনি এপস্টেইনের কবল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বইটিতে ভার্জিনিয়া লিখেছেন, ‘তারা আমাকে অসংখ্য ধনী ও ক্ষমতাধর মানুষের হাতে তুলে দিত। আমাকে মাঝেমধ্যেই অপমান, মারধর ও রক্তাক্ত করা হতো।’
তিনি দাবি করেন, এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে অবস্থানকালে তাঁকে এমন একজন ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয় যিনি তাঁকে সবচেয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
তিনি আরও লেখেন, ‘সেই মানুষটি আমাকে একাধিকবার শ্বাসরোধ করেছিল, আমার ভয় দেখে আনন্দ পেয়েছিল। আমাকে যখন আঘাত করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তখন ভয়ংকরভাবে হাসছিলেন।’
পরে কেঁদে কেঁদে তিনি এপস্টেইনকে অনুরোধ করেন যেন তাঁকে আর সেই ব্যক্তির কাছে না পাঠানো হয়। কিন্তু এপস্টেইন ঠান্ডা গলায় উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এ রকমটা মাঝে মাঝে হবেই।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বইটির যুক্তরাষ্ট্র সংস্করণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রী’ বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সংস্করণে ওই ব্যক্তিকে ‘সাবেক মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
এই আত্মজীবনী প্রকাশের ফলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ধনী ও ক্ষমতাধরদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক। বিশেষ করে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর নাম আবারও সামনে এসেছে। ভার্জিনিয়ার আগে অভিযোগ করেছিলেন, এপস্টেইন তাঁকে অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তিনবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথমবার যখন তিনি অ্যান্ড্রুর সঙ্গে মিলিত হন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর।
অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০২২ সালে তিনি ভার্জিনিয়ার সঙ্গে আদালতের বাইরে মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, সেই সময়টিতে অ্যান্ড্রুর দল অনলাইনে ‘ট্রল’ ভাড়া করে তাঁকে হয়রানির চেষ্টা করেছিল।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু ২০১১ সালে নিজের এক দেহরক্ষীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজে বের করতে। এই বিষয়ে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করছে।
এই স্মৃতিকথা প্রকাশের ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সুনাম আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যদিও ব্রিটিশ রাজপরিবার বহু বছর ধরেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছিল। সম্প্রতি এই কেলেঙ্কারির দায়ে রাজপরিবারের উপাধি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন অ্যান্ড্রু।
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
১৯ জুলাই ২০২৫ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
৩ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
৩ ঘণ্টা আগে