
সাবেক ব্রিটিশ লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে ‘লক্ষ্যবস্তু করে ও ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ এবং তদন্তকারীরা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগ তাঁকে জানাননি, কিন্তু সেগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি বিভাগের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ওই পদে থাকাকালে তিনি যুক্তরাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে নির্বাচিত এই এমপি তখন বলেছিলেন, তিনি কোনো ভুল করেননি, তবে সরকারকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলতে চান না বলেই পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, এই অভিযোগ ‘কোনোভাবেই লক্ষ্যবস্তু করে করা হয়নি বা ভিত্তিহীন নয়’ এবং তদন্ত ‘দুর্নীতির নথিভিত্তিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে’ চলছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক আদালতের কার্যক্রম এড়িয়ে যেতে পারেন না। তিনি বাংলাদেশে এসে আইনি সহায়তা নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে চাইলে আমি তাঁকে স্বাগত জানাব।’ তিনি আরও বলেন, দুদকের গণমাধ্যম ব্রিফিং নিয়মিত ও পেশাদারির সঙ্গে পরিচালিত হয় এবং এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
জানুয়ারিতে যখন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তখন তিনি নিজেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানান। স্যার লরি তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, তিনি কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাননি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, টিউলিপ তাঁর ফুপু ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সম্ভাব্য ‘সুনামের ঝুঁকি’ সম্পর্কে আরও সতর্ক হলে ভালো হতো।
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, তাঁর জন্য ‘ফিরে আসার দরজা খোলা আছে।’
বাংলাদেশের একটি অবকাঠামো (পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প) প্রকল্প থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা—এমন একটি অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। এই তদন্তের ভিত্তি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের একটি অভিযোগ।
বিবিসি দেখেছে, আদালতের নথিতে হাজ্জাজ দাবি করেছেন—২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দাম অতিরিক্ত বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিদ্দিক ভূমিকা রেখেছিলেন। দুদকে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি ওই পরমাণু প্রকল্পে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না, যদিও ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে।
চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেছেন, তিনি কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরে পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো অস্বাভাবিক নয়।’
এ ছাড়া, চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে যে ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাট সিদ্দিককে দেওয়া হয়েছিল, সেটি ‘দুর্নীতির অর্থ থেকে এসেছে’ এই দাবি ‘হাস্যকর’ ও ‘অসম্ভব’। কারণ, এটি পরমাণু প্রকল্পের চুক্তির ১০ বছর আগের ঘটনা।
স্যার লরি ম্যাগনাস তাঁর তদন্তে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে তিনি (টিউলিপ) জানতেন না, তাঁর কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটের মালিকানা কীভাবে এসেছে, যদিও তিনি তখন উপহারসংক্রান্ত ভূমি রেজিস্ট্রির ফর্মে স্বাক্ষর করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, টিউলিপ আগে মনে করতেন তাঁর বাবা-মা ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছেন, তবে মন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে এই তথ্য সংশোধন করতে হয়েছিল।
স্যার লরি এটিকে ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ‘অজান্তেই জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছিল।’
দুদকে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন, কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি তাঁকে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ। চিঠিতে তাঁকে ‘একজন ইমাম ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, টিউলিপের কাছে ধর্মপিতার মতো’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় ভূমি আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারেও দুদকের গণমাধ্যমে দেওয়া তথ্য ভিত্তিহীন। চিঠিতে দুদকের গণমাধ্যম ব্রিফিংকে ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘দুদক বা বাংলাদেশের কোনো যথাযথ কর্তৃপক্ষ কখনোই টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিকভাবে, স্বচ্ছভাবে বা ন্যায্যভাবে উত্থাপন করেনি।’
টিউলিপের আইনজীবীদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দাবি করছি, আপনারা অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ তৈরি বন্ধ করুন এবং গণমাধ্যমে আর কোনো বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’ এতে আরও বলা হয়েছে, দুদককে ২৫ মার্চের মধ্যে টিউলিপকে প্রশ্ন পাঠাতে হবে, অন্যথায় ধরে নেওয়া হবে যে, ‘তাঁর বিরুদ্ধে কোনো বৈধ অভিযোগ নেই।’
এদিকে, দুদক জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে সিদ্দিকের আইনজীবীদের চিঠির জবাব দিয়েছে। বিবিসির হাতে আসা সেই চিঠিতে দুদকের এক মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশির ভাগ সময় দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগের অনুগতদের মালিকানাধীন বাড়িতে বসবাস করেছেন’, যা প্রমাণ করে যে তিনি দলটির দুর্নীতির সুবিধাভোগী ছিলেন।
দুদকের মুখপাত্র আরও বলেন, টিউলিপ ‘হাসিনা সরকারের প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে জানতেন না’ বলে যে দাবি করেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং তারা যথাসময়ে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

সাবেক ব্রিটিশ লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে ‘লক্ষ্যবস্তু করে ও ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ এবং তদন্তকারীরা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগ তাঁকে জানাননি, কিন্তু সেগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি বিভাগের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ওই পদে থাকাকালে তিনি যুক্তরাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে নির্বাচিত এই এমপি তখন বলেছিলেন, তিনি কোনো ভুল করেননি, তবে সরকারকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলতে চান না বলেই পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, এই অভিযোগ ‘কোনোভাবেই লক্ষ্যবস্তু করে করা হয়নি বা ভিত্তিহীন নয়’ এবং তদন্ত ‘দুর্নীতির নথিভিত্তিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে’ চলছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক আদালতের কার্যক্রম এড়িয়ে যেতে পারেন না। তিনি বাংলাদেশে এসে আইনি সহায়তা নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে চাইলে আমি তাঁকে স্বাগত জানাব।’ তিনি আরও বলেন, দুদকের গণমাধ্যম ব্রিফিং নিয়মিত ও পেশাদারির সঙ্গে পরিচালিত হয় এবং এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
জানুয়ারিতে যখন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তখন তিনি নিজেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানান। স্যার লরি তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, তিনি কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাননি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, টিউলিপ তাঁর ফুপু ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সম্ভাব্য ‘সুনামের ঝুঁকি’ সম্পর্কে আরও সতর্ক হলে ভালো হতো।
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, তাঁর জন্য ‘ফিরে আসার দরজা খোলা আছে।’
বাংলাদেশের একটি অবকাঠামো (পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প) প্রকল্প থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা—এমন একটি অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। এই তদন্তের ভিত্তি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের একটি অভিযোগ।
বিবিসি দেখেছে, আদালতের নথিতে হাজ্জাজ দাবি করেছেন—২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দাম অতিরিক্ত বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিদ্দিক ভূমিকা রেখেছিলেন। দুদকে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি ওই পরমাণু প্রকল্পে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না, যদিও ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে।
চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেছেন, তিনি কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরে পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো অস্বাভাবিক নয়।’
এ ছাড়া, চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে যে ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাট সিদ্দিককে দেওয়া হয়েছিল, সেটি ‘দুর্নীতির অর্থ থেকে এসেছে’ এই দাবি ‘হাস্যকর’ ও ‘অসম্ভব’। কারণ, এটি পরমাণু প্রকল্পের চুক্তির ১০ বছর আগের ঘটনা।
স্যার লরি ম্যাগনাস তাঁর তদন্তে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে তিনি (টিউলিপ) জানতেন না, তাঁর কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটের মালিকানা কীভাবে এসেছে, যদিও তিনি তখন উপহারসংক্রান্ত ভূমি রেজিস্ট্রির ফর্মে স্বাক্ষর করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, টিউলিপ আগে মনে করতেন তাঁর বাবা-মা ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছেন, তবে মন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে এই তথ্য সংশোধন করতে হয়েছিল।
স্যার লরি এটিকে ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ‘অজান্তেই জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছিল।’
দুদকে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন, কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি তাঁকে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ। চিঠিতে তাঁকে ‘একজন ইমাম ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, টিউলিপের কাছে ধর্মপিতার মতো’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় ভূমি আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারেও দুদকের গণমাধ্যমে দেওয়া তথ্য ভিত্তিহীন। চিঠিতে দুদকের গণমাধ্যম ব্রিফিংকে ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘দুদক বা বাংলাদেশের কোনো যথাযথ কর্তৃপক্ষ কখনোই টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিকভাবে, স্বচ্ছভাবে বা ন্যায্যভাবে উত্থাপন করেনি।’
টিউলিপের আইনজীবীদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দাবি করছি, আপনারা অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ তৈরি বন্ধ করুন এবং গণমাধ্যমে আর কোনো বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’ এতে আরও বলা হয়েছে, দুদককে ২৫ মার্চের মধ্যে টিউলিপকে প্রশ্ন পাঠাতে হবে, অন্যথায় ধরে নেওয়া হবে যে, ‘তাঁর বিরুদ্ধে কোনো বৈধ অভিযোগ নেই।’
এদিকে, দুদক জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে সিদ্দিকের আইনজীবীদের চিঠির জবাব দিয়েছে। বিবিসির হাতে আসা সেই চিঠিতে দুদকের এক মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশির ভাগ সময় দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগের অনুগতদের মালিকানাধীন বাড়িতে বসবাস করেছেন’, যা প্রমাণ করে যে তিনি দলটির দুর্নীতির সুবিধাভোগী ছিলেন।
দুদকের মুখপাত্র আরও বলেন, টিউলিপ ‘হাসিনা সরকারের প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে জানতেন না’ বলে যে দাবি করেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং তারা যথাসময়ে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১ ঘণ্টা আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের কাছে এই প্রজ্ঞাপনের একটি কপি এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ফেডারেল সরকার বিশ্বাস করে, টিএলপি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত এবং এ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাই সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৯৭-এর ধারা ১১বি (১)(এ) অনুযায়ী টিএলপিকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পাঞ্জাব প্রদেশ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেল মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত একযোগে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভাকে জানায়, টিএলপি বারবার সহিংসতা উসকে দিয়েছে এবং দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরি করেছে।
২০১৫ সালে টিএলপি একটি আন্দোলনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১৬ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। টিএলপি পাকিস্তানে বিতর্কিত একটি ইসলামপন্থী দল, যারা প্রায়ই সহিংস বিক্ষোভের জন্য পরিচিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে টিএলপি আলোচনায় আসে দেশের ধর্ম অবমাননা আইনের (ব্লাসফেমি আইন) পক্ষে প্রচার চালিয়ে। এর পর থেকে দলটি বেশ কয়েকবার সহিংস বিক্ষোভ করেছে, বিশেষত বিদেশে কোরআন অবমাননার ঘটনায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২১ সালের নিষেধাজ্ঞা ছয় মাস পর তুলে নেওয়া হয়েছিল—শর্ত ছিল, দলটি আর সহিংসতায় জড়াবে না। কিন্তু তারা সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ইমরান খানের তৎকালীন সরকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় টিএলপিকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।

কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের কাছে এই প্রজ্ঞাপনের একটি কপি এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ফেডারেল সরকার বিশ্বাস করে, টিএলপি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত এবং এ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাই সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৯৭-এর ধারা ১১বি (১)(এ) অনুযায়ী টিএলপিকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পাঞ্জাব প্রদেশ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেল মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত একযোগে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভাকে জানায়, টিএলপি বারবার সহিংসতা উসকে দিয়েছে এবং দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরি করেছে।
২০১৫ সালে টিএলপি একটি আন্দোলনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১৬ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। টিএলপি পাকিস্তানে বিতর্কিত একটি ইসলামপন্থী দল, যারা প্রায়ই সহিংস বিক্ষোভের জন্য পরিচিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে টিএলপি আলোচনায় আসে দেশের ধর্ম অবমাননা আইনের (ব্লাসফেমি আইন) পক্ষে প্রচার চালিয়ে। এর পর থেকে দলটি বেশ কয়েকবার সহিংস বিক্ষোভ করেছে, বিশেষত বিদেশে কোরআন অবমাননার ঘটনায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২১ সালের নিষেধাজ্ঞা ছয় মাস পর তুলে নেওয়া হয়েছিল—শর্ত ছিল, দলটি আর সহিংসতায় জড়াবে না। কিন্তু তারা সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ইমরান খানের তৎকালীন সরকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় টিএলপিকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।

সাবেক ব্রিটিশ লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে ‘লক্ষ্যবস্তু করে ও ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা...
২০ মার্চ ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১ ঘণ্টা আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গত পাঁচ মাসে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন তিনি।
ওই চিকিৎসক এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ বাঁ হাতের তালুতে লিখে গেছেন।
ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বাদনের লাগাতার হয়রানিই তাঁকে নিজের জীবন দিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হাতে লিখে যান ওই নারী।
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাতারা জেলায় ফাল্টান মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে গত ১৯ জুন ফাল্টান সাবডিভিশনাল অফিসের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে (ডিএসপি) লেখা এক চিঠিতে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক ফাল্টান গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি গোপাল বাদনে, সাবডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর লাদপুত্রের নাম উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছি। অনুরোধ করছি, গুরুতর বিষয়টি তদন্ত করা হোক এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
একাধিক সূত্র বলছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে গোপাল বাদনেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মহারাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেভরাও ওয়াদেত্তিবার এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয় নামদেভরাও বলেন, ‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়! পুলিশের কাজ হলো সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু তারাই যদি একজন নারী চিকিৎসককে নির্যাতন করে, ন্যায়বিচার তাহলে কীভাবে হবে? মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিল, তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? রাজ্য সরকার বারবার পুলিশকে আড়াল করছে। ফলে পুলিশের নৃশংসতা বাড়ছে।’

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গত পাঁচ মাসে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন তিনি।
ওই চিকিৎসক এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ বাঁ হাতের তালুতে লিখে গেছেন।
ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বাদনের লাগাতার হয়রানিই তাঁকে নিজের জীবন দিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হাতে লিখে যান ওই নারী।
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাতারা জেলায় ফাল্টান মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে গত ১৯ জুন ফাল্টান সাবডিভিশনাল অফিসের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে (ডিএসপি) লেখা এক চিঠিতে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক ফাল্টান গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি গোপাল বাদনে, সাবডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর লাদপুত্রের নাম উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছি। অনুরোধ করছি, গুরুতর বিষয়টি তদন্ত করা হোক এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
একাধিক সূত্র বলছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে গোপাল বাদনেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মহারাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেভরাও ওয়াদেত্তিবার এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয় নামদেভরাও বলেন, ‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়! পুলিশের কাজ হলো সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু তারাই যদি একজন নারী চিকিৎসককে নির্যাতন করে, ন্যায়বিচার তাহলে কীভাবে হবে? মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিল, তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? রাজ্য সরকার বারবার পুলিশকে আড়াল করছে। ফলে পুলিশের নৃশংসতা বাড়ছে।’

সাবেক ব্রিটিশ লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে ‘লক্ষ্যবস্তু করে ও ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা...
২০ মার্চ ২০২৫
কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
সভা শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে চীনের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই ইশতেহার থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামরিক শুদ্ধি অভিযান এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান বার্তা পাওয়া যায়।
ধারণার চেয়েও বড় হতে পারে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান
প্লেনাম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৬৮ জনের উপস্থিতি চীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে। প্লেনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় গুরুতর কারণ ছাড়া এতো নেতার অনুপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জানা গেছে, একজন সদস্যের মৃত্যু এবং ১০ জন বহিষ্কারের পরও ২৬ জন ক্যাডার অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন ‘বিকল্প’ প্রতিনিধি। এই বৃহৎ অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিদর্শন দলগুলোর সর্বশেষ ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অভিযানে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অপসারিত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীতেও চিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদমর্যাদার ৩৩ জন জেনারেলের মধ্যে ২২ জন প্লেনামে যোগ দেননি। যদিও ৮ জনের অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বাকি ১৪ জনের অনুপস্থিতি রহস্যজনক।
এই ঘটনাকে সি চিনপিংয়ের শক্তি না দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এটি কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন একজন নেতার পদক্ষেপ, নাকি পদমর্যাদা নির্বিশেষে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত একজন দৃঢ় নেতার ইঙ্গিত? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পার্টির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই অভিযান থামবে না। কেন্দ্রীয় নীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক জিয়াং জিনকুয়ান জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল দৃঢ়তা বজায় রাখা হবে, এর কোনো শেষ সীমা নেই।
প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে চীনের ঝোঁক
ইশতেহারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হলো ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীন বিশেষত কম্পিউটার চিপ এবং উন্নত সফটওয়্যার-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে। সিপিসি-র এই পদক্ষেপের মূল কথা হলো: কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।
সিপিসি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এটিকে স্পষ্ট করে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ শব্দ উল্লেখ করে বলেছে, ‘দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৃহত্তর স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে এবং নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।’ সি চিনপিংয়ের এই ‘নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তি’ সামরিক প্রয়োগসহ উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বোঝায়, যা বেসরকারি খাত, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হলো—আমেরিকান নির্ভরতা ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা।

স্থানীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আরেকটি বড় প্রভাব হলো রপ্তানি বাজার হারানো। চীন ঐতিহ্যগতভাবে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এটি অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিচ্ছিলেন যে চীনকে অভ্যন্তরীণ ভোগ বা ব্যয়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আমেরিকান শুল্কের কারণে চীনে তৈরি পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, চীন এখন তার বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। ইশতেহার অনুযায়ী, দেশে একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আবাসন সংকট এবং উচ্চ বেকারত্বের কারণে যখন জনগণ সঞ্চয় করতে বেশি আগ্রহী, তখন তাদের কীভাবে বেশি ব্যয় করতে উৎসাহিত করা হবে—সে বিষয়ে এই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট নতুন ধারণা উঠে আসেনি। একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর করতে কী পদক্ষেপের প্রয়োজন সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিবিসি

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
সভা শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে চীনের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই ইশতেহার থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামরিক শুদ্ধি অভিযান এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান বার্তা পাওয়া যায়।
ধারণার চেয়েও বড় হতে পারে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান
প্লেনাম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৬৮ জনের উপস্থিতি চীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে। প্লেনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় গুরুতর কারণ ছাড়া এতো নেতার অনুপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জানা গেছে, একজন সদস্যের মৃত্যু এবং ১০ জন বহিষ্কারের পরও ২৬ জন ক্যাডার অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন ‘বিকল্প’ প্রতিনিধি। এই বৃহৎ অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিদর্শন দলগুলোর সর্বশেষ ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অভিযানে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অপসারিত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীতেও চিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদমর্যাদার ৩৩ জন জেনারেলের মধ্যে ২২ জন প্লেনামে যোগ দেননি। যদিও ৮ জনের অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বাকি ১৪ জনের অনুপস্থিতি রহস্যজনক।
এই ঘটনাকে সি চিনপিংয়ের শক্তি না দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এটি কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন একজন নেতার পদক্ষেপ, নাকি পদমর্যাদা নির্বিশেষে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত একজন দৃঢ় নেতার ইঙ্গিত? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পার্টির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই অভিযান থামবে না। কেন্দ্রীয় নীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক জিয়াং জিনকুয়ান জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল দৃঢ়তা বজায় রাখা হবে, এর কোনো শেষ সীমা নেই।
প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে চীনের ঝোঁক
ইশতেহারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হলো ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীন বিশেষত কম্পিউটার চিপ এবং উন্নত সফটওয়্যার-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে। সিপিসি-র এই পদক্ষেপের মূল কথা হলো: কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।
সিপিসি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এটিকে স্পষ্ট করে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ শব্দ উল্লেখ করে বলেছে, ‘দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৃহত্তর স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে এবং নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।’ সি চিনপিংয়ের এই ‘নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তি’ সামরিক প্রয়োগসহ উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বোঝায়, যা বেসরকারি খাত, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হলো—আমেরিকান নির্ভরতা ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা।

স্থানীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আরেকটি বড় প্রভাব হলো রপ্তানি বাজার হারানো। চীন ঐতিহ্যগতভাবে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এটি অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিচ্ছিলেন যে চীনকে অভ্যন্তরীণ ভোগ বা ব্যয়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আমেরিকান শুল্কের কারণে চীনে তৈরি পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, চীন এখন তার বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। ইশতেহার অনুযায়ী, দেশে একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আবাসন সংকট এবং উচ্চ বেকারত্বের কারণে যখন জনগণ সঞ্চয় করতে বেশি আগ্রহী, তখন তাদের কীভাবে বেশি ব্যয় করতে উৎসাহিত করা হবে—সে বিষয়ে এই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট নতুন ধারণা উঠে আসেনি। একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর করতে কী পদক্ষেপের প্রয়োজন সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিবিসি

সাবেক ব্রিটিশ লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে ‘লক্ষ্যবস্তু করে ও ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা...
২০ মার্চ ২০২৫
কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোপনে ঠিকাদার হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী মেহুল গোস্বামী নামের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসের জন্য দূর থেকে কাজ করতেন মেহুল। এটিই ছিল তাঁর মূল চাকরি। কিন্তু পাশাপাশি ২০২২ সালের মার্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
একটি বেনামি ই-মেইল থেকে বিষয়টি ফাঁস হলে মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেহুল গোস্বামীর এহেন আচরণ সেই আস্থার গুরুতর লঙ্ঘন। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় দ্বিতীয় পূর্ণকালীন চাকরি করা সরকারি সম্পদ ও করদাতার অর্থের অপব্যবহার।
১৫ অক্টোবর সারাটোগা কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় মেহুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোপনে ঠিকাদার হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী মেহুল গোস্বামী নামের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসের জন্য দূর থেকে কাজ করতেন মেহুল। এটিই ছিল তাঁর মূল চাকরি। কিন্তু পাশাপাশি ২০২২ সালের মার্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
একটি বেনামি ই-মেইল থেকে বিষয়টি ফাঁস হলে মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেহুল গোস্বামীর এহেন আচরণ সেই আস্থার গুরুতর লঙ্ঘন। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় দ্বিতীয় পূর্ণকালীন চাকরি করা সরকারি সম্পদ ও করদাতার অর্থের অপব্যবহার।
১৫ অক্টোবর সারাটোগা কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় মেহুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

সাবেক ব্রিটিশ লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে ‘লক্ষ্যবস্তু করে ও ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা...
২০ মার্চ ২০২৫
কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১ ঘণ্টা আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
১ ঘণ্টা আগে