
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ফিলিস্তুনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করার ঘটনায় ইসরায়েলকে জাতিসংঘের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার জন্য বারবার অনুরোধও করেছিল। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এই সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের প্রতি আচরণের প্রতিবেদন বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেন, ‘২০২২ সালে ইউক্রেনে শিশুদের প্রতি চালানো সহিংসতার মাত্রা ভয়াবহ। আমি বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত।’
প্রতিবেদনের অনুলিপি দেখেছে এমন সংবাদ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সামগ্রিভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত ৪৭৭টি শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩৬টি শিশু সরাসরি রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় মারা গেছে।
অন্যদিকে, এক বছরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্যও ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট ও বিমান হামলায়। এদিকে এই যুদ্ধে আহতের সংখ্যা এর কয়েক গুণ। আহত শিশুদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠী ইউক্রেনে ৫১৮ শিশুকে পঙ্গু করেছে। স্কুল ও হাসপাতালে ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ৯১ শিশুকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ১৭৫ শিশুকে পঙ্গু করেছে এবং স্কুল-হাসপাতালে ২১২টি হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনের বাহিনীকে কালো তালিকায় রাখা হয়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের প্রধান প্রতিবেদনে বলেছেন, তিনি ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যা নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত এবং ৯৩৩ জন আহত হয়েছে। আর ২০২১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ৭৮ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। তবে শিশু হত্যার জন্য লজ্জিত দেশগুলোর জাতিসংঘের তালিকায় ইসরাইল কখনোই ছিল না।
গুতেরেস বলেছেন, আগের প্রতিবেদনের তুলনায় গত বছর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত শিশুদের সংখ্যা ‘অর্থবহভাবে হ্রাস’ পেয়েছে।
রুশ বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘শেম লিস্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত না করায় সংস্থাটি জাতিসংঘপ্রধানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সমালোচনা করে সংস্থাটি বলেছে, ‘গুতেরেস আবারও ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।’
শিশুদের অধিকারের জন্য এইচআরডব্লিউয়ের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জো বেকার বলেছেন, ‘লিস্ট অব শেমে রুশ বাহিনীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের মহাসচিব শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যা পৃথিবীর অন্য স্থানের শিশু অধিকার রক্ষার দায়বদ্ধতার সৃষ্টি করে। কিন্তু গুতেরেস বছরের পর বছর ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার বিষয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি আরও সহিংস হয়ে উঠছে।’
বেকার এক টুইটে লিখেছেন ‘জাতিসংঘ ২০১৫-২০ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০টিরও বেশি শিশু হতাহতের জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করেছে। গুতেরেস ২০২২ সালে আরও ৯৭৫টি ঘটনা যাচাই করেছেন। তবু তিনি এখনো ‘লিস্ট অব শেম’ থেকে ইসরায়েলকে বাদ রেখেছেন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মনসুর বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে জাতিসংঘের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ফিলিস্তিনি জনগণ ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। মহাসচিব বর্তমানে এই ইসরায়েলি সরকারকে তালিকাভুক্ত না করে একটি বড় ভুল করেছেন। এটি সবচেয়ে চরমপন্থী ও ফ্যাসিবাদী সরকার। আপনি যদি এখন এই সরকারকে তালিকাভুক্ত না করেন, তবে আপনি আর কখন ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করবেন? এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত হয়েছে। কূটনীতিকেরা বলেছেন, সৌদি আরব এবং ইসরাইল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘কালো তালিকা’ থেকে দূরে থাকাতে চাপ প্রয়োগ করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে শিশুদের হত্যা ও আহত করার জন্য প্রথম নাম প্রকাশ করা হয়। এর কয়েক বছর পরে ২০২০ সালে তালিকা থেকে নাম আবার সরিয়ে দেওয়া হয়।
আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কোনো দেশ ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হলো। এর পরও ইসরায়েল ইস্যুতে প্রতিবেদনটি বিতর্কিত। কারণ ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ২০২২ সালে ৪২ এবং ২০২১ সালে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। আর এ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এটি ‘অর্থবহ সংখ্যা হ্রাস’। কিন্তু ২০২১ সালে গাজায় ১১ দিনের ও ২০২২ সালে ৩ দিনের হামলাতেই এই ১২০ শিশুকে হত্যা করেছিল, সে বিষয়টি সামনে আনছে না। বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল এখনো ফিলিস্তিনে অনেক শিশুকে হত্যা করছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কঙ্গো, সোমালিয়া, সিরিয়া, হাইতি এবং অন্যান্য দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়েও নিন্দা জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ফিলিস্তুনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করার ঘটনায় ইসরায়েলকে জাতিসংঘের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার জন্য বারবার অনুরোধও করেছিল। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এই সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের প্রতি আচরণের প্রতিবেদন বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেন, ‘২০২২ সালে ইউক্রেনে শিশুদের প্রতি চালানো সহিংসতার মাত্রা ভয়াবহ। আমি বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত।’
প্রতিবেদনের অনুলিপি দেখেছে এমন সংবাদ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সামগ্রিভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত ৪৭৭টি শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩৬টি শিশু সরাসরি রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় মারা গেছে।
অন্যদিকে, এক বছরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্যও ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট ও বিমান হামলায়। এদিকে এই যুদ্ধে আহতের সংখ্যা এর কয়েক গুণ। আহত শিশুদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠী ইউক্রেনে ৫১৮ শিশুকে পঙ্গু করেছে। স্কুল ও হাসপাতালে ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ৯১ শিশুকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ১৭৫ শিশুকে পঙ্গু করেছে এবং স্কুল-হাসপাতালে ২১২টি হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনের বাহিনীকে কালো তালিকায় রাখা হয়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের প্রধান প্রতিবেদনে বলেছেন, তিনি ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যা নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত এবং ৯৩৩ জন আহত হয়েছে। আর ২০২১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ৭৮ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। তবে শিশু হত্যার জন্য লজ্জিত দেশগুলোর জাতিসংঘের তালিকায় ইসরাইল কখনোই ছিল না।
গুতেরেস বলেছেন, আগের প্রতিবেদনের তুলনায় গত বছর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত শিশুদের সংখ্যা ‘অর্থবহভাবে হ্রাস’ পেয়েছে।
রুশ বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘শেম লিস্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত না করায় সংস্থাটি জাতিসংঘপ্রধানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সমালোচনা করে সংস্থাটি বলেছে, ‘গুতেরেস আবারও ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।’
শিশুদের অধিকারের জন্য এইচআরডব্লিউয়ের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জো বেকার বলেছেন, ‘লিস্ট অব শেমে রুশ বাহিনীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের মহাসচিব শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যা পৃথিবীর অন্য স্থানের শিশু অধিকার রক্ষার দায়বদ্ধতার সৃষ্টি করে। কিন্তু গুতেরেস বছরের পর বছর ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার বিষয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি আরও সহিংস হয়ে উঠছে।’
বেকার এক টুইটে লিখেছেন ‘জাতিসংঘ ২০১৫-২০ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০টিরও বেশি শিশু হতাহতের জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করেছে। গুতেরেস ২০২২ সালে আরও ৯৭৫টি ঘটনা যাচাই করেছেন। তবু তিনি এখনো ‘লিস্ট অব শেম’ থেকে ইসরায়েলকে বাদ রেখেছেন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মনসুর বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে জাতিসংঘের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ফিলিস্তিনি জনগণ ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। মহাসচিব বর্তমানে এই ইসরায়েলি সরকারকে তালিকাভুক্ত না করে একটি বড় ভুল করেছেন। এটি সবচেয়ে চরমপন্থী ও ফ্যাসিবাদী সরকার। আপনি যদি এখন এই সরকারকে তালিকাভুক্ত না করেন, তবে আপনি আর কখন ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করবেন? এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত হয়েছে। কূটনীতিকেরা বলেছেন, সৌদি আরব এবং ইসরাইল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘কালো তালিকা’ থেকে দূরে থাকাতে চাপ প্রয়োগ করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে শিশুদের হত্যা ও আহত করার জন্য প্রথম নাম প্রকাশ করা হয়। এর কয়েক বছর পরে ২০২০ সালে তালিকা থেকে নাম আবার সরিয়ে দেওয়া হয়।
আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কোনো দেশ ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হলো। এর পরও ইসরায়েল ইস্যুতে প্রতিবেদনটি বিতর্কিত। কারণ ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ২০২২ সালে ৪২ এবং ২০২১ সালে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। আর এ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এটি ‘অর্থবহ সংখ্যা হ্রাস’। কিন্তু ২০২১ সালে গাজায় ১১ দিনের ও ২০২২ সালে ৩ দিনের হামলাতেই এই ১২০ শিশুকে হত্যা করেছিল, সে বিষয়টি সামনে আনছে না। বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল এখনো ফিলিস্তিনে অনেক শিশুকে হত্যা করছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কঙ্গো, সোমালিয়া, সিরিয়া, হাইতি এবং অন্যান্য দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়েও নিন্দা জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ফিলিস্তুনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করার ঘটনায় ইসরায়েলকে জাতিসংঘের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার জন্য বারবার অনুরোধও করেছিল। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এই সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের প্রতি আচরণের প্রতিবেদন বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেন, ‘২০২২ সালে ইউক্রেনে শিশুদের প্রতি চালানো সহিংসতার মাত্রা ভয়াবহ। আমি বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত।’
প্রতিবেদনের অনুলিপি দেখেছে এমন সংবাদ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সামগ্রিভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত ৪৭৭টি শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩৬টি শিশু সরাসরি রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় মারা গেছে।
অন্যদিকে, এক বছরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্যও ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট ও বিমান হামলায়। এদিকে এই যুদ্ধে আহতের সংখ্যা এর কয়েক গুণ। আহত শিশুদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠী ইউক্রেনে ৫১৮ শিশুকে পঙ্গু করেছে। স্কুল ও হাসপাতালে ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ৯১ শিশুকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ১৭৫ শিশুকে পঙ্গু করেছে এবং স্কুল-হাসপাতালে ২১২টি হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনের বাহিনীকে কালো তালিকায় রাখা হয়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের প্রধান প্রতিবেদনে বলেছেন, তিনি ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যা নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত এবং ৯৩৩ জন আহত হয়েছে। আর ২০২১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ৭৮ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। তবে শিশু হত্যার জন্য লজ্জিত দেশগুলোর জাতিসংঘের তালিকায় ইসরাইল কখনোই ছিল না।
গুতেরেস বলেছেন, আগের প্রতিবেদনের তুলনায় গত বছর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত শিশুদের সংখ্যা ‘অর্থবহভাবে হ্রাস’ পেয়েছে।
রুশ বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘শেম লিস্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত না করায় সংস্থাটি জাতিসংঘপ্রধানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সমালোচনা করে সংস্থাটি বলেছে, ‘গুতেরেস আবারও ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।’
শিশুদের অধিকারের জন্য এইচআরডব্লিউয়ের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জো বেকার বলেছেন, ‘লিস্ট অব শেমে রুশ বাহিনীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের মহাসচিব শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যা পৃথিবীর অন্য স্থানের শিশু অধিকার রক্ষার দায়বদ্ধতার সৃষ্টি করে। কিন্তু গুতেরেস বছরের পর বছর ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার বিষয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি আরও সহিংস হয়ে উঠছে।’
বেকার এক টুইটে লিখেছেন ‘জাতিসংঘ ২০১৫-২০ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০টিরও বেশি শিশু হতাহতের জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করেছে। গুতেরেস ২০২২ সালে আরও ৯৭৫টি ঘটনা যাচাই করেছেন। তবু তিনি এখনো ‘লিস্ট অব শেম’ থেকে ইসরায়েলকে বাদ রেখেছেন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মনসুর বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে জাতিসংঘের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ফিলিস্তিনি জনগণ ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। মহাসচিব বর্তমানে এই ইসরায়েলি সরকারকে তালিকাভুক্ত না করে একটি বড় ভুল করেছেন। এটি সবচেয়ে চরমপন্থী ও ফ্যাসিবাদী সরকার। আপনি যদি এখন এই সরকারকে তালিকাভুক্ত না করেন, তবে আপনি আর কখন ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করবেন? এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত হয়েছে। কূটনীতিকেরা বলেছেন, সৌদি আরব এবং ইসরাইল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘কালো তালিকা’ থেকে দূরে থাকাতে চাপ প্রয়োগ করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে শিশুদের হত্যা ও আহত করার জন্য প্রথম নাম প্রকাশ করা হয়। এর কয়েক বছর পরে ২০২০ সালে তালিকা থেকে নাম আবার সরিয়ে দেওয়া হয়।
আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কোনো দেশ ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হলো। এর পরও ইসরায়েল ইস্যুতে প্রতিবেদনটি বিতর্কিত। কারণ ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ২০২২ সালে ৪২ এবং ২০২১ সালে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। আর এ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এটি ‘অর্থবহ সংখ্যা হ্রাস’। কিন্তু ২০২১ সালে গাজায় ১১ দিনের ও ২০২২ সালে ৩ দিনের হামলাতেই এই ১২০ শিশুকে হত্যা করেছিল, সে বিষয়টি সামনে আনছে না। বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল এখনো ফিলিস্তিনে অনেক শিশুকে হত্যা করছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কঙ্গো, সোমালিয়া, সিরিয়া, হাইতি এবং অন্যান্য দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়েও নিন্দা জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ফিলিস্তুনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করার ঘটনায় ইসরায়েলকে জাতিসংঘের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার জন্য বারবার অনুরোধও করেছিল। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এই সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের প্রতি আচরণের প্রতিবেদন বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেন, ‘২০২২ সালে ইউক্রেনে শিশুদের প্রতি চালানো সহিংসতার মাত্রা ভয়াবহ। আমি বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত।’
প্রতিবেদনের অনুলিপি দেখেছে এমন সংবাদ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সামগ্রিভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত ৪৭৭টি শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩৬টি শিশু সরাসরি রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় মারা গেছে।
অন্যদিকে, এক বছরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্যও ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট ও বিমান হামলায়। এদিকে এই যুদ্ধে আহতের সংখ্যা এর কয়েক গুণ। আহত শিশুদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ও সহযোগী গোষ্ঠী ইউক্রেনে ৫১৮ শিশুকে পঙ্গু করেছে। স্কুল ও হাসপাতালে ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ৯১ শিশুকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ১৭৫ শিশুকে পঙ্গু করেছে এবং স্কুল-হাসপাতালে ২১২টি হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনের বাহিনীকে কালো তালিকায় রাখা হয়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের প্রধান প্রতিবেদনে বলেছেন, তিনি ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যা নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত এবং ৯৩৩ জন আহত হয়েছে। আর ২০২১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ৭৮ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। তবে শিশু হত্যার জন্য লজ্জিত দেশগুলোর জাতিসংঘের তালিকায় ইসরাইল কখনোই ছিল না।
গুতেরেস বলেছেন, আগের প্রতিবেদনের তুলনায় গত বছর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত শিশুদের সংখ্যা ‘অর্থবহভাবে হ্রাস’ পেয়েছে।
রুশ বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘শেম লিস্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত না করায় সংস্থাটি জাতিসংঘপ্রধানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সমালোচনা করে সংস্থাটি বলেছে, ‘গুতেরেস আবারও ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।’
শিশুদের অধিকারের জন্য এইচআরডব্লিউয়ের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জো বেকার বলেছেন, ‘লিস্ট অব শেমে রুশ বাহিনীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের মহাসচিব শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যা পৃথিবীর অন্য স্থানের শিশু অধিকার রক্ষার দায়বদ্ধতার সৃষ্টি করে। কিন্তু গুতেরেস বছরের পর বছর ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার বিষয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি আরও সহিংস হয়ে উঠছে।’
বেকার এক টুইটে লিখেছেন ‘জাতিসংঘ ২০১৫-২০ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০টিরও বেশি শিশু হতাহতের জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করেছে। গুতেরেস ২০২২ সালে আরও ৯৭৫টি ঘটনা যাচাই করেছেন। তবু তিনি এখনো ‘লিস্ট অব শেম’ থেকে ইসরায়েলকে বাদ রেখেছেন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মনসুর বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে জাতিসংঘের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ফিলিস্তিনি জনগণ ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। মহাসচিব বর্তমানে এই ইসরায়েলি সরকারকে তালিকাভুক্ত না করে একটি বড় ভুল করেছেন। এটি সবচেয়ে চরমপন্থী ও ফ্যাসিবাদী সরকার। আপনি যদি এখন এই সরকারকে তালিকাভুক্ত না করেন, তবে আপনি আর কখন ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করবেন? এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত হয়েছে। কূটনীতিকেরা বলেছেন, সৌদি আরব এবং ইসরাইল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘কালো তালিকা’ থেকে দূরে থাকাতে চাপ প্রয়োগ করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে শিশুদের হত্যা ও আহত করার জন্য প্রথম নাম প্রকাশ করা হয়। এর কয়েক বছর পরে ২০২০ সালে তালিকা থেকে নাম আবার সরিয়ে দেওয়া হয়।
আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কোনো দেশ ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হলো। এর পরও ইসরায়েল ইস্যুতে প্রতিবেদনটি বিতর্কিত। কারণ ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ২০২২ সালে ৪২ এবং ২০২১ সালে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। আর এ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এটি ‘অর্থবহ সংখ্যা হ্রাস’। কিন্তু ২০২১ সালে গাজায় ১১ দিনের ও ২০২২ সালে ৩ দিনের হামলাতেই এই ১২০ শিশুকে হত্যা করেছিল, সে বিষয়টি সামনে আনছে না। বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল এখনো ফিলিস্তিনে অনেক শিশুকে হত্যা করছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কঙ্গো, সোমালিয়া, সিরিয়া, হাইতি এবং অন্যান্য দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়েও নিন্দা জানানো হয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
৭ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলাটি শুরু হয়েছে ব্রিজিত মাখোঁর ২০২৪ সালে করা অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাঁদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ব্রিজিত মাখোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে ঘৃণামূলক মন্তব্য করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধানকে নির্দেশ করে তাঁকে ‘শিশুকামী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত দুই নারীর একজন হলেন অরেলিয়ান পুয়াসোঁ-আতলান। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ‘জোয়ে সাগাঁ’ নামে পরিচিত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আরেকজন হলেন দেলফিন জে। তিনি একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ‘আমানদিন রোয়া’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউবে চার ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ব্রিজিত মাখোঁ একসময় পুরুষ ছিলেন।
এই দুই নারীকে ২০২৪ সালে ব্রিজিত ও তাঁর ভাইয়ের মানহানি করার দায়ে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে তাঁদের সাজা বাতিল হয়। তবে ফরাসি সর্বোচ্চ আদালতে এখনো এই মামলার আপিল চলছে।
এদিকে এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাখোঁ দম্পতির করা আরেকটি মানহানির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গত জুলাইয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স মিথ্যাভাবে প্রচার করেছেন যে, ব্রিজিত আসলে ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’ নামে জন্ম নেওয়া এক পুরুষ। এই দাবি ‘ভয়াবহভাবে মিথ্যা ও অপমানজনক’—এমনটাই দাবি করেছেন মাখোঁ দম্পতি।
আসলে জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু ব্রিজিত মাখোঁর বড় ভাই। তিনি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েঁতে বাস করেন। তিনি ব্রিজিতের সঙ্গে ২০১৭ ও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিজিত মাখোঁ পুরুষ—এই মিথ্যা গুজব প্রথম ছড়ায় ২০১৭ সালে মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। পরবর্তীতে এটি ফরাসি ও মার্কিন ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদীদের হাতে আরও জোরালো হয়।
২০২২ সালে ব্রিজিত মাখোঁ ফরাসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই অভিযোগ ‘অসম্ভব’ এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘অপমানজনক আঘাত’।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলাটি শুরু হয়েছে ব্রিজিত মাখোঁর ২০২৪ সালে করা অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাঁদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ব্রিজিত মাখোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে ঘৃণামূলক মন্তব্য করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধানকে নির্দেশ করে তাঁকে ‘শিশুকামী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত দুই নারীর একজন হলেন অরেলিয়ান পুয়াসোঁ-আতলান। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ‘জোয়ে সাগাঁ’ নামে পরিচিত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আরেকজন হলেন দেলফিন জে। তিনি একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ‘আমানদিন রোয়া’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউবে চার ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ব্রিজিত মাখোঁ একসময় পুরুষ ছিলেন।
এই দুই নারীকে ২০২৪ সালে ব্রিজিত ও তাঁর ভাইয়ের মানহানি করার দায়ে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে তাঁদের সাজা বাতিল হয়। তবে ফরাসি সর্বোচ্চ আদালতে এখনো এই মামলার আপিল চলছে।
এদিকে এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাখোঁ দম্পতির করা আরেকটি মানহানির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গত জুলাইয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স মিথ্যাভাবে প্রচার করেছেন যে, ব্রিজিত আসলে ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’ নামে জন্ম নেওয়া এক পুরুষ। এই দাবি ‘ভয়াবহভাবে মিথ্যা ও অপমানজনক’—এমনটাই দাবি করেছেন মাখোঁ দম্পতি।
আসলে জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু ব্রিজিত মাখোঁর বড় ভাই। তিনি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েঁতে বাস করেন। তিনি ব্রিজিতের সঙ্গে ২০১৭ ও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিজিত মাখোঁ পুরুষ—এই মিথ্যা গুজব প্রথম ছড়ায় ২০১৭ সালে মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। পরবর্তীতে এটি ফরাসি ও মার্কিন ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদীদের হাতে আরও জোরালো হয়।
২০২২ সালে ব্রিজিত মাখোঁ ফরাসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই অভিযোগ ‘অসম্ভব’ এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘অপমানজনক আঘাত’।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
২৩ জুন ২০২৩
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
৭ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি ছিল তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ।
ইসরায়েলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিতে গুলি চালায়, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
শোশানি জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যেখানে ড্রোনটি পড়ে ছিল। তবে এ সময় শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এরপর আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে এতে কেউ আহত হয়নি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তাঁরা দাবি করে, এসব হামলার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে গঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে—সে সময় ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনা সীমান্তজুড়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি ছিল তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ।
ইসরায়েলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিতে গুলি চালায়, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
শোশানি জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যেখানে ড্রোনটি পড়ে ছিল। তবে এ সময় শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এরপর আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে এতে কেউ আহত হয়নি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তাঁরা দাবি করে, এসব হামলার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে গঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে—সে সময় ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনা সীমান্তজুড়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
২৩ জুন ২০২৩
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
৭ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২০২২ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এক চোখে অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর এক হাত আংশিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঘটনার তিন বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ওকে (আক্রমণকারী) আমি খুবই তুচ্ছ একজন মানুষ মনে করেছি—এই ছোট্ট বোকা লোকটা। এতে আমার মনে ঘৃণা জাগে। পরে ভাবলাম, এমন তুচ্ছ লোকও মানুষকে হত্যা করতে পারে—আমাকেও প্রায় মেরে ফেলেছিল। সে একবারও আমার চোখের দিকে তাকায়নি।’
রুশদি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিচার শুরু হয়, তখন আক্রমণের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এত দিনে বিষয়টা হজম করতে, ভাবতে ও কিছুটা সেরে উঠতে সময় লেগেছে। তাই আমি শুধু আমাকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি এবং বাড়ি ফিরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি চোখ হারানো আর একটি হাত সঠিকভাবে কাজ না করা—এই বিষয়গুলো প্রতিদিনই অনুভব করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, ধুর! আমি তো ডান চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আমি কখনোই এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব না। এটা শুধু মেনে নিয়ে বাঁচতে হয়। কিন্তু আমি ভাবি না যে, ঠিক আছে, আরেকটা চোখ তো আছেই।’
তবে এসব সত্ত্বেও রুশদি জানালেন, তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি এখনো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। তাই যত দিন বাঁচি, লিখে যেতে চাই।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইভনিং টাইমস জানিয়েছে, সালমান রুশদির এই পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হবে ট্যাটলার ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায়। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে এটি ম্যাগাজিনের ডিজিটাল সংস্করণেও পাওয়া যাবে।

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২০২২ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এক চোখে অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর এক হাত আংশিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঘটনার তিন বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ওকে (আক্রমণকারী) আমি খুবই তুচ্ছ একজন মানুষ মনে করেছি—এই ছোট্ট বোকা লোকটা। এতে আমার মনে ঘৃণা জাগে। পরে ভাবলাম, এমন তুচ্ছ লোকও মানুষকে হত্যা করতে পারে—আমাকেও প্রায় মেরে ফেলেছিল। সে একবারও আমার চোখের দিকে তাকায়নি।’
রুশদি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিচার শুরু হয়, তখন আক্রমণের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এত দিনে বিষয়টা হজম করতে, ভাবতে ও কিছুটা সেরে উঠতে সময় লেগেছে। তাই আমি শুধু আমাকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি এবং বাড়ি ফিরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি চোখ হারানো আর একটি হাত সঠিকভাবে কাজ না করা—এই বিষয়গুলো প্রতিদিনই অনুভব করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, ধুর! আমি তো ডান চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আমি কখনোই এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব না। এটা শুধু মেনে নিয়ে বাঁচতে হয়। কিন্তু আমি ভাবি না যে, ঠিক আছে, আরেকটা চোখ তো আছেই।’
তবে এসব সত্ত্বেও রুশদি জানালেন, তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি এখনো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। তাই যত দিন বাঁচি, লিখে যেতে চাই।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইভনিং টাইমস জানিয়েছে, সালমান রুশদির এই পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হবে ট্যাটলার ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায়। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে এটি ম্যাগাজিনের ডিজিটাল সংস্করণেও পাওয়া যাবে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
২৩ জুন ২০২৩
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ, অনাহার, তীব্র শীত ও টাইফাস মহামারির কারণে হাজার হাজার সৈন্য মারা যায়। অবশেষে মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য ফ্রান্সে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপোলিয়নের সৈন্যদের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন। ২০০১ সালে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে উদ্ধার হওয়া একটি গণকবর থেকে পাওয়া দাঁতের নমুনা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, সৈন্যদের মৃত্যু শুধু টাইফাস মহামারিতে হয়নি, বরং আরও অন্তত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া তখন মারাত্মক ভূমিকা রেখেছিল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া দুটিকে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ ও ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ প্যারাটাইফয়েড জ্বর ঘটায় এবং ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ রিল্যাপসিং বা পুনরাবৃত্ত জ্বর ঘটায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ও বর্তমানে এস্তোনিয়ার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেমি বারবিয়েরি বলেন, আগে মনে করা হতো, টাইফাসই ছিল সৈন্যদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ। কিন্তু নতুন ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রমাণ করছে, সেখানে একাধিক সংক্রমণ একযোগে কাজ করেছিল।
২০০৬ সালে প্রথমবার টাইফাস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যদের দাঁতে। তবে তখনকার প্রযুক্তি সীমিত ছিল। এবার গবেষকেরা ব্যবহার করেছেন ‘হাই-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি, যা একসঙ্গে লাখ লাখ ডিএনএ খণ্ড বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ফলে দুই শতাব্দী পুরোনো জিনগত উপাদান থেকেও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গবেষণায় ১৩টি দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করা হলেও তাতে টাইফাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গবেষক নিকোলাস রাসকোভান জানান, এটি আগের গবেষণাকে অস্বীকার করছে না, বরং নতুন প্রমাণ দিচ্ছে যে, নেপোলিয়নের সৈন্যদের মধ্যে একাধিক সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছিল। হয়তো আরও অনেক অজানা রোগ তখন ছিল, যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞ সিসিল লুইস বলেন, এই গবেষণা ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কারণ, প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন অতীতের রোগবালাই ও তার বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিচ্ছে।
প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং জ্বর পৃথিবীতে এখনো বিরাজমান। তবে এ জ্বরগুলো অতীতের মতো আর প্রাণঘাতী নয়। নেপোলিয়ন নিজে বেঁচে গেলেও তাঁর পরাজিত ও রুগ্ণ সেনাবাহিনীই শেষপর্যন্ত তাঁর পতনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, মাত্র এক দশকের মধ্যেই ডিএনএ প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইতিহাস ও জীববিজ্ঞানের আরও বহু অজানা রহস্য উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ, অনাহার, তীব্র শীত ও টাইফাস মহামারির কারণে হাজার হাজার সৈন্য মারা যায়। অবশেষে মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য ফ্রান্সে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপোলিয়নের সৈন্যদের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন। ২০০১ সালে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে উদ্ধার হওয়া একটি গণকবর থেকে পাওয়া দাঁতের নমুনা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, সৈন্যদের মৃত্যু শুধু টাইফাস মহামারিতে হয়নি, বরং আরও অন্তত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া তখন মারাত্মক ভূমিকা রেখেছিল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া দুটিকে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ ও ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ প্যারাটাইফয়েড জ্বর ঘটায় এবং ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ রিল্যাপসিং বা পুনরাবৃত্ত জ্বর ঘটায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ও বর্তমানে এস্তোনিয়ার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেমি বারবিয়েরি বলেন, আগে মনে করা হতো, টাইফাসই ছিল সৈন্যদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ। কিন্তু নতুন ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রমাণ করছে, সেখানে একাধিক সংক্রমণ একযোগে কাজ করেছিল।
২০০৬ সালে প্রথমবার টাইফাস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যদের দাঁতে। তবে তখনকার প্রযুক্তি সীমিত ছিল। এবার গবেষকেরা ব্যবহার করেছেন ‘হাই-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি, যা একসঙ্গে লাখ লাখ ডিএনএ খণ্ড বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ফলে দুই শতাব্দী পুরোনো জিনগত উপাদান থেকেও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গবেষণায় ১৩টি দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করা হলেও তাতে টাইফাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গবেষক নিকোলাস রাসকোভান জানান, এটি আগের গবেষণাকে অস্বীকার করছে না, বরং নতুন প্রমাণ দিচ্ছে যে, নেপোলিয়নের সৈন্যদের মধ্যে একাধিক সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছিল। হয়তো আরও অনেক অজানা রোগ তখন ছিল, যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞ সিসিল লুইস বলেন, এই গবেষণা ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কারণ, প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন অতীতের রোগবালাই ও তার বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিচ্ছে।
প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং জ্বর পৃথিবীতে এখনো বিরাজমান। তবে এ জ্বরগুলো অতীতের মতো আর প্রাণঘাতী নয়। নেপোলিয়ন নিজে বেঁচে গেলেও তাঁর পরাজিত ও রুগ্ণ সেনাবাহিনীই শেষপর্যন্ত তাঁর পতনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, মাত্র এক দশকের মধ্যেই ডিএনএ প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইতিহাস ও জীববিজ্ঞানের আরও বহু অজানা রহস্য উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত শত শিশুকে হত্যা ও পঙ্গু করার জন্য জাতিসংঘ রাশিয়ার সামরিক ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘লিস্ট অব শেম’ তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু ৪০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী তালিকায় নেই। খবর আল-জাজিরার।
২৩ জুন ২০২৩
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
৭ ঘণ্টা আগে