অনলাইন ডেস্ক
হাম্পব্যাক প্রজাতির একটি তিমি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ এবং অস্বাভাবিক অভিবাসনের এক নজির স্থাপন করেছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমনটি ঘটতে পারে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই তিমিটিকে দেখা গিয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরের কলম্বিয়া উপকূলে। কয়েক বছর পর ২০২২ সালে এটিকে ভারত মহাসাগরের জানজিবার উপকূলে দেখা যায়। এই দুটি অবস্থানের দূরত্ব কমপক্ষে ১৩ হাজার কিলোমিটার।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই অভূতপূর্ব যাত্রার কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যের অভাব বা সঙ্গী খোঁজার এক অজানা চেষ্টা।
তানজানিয়া সিটাসিয়ানস প্রোগ্রামের একাতেরিনা কালাশনিকোভা বলেন, ‘এই যাত্রা অত্যন্ত চমকপ্রদ। এমনকি এই উচ্চ অভিবাসনক্ষম প্রজাতির জন্যও এটি অস্বাভাবিক।’
কালাশনিকোভা জানান, হাম্পব্যাক তিমির ওই যাত্রাটি সম্ভবত এখন পর্যন্ত এই প্রজাতির তিমির রেকর্ডকৃত দীর্ঘতম যাত্রা।
হাম্পব্যাক তিমি পৃথিবীর সব মহাসাগরেই বসবাস করে। তারা প্রতিবছর দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে এবং স্থলচর প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ অভিবাসনের রেকর্ডও তাদের রয়েছে। সাধারণত এরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রজনন এলাকা থেকে খাদ্যের প্রাচুর্য থাকা ঠান্ডা অঞ্চলের দিকে যায়।
তবে এই তিমিটির যাত্রা আরও বিস্ময়কর। এটি দুটি ভিন্ন প্রজনন ক্ষেত্র অতিক্রম করেছে। ঠিক কী কারণে এমনটি ঘটেছে, সেই সম্পর্কে দুটি তত্ত্ব আছে। প্রথম তত্ত্বটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন হাম্পব্যাক তিমিদের প্রধান খাদ্য, ছোট চিংড়ির মতো ক্রিলের সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে খাদ্যের সন্ধানে তাদের আরও দূরে যেতে হচ্ছে।
দ্বিতীয় তত্ত্বটি হলো—বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিমির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তারা এখন নতুন প্রজনন ক্ষেত্র খুঁজে দেখছে।
এ বিষয়ে কালাশনিকোভা বলেন, ‘মূল কারণ এখনো অজানা। তবে সম্ভাব্য চালিকাশক্তির মধ্যে রয়েছে জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তন, পরিবেশগত দুর্যোগ বা চরম ঘটনাগুলো (যা এখন বেশি ঘনঘন ঘটে) এবং প্রজাতির বিবর্তন প্রক্রিয়া।’
জানা গেছে, কলম্বিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে একটি গবেষণা জাহাজ থেকে ২০১৩ সালে এই তিমিটির ছবি তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরে ২০১৭ সালে একই এলাকায় এটিকে দেখা গিয়েছিল। ২০২২ সালে জানজিবারে এটির খোঁজ মেলে।
সম্ভাব্য ন্যূনতম যাত্রাপথের হিসেবে তিমিটির এই তিন অবস্থানের মধ্যে ১৩ হাজার ৪৬ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল।
বিবিসি এই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করেছে ‘হ্যাপিহোয়েল ডটকম’ নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে, যেখানে গবেষক, তিমি পর্যবেক্ষক এবং সাধারণ মানুষ তিমির ছবি জমা দেন।
তিমির লেজ বা ফ্লুকের আকার ও নকশা নির্ধারণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এই ডাটাবেসটি তিমিদের বৈশ্বিক গতিবিধি ট্র্যাক করে। রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে সম্প্রতি গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
হাম্পব্যাক প্রজাতির একটি তিমি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ এবং অস্বাভাবিক অভিবাসনের এক নজির স্থাপন করেছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমনটি ঘটতে পারে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই তিমিটিকে দেখা গিয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরের কলম্বিয়া উপকূলে। কয়েক বছর পর ২০২২ সালে এটিকে ভারত মহাসাগরের জানজিবার উপকূলে দেখা যায়। এই দুটি অবস্থানের দূরত্ব কমপক্ষে ১৩ হাজার কিলোমিটার।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই অভূতপূর্ব যাত্রার কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যের অভাব বা সঙ্গী খোঁজার এক অজানা চেষ্টা।
তানজানিয়া সিটাসিয়ানস প্রোগ্রামের একাতেরিনা কালাশনিকোভা বলেন, ‘এই যাত্রা অত্যন্ত চমকপ্রদ। এমনকি এই উচ্চ অভিবাসনক্ষম প্রজাতির জন্যও এটি অস্বাভাবিক।’
কালাশনিকোভা জানান, হাম্পব্যাক তিমির ওই যাত্রাটি সম্ভবত এখন পর্যন্ত এই প্রজাতির তিমির রেকর্ডকৃত দীর্ঘতম যাত্রা।
হাম্পব্যাক তিমি পৃথিবীর সব মহাসাগরেই বসবাস করে। তারা প্রতিবছর দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে এবং স্থলচর প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ অভিবাসনের রেকর্ডও তাদের রয়েছে। সাধারণত এরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রজনন এলাকা থেকে খাদ্যের প্রাচুর্য থাকা ঠান্ডা অঞ্চলের দিকে যায়।
তবে এই তিমিটির যাত্রা আরও বিস্ময়কর। এটি দুটি ভিন্ন প্রজনন ক্ষেত্র অতিক্রম করেছে। ঠিক কী কারণে এমনটি ঘটেছে, সেই সম্পর্কে দুটি তত্ত্ব আছে। প্রথম তত্ত্বটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন হাম্পব্যাক তিমিদের প্রধান খাদ্য, ছোট চিংড়ির মতো ক্রিলের সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে খাদ্যের সন্ধানে তাদের আরও দূরে যেতে হচ্ছে।
দ্বিতীয় তত্ত্বটি হলো—বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিমির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তারা এখন নতুন প্রজনন ক্ষেত্র খুঁজে দেখছে।
এ বিষয়ে কালাশনিকোভা বলেন, ‘মূল কারণ এখনো অজানা। তবে সম্ভাব্য চালিকাশক্তির মধ্যে রয়েছে জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তন, পরিবেশগত দুর্যোগ বা চরম ঘটনাগুলো (যা এখন বেশি ঘনঘন ঘটে) এবং প্রজাতির বিবর্তন প্রক্রিয়া।’
জানা গেছে, কলম্বিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে একটি গবেষণা জাহাজ থেকে ২০১৩ সালে এই তিমিটির ছবি তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরে ২০১৭ সালে একই এলাকায় এটিকে দেখা গিয়েছিল। ২০২২ সালে জানজিবারে এটির খোঁজ মেলে।
সম্ভাব্য ন্যূনতম যাত্রাপথের হিসেবে তিমিটির এই তিন অবস্থানের মধ্যে ১৩ হাজার ৪৬ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল।
বিবিসি এই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করেছে ‘হ্যাপিহোয়েল ডটকম’ নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে, যেখানে গবেষক, তিমি পর্যবেক্ষক এবং সাধারণ মানুষ তিমির ছবি জমা দেন।
তিমির লেজ বা ফ্লুকের আকার ও নকশা নির্ধারণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এই ডাটাবেসটি তিমিদের বৈশ্বিক গতিবিধি ট্র্যাক করে। রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে সম্প্রতি গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন হাজারো বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের মধ্যে একজন মাহা জানুদ। যিনি সিরিয়ার প্রথম নারী ফুটবল কোচ
২ মিনিট আগেসামনে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেশটির এ অবস্থান তুলে ধরেন। ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ তম বিজিবি–বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন।
৬ মিনিট আগেপ্রথম ট্রান্সজেন্ডার অভিনেত্রী হিসেবে এবার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন কার্লা সোফিয়া গাসকন। এরপরই তাঁর পুরোনো ও বিতর্কিত কয়েকটি টুইট নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। ওই টুইটগুলোতে তিনি ধর্ম, ইসলাম, জর্জ ফ্লয়েড, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং অস্কারের বৈচিত্র্য নীতি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন থাকা উত্তর কোরিয়ার সেনাদের কয়েক সপ্তাহ ধরে আর দেখা যাচ্ছে না। তারা হয়তো ব্যাপক হতাহতের কারণেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে