লেখালেখির স্বাধীনতা সূচক বা ‘ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্সের’ সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে কারাবন্দী লেখকের সংখ্যা বর্তমানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এসব লেখকের অর্ধেকই কারাগারে গেছেন অনলাইনে তাঁদের মতামত প্রকাশ করে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার পেন আমেরিকার দ্বারা সংকলিত ‘ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্স-২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনেই চীনা লেখকদের পরিণতি নিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনুশীলনের জন্য বিশ্বজুড়ে বর্তমানে বন্দী থাকা লেখকের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৩৯ জন বলে অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগই আছেন চীনের জেলে। দেশটিতে মতামত প্রকাশের জন্য বর্তমানে ১০৭ জন কারাগারে আছেন, যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি।
পেন আমেরিকার গণনায় এবারই প্রথমবারের মতো চীনের কারাগারে অবস্থান করা লেখকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এর আগে অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ ২০২০ সালে চীনে আটক শতাধিক সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মীর খবর দিয়েছিল।
‘ফ্রিডম টু রাইটের’ সর্বশেষ সূচকে অনলাইনে মতামত প্রকাশ করা ব্লগার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে যারা মত প্রকাশের জন্য প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করেন তাঁদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পেন আমেরিকার গবেষণা পরিচালক জেমস টেগার বলেছেন, ‘অনলাইন মতামতের জন্য গ্রেপ্তার হওয়া সব লোক এখানে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করবে না। এটা নিশ্চিত চীনে নিজেদের মতামতের জন্য যারা শাস্তি পেয়েছেন তাদের প্রকৃত সংখ্যা এখানে উপস্থাপিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি এবং যারা সেন্সরের মুখোমুখি হয়েছেন বা যারা শাস্তির ভয়ে নিজেদের সেন্সর করেছেন তারা গণনার বাইরে আছেন।’
অনলাইনে মতামতের জন্য সাধারণত ‘ঝামেলা সৃষ্টি এবং উসকানির’ সন্দেহে গ্রেপ্তার করে থাকে চীনা কর্তৃপক্ষ। এটি এমন একটি অভিযোগ যাকে অত্যন্ত অস্পষ্ট বলে আখ্যা দিয়েছেন একজন সিনিয়র রাজনৈতিক প্রতিনিধিও এবং পুলিশের দ্বারা এটির নির্বিচার ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ধরনের অভিযোগে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সাংবাদিক ঝাং ঝানও রয়েছেন। তিনি উহানে কোভিড-১৯ মহামারির শুরুর দিনগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০২০ সাল থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্স অনুযায়ী, আরও বেশ কয়েকজন লেখককে সরকারের কোভিড নীতির বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এদের মধ্যে সান কিং অন্যতম, যিনি ২০২০ সালের মে মাসে উইচ্যাট এবং অ্যাক্সে সমালোচনামূলক বক্তব্য পোস্ট করার জেরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিপর্যয় উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সূচকে দেখা গেছে, দেশটির জিনজিয়াংয়ের লেখকেরাই সবচেয়ে বেশি সরকারের কঠোর আচরণের শিকার। চীনের উত্তর-পশ্চিমের ওই অঞ্চলটি উইঘুর সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল। উইঘুর মুসলিমেরা গত এক দশকে কঠোর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন।
গুলনিসা ইমিন নামে একজন উইঘুর কবি বর্তমানে সাড়ে ১৭ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে আছেন। কারণ তাঁর কবিতা, বিশেষ করে ‘ওয়ান থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান নাইটস’ শিরোনামের একটি কবিতায় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হংকংয়ে স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর একটি ক্র্যাকডাউন চীনের কারাগারে লেখকদের সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিতে অবদান রেখেছে। ২০২০ সালে হংকংয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপ করেছে বেইজিং। সমালোচকেরা বলছেন, ভিন্নমত দমন করতেই এমন আইন আরোপ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর থেকে কর্তৃপক্ষ হংকংয়ে ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহারকেও পুনরুজ্জীবিত করেছে। এক সময় এই আইনটি সরকারের সমালোচকদের লক্ষ্যবস্তু করে ব্যবহার করা হতো।
পেন আমেরিকার টেগার বলছেন, ‘হংকংয়ে ২০২০ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইন এবং যে কোনো ভিন্নমত বা মতবিরোধের বিরুদ্ধে চলমান ক্র্যাকডাউন সেখানকার সৃজনশীল ক্ষেত্রে একটি ধ্বংসাত্মক রূপান্তর ঘটিয়েছে।’
লেখালেখির স্বাধীনতা সূচক বা ‘ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্সের’ সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে কারাবন্দী লেখকের সংখ্যা বর্তমানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এসব লেখকের অর্ধেকই কারাগারে গেছেন অনলাইনে তাঁদের মতামত প্রকাশ করে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার পেন আমেরিকার দ্বারা সংকলিত ‘ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্স-২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনেই চীনা লেখকদের পরিণতি নিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনুশীলনের জন্য বিশ্বজুড়ে বর্তমানে বন্দী থাকা লেখকের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৩৯ জন বলে অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগই আছেন চীনের জেলে। দেশটিতে মতামত প্রকাশের জন্য বর্তমানে ১০৭ জন কারাগারে আছেন, যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি।
পেন আমেরিকার গণনায় এবারই প্রথমবারের মতো চীনের কারাগারে অবস্থান করা লেখকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এর আগে অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ ২০২০ সালে চীনে আটক শতাধিক সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মীর খবর দিয়েছিল।
‘ফ্রিডম টু রাইটের’ সর্বশেষ সূচকে অনলাইনে মতামত প্রকাশ করা ব্লগার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে যারা মত প্রকাশের জন্য প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করেন তাঁদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পেন আমেরিকার গবেষণা পরিচালক জেমস টেগার বলেছেন, ‘অনলাইন মতামতের জন্য গ্রেপ্তার হওয়া সব লোক এখানে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করবে না। এটা নিশ্চিত চীনে নিজেদের মতামতের জন্য যারা শাস্তি পেয়েছেন তাদের প্রকৃত সংখ্যা এখানে উপস্থাপিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি এবং যারা সেন্সরের মুখোমুখি হয়েছেন বা যারা শাস্তির ভয়ে নিজেদের সেন্সর করেছেন তারা গণনার বাইরে আছেন।’
অনলাইনে মতামতের জন্য সাধারণত ‘ঝামেলা সৃষ্টি এবং উসকানির’ সন্দেহে গ্রেপ্তার করে থাকে চীনা কর্তৃপক্ষ। এটি এমন একটি অভিযোগ যাকে অত্যন্ত অস্পষ্ট বলে আখ্যা দিয়েছেন একজন সিনিয়র রাজনৈতিক প্রতিনিধিও এবং পুলিশের দ্বারা এটির নির্বিচার ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ধরনের অভিযোগে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সাংবাদিক ঝাং ঝানও রয়েছেন। তিনি উহানে কোভিড-১৯ মহামারির শুরুর দিনগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০২০ সাল থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্স অনুযায়ী, আরও বেশ কয়েকজন লেখককে সরকারের কোভিড নীতির বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এদের মধ্যে সান কিং অন্যতম, যিনি ২০২০ সালের মে মাসে উইচ্যাট এবং অ্যাক্সে সমালোচনামূলক বক্তব্য পোস্ট করার জেরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিপর্যয় উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সূচকে দেখা গেছে, দেশটির জিনজিয়াংয়ের লেখকেরাই সবচেয়ে বেশি সরকারের কঠোর আচরণের শিকার। চীনের উত্তর-পশ্চিমের ওই অঞ্চলটি উইঘুর সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল। উইঘুর মুসলিমেরা গত এক দশকে কঠোর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন।
গুলনিসা ইমিন নামে একজন উইঘুর কবি বর্তমানে সাড়ে ১৭ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে আছেন। কারণ তাঁর কবিতা, বিশেষ করে ‘ওয়ান থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান নাইটস’ শিরোনামের একটি কবিতায় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হংকংয়ে স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর একটি ক্র্যাকডাউন চীনের কারাগারে লেখকদের সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিতে অবদান রেখেছে। ২০২০ সালে হংকংয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপ করেছে বেইজিং। সমালোচকেরা বলছেন, ভিন্নমত দমন করতেই এমন আইন আরোপ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর থেকে কর্তৃপক্ষ হংকংয়ে ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহারকেও পুনরুজ্জীবিত করেছে। এক সময় এই আইনটি সরকারের সমালোচকদের লক্ষ্যবস্তু করে ব্যবহার করা হতো।
পেন আমেরিকার টেগার বলছেন, ‘হংকংয়ে ২০২০ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইন এবং যে কোনো ভিন্নমত বা মতবিরোধের বিরুদ্ধে চলমান ক্র্যাকডাউন সেখানকার সৃজনশীল ক্ষেত্রে একটি ধ্বংসাত্মক রূপান্তর ঘটিয়েছে।’
চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগে অ্যাপস্টেইন ফাইলসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকার কথা বলেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মাস্ক লিখেছেন, ‘এবার সময় এসেছে বড় বিস্ফোরণের—অ্যাপস্টেইন ফাইলসে ট্রাম্পও আছেন।’
১৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে আর কোনো ধরনের আলোচনা করতে আগ্রহী নন। সম্প্রতি করছাড় বিল নিয়ে এই দুই ব্যক্তির মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের মধ্যে ফোনালাপের কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প-মাস্
১৩ ঘণ্টা আগেভারত-কানাডা সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কানাডার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ সম্মেলনে (১৫-১৭ জুন) আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ট্রুডোর পদত্যাগের আগে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রধান
১৪ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার সূচনা করল চরম অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে তাঁরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে