
চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, চীনে এ রকম মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নতুন করে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে না। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন চীন জন্মহার বাড়াতে উঠেপরে লেগেছে।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই নভেম্বরেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
৩৯ বছর বয়সী তাং হুয়াজুন বলেছেন, তাঁর অনেক বিবাহিত বন্ধুর একটি মাত্র সন্তান। তাঁরা আর সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনাও করছে না। এমনকি অবিবাহিত চীনা তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে জন্মহার কমে গেছে।
চীনে শিশু লালনপালনের খরচ অনেক বেশি। সন্তান গ্রহণ না করার এটিও একটি কারণ। তা ছড়া চীনে এখন বেশির ভাগ পরিবার স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না। চাকরি বা কাজকর্মের প্রয়োজনে অহরহ স্থান বদল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান লালনপালনের জন্য দাদা-দাদির ওপরেও নির্ভর করতে পারে না দম্পতিরা।
তাং হুয়াজুন আরও বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করি। আর দেরিতে বিয়ে করার কারণে অনেক মেয়ের পক্ষেই গর্ভধারণে জটিলতা দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি দেরিতে বিয়ে করা চীনের জন্মহারের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে এক সন্তাননীতি প্রয়োগ করেছিল। এখন জাতিসংঘ আশা করছে, আগামী বছর থেকে চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। আর ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চীনের জন্মহার ছিল ১ দশমিক ১৬। কিন্তু একটি দেশের স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য জন্মহার ২ দশমিক ১ থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে চীনের জন্মহার এখন পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।
জনসংখ্যাবিদেরা বলেছেন, চীনে নতুন শিশুর জন্মহার এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে। গত বছর ছিল ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন। সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন কমে গেছে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
চীন সরকার গত বছর থেকে নাগরিকদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিতে শুরু করেছে। সরকার বলেছে, একটি উপযুক্ত জন্মহার অর্জনের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চীনে এখন ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় ১৩ শতাংশ। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের অধ্যাপক শেন জিয়ানফা বলেছেন, ‘আরও কয়েক বছর ধরে চীনে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। এটি একটি সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় চীনকে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
চীন এখন এই বয়স্ক জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটির সরকার চেষ্টা করছে বিবাহিত দম্পতিদের নানাভাবে সন্তান গ্রহণে উৎসাহী করতে। এ জন্য দম্পতিদের কর মওকুফ, নগদ অর্থ প্রণোদনা, মাতৃত্বকালীন ছুটির সহজলভ্যতা, আবাসন ভর্তুকি ইত্যাদি নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে চীন সরকারের এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনসংখ্যাবিদরা। তারা জন্মহার না বাড়ার পেছনে উচ্চশিক্ষার উচ্চ ব্যয়, কর্মক্ষেত্রে কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, করোনা মহামারি ও বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থাকেও দায়ী করেছেন।
হংকংয়ের ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক স্টুয়ার্ট গিটেল বাস্টেন বলেছেন, ‘তরুণদের কাছে কর্মসংস্থান একটি প্রধান বিষয়। এ ব্যাপারে সরকারকে গভীরভাবে নজর দেওয়া উচিত। আপনি কেন আরও সন্তান নেবেন, যখন আপনার কোনো চাকরির নিশ্চয়তাই নেই?’

চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, চীনে এ রকম মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নতুন করে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে না। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন চীন জন্মহার বাড়াতে উঠেপরে লেগেছে।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই নভেম্বরেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
৩৯ বছর বয়সী তাং হুয়াজুন বলেছেন, তাঁর অনেক বিবাহিত বন্ধুর একটি মাত্র সন্তান। তাঁরা আর সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনাও করছে না। এমনকি অবিবাহিত চীনা তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে জন্মহার কমে গেছে।
চীনে শিশু লালনপালনের খরচ অনেক বেশি। সন্তান গ্রহণ না করার এটিও একটি কারণ। তা ছড়া চীনে এখন বেশির ভাগ পরিবার স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না। চাকরি বা কাজকর্মের প্রয়োজনে অহরহ স্থান বদল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান লালনপালনের জন্য দাদা-দাদির ওপরেও নির্ভর করতে পারে না দম্পতিরা।
তাং হুয়াজুন আরও বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করি। আর দেরিতে বিয়ে করার কারণে অনেক মেয়ের পক্ষেই গর্ভধারণে জটিলতা দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি দেরিতে বিয়ে করা চীনের জন্মহারের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে এক সন্তাননীতি প্রয়োগ করেছিল। এখন জাতিসংঘ আশা করছে, আগামী বছর থেকে চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। আর ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চীনের জন্মহার ছিল ১ দশমিক ১৬। কিন্তু একটি দেশের স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য জন্মহার ২ দশমিক ১ থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে চীনের জন্মহার এখন পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।
জনসংখ্যাবিদেরা বলেছেন, চীনে নতুন শিশুর জন্মহার এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে। গত বছর ছিল ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন। সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন কমে গেছে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
চীন সরকার গত বছর থেকে নাগরিকদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিতে শুরু করেছে। সরকার বলেছে, একটি উপযুক্ত জন্মহার অর্জনের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চীনে এখন ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় ১৩ শতাংশ। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের অধ্যাপক শেন জিয়ানফা বলেছেন, ‘আরও কয়েক বছর ধরে চীনে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। এটি একটি সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় চীনকে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
চীন এখন এই বয়স্ক জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটির সরকার চেষ্টা করছে বিবাহিত দম্পতিদের নানাভাবে সন্তান গ্রহণে উৎসাহী করতে। এ জন্য দম্পতিদের কর মওকুফ, নগদ অর্থ প্রণোদনা, মাতৃত্বকালীন ছুটির সহজলভ্যতা, আবাসন ভর্তুকি ইত্যাদি নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে চীন সরকারের এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনসংখ্যাবিদরা। তারা জন্মহার না বাড়ার পেছনে উচ্চশিক্ষার উচ্চ ব্যয়, কর্মক্ষেত্রে কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, করোনা মহামারি ও বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থাকেও দায়ী করেছেন।
হংকংয়ের ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক স্টুয়ার্ট গিটেল বাস্টেন বলেছেন, ‘তরুণদের কাছে কর্মসংস্থান একটি প্রধান বিষয়। এ ব্যাপারে সরকারকে গভীরভাবে নজর দেওয়া উচিত। আপনি কেন আরও সন্তান নেবেন, যখন আপনার কোনো চাকরির নিশ্চয়তাই নেই?’

অস্ট্রেলিয়ার কিশোরী মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলছে অনলাইন অপরাধচক্র—এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব মেয়েকে কখনো নিজেদের ওপর, কখনো ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে এক ধরনের ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’-এর অংশ হিসেবে।
৪৪ মিনিট আগে
লন্ডনের রাস্তায় হাতে ফোন নিয়ে হাঁটছেন, সাবধান! চোখের পলকে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। ঝড়ের গতিতে একটি বাইক আসবে, এরপর এক ঝটকায় আপনার ফোন নিয়ে উধাও! মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার ডিজিটাল জীবনের সব স্মৃতি শেষ! এমন ঘটনা প্রতিদিন শত শতবার ঘটছে লন্ডনের রাস্তায়, যেন এটা নিয়মিত ঘটনা।
২ ঘণ্টা আগে
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কিশোরী মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলছে অনলাইন অপরাধী চক্র—এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব মেয়েকে কখনো নিজেদের ওপর, কখনো ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে একধরনের ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’-এর অংশ হিসেবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এই নতুন ও উদ্বেগজনক প্রবণতাকে ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার এক বিকৃত নতুন রূপ’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং জানান, এমনটি বিশ্বজুড়েই দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি মোকাবিলায় একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এসব ঘটনায় কিশোরীরা কী ধরনের সহিংস কাজে যুক্ত হয়েছে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। কমিশনার ব্যারেট জানান—অভিযুক্তদের অনেকেই সহিংস চরমপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং মানুষকে আঘাত করা তাদের কাছে একধরনের ‘বিনোদন’।
এই অপরাধীদের বেশির ভাগই কিশোর বয়সের শেষভাগে বা বিশের কোঠায় থাকা পশ্চিমা দেশগুলোর তরুণ। তারা অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম রোবলক্স কিংবা মেসেজিং অ্যাপ ডিসকর্ড ও টেলগ্রাম-এর মাধ্যমে কিশোরী ও নাবালিকা মেয়েদের টার্গেট করে।
ব্যারেট জানান, এরা নিজেদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ হিসেবে পরিচয় দেয়। তাদের মতাদর্শের মধ্যে নিহিলিজম, স্যাডিজম, নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ পর্যন্ত রয়েছে। তারা সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা, আত্মসম্মানবোধ কম এমন মেয়েদের শিকার বানায়।
ব্যারেট বলেন, ‘এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের মতো। তারা শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের জালে টেনে আনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মকাণ্ডের পেছনে আর্থিক লাভ বা যৌন উদ্দেশ্য নেই—এটা নিছক মজা, আমোদ বা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।’
বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সম্ভাব্য অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার (ফাইভ আইজ জোট) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সহায়তায় একটি এআই টুল তৈরি হচ্ছে, যা এনক্রিপ্টেড বার্তায় ব্যবহৃত ইমোজি বা গোপন স্ল্যাং বিশ্লেষণ করে এই ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য বিশ্বে প্রথমবারের মতো আইন করে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো এখনই এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। আইনটি কার্যকর হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে।

অস্ট্রেলিয়ার কিশোরী মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলছে অনলাইন অপরাধী চক্র—এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব মেয়েকে কখনো নিজেদের ওপর, কখনো ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে একধরনের ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’-এর অংশ হিসেবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এই নতুন ও উদ্বেগজনক প্রবণতাকে ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার এক বিকৃত নতুন রূপ’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং জানান, এমনটি বিশ্বজুড়েই দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি মোকাবিলায় একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এসব ঘটনায় কিশোরীরা কী ধরনের সহিংস কাজে যুক্ত হয়েছে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। কমিশনার ব্যারেট জানান—অভিযুক্তদের অনেকেই সহিংস চরমপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং মানুষকে আঘাত করা তাদের কাছে একধরনের ‘বিনোদন’।
এই অপরাধীদের বেশির ভাগই কিশোর বয়সের শেষভাগে বা বিশের কোঠায় থাকা পশ্চিমা দেশগুলোর তরুণ। তারা অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম রোবলক্স কিংবা মেসেজিং অ্যাপ ডিসকর্ড ও টেলগ্রাম-এর মাধ্যমে কিশোরী ও নাবালিকা মেয়েদের টার্গেট করে।
ব্যারেট জানান, এরা নিজেদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ হিসেবে পরিচয় দেয়। তাদের মতাদর্শের মধ্যে নিহিলিজম, স্যাডিজম, নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ পর্যন্ত রয়েছে। তারা সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা, আত্মসম্মানবোধ কম এমন মেয়েদের শিকার বানায়।
ব্যারেট বলেন, ‘এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের মতো। তারা শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের জালে টেনে আনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মকাণ্ডের পেছনে আর্থিক লাভ বা যৌন উদ্দেশ্য নেই—এটা নিছক মজা, আমোদ বা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।’
বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সম্ভাব্য অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার (ফাইভ আইজ জোট) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সহায়তায় একটি এআই টুল তৈরি হচ্ছে, যা এনক্রিপ্টেড বার্তায় ব্যবহৃত ইমোজি বা গোপন স্ল্যাং বিশ্লেষণ করে এই ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য বিশ্বে প্রথমবারের মতো আইন করে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো এখনই এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। আইনটি কার্যকর হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে।

চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির।
১৪ নভেম্বর ২০২২
লন্ডনের রাস্তায় হাতে ফোন নিয়ে হাঁটছেন, সাবধান! চোখের পলকে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। ঝড়ের গতিতে একটি বাইক আসবে, এরপর এক ঝটকায় আপনার ফোন নিয়ে উধাও! মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার ডিজিটাল জীবনের সব স্মৃতি শেষ! এমন ঘটনা প্রতিদিন শত শতবার ঘটছে লন্ডনের রাস্তায়, যেন এটা নিয়মিত ঘটনা।
২ ঘণ্টা আগে
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনের রাস্তায় হাতে ফোন নিয়ে হাঁটছেন, সাবধান! চোখের পলকে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। ঝড়ের গতিতে একটি বাইক আসবে, এরপর এক ঝটকায় আপনার ফোন নিয়ে উধাও! মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার ডিজিটাল জীবনের সব স্মৃতি শেষ! এমন ঘটনা প্রতিদিন শত শতবার ঘটছে লন্ডনের রাস্তায়, যেন এটা নিয়মিত ঘটনা।
তবে ফোন ছিনতাইয়ের প্রভাব শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এতে হারিয়ে যাচ্ছে অনেকের জীবনের অমূল্য স্মৃতিগুলোও।
গত আগস্টে কেমব্রিজের একটি মার্কেটে কেনাকাটার সময় ফেনেলা রলিংসের নতুন কেনা আইফোন-১৬ এভাবেই ছিনতাই হয়েছিল। ফোনটিতে ছিল তাঁর ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের সঙ্গে তোলা অসংখ্য ছবি ও ভিডিও। কিন্তু কোনো ব্যাকআপ না থাকায় সেই স্মৃতিগুলো চিরতরে হারিয়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফেনেলা বিবিসিকে বলেন, ‘এই স্মৃতিগুলো আমি আর কোনো দিন ফিরে পাব না।’
‘ফাইন্ড মাই (Find My)’ অ্যাপে ফেনেলা দেখতে পান, তাঁর ফোনটি প্রথমে ট্রেনে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সেটি পৌঁছে যায় দুবাই, এরপর চীনে। এরপর তাঁর কাছে আসতে থাকে একের পর এক ফিশিং মেসেজ, যেখানে তাঁকে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য দেওয়ার বা ফোন থেকে লক বা সিকিউরিটি মুছে ফেলার অনুরোধ করা হয়।
ফেনেলার মতো গল্প এখন লন্ডনের সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে। সংগঠিত কিছু অপরাধ চক্র এখন ফোন চুরিকেই বড় ব্যবসায় পরিণত করেছে। কারণ, একটি ফোন বিক্রি করেই পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত।
গত বছর সনি স্ট্রিঙ্গার নামের এক ছিনতাইকারীকে এক ঘণ্টার মধ্যে ২৪টি ফোন চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
লন্ডন ট্যাক্সি ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পল ব্রেনান বলেন, লন্ডন এখন ফোন চোরদের জন্য সোনার খনি। স্থানীয় প্রশাসনের কেউই বিশ্বাস করেন না, লন্ডনে এমনটা হয়। তবে এটা যখন তাঁদের সঙ্গে ঘটবে, তখন তাঁরা বুঝতে পারবেন।
পল ব্রেনান আরও বলেন, চোরেরা সাধারণত ইলেকট্রিক বাইকে করে আসে, কারণ, এতে খুব দ্রুত পালিয়ে যাওয়া যায়। সবাই কালো পোশাকে, মুখ ঢেকে বা হুডি পরে থাকে।
পল ব্রেনান আরও বলেন, চুরি বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি পর্যটকেরাও এখন লন্ডনে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে লন্ডনে ১ লাখ ১৭ হাজার ২১১টি ফোন চুরি হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। অপরাধীরা সাধারণত হালকা ইলেকট্রিক মোটরবাইক ব্যবহার করে, যা ঘণ্টায় ৬০ মাইল (৯৭ কিমি) গতিতে চলতে পারে। এই দ্রুতগামী চোরদের ঠেকাতে লন্ডন পুলিশ এখন নিজেদের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বাইকের বহর গড়ে তুলেছে।
লন্ডন পুলিশ সার্জেন্ট রায়ান পেরি বলেন, ‘যখন চোরেরা দেখে আমরাও একই ধরনের বাইকে টহল দিচ্ছি, তারা এতে ভয় পায়। যদি আমরা তাদের অপরাধ ঠেকাতে পারি, সেটাই আমাদের সফলতা। তারা মাঠে নামুক, আমরা প্রস্তুত—ধরব আর আদালতে পাঠাব।’
তবে শুধু রাস্তায় নয়, এখন আকাশ থেকেও নজরদারি চলছে। ন্যাশনাল পুলিশ এয়ার সার্ভিসের (এনপিএএস) ট্যাকটিক্যাল ফ্লাইট অফিসার অ্যান্ড্রু ল-লেস বলেন, ‘আমরাই ফোন চোরদের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। আকাশে আমাদের হেলিকপ্টার উঠলেই তাদের পালানোর থাকে না।’
এনপিএএস লন্ডনের বেস ম্যানেজার সার্জেন্ট গ্লেন ওয়াকার জানান, হেলিকপ্টারের ক্যামেরা সন্দেহভাজনদের মুখ পর্যন্ত জুম করে শনাক্ত করতে পারে। তিনি বলেন, একটা হেলিকপ্টার ১ হাজার ফুট ওপরে থাকলেই এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় চোরেরা হেলিকপ্টার দেখেই লুকিয়ে পড়ে।
তবে শুধু লন্ডনের পুলিশ নয়, স্থানীয় নাগরিকেরাও এখন এই চোর চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। ডিয়েগো গালডিনো একজন ডেলিভারি ম্যান। ডিয়েগো নিজেকে বলেন ‘পিকপকেট হান্টার’। তিনি প্রতিদিন রাস্তায় ঘটে যাওয়া চুরি ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করেন। তাঁর অ্যাকাউন্ট ‘PickPocketLondon’ ইতিমধ্যে লাখ লাখ ভিউ পেয়েছে।
ডিয়েগো বলেন, ‘প্রতিদিন শহরে অপরাধ বাড়ছে। তারা সব সময় মুখ ঢেকে রাখে। তারা একা নয়—দল বেঁধে আসে। তাই আমি যখনই কোনো চুরি হতে দেখি, চিৎকার করে মানুষকে সতর্ক করি।’
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ (বিটিপি) জানিয়েছে, এখন অনেক ফোন চোর প্রতিদিন লন্ডনে ট্রেনে চড়ে আসে। এরপর চুরি করে ফিরে যায়।
ফিন্সবেরি পার্ক স্টেশনে বিবিসির সঙ্গে থাকা এক অফিসার বলেন, ওই কালো টুপি পরা লোকটিকে দেখছেন? তিনি পোর্টসমাউথে থাকেন। প্রতিদিন সেখান থেকে ট্রেনে আসেন, ফোন চুরি করে ফিরে যান। এটা তাঁর ফুলটাইম কাজ। তিনি জানান, পুলিশের কাছে এই অঞ্চলের এমন ৬০০ জনেরও বেশি সক্রিয় চোরের ছবি আছে।
বিটিপির আরও এক অফিসার বলেন, তারা এখন ফোন চুরির ব্যাপারটাকে পেশার পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অনেকে এখন এটা করেই রোজগার করে। কেউ কেউ বিদেশ থেকে কয়েক সপ্তাহের জন্য যুক্তরাজ্যে আসে, চুরি করে আবার দেশে ফিরে যায়।

লন্ডনের রাস্তায় হাতে ফোন নিয়ে হাঁটছেন, সাবধান! চোখের পলকে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। ঝড়ের গতিতে একটি বাইক আসবে, এরপর এক ঝটকায় আপনার ফোন নিয়ে উধাও! মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার ডিজিটাল জীবনের সব স্মৃতি শেষ! এমন ঘটনা প্রতিদিন শত শতবার ঘটছে লন্ডনের রাস্তায়, যেন এটা নিয়মিত ঘটনা।
তবে ফোন ছিনতাইয়ের প্রভাব শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এতে হারিয়ে যাচ্ছে অনেকের জীবনের অমূল্য স্মৃতিগুলোও।
গত আগস্টে কেমব্রিজের একটি মার্কেটে কেনাকাটার সময় ফেনেলা রলিংসের নতুন কেনা আইফোন-১৬ এভাবেই ছিনতাই হয়েছিল। ফোনটিতে ছিল তাঁর ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের সঙ্গে তোলা অসংখ্য ছবি ও ভিডিও। কিন্তু কোনো ব্যাকআপ না থাকায় সেই স্মৃতিগুলো চিরতরে হারিয়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফেনেলা বিবিসিকে বলেন, ‘এই স্মৃতিগুলো আমি আর কোনো দিন ফিরে পাব না।’
‘ফাইন্ড মাই (Find My)’ অ্যাপে ফেনেলা দেখতে পান, তাঁর ফোনটি প্রথমে ট্রেনে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সেটি পৌঁছে যায় দুবাই, এরপর চীনে। এরপর তাঁর কাছে আসতে থাকে একের পর এক ফিশিং মেসেজ, যেখানে তাঁকে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য দেওয়ার বা ফোন থেকে লক বা সিকিউরিটি মুছে ফেলার অনুরোধ করা হয়।
ফেনেলার মতো গল্প এখন লন্ডনের সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে। সংগঠিত কিছু অপরাধ চক্র এখন ফোন চুরিকেই বড় ব্যবসায় পরিণত করেছে। কারণ, একটি ফোন বিক্রি করেই পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত।
গত বছর সনি স্ট্রিঙ্গার নামের এক ছিনতাইকারীকে এক ঘণ্টার মধ্যে ২৪টি ফোন চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
লন্ডন ট্যাক্সি ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পল ব্রেনান বলেন, লন্ডন এখন ফোন চোরদের জন্য সোনার খনি। স্থানীয় প্রশাসনের কেউই বিশ্বাস করেন না, লন্ডনে এমনটা হয়। তবে এটা যখন তাঁদের সঙ্গে ঘটবে, তখন তাঁরা বুঝতে পারবেন।
পল ব্রেনান আরও বলেন, চোরেরা সাধারণত ইলেকট্রিক বাইকে করে আসে, কারণ, এতে খুব দ্রুত পালিয়ে যাওয়া যায়। সবাই কালো পোশাকে, মুখ ঢেকে বা হুডি পরে থাকে।
পল ব্রেনান আরও বলেন, চুরি বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি পর্যটকেরাও এখন লন্ডনে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে লন্ডনে ১ লাখ ১৭ হাজার ২১১টি ফোন চুরি হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। অপরাধীরা সাধারণত হালকা ইলেকট্রিক মোটরবাইক ব্যবহার করে, যা ঘণ্টায় ৬০ মাইল (৯৭ কিমি) গতিতে চলতে পারে। এই দ্রুতগামী চোরদের ঠেকাতে লন্ডন পুলিশ এখন নিজেদের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বাইকের বহর গড়ে তুলেছে।
লন্ডন পুলিশ সার্জেন্ট রায়ান পেরি বলেন, ‘যখন চোরেরা দেখে আমরাও একই ধরনের বাইকে টহল দিচ্ছি, তারা এতে ভয় পায়। যদি আমরা তাদের অপরাধ ঠেকাতে পারি, সেটাই আমাদের সফলতা। তারা মাঠে নামুক, আমরা প্রস্তুত—ধরব আর আদালতে পাঠাব।’
তবে শুধু রাস্তায় নয়, এখন আকাশ থেকেও নজরদারি চলছে। ন্যাশনাল পুলিশ এয়ার সার্ভিসের (এনপিএএস) ট্যাকটিক্যাল ফ্লাইট অফিসার অ্যান্ড্রু ল-লেস বলেন, ‘আমরাই ফোন চোরদের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। আকাশে আমাদের হেলিকপ্টার উঠলেই তাদের পালানোর থাকে না।’
এনপিএএস লন্ডনের বেস ম্যানেজার সার্জেন্ট গ্লেন ওয়াকার জানান, হেলিকপ্টারের ক্যামেরা সন্দেহভাজনদের মুখ পর্যন্ত জুম করে শনাক্ত করতে পারে। তিনি বলেন, একটা হেলিকপ্টার ১ হাজার ফুট ওপরে থাকলেই এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় চোরেরা হেলিকপ্টার দেখেই লুকিয়ে পড়ে।
তবে শুধু লন্ডনের পুলিশ নয়, স্থানীয় নাগরিকেরাও এখন এই চোর চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। ডিয়েগো গালডিনো একজন ডেলিভারি ম্যান। ডিয়েগো নিজেকে বলেন ‘পিকপকেট হান্টার’। তিনি প্রতিদিন রাস্তায় ঘটে যাওয়া চুরি ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করেন। তাঁর অ্যাকাউন্ট ‘PickPocketLondon’ ইতিমধ্যে লাখ লাখ ভিউ পেয়েছে।
ডিয়েগো বলেন, ‘প্রতিদিন শহরে অপরাধ বাড়ছে। তারা সব সময় মুখ ঢেকে রাখে। তারা একা নয়—দল বেঁধে আসে। তাই আমি যখনই কোনো চুরি হতে দেখি, চিৎকার করে মানুষকে সতর্ক করি।’
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ (বিটিপি) জানিয়েছে, এখন অনেক ফোন চোর প্রতিদিন লন্ডনে ট্রেনে চড়ে আসে। এরপর চুরি করে ফিরে যায়।
ফিন্সবেরি পার্ক স্টেশনে বিবিসির সঙ্গে থাকা এক অফিসার বলেন, ওই কালো টুপি পরা লোকটিকে দেখছেন? তিনি পোর্টসমাউথে থাকেন। প্রতিদিন সেখান থেকে ট্রেনে আসেন, ফোন চুরি করে ফিরে যান। এটা তাঁর ফুলটাইম কাজ। তিনি জানান, পুলিশের কাছে এই অঞ্চলের এমন ৬০০ জনেরও বেশি সক্রিয় চোরের ছবি আছে।
বিটিপির আরও এক অফিসার বলেন, তারা এখন ফোন চুরির ব্যাপারটাকে পেশার পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অনেকে এখন এটা করেই রোজগার করে। কেউ কেউ বিদেশ থেকে কয়েক সপ্তাহের জন্য যুক্তরাজ্যে আসে, চুরি করে আবার দেশে ফিরে যায়।

চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির।
১৪ নভেম্বর ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার কিশোরী মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলছে অনলাইন অপরাধচক্র—এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব মেয়েকে কখনো নিজেদের ওপর, কখনো ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে এক ধরনের ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’-এর অংশ হিসেবে।
৪৪ মিনিট আগে
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরব গত এক দশক ধরে উন্নয়ন পরিকল্পনায় যেসব বিশাল রিয়েল এস্টেট প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছিল, দেশটি এখন সেসব থেকে সরে এসে ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল অন্য খাতে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছে সৌদি আরবের পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবগত একটি সূত্র।
সৌদি যুবরাজ ও দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার লক্ষ্য ছিল রিয়েল এস্টেটনির্ভর বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে অর্থনীতিকে রূপান্তর করা।
এই পরিকল্পনার প্রধান অর্থায়নকারী ছিল সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
মূল পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নিওম—লোহিত সাগরের তীরে মরুভূমিতে নির্মাণাধীন এক ভবিষ্যৎ নগরী এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় আন্তর্জাতিক শীতকালীন ক্রীড়া আয়োজনের প্রকল্প, যেখানে কৃত্রিম তুষারে তৈরি স্কি ঢালও থাকবে।
৯০ লাখ জনসংখ্যার পরিকল্পিত শহর নিওমসহ এসব প্রকল্পে একাধিকবার বিলম্ব ঘটেছে।
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্প মেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
সূত্রটি আরও জানায়, সৌদি আরব এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও বিশাল জ্বালানি সম্পদনির্ভর ডেটা সেন্টারের মতো খাতেও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
কৌশল পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানালে পিআইএফ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সৌদি আরব গত এক দশক ধরে উন্নয়ন পরিকল্পনায় যেসব বিশাল রিয়েল এস্টেট প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছিল, দেশটি এখন সেসব থেকে সরে এসে ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল অন্য খাতে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছে সৌদি আরবের পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবগত একটি সূত্র।
সৌদি যুবরাজ ও দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার লক্ষ্য ছিল রিয়েল এস্টেটনির্ভর বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে অর্থনীতিকে রূপান্তর করা।
এই পরিকল্পনার প্রধান অর্থায়নকারী ছিল সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
মূল পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নিওম—লোহিত সাগরের তীরে মরুভূমিতে নির্মাণাধীন এক ভবিষ্যৎ নগরী এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় আন্তর্জাতিক শীতকালীন ক্রীড়া আয়োজনের প্রকল্প, যেখানে কৃত্রিম তুষারে তৈরি স্কি ঢালও থাকবে।
৯০ লাখ জনসংখ্যার পরিকল্পিত শহর নিওমসহ এসব প্রকল্পে একাধিকবার বিলম্ব ঘটেছে।
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্প মেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
সূত্রটি আরও জানায়, সৌদি আরব এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও বিশাল জ্বালানি সম্পদনির্ভর ডেটা সেন্টারের মতো খাতেও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
কৌশল পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানালে পিআইএফ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির।
১৪ নভেম্বর ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার কিশোরী মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলছে অনলাইন অপরাধচক্র—এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব মেয়েকে কখনো নিজেদের ওপর, কখনো ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে এক ধরনের ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’-এর অংশ হিসেবে।
৪৪ মিনিট আগে
লন্ডনের রাস্তায় হাতে ফোন নিয়ে হাঁটছেন, সাবধান! চোখের পলকে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। ঝড়ের গতিতে একটি বাইক আসবে, এরপর এক ঝটকায় আপনার ফোন নিয়ে উধাও! মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার ডিজিটাল জীবনের সব স্মৃতি শেষ! এমন ঘটনা প্রতিদিন শত শতবার ঘটছে লন্ডনের রাস্তায়, যেন এটা নিয়মিত ঘটনা।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেকলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ বুধবার হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে একটি রাফাল যুদ্ধবিমানে উড়ান দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাফাল বিমানে উড়ান দেওয়া প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন। রাফাল যুদ্ধবিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুরে’।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন শিবাঙ্গী। দাবি করা হয়েছিল, তিনি যুদ্ধবন্দী; তাঁর ফাইটার জেট ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় গুলি করে নামানো হয়েছে।
তবে আজ সকালে আম্বালা বিমানঘাঁটিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছবি তুলে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বারানসিতে জন্ম হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
ছবিতে দেখা যায়, রাফাল যুদ্ধবিমানের সামনে উড়োজাহাজ চালনার পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন শিবাঙ্গী, পাশে দ্রোপদী মুর্মু।
গত মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করে ভারত।
পাকিস্তান সে সময় দাবি করেছিল, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা, যার মধ্যে একটি নতুন কেনা ফরাসি রাফালও রয়েছে। কিন্তু এসব দাবির একটিও সত্য প্রমাণ হয়নি।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও সরকার বিস্তারিত প্রমাণসহ জানায়, পাকিস্তান ভারতের একটি বিমানও নামাতে পারেনি; বরং নিজেরাই ছয়টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।
পাকিস্তানের আরও একটি দাবি ছিল, শিবাঙ্গীর রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে এবং তাঁকে বন্দী করা হয়েছে।
এমনকি একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যায়, ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।
পরে তদন্তে দেখা যায়, ভিডিওটিতে শিবাঙ্গীর পরিবার ছিল না। ছিল সার্জেন্ট সুরেন্দ্র কুমারের পরিবার। সুরেন্দ্র কুমার ‘অপারেশন সিঁদুরে’ শহীদ হয়েছিলেন।
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ বুধবার হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে একটি রাফাল যুদ্ধবিমানে উড়ান দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাফাল বিমানে উড়ান দেওয়া প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন। রাফাল যুদ্ধবিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুরে’।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন শিবাঙ্গী। দাবি করা হয়েছিল, তিনি যুদ্ধবন্দী; তাঁর ফাইটার জেট ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় গুলি করে নামানো হয়েছে।
তবে আজ সকালে আম্বালা বিমানঘাঁটিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছবি তুলে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বারানসিতে জন্ম হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
ছবিতে দেখা যায়, রাফাল যুদ্ধবিমানের সামনে উড়োজাহাজ চালনার পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন শিবাঙ্গী, পাশে দ্রোপদী মুর্মু।
গত মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করে ভারত।
পাকিস্তান সে সময় দাবি করেছিল, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা, যার মধ্যে একটি নতুন কেনা ফরাসি রাফালও রয়েছে। কিন্তু এসব দাবির একটিও সত্য প্রমাণ হয়নি।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও সরকার বিস্তারিত প্রমাণসহ জানায়, পাকিস্তান ভারতের একটি বিমানও নামাতে পারেনি; বরং নিজেরাই ছয়টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।
পাকিস্তানের আরও একটি দাবি ছিল, শিবাঙ্গীর রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে এবং তাঁকে বন্দী করা হয়েছে।
এমনকি একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যায়, ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।
পরে তদন্তে দেখা যায়, ভিডিওটিতে শিবাঙ্গীর পরিবার ছিল না। ছিল সার্জেন্ট সুরেন্দ্র কুমারের পরিবার। সুরেন্দ্র কুমার ‘অপারেশন সিঁদুরে’ শহীদ হয়েছিলেন।
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।

চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির।
১৪ নভেম্বর ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার কিশোরী মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ভয়াবহ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ফেলছে অনলাইন অপরাধচক্র—এমন সতর্কতা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব মেয়েকে কখনো নিজেদের ওপর, কখনো ভাইবোন বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে এক ধরনের ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’-এর অংশ হিসেবে।
৪৪ মিনিট আগে
লন্ডনের রাস্তায় হাতে ফোন নিয়ে হাঁটছেন, সাবধান! চোখের পলকে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। ঝড়ের গতিতে একটি বাইক আসবে, এরপর এক ঝটকায় আপনার ফোন নিয়ে উধাও! মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার ডিজিটাল জীবনের সব স্মৃতি শেষ! এমন ঘটনা প্রতিদিন শত শতবার ঘটছে লন্ডনের রাস্তায়, যেন এটা নিয়মিত ঘটনা।
২ ঘণ্টা আগে
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
২ ঘণ্টা আগে