বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন আজ সোমবার। পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সফর পশ্চিমা হুমকি উপেক্ষা করে চীন ও গ্লোবাল সাউথের মধ্যে উইন-উইন সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত সাফল্যের প্রমাণ। এই আসন্ন সফর ও উচ্চপর্যায়ের আলোচনা উভয় পক্ষের মধ্যকার গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেবে। এমনটাই বলা হয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী লি শ্যাংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৮ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত তিন দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও কাছাকাছি সময়ে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দুই দেশ ভানুয়াতু ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রীও।
এই সফরগুলোর বিষয়ে চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইদং গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দুটি ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের নেতাদের (বেইজিং) সফর পশ্চিমের অপ্রচলিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার বিপরীতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও সমর্থনের বাস্তবতাকেই তুলে ধরবে।’
বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সফর উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সহযোগিতার নতুন পথ তৈরির বিপুল সম্ভাবনা উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি বহন করে।
এই বিশ্লেষকের মতে, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক শর্ত যুক্ত নেই বা এ ক্ষেত্রে দেশটি (চীন) বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দাবি করে না।
মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই সফরের সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়ে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত দেখতে পারার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে নতুন সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং জ্বালানি সরবরাহক্ষমতার উন্নতির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হবে।’
এ বিষয়ে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং গ্লোবাল টাইমস বলেছেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার চীনে পঞ্চম সফর এবং চলতি বছরের শুরুতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সফর। তাঁর এই সফর চীনা ও বাংলাদেশি নেতাদের মধ্যে ঘন ঘন উচ্চপর্যায়ের মতবিনিময়ের ইঙ্গিত দেয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় পক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির প্রয়োজন।’
চীনা সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো উল্লেখ করেছে যে শেখ হাসিনার চীন সফর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অধীনে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের আগে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ আছে উন্নয়নের। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু।’ এই বিষয়ে কিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে সচেতন এবং এই অবস্থানকে গুরুত্ব দেয় এবং চীনের দ্রুত উন্নয়ন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আরও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন আজ সোমবার। পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সফর পশ্চিমা হুমকি উপেক্ষা করে চীন ও গ্লোবাল সাউথের মধ্যে উইন-উইন সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত সাফল্যের প্রমাণ। এই আসন্ন সফর ও উচ্চপর্যায়ের আলোচনা উভয় পক্ষের মধ্যকার গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেবে। এমনটাই বলা হয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী লি শ্যাংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৮ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত তিন দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও কাছাকাছি সময়ে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দুই দেশ ভানুয়াতু ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রীও।
এই সফরগুলোর বিষয়ে চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইদং গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দুটি ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের নেতাদের (বেইজিং) সফর পশ্চিমের অপ্রচলিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার বিপরীতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও সমর্থনের বাস্তবতাকেই তুলে ধরবে।’
বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সফর উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সহযোগিতার নতুন পথ তৈরির বিপুল সম্ভাবনা উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি বহন করে।
এই বিশ্লেষকের মতে, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক শর্ত যুক্ত নেই বা এ ক্ষেত্রে দেশটি (চীন) বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দাবি করে না।
মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই সফরের সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়ে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত দেখতে পারার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে নতুন সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং জ্বালানি সরবরাহক্ষমতার উন্নতির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হবে।’
এ বিষয়ে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং গ্লোবাল টাইমস বলেছেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার চীনে পঞ্চম সফর এবং চলতি বছরের শুরুতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সফর। তাঁর এই সফর চীনা ও বাংলাদেশি নেতাদের মধ্যে ঘন ঘন উচ্চপর্যায়ের মতবিনিময়ের ইঙ্গিত দেয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় পক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির প্রয়োজন।’
চীনা সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো উল্লেখ করেছে যে শেখ হাসিনার চীন সফর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অধীনে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের আগে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ আছে উন্নয়নের। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু।’ এই বিষয়ে কিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে সচেতন এবং এই অবস্থানকে গুরুত্ব দেয় এবং চীনের দ্রুত উন্নয়ন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আরও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।’
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, পরিবারের বিরুদ্ধে বিয়ের পর জীবন ও স্বাধীনতার ওপর কোনো হুমকি না এলে পুলিশের সাহায্য দাবি করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দম্পতির পারস্পরিক সহায়তায় নির্ভর করে সমাজের মুখোমুখি হওয়া উচিত। হুমকির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেওয়া যেতে পারে।
২০ মিনিট আগেভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে এই আইনের বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। গতকাল বুধবার থেকে এই আইনের বিরুদ্ধে করা ৭৩টি পিটিশনের শুনানি শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সংশোধিত ওয়াক
৩৬ মিনিট আগেফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজা ও ইসরায়েলের দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়ায় দেশটির সেনারা অনির্দিষ্টকাল অবস্থান করবে। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। গতকাল বুধবার তিনি বলেছেন, গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে
২ ঘণ্টা আগেইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
৩ ঘণ্টা আগে