
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে