
মিয়ানমারে কয়েক বছর ধরে চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সৈন্যরা কো টুটের (ছদ্দ নাম) বন্ধু এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল। কোনো কারণ ছাড়াই তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টুট। তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাঁর আইটি দক্ষতা ব্যবহার করে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।
কো টুট তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অ্যাপ-ভিত্তিক মোবাইল গেম তৈরি করেন। যা দেশের ‘বাস্তব ঘটনার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গেম জান্তাকে চিন্তিত করেছে এবং জান্তা বিরোধী প্রতিরোধের জন্য তহবিল সংগ্রহ হচ্ছে।
গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য আটক বন্ধু দম্পতির বিষয়ে কো টুট বলেন, ‘তাঁরা তাদের জীবনে কখনো একটি অপরাধমূলক কাজ করেনি।’
কো টুট জানতেন না তাদের কি হয়েছে। বিবিসি সম্প্রতি জানিয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীটিকে একদিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তবে পুরুষটিকে প্রায় দেড় বছর ধরে রাখা হয়েছিল।
এ ছাড়া, তাঁর বন্ধু দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর কো টুট জানতে পারেন সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী এক কর্মীর স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে আটক করেছে। তবে এটা শনাক্ত করা যায়নি।
কো টুট বলেন, ‘ভাবুন আপনি একটি ছোট শিশু এবং আপনি একটি নোংরা, চাপযুক্ত কারাগারের মধ্যে বেড়ে উঠছেন এবং আপনি জানেন না কী ঘটছে। এই ঘটনা আমাকে উত্তেজিত করেছিল।
এসব দেখার পর তিনি মনে করেন, একজন আইটি পেশাদার হিসাবে ‘নিষ্ঠুর এবং বিপজ্জনক’ সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের অংশ হতে হবে। তাই তিনি গেম তৈরির কাজ শুরু করেন।
কো টুট একটি এনক্রিপ্ট করা অ্যাপে টেক্সট বার্তার মাধ্যমে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁর অবস্থান প্রকাশ করবেন না। তাই তাঁর নিরাপত্তার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
পলিটিক্যাল প্রিজনার্স মনিটরিং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের তথ্যানুসারে, এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে সৈন্যদের হতাহতের পরিমাপ করা কঠিন। সামরিক বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে কিন্তু পরিসংখ্যান দেয়নি। দেশটির নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার বলছে, প্রতিরোধে ২০ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে, বিবিসি এই সংখ্যা যাচাই করেনি।
আইটি পেশাদার কো টুটের লক্ষ্য ছিল পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে পরিচিত সামরিক বিরোধী বাহিনীর জন্য অস্ত্র এবং মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কো টুট বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে আমাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সচেতনতা খুব সীমিত ছিল। মিয়ানমারের সংকটের কভারেজকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে প্রতিকূলভাবে তুলনা করে।’
‘প্রকৃত যুদ্ধে প্রকৃত মানুষ’
তাঁর গেমটি মূলত ২০২২ সালের প্রথম দিকে পিডিএফ গেম হিসাবে চালু হয়েছিল।
এটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়, কিন্তু খেলোয়াড়েরা অর্থ সংগ্রহের জন্য ইন-গেম বিজ্ঞাপন দেখে। কো টুট অনুমান করে বলেছেন, এখন পর্যন্ত মোট ৫০৪,০০০ ডলার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি অনুমান করেন যে, ‘এখন প্রতি মাসে ৭০ হাজার ডলার থেকে ৮০ হাজার ডলার উপার্জন করেন এবং দাবি করেন যে সংখ্যাটি প্রতি মাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
খেলোয়াড়েরা সামরিক সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পিডিএফ সৈন্যদের ভূমিকা নেয় এবং মিয়ানমারে বাস্তবের মতো মিশনের মাধ্যমে কাজ করে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি ডাক্তার, মুসলমান এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সদস্যসহ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত প্রকৃত লোকদের ওপর ভিত্তি করে চরিত্রগুলি তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে কো টুট বলেছিলেন যে তাদের নথিভুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ‘তারা সত্যিকারের যুদ্ধে লড়াই করছে’।
কো টুট বলেছেন, গেমটি গুগল এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয়েই পাওয়া যায়, যদিও সংবেদনশীল ইভেন্টগুলোর আশপাশে কোম্পানিগুলোর নীতির কারণে এটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
গুগল প্লেতে এর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার অফ হিরোস-দ্য পিডিএফ গেম’। গুগল বলেছে যে এটি কোনো সংবেদনশীল অ্যাপকে অনুমতি দেয় না, তবে সেই বিষয়বস্তু সাধারণত অনুমোদিত হয় যদি এটি ইভেন্ট সম্পর্কে ‘ব্যবহারকারীদের সতর্ক বা সচেতনতা বাড়াতে’ চায়।
প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আগে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে নামটিকে ‘ওয়ার অফ হিরোস’-এ পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এটি একটি ‘বিশাল আঘাত’ বলে জানিয়েছিলেন কো টুট।
অন্যদিকে, অ্যাপল বলেছে যে অ্যাপটি তার নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। কো টুট মূল আর্টওয়ার্কের পাশাপাশি কিছু সামরিক মিশন অপসারণসহ সংশোধন করার পরে এটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
কো টুট বলেছে, ‘এটি অবশ্যই ভালো খবর এবং আমরা এখন আরও আয় করার আশা করি।’
গেমটি মিয়ানমারের জান্তার শাসককে বিচলিত করেছে। তারা গত এপ্রিল মাসে জনসাধারণের জন্য একটি নোটিশ জারি করে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়াতে প্রচার করে। তারা বলেছে, যারা পিডিএফ গেম খেলবে তারা আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার পিডিএফের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য গেমটি তৈরি করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে “অবিশ্বাসের বীজ বপন করতে” এবং এইভাবে ‘তাদের সেনাবাহিনী বিরোধী বিপ্লবী বৃদ্ধি করেছে।’
কো টুট বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর হুমকিতে অস্বস্তি বোধ করছি। তবে তারা যাই বলুক না কেন আমার কিছু যায় আসে না।’
সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করার অনলাইন প্রচেষ্টা সম্পর্কে কো টুট বলেছিলেন, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা চালিয়ে যাব—ডিজিটাল আন্দোলন বন্ধ করার কোনো উপায় নেই।
কো টুট বলেছেন, গেমটি প্রায় এক মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে। (গুগল প্লে বলে যে এটি ৫ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে, যদিও অ্যাপল ডাউনলোডের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দেয় না।) তবে তিনি মনে করেন যে এই পরিমাণ তাঁর অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে কারণ।
কো টুট জানিয়েছেন, এই তহবিলগুলো স্থানীয় পিডিএফ-এ পাঠানো হয়, এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর জন্য খাদ্য ও অস্ত্রের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য তহবিল এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আহতদের জন্য।
কো টুট বলেছেন, ‘আমরা শুধু প্রতিরক্ষা গ্রুপগুলোতে তহবিল পাঠাই, কিন্তু কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করব তা বলি না।’
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গঠিত পিডিএফ জাতিগত লাইনে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেগুলি কয়েক দশক ধরে সীমান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক শক্তিশালী শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে এবং তাদের কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি বেশ কয়েকবার এটা বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে এবং তিনি সামরিক বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন চালিয়ে যেতে চান।
গেমটির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কো টুট। তিনি মনে করেন এই গেম থেকে মাসে ১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব।
সবশেষ কো টুট বলেন, ‘আমি আশা করি এই অর্থ মিয়ানমারের জনগণকে সাহায্য করবে, যাদের এটার খুবই প্রয়োজন।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন গোলাম ওয়াদুদ

মিয়ানমারে কয়েক বছর ধরে চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সৈন্যরা কো টুটের (ছদ্দ নাম) বন্ধু এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল। কোনো কারণ ছাড়াই তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টুট। তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাঁর আইটি দক্ষতা ব্যবহার করে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।
কো টুট তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অ্যাপ-ভিত্তিক মোবাইল গেম তৈরি করেন। যা দেশের ‘বাস্তব ঘটনার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গেম জান্তাকে চিন্তিত করেছে এবং জান্তা বিরোধী প্রতিরোধের জন্য তহবিল সংগ্রহ হচ্ছে।
গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য আটক বন্ধু দম্পতির বিষয়ে কো টুট বলেন, ‘তাঁরা তাদের জীবনে কখনো একটি অপরাধমূলক কাজ করেনি।’
কো টুট জানতেন না তাদের কি হয়েছে। বিবিসি সম্প্রতি জানিয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীটিকে একদিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তবে পুরুষটিকে প্রায় দেড় বছর ধরে রাখা হয়েছিল।
এ ছাড়া, তাঁর বন্ধু দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর কো টুট জানতে পারেন সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী এক কর্মীর স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে আটক করেছে। তবে এটা শনাক্ত করা যায়নি।
কো টুট বলেন, ‘ভাবুন আপনি একটি ছোট শিশু এবং আপনি একটি নোংরা, চাপযুক্ত কারাগারের মধ্যে বেড়ে উঠছেন এবং আপনি জানেন না কী ঘটছে। এই ঘটনা আমাকে উত্তেজিত করেছিল।
এসব দেখার পর তিনি মনে করেন, একজন আইটি পেশাদার হিসাবে ‘নিষ্ঠুর এবং বিপজ্জনক’ সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের অংশ হতে হবে। তাই তিনি গেম তৈরির কাজ শুরু করেন।
কো টুট একটি এনক্রিপ্ট করা অ্যাপে টেক্সট বার্তার মাধ্যমে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁর অবস্থান প্রকাশ করবেন না। তাই তাঁর নিরাপত্তার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
পলিটিক্যাল প্রিজনার্স মনিটরিং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের তথ্যানুসারে, এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে সৈন্যদের হতাহতের পরিমাপ করা কঠিন। সামরিক বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে কিন্তু পরিসংখ্যান দেয়নি। দেশটির নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার বলছে, প্রতিরোধে ২০ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে, বিবিসি এই সংখ্যা যাচাই করেনি।
আইটি পেশাদার কো টুটের লক্ষ্য ছিল পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে পরিচিত সামরিক বিরোধী বাহিনীর জন্য অস্ত্র এবং মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কো টুট বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে আমাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সচেতনতা খুব সীমিত ছিল। মিয়ানমারের সংকটের কভারেজকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে প্রতিকূলভাবে তুলনা করে।’
‘প্রকৃত যুদ্ধে প্রকৃত মানুষ’
তাঁর গেমটি মূলত ২০২২ সালের প্রথম দিকে পিডিএফ গেম হিসাবে চালু হয়েছিল।
এটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়, কিন্তু খেলোয়াড়েরা অর্থ সংগ্রহের জন্য ইন-গেম বিজ্ঞাপন দেখে। কো টুট অনুমান করে বলেছেন, এখন পর্যন্ত মোট ৫০৪,০০০ ডলার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি অনুমান করেন যে, ‘এখন প্রতি মাসে ৭০ হাজার ডলার থেকে ৮০ হাজার ডলার উপার্জন করেন এবং দাবি করেন যে সংখ্যাটি প্রতি মাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
খেলোয়াড়েরা সামরিক সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পিডিএফ সৈন্যদের ভূমিকা নেয় এবং মিয়ানমারে বাস্তবের মতো মিশনের মাধ্যমে কাজ করে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি ডাক্তার, মুসলমান এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সদস্যসহ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত প্রকৃত লোকদের ওপর ভিত্তি করে চরিত্রগুলি তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে কো টুট বলেছিলেন যে তাদের নথিভুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ‘তারা সত্যিকারের যুদ্ধে লড়াই করছে’।
কো টুট বলেছেন, গেমটি গুগল এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয়েই পাওয়া যায়, যদিও সংবেদনশীল ইভেন্টগুলোর আশপাশে কোম্পানিগুলোর নীতির কারণে এটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
গুগল প্লেতে এর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার অফ হিরোস-দ্য পিডিএফ গেম’। গুগল বলেছে যে এটি কোনো সংবেদনশীল অ্যাপকে অনুমতি দেয় না, তবে সেই বিষয়বস্তু সাধারণত অনুমোদিত হয় যদি এটি ইভেন্ট সম্পর্কে ‘ব্যবহারকারীদের সতর্ক বা সচেতনতা বাড়াতে’ চায়।
প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আগে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে নামটিকে ‘ওয়ার অফ হিরোস’-এ পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এটি একটি ‘বিশাল আঘাত’ বলে জানিয়েছিলেন কো টুট।
অন্যদিকে, অ্যাপল বলেছে যে অ্যাপটি তার নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। কো টুট মূল আর্টওয়ার্কের পাশাপাশি কিছু সামরিক মিশন অপসারণসহ সংশোধন করার পরে এটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
কো টুট বলেছে, ‘এটি অবশ্যই ভালো খবর এবং আমরা এখন আরও আয় করার আশা করি।’
গেমটি মিয়ানমারের জান্তার শাসককে বিচলিত করেছে। তারা গত এপ্রিল মাসে জনসাধারণের জন্য একটি নোটিশ জারি করে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়াতে প্রচার করে। তারা বলেছে, যারা পিডিএফ গেম খেলবে তারা আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার পিডিএফের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য গেমটি তৈরি করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে “অবিশ্বাসের বীজ বপন করতে” এবং এইভাবে ‘তাদের সেনাবাহিনী বিরোধী বিপ্লবী বৃদ্ধি করেছে।’
কো টুট বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর হুমকিতে অস্বস্তি বোধ করছি। তবে তারা যাই বলুক না কেন আমার কিছু যায় আসে না।’
সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করার অনলাইন প্রচেষ্টা সম্পর্কে কো টুট বলেছিলেন, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা চালিয়ে যাব—ডিজিটাল আন্দোলন বন্ধ করার কোনো উপায় নেই।
কো টুট বলেছেন, গেমটি প্রায় এক মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে। (গুগল প্লে বলে যে এটি ৫ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে, যদিও অ্যাপল ডাউনলোডের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দেয় না।) তবে তিনি মনে করেন যে এই পরিমাণ তাঁর অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে কারণ।
কো টুট জানিয়েছেন, এই তহবিলগুলো স্থানীয় পিডিএফ-এ পাঠানো হয়, এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর জন্য খাদ্য ও অস্ত্রের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য তহবিল এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আহতদের জন্য।
কো টুট বলেছেন, ‘আমরা শুধু প্রতিরক্ষা গ্রুপগুলোতে তহবিল পাঠাই, কিন্তু কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করব তা বলি না।’
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গঠিত পিডিএফ জাতিগত লাইনে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেগুলি কয়েক দশক ধরে সীমান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক শক্তিশালী শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে এবং তাদের কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি বেশ কয়েকবার এটা বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে এবং তিনি সামরিক বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন চালিয়ে যেতে চান।
গেমটির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কো টুট। তিনি মনে করেন এই গেম থেকে মাসে ১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব।
সবশেষ কো টুট বলেন, ‘আমি আশা করি এই অর্থ মিয়ানমারের জনগণকে সাহায্য করবে, যাদের এটার খুবই প্রয়োজন।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন গোলাম ওয়াদুদ

মিয়ানমারে কয়েক বছর ধরে চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সৈন্যরা কো টুটের (ছদ্দ নাম) বন্ধু এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল। কোনো কারণ ছাড়াই তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টুট। তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাঁর আইটি দক্ষতা ব্যবহার করে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।
কো টুট তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অ্যাপ-ভিত্তিক মোবাইল গেম তৈরি করেন। যা দেশের ‘বাস্তব ঘটনার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গেম জান্তাকে চিন্তিত করেছে এবং জান্তা বিরোধী প্রতিরোধের জন্য তহবিল সংগ্রহ হচ্ছে।
গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য আটক বন্ধু দম্পতির বিষয়ে কো টুট বলেন, ‘তাঁরা তাদের জীবনে কখনো একটি অপরাধমূলক কাজ করেনি।’
কো টুট জানতেন না তাদের কি হয়েছে। বিবিসি সম্প্রতি জানিয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীটিকে একদিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তবে পুরুষটিকে প্রায় দেড় বছর ধরে রাখা হয়েছিল।
এ ছাড়া, তাঁর বন্ধু দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর কো টুট জানতে পারেন সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী এক কর্মীর স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে আটক করেছে। তবে এটা শনাক্ত করা যায়নি।
কো টুট বলেন, ‘ভাবুন আপনি একটি ছোট শিশু এবং আপনি একটি নোংরা, চাপযুক্ত কারাগারের মধ্যে বেড়ে উঠছেন এবং আপনি জানেন না কী ঘটছে। এই ঘটনা আমাকে উত্তেজিত করেছিল।
এসব দেখার পর তিনি মনে করেন, একজন আইটি পেশাদার হিসাবে ‘নিষ্ঠুর এবং বিপজ্জনক’ সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের অংশ হতে হবে। তাই তিনি গেম তৈরির কাজ শুরু করেন।
কো টুট একটি এনক্রিপ্ট করা অ্যাপে টেক্সট বার্তার মাধ্যমে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁর অবস্থান প্রকাশ করবেন না। তাই তাঁর নিরাপত্তার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
পলিটিক্যাল প্রিজনার্স মনিটরিং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের তথ্যানুসারে, এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে সৈন্যদের হতাহতের পরিমাপ করা কঠিন। সামরিক বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে কিন্তু পরিসংখ্যান দেয়নি। দেশটির নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার বলছে, প্রতিরোধে ২০ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে, বিবিসি এই সংখ্যা যাচাই করেনি।
আইটি পেশাদার কো টুটের লক্ষ্য ছিল পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে পরিচিত সামরিক বিরোধী বাহিনীর জন্য অস্ত্র এবং মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কো টুট বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে আমাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সচেতনতা খুব সীমিত ছিল। মিয়ানমারের সংকটের কভারেজকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে প্রতিকূলভাবে তুলনা করে।’
‘প্রকৃত যুদ্ধে প্রকৃত মানুষ’
তাঁর গেমটি মূলত ২০২২ সালের প্রথম দিকে পিডিএফ গেম হিসাবে চালু হয়েছিল।
এটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়, কিন্তু খেলোয়াড়েরা অর্থ সংগ্রহের জন্য ইন-গেম বিজ্ঞাপন দেখে। কো টুট অনুমান করে বলেছেন, এখন পর্যন্ত মোট ৫০৪,০০০ ডলার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি অনুমান করেন যে, ‘এখন প্রতি মাসে ৭০ হাজার ডলার থেকে ৮০ হাজার ডলার উপার্জন করেন এবং দাবি করেন যে সংখ্যাটি প্রতি মাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
খেলোয়াড়েরা সামরিক সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পিডিএফ সৈন্যদের ভূমিকা নেয় এবং মিয়ানমারে বাস্তবের মতো মিশনের মাধ্যমে কাজ করে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি ডাক্তার, মুসলমান এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সদস্যসহ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত প্রকৃত লোকদের ওপর ভিত্তি করে চরিত্রগুলি তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে কো টুট বলেছিলেন যে তাদের নথিভুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ‘তারা সত্যিকারের যুদ্ধে লড়াই করছে’।
কো টুট বলেছেন, গেমটি গুগল এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয়েই পাওয়া যায়, যদিও সংবেদনশীল ইভেন্টগুলোর আশপাশে কোম্পানিগুলোর নীতির কারণে এটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
গুগল প্লেতে এর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার অফ হিরোস-দ্য পিডিএফ গেম’। গুগল বলেছে যে এটি কোনো সংবেদনশীল অ্যাপকে অনুমতি দেয় না, তবে সেই বিষয়বস্তু সাধারণত অনুমোদিত হয় যদি এটি ইভেন্ট সম্পর্কে ‘ব্যবহারকারীদের সতর্ক বা সচেতনতা বাড়াতে’ চায়।
প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আগে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে নামটিকে ‘ওয়ার অফ হিরোস’-এ পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এটি একটি ‘বিশাল আঘাত’ বলে জানিয়েছিলেন কো টুট।
অন্যদিকে, অ্যাপল বলেছে যে অ্যাপটি তার নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। কো টুট মূল আর্টওয়ার্কের পাশাপাশি কিছু সামরিক মিশন অপসারণসহ সংশোধন করার পরে এটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
কো টুট বলেছে, ‘এটি অবশ্যই ভালো খবর এবং আমরা এখন আরও আয় করার আশা করি।’
গেমটি মিয়ানমারের জান্তার শাসককে বিচলিত করেছে। তারা গত এপ্রিল মাসে জনসাধারণের জন্য একটি নোটিশ জারি করে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়াতে প্রচার করে। তারা বলেছে, যারা পিডিএফ গেম খেলবে তারা আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার পিডিএফের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য গেমটি তৈরি করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে “অবিশ্বাসের বীজ বপন করতে” এবং এইভাবে ‘তাদের সেনাবাহিনী বিরোধী বিপ্লবী বৃদ্ধি করেছে।’
কো টুট বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর হুমকিতে অস্বস্তি বোধ করছি। তবে তারা যাই বলুক না কেন আমার কিছু যায় আসে না।’
সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করার অনলাইন প্রচেষ্টা সম্পর্কে কো টুট বলেছিলেন, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা চালিয়ে যাব—ডিজিটাল আন্দোলন বন্ধ করার কোনো উপায় নেই।
কো টুট বলেছেন, গেমটি প্রায় এক মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে। (গুগল প্লে বলে যে এটি ৫ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে, যদিও অ্যাপল ডাউনলোডের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দেয় না।) তবে তিনি মনে করেন যে এই পরিমাণ তাঁর অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে কারণ।
কো টুট জানিয়েছেন, এই তহবিলগুলো স্থানীয় পিডিএফ-এ পাঠানো হয়, এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর জন্য খাদ্য ও অস্ত্রের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য তহবিল এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আহতদের জন্য।
কো টুট বলেছেন, ‘আমরা শুধু প্রতিরক্ষা গ্রুপগুলোতে তহবিল পাঠাই, কিন্তু কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করব তা বলি না।’
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গঠিত পিডিএফ জাতিগত লাইনে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেগুলি কয়েক দশক ধরে সীমান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক শক্তিশালী শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে এবং তাদের কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি বেশ কয়েকবার এটা বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে এবং তিনি সামরিক বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন চালিয়ে যেতে চান।
গেমটির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কো টুট। তিনি মনে করেন এই গেম থেকে মাসে ১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব।
সবশেষ কো টুট বলেন, ‘আমি আশা করি এই অর্থ মিয়ানমারের জনগণকে সাহায্য করবে, যাদের এটার খুবই প্রয়োজন।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন গোলাম ওয়াদুদ

মিয়ানমারে কয়েক বছর ধরে চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সৈন্যরা কো টুটের (ছদ্দ নাম) বন্ধু এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল। কোনো কারণ ছাড়াই তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টুট। তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাঁর আইটি দক্ষতা ব্যবহার করে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।
কো টুট তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অ্যাপ-ভিত্তিক মোবাইল গেম তৈরি করেন। যা দেশের ‘বাস্তব ঘটনার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গেম জান্তাকে চিন্তিত করেছে এবং জান্তা বিরোধী প্রতিরোধের জন্য তহবিল সংগ্রহ হচ্ছে।
গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য আটক বন্ধু দম্পতির বিষয়ে কো টুট বলেন, ‘তাঁরা তাদের জীবনে কখনো একটি অপরাধমূলক কাজ করেনি।’
কো টুট জানতেন না তাদের কি হয়েছে। বিবিসি সম্প্রতি জানিয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীটিকে একদিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তবে পুরুষটিকে প্রায় দেড় বছর ধরে রাখা হয়েছিল।
এ ছাড়া, তাঁর বন্ধু দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর কো টুট জানতে পারেন সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী এক কর্মীর স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে আটক করেছে। তবে এটা শনাক্ত করা যায়নি।
কো টুট বলেন, ‘ভাবুন আপনি একটি ছোট শিশু এবং আপনি একটি নোংরা, চাপযুক্ত কারাগারের মধ্যে বেড়ে উঠছেন এবং আপনি জানেন না কী ঘটছে। এই ঘটনা আমাকে উত্তেজিত করেছিল।
এসব দেখার পর তিনি মনে করেন, একজন আইটি পেশাদার হিসাবে ‘নিষ্ঠুর এবং বিপজ্জনক’ সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের অংশ হতে হবে। তাই তিনি গেম তৈরির কাজ শুরু করেন।
কো টুট একটি এনক্রিপ্ট করা অ্যাপে টেক্সট বার্তার মাধ্যমে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁর অবস্থান প্রকাশ করবেন না। তাই তাঁর নিরাপত্তার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
পলিটিক্যাল প্রিজনার্স মনিটরিং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের তথ্যানুসারে, এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে সৈন্যদের হতাহতের পরিমাপ করা কঠিন। সামরিক বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে কিন্তু পরিসংখ্যান দেয়নি। দেশটির নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার বলছে, প্রতিরোধে ২০ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে, বিবিসি এই সংখ্যা যাচাই করেনি।
আইটি পেশাদার কো টুটের লক্ষ্য ছিল পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে পরিচিত সামরিক বিরোধী বাহিনীর জন্য অস্ত্র এবং মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
কো টুট বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে আমাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সচেতনতা খুব সীমিত ছিল। মিয়ানমারের সংকটের কভারেজকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে প্রতিকূলভাবে তুলনা করে।’
‘প্রকৃত যুদ্ধে প্রকৃত মানুষ’
তাঁর গেমটি মূলত ২০২২ সালের প্রথম দিকে পিডিএফ গেম হিসাবে চালু হয়েছিল।
এটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়, কিন্তু খেলোয়াড়েরা অর্থ সংগ্রহের জন্য ইন-গেম বিজ্ঞাপন দেখে। কো টুট অনুমান করে বলেছেন, এখন পর্যন্ত মোট ৫০৪,০০০ ডলার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি অনুমান করেন যে, ‘এখন প্রতি মাসে ৭০ হাজার ডলার থেকে ৮০ হাজার ডলার উপার্জন করেন এবং দাবি করেন যে সংখ্যাটি প্রতি মাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
খেলোয়াড়েরা সামরিক সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পিডিএফ সৈন্যদের ভূমিকা নেয় এবং মিয়ানমারে বাস্তবের মতো মিশনের মাধ্যমে কাজ করে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি ডাক্তার, মুসলমান এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সদস্যসহ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত প্রকৃত লোকদের ওপর ভিত্তি করে চরিত্রগুলি তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে কো টুট বলেছিলেন যে তাদের নথিভুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ‘তারা সত্যিকারের যুদ্ধে লড়াই করছে’।
কো টুট বলেছেন, গেমটি গুগল এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয়েই পাওয়া যায়, যদিও সংবেদনশীল ইভেন্টগুলোর আশপাশে কোম্পানিগুলোর নীতির কারণে এটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
গুগল প্লেতে এর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার অফ হিরোস-দ্য পিডিএফ গেম’। গুগল বলেছে যে এটি কোনো সংবেদনশীল অ্যাপকে অনুমতি দেয় না, তবে সেই বিষয়বস্তু সাধারণত অনুমোদিত হয় যদি এটি ইভেন্ট সম্পর্কে ‘ব্যবহারকারীদের সতর্ক বা সচেতনতা বাড়াতে’ চায়।
প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর আগে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে নামটিকে ‘ওয়ার অফ হিরোস’-এ পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এটি একটি ‘বিশাল আঘাত’ বলে জানিয়েছিলেন কো টুট।
অন্যদিকে, অ্যাপল বলেছে যে অ্যাপটি তার নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। কো টুট মূল আর্টওয়ার্কের পাশাপাশি কিছু সামরিক মিশন অপসারণসহ সংশোধন করার পরে এটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
কো টুট বলেছে, ‘এটি অবশ্যই ভালো খবর এবং আমরা এখন আরও আয় করার আশা করি।’
গেমটি মিয়ানমারের জান্তার শাসককে বিচলিত করেছে। তারা গত এপ্রিল মাসে জনসাধারণের জন্য একটি নোটিশ জারি করে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়াতে প্রচার করে। তারা বলেছে, যারা পিডিএফ গেম খেলবে তারা আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার পিডিএফের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য গেমটি তৈরি করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে “অবিশ্বাসের বীজ বপন করতে” এবং এইভাবে ‘তাদের সেনাবাহিনী বিরোধী বিপ্লবী বৃদ্ধি করেছে।’
কো টুট বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর হুমকিতে অস্বস্তি বোধ করছি। তবে তারা যাই বলুক না কেন আমার কিছু যায় আসে না।’
সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করার অনলাইন প্রচেষ্টা সম্পর্কে কো টুট বলেছিলেন, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা চালিয়ে যাব—ডিজিটাল আন্দোলন বন্ধ করার কোনো উপায় নেই।
কো টুট বলেছেন, গেমটি প্রায় এক মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে। (গুগল প্লে বলে যে এটি ৫ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে, যদিও অ্যাপল ডাউনলোডের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দেয় না।) তবে তিনি মনে করেন যে এই পরিমাণ তাঁর অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে কারণ।
কো টুট জানিয়েছেন, এই তহবিলগুলো স্থানীয় পিডিএফ-এ পাঠানো হয়, এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর জন্য খাদ্য ও অস্ত্রের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য তহবিল এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আহতদের জন্য।
কো টুট বলেছেন, ‘আমরা শুধু প্রতিরক্ষা গ্রুপগুলোতে তহবিল পাঠাই, কিন্তু কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করব তা বলি না।’
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গঠিত পিডিএফ জাতিগত লাইনে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেগুলি কয়েক দশক ধরে সীমান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক শক্তিশালী শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে এবং তাদের কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
কো টুট বলেছিলেন, তিনি বেশ কয়েকবার এটা বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে এবং তিনি সামরিক বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন চালিয়ে যেতে চান।
গেমটির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কো টুট। তিনি মনে করেন এই গেম থেকে মাসে ১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব।
সবশেষ কো টুট বলেন, ‘আমি আশা করি এই অর্থ মিয়ানমারের জনগণকে সাহায্য করবে, যাদের এটার খুবই প্রয়োজন।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন গোলাম ওয়াদুদ

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মিয়ানমারে কয়েক বছর হলো চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন
২৮ আগস্ট ২০২৩
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমীড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ—যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমীড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমীড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ—যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমীড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

মিয়ানমারে কয়েক বছর হলো চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন
২৮ আগস্ট ২০২৩
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ মিনিট আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

মিয়ানমারে কয়েক বছর হলো চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন
২৮ আগস্ট ২০২৩
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের হাতে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আইনি জটিলতা নিয়ে তাঁর করা পোস্টগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তিনি ইলন মাস্ককে তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘দৃশ্যমানতা ফিল্টারিং’ (visibility filtering) নামে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জেমিমা বলেন, তাঁর ছেলেদের তাদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমরান খানকে ২২ মাস ধরে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই নেতা একজন মৌলিক মানবিক অধিকারহীন রাজনৈতিক বন্দী—এই কথা বিশ্বকে জানানোর জন্য এক্সই তাঁর কাছে একমাত্র জায়গা। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর পোস্টের ‘রিচ’ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আপনি বাক্স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা, কিন্তু কেউ শুনতে পাবে না, এমনটি নয়।’
A personal plea to @elonmusk
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) December 12, 2025
My two sons have not been allowed to see or speak to their father Imran Khan who has been held unlawfully (acc to the UN) for 22 months of solitary confinement.
X is the only place left where we can still tell the world he is a political prisoner...
এর আগেও জেমিমা অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তাঁর ছেলেদের বাবার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ইমরান খানের প্রতি হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তাঁর বোন আলিমা খানও গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আট মাস ধরে এখানে আসছি। প্রতি মঙ্গলবার আমরা এখানে এসে বসে থাকি। আমাদের ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা তাকে নির্যাতন করছে। তাকে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তাদের উচিত ইমরান খানের ওপর এই নির্যাতন বন্ধ করা।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খানকে ইচ্ছেমতো আটক রাখার কারণে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিল। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইমরান খানের কারাদণ্ড স্পষ্টতই তাঁকে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্ট ফিল্টার করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গোল্ডস্মিথ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের হাতে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আইনি জটিলতা নিয়ে তাঁর করা পোস্টগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তিনি ইলন মাস্ককে তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘দৃশ্যমানতা ফিল্টারিং’ (visibility filtering) নামে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জেমিমা বলেন, তাঁর ছেলেদের তাদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইমরান খানকে ২২ মাস ধরে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই নেতা একজন মৌলিক মানবিক অধিকারহীন রাজনৈতিক বন্দী—এই কথা বিশ্বকে জানানোর জন্য এক্সই তাঁর কাছে একমাত্র জায়গা। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর পোস্টের ‘রিচ’ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আপনি বাক্স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা, কিন্তু কেউ শুনতে পাবে না, এমনটি নয়।’
A personal plea to @elonmusk
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) December 12, 2025
My two sons have not been allowed to see or speak to their father Imran Khan who has been held unlawfully (acc to the UN) for 22 months of solitary confinement.
X is the only place left where we can still tell the world he is a political prisoner...
এর আগেও জেমিমা অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তাঁর ছেলেদের বাবার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে এবং তারা দেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ইমরান খানের প্রতি হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তাঁর বোন আলিমা খানও গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আদিয়ালা জেলের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আট মাস ধরে এখানে আসছি। প্রতি মঙ্গলবার আমরা এখানে এসে বসে থাকি। আমাদের ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা তাকে নির্যাতন করছে। তাকে অবৈধভাবে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তাদের উচিত ইমরান খানের ওপর এই নির্যাতন বন্ধ করা।’
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইমরান খানকে ইচ্ছেমতো আটক রাখার কারণে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছিল। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইমরান খানের কারাদণ্ড স্পষ্টতই তাঁকে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

মিয়ানমারে কয়েক বছর হলো চলছে জান্তা শাসন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জান্তা যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাধারণ নাগরিকেরা সব সময় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে প্রায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ চলছে। যাকে যখন ইচ্ছে আটক করছে, চালাচ্ছে নির্যাতন
২৮ আগস্ট ২০২৩
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির কোটি খানেক মুসলিম। যাদের বেশির ভাগই আবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে