
দক্ষিণ কোরিয়ায় গত চার দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ংজু শহরে মাটির ৪৩০ মিটার গভীর টানেলের ভেতরে আটকে পড়া যানবাহন উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। টানেলের ভেতরে যানবাহন থেকে এ পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার বিবিসি, আল জাজিরা ও এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানেলের ভেতরে ঠিক কতজন যাত্রী ও চালক আটকে আছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ৬৮৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেলের ভেতরে অন্তত ১৫টি যানবাহন আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মিহো নদীর তীর ধসে পড়ে। এতে গত শনিবার টানেল প্লাবিত হয়। টানেলটি খুব কম সময়ের মধ্যেই প্লাবিত হয়। ফলে যানবাহনগুলো বেরিয়ে যেতে পারেনি।
টানেল থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরেন ৯ জন যাত্রী। তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়ুনহাপকে বলেন, টানেলটি আরও আগেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টানেলের ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
টানেলের ভেতরে আটকা পড়াদের সন্ধান পেতে ছুটে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। সন্তানের খোঁজে আসা এক ব্যক্তি ইয়ুনহাপকে বলেন, ‘আমি কোনো আশা দেখছি না। তবু আমি এই জায়গা ছেড়ে যাব না। ঠান্ডা পানির ভেতরে আমার সন্তানের যে কতটা কষ্ট হচ্ছে, সেটা ভেবে আমার হৃদয় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় কয়েক হাজার পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ জনকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রবল পানির তোড়ে প্রায় ১৯টি গাড়ি ভেসে গেছে।
কোরিয়া রেল রোড করপোরেশন জানিয়েছে, তারা সব ধীরগতির ট্রেন ও কিছু বুলেট ট্রেনকে থামিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগদান, সরঞ্জাম সরবরাহ ও জনবল সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত চার দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ংজু শহরে মাটির ৪৩০ মিটার গভীর টানেলের ভেতরে আটকে পড়া যানবাহন উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। টানেলের ভেতরে যানবাহন থেকে এ পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার বিবিসি, আল জাজিরা ও এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানেলের ভেতরে ঠিক কতজন যাত্রী ও চালক আটকে আছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ৬৮৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেলের ভেতরে অন্তত ১৫টি যানবাহন আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মিহো নদীর তীর ধসে পড়ে। এতে গত শনিবার টানেল প্লাবিত হয়। টানেলটি খুব কম সময়ের মধ্যেই প্লাবিত হয়। ফলে যানবাহনগুলো বেরিয়ে যেতে পারেনি।
টানেল থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরেন ৯ জন যাত্রী। তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়ুনহাপকে বলেন, টানেলটি আরও আগেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টানেলের ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
টানেলের ভেতরে আটকা পড়াদের সন্ধান পেতে ছুটে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। সন্তানের খোঁজে আসা এক ব্যক্তি ইয়ুনহাপকে বলেন, ‘আমি কোনো আশা দেখছি না। তবু আমি এই জায়গা ছেড়ে যাব না। ঠান্ডা পানির ভেতরে আমার সন্তানের যে কতটা কষ্ট হচ্ছে, সেটা ভেবে আমার হৃদয় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় কয়েক হাজার পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ জনকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রবল পানির তোড়ে প্রায় ১৯টি গাড়ি ভেসে গেছে।
কোরিয়া রেল রোড করপোরেশন জানিয়েছে, তারা সব ধীরগতির ট্রেন ও কিছু বুলেট ট্রেনকে থামিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগদান, সরঞ্জাম সরবরাহ ও জনবল সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে মাউন্ট কাসিউনের পাথুরে ঢালে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সামরিক অঞ্চল। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছেছিল মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধানে।
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। টোকিওতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচার শুরুর প্রথম দিনেই আদালতকে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সত্যি।’
৩ ঘণ্টা আগে
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে মাউন্ট কাসিউনের পাথুরে ঢালে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সামরিক অঞ্চল। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছেছিল মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধানে। ২০১২ সালে সিরিয়ায় নিখোঁজ হয়ে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন অস্টিন। ১৩ বছর পরও তাঁর পরিবার আশায় আছে—তিনি হয়তো এখনো বেঁচে আছেন।
তবে এবার প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সাবেক এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মুখ থেকে শোনা গেল নির্মম সত্যটি—অস্টিন নিশ্চিতভাবেই মারা গেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, এই স্বীকারোক্তি এসেছে বাসাম আল-হাসান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে, যিনি সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং ভয়ংকর ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেস’ (এনডিএফ) মিলিশিয়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। আল-হাসানই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০১২ সালের আগস্টে অস্টিন টাইসকে আটক করার পর তাঁর দেখাশোনা করতেন।
আসাদ সরকারের পতনের পর সত্য উদ্ঘাটন
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন প্রাক্তন কর্মকর্তা একে একে আত্মপ্রকাশ করতে থাকেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন আল-হাসান। তিনি ইরান থেকে পালিয়ে লেবাননের বৈরুতে এসে আশ্রয় নেন। পরে এফবিআই তদন্তকারীরা সেখানেই হাজির হন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এরপর গত মাসে (সেপ্টেম্বর) বৈরুতে আল-হাসানের ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় সিএনএন-এর একটি দলও। গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, আল-হাসান বলছেন, ‘অস্টিন অবশ্যই মৃত। আমি নিজেই আসাদের আদেশে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করিয়েছিলাম।’
তিনি দাবি করেন, ২০১৩ সালে স্বয়ং বাশার আল-আসাদই তাঁকে নির্দেশ দেন অস্টিনকে হত্যা করতে। তবে তিনি নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন, কিন্তু আসাদ ছিলেন অনড়।
অবিশ্বাস ও সন্দেহ
সিএনএনকে আল-হাসান যে তথ্য দিয়েছেন সেগুলো পরে আরও যাচাই করা হয়েছে এবং এফবিআইয়ের পলিগ্রাফ টেস্টে তিনি ব্যর্থ হন। অর্থাৎ তাঁর কথার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তবু তাঁর এই বক্তব্যই এখন পর্যন্ত অস্টিন টাইসের মৃত্যুর সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত।
অনেকে মনে করেন, সত্যটি এখনো জটিল এক জালের ভেতরে লুকিয়ে আছে—যেমনভাবে আসাদের শাসন দীর্ঘ এক দশক ধরে নিজের জনগণকে হত্যা ও নিখোঁজ করেছে।
অস্টিনের খোঁজে সিএনএন অন্তত সাতটি দেশে গিয়ে সিরিয়ার সাবেক কিছু কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও তদন্তকারীও। তাঁরা জানিয়েছেন, অস্টিনের দেহাবশেষ এখনো পাওয়া না গেলেও ২০১৩ সালের দিকেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।

কে ছিলেন অস্টিন টাইস
অস্টিন টাইস ছিলেন মার্কিন মেরিন বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক। ২০১২ সালে তিনি সিরিয়ায় যান গৃহযুদ্ধের সত্যতা তুলে ধরতে। তিনি দামেস্কের উপকণ্ঠ দারায়া থেকে তাঁর শেষ প্রতিবেদন পাঠান। এরপরই তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সেই সময় দারায়ায় প্রবল যুদ্ধ চলছিল। বিদ্রোহীদের সঙ্গে থেকে তিনি আসাদ সরকারের দমননীতি তুলে ধরছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টসহ একাধিক পত্রিকায় তাঁর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
নাটকীয় বন্দিত্ব ও ভিডিও
সিরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাফওয়ান বাহলুল জানিয়েছেন, তিনিই অস্টিনকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সাফওয়ান বলেন, ‘অস্টিন শান্ত ছিলেন, সাহসী ছিলেন। কখনো কখনে আমরা সংগীত নিয়েও কথা বলেছি।’
পরবর্তীতে আল-হাসানের নির্দেশে অস্টিনকে ‘তাহৌনে’ নামের এক সামরিক ক্যাম্পে বন্দী রাখা হয়। এখানেই ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিওতে অস্টিনকে দেখা যায় আরব পোশাক পরা লোকদের মাঝে, যারা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার করছে। ভিডিওটি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয় যেন মনে হয়, তাঁকে ইসলামপন্থীরা অপহরণ করেছে—আসাদ বাহিনী নয়। তবে মার্কিন বিশ্লেষকেরা দ্রুতই বুঝে ফেলেছিলেন, এটি আসলে সিরীয় সরকারেরই সাজানো নাটক।

পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন অস্টিন
তদন্তে জানা যায়, একসময় অস্টিন সাবান ও তোয়ালে ব্যবহার করে জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কিছু দূর পালাতেও সক্ষম হন, কিন্তু পরের দিন দামেস্কের মাজ্জে এলাকায় আবার ধরা পড়ে যান। এরপর তাঁকে আবারও আল-হাসানের অফিসে নেওয়া হয় এবং সেখানেই চিরদিনের জন্য তাঁর সব খোঁজ মিলিয়ে যায়।
পরিবারের অটল বিশ্বাস
সিরীয় কর্মকর্তাদের অনেকেই অস্টিনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করলেও তাঁর মা ডেবরা টাইস এখনো বিশ্বাস করেন ছেলে বেঁচে আছেন। তিনি বলেন, ‘অস্টিন টাইস জীবিত। আমরা তাঁর মুক্তির অপেক্ষায় আছি।’
আসাদের পতনের পর ডেবরা টাইস নিজেই দামেস্কে গিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে দেখা করেছেন। ডেবরা বহু বছর ধরে মার্কিন সরকারকে ছেলের খোঁজে তৎপর থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
আল-হাসান—এক অন্ধকার চরিত্র
আল-হাসান আসাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি ২০১১ সালেই যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন এবং ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রও তাঁকে নিষিদ্ধ করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে জড়িত ছিলেন এবং সরকারবিরোধীদের ওপর হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন।
২০২৩ সালে ফ্রান্স তাঁর ও আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শেষ কথায় অনুতাপ
বৈরুতে সিএনএনের দল চলে আসার আগে দরজার কাছে এসে আল-হাসান থেমে যান। চোখ লালচে হয়ে ওঠে তাঁর। তিনি বলেন, ‘এটা মনে পড়লেই কষ্ট হয়। এমনটা ঘটুক, চাইনি আমি। অস্টিনের মায়ের কাছে আমি ক্ষমা চাই।’

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে মাউন্ট কাসিউনের পাথুরে ঢালে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সামরিক অঞ্চল। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছেছিল মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধানে। ২০১২ সালে সিরিয়ায় নিখোঁজ হয়ে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন অস্টিন। ১৩ বছর পরও তাঁর পরিবার আশায় আছে—তিনি হয়তো এখনো বেঁচে আছেন।
তবে এবার প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সাবেক এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মুখ থেকে শোনা গেল নির্মম সত্যটি—অস্টিন নিশ্চিতভাবেই মারা গেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, এই স্বীকারোক্তি এসেছে বাসাম আল-হাসান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে, যিনি সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং ভয়ংকর ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেস’ (এনডিএফ) মিলিশিয়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। আল-হাসানই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০১২ সালের আগস্টে অস্টিন টাইসকে আটক করার পর তাঁর দেখাশোনা করতেন।
আসাদ সরকারের পতনের পর সত্য উদ্ঘাটন
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন প্রাক্তন কর্মকর্তা একে একে আত্মপ্রকাশ করতে থাকেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন আল-হাসান। তিনি ইরান থেকে পালিয়ে লেবাননের বৈরুতে এসে আশ্রয় নেন। পরে এফবিআই তদন্তকারীরা সেখানেই হাজির হন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এরপর গত মাসে (সেপ্টেম্বর) বৈরুতে আল-হাসানের ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় সিএনএন-এর একটি দলও। গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, আল-হাসান বলছেন, ‘অস্টিন অবশ্যই মৃত। আমি নিজেই আসাদের আদেশে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করিয়েছিলাম।’
তিনি দাবি করেন, ২০১৩ সালে স্বয়ং বাশার আল-আসাদই তাঁকে নির্দেশ দেন অস্টিনকে হত্যা করতে। তবে তিনি নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন, কিন্তু আসাদ ছিলেন অনড়।
অবিশ্বাস ও সন্দেহ
সিএনএনকে আল-হাসান যে তথ্য দিয়েছেন সেগুলো পরে আরও যাচাই করা হয়েছে এবং এফবিআইয়ের পলিগ্রাফ টেস্টে তিনি ব্যর্থ হন। অর্থাৎ তাঁর কথার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তবু তাঁর এই বক্তব্যই এখন পর্যন্ত অস্টিন টাইসের মৃত্যুর সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত।
অনেকে মনে করেন, সত্যটি এখনো জটিল এক জালের ভেতরে লুকিয়ে আছে—যেমনভাবে আসাদের শাসন দীর্ঘ এক দশক ধরে নিজের জনগণকে হত্যা ও নিখোঁজ করেছে।
অস্টিনের খোঁজে সিএনএন অন্তত সাতটি দেশে গিয়ে সিরিয়ার সাবেক কিছু কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও তদন্তকারীও। তাঁরা জানিয়েছেন, অস্টিনের দেহাবশেষ এখনো পাওয়া না গেলেও ২০১৩ সালের দিকেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।

কে ছিলেন অস্টিন টাইস
অস্টিন টাইস ছিলেন মার্কিন মেরিন বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক। ২০১২ সালে তিনি সিরিয়ায় যান গৃহযুদ্ধের সত্যতা তুলে ধরতে। তিনি দামেস্কের উপকণ্ঠ দারায়া থেকে তাঁর শেষ প্রতিবেদন পাঠান। এরপরই তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সেই সময় দারায়ায় প্রবল যুদ্ধ চলছিল। বিদ্রোহীদের সঙ্গে থেকে তিনি আসাদ সরকারের দমননীতি তুলে ধরছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টসহ একাধিক পত্রিকায় তাঁর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
নাটকীয় বন্দিত্ব ও ভিডিও
সিরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাফওয়ান বাহলুল জানিয়েছেন, তিনিই অস্টিনকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সাফওয়ান বলেন, ‘অস্টিন শান্ত ছিলেন, সাহসী ছিলেন। কখনো কখনে আমরা সংগীত নিয়েও কথা বলেছি।’
পরবর্তীতে আল-হাসানের নির্দেশে অস্টিনকে ‘তাহৌনে’ নামের এক সামরিক ক্যাম্পে বন্দী রাখা হয়। এখানেই ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিওতে অস্টিনকে দেখা যায় আরব পোশাক পরা লোকদের মাঝে, যারা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার করছে। ভিডিওটি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয় যেন মনে হয়, তাঁকে ইসলামপন্থীরা অপহরণ করেছে—আসাদ বাহিনী নয়। তবে মার্কিন বিশ্লেষকেরা দ্রুতই বুঝে ফেলেছিলেন, এটি আসলে সিরীয় সরকারেরই সাজানো নাটক।

পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন অস্টিন
তদন্তে জানা যায়, একসময় অস্টিন সাবান ও তোয়ালে ব্যবহার করে জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কিছু দূর পালাতেও সক্ষম হন, কিন্তু পরের দিন দামেস্কের মাজ্জে এলাকায় আবার ধরা পড়ে যান। এরপর তাঁকে আবারও আল-হাসানের অফিসে নেওয়া হয় এবং সেখানেই চিরদিনের জন্য তাঁর সব খোঁজ মিলিয়ে যায়।
পরিবারের অটল বিশ্বাস
সিরীয় কর্মকর্তাদের অনেকেই অস্টিনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করলেও তাঁর মা ডেবরা টাইস এখনো বিশ্বাস করেন ছেলে বেঁচে আছেন। তিনি বলেন, ‘অস্টিন টাইস জীবিত। আমরা তাঁর মুক্তির অপেক্ষায় আছি।’
আসাদের পতনের পর ডেবরা টাইস নিজেই দামেস্কে গিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে দেখা করেছেন। ডেবরা বহু বছর ধরে মার্কিন সরকারকে ছেলের খোঁজে তৎপর থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
আল-হাসান—এক অন্ধকার চরিত্র
আল-হাসান আসাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি ২০১১ সালেই যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন এবং ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রও তাঁকে নিষিদ্ধ করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে জড়িত ছিলেন এবং সরকারবিরোধীদের ওপর হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন।
২০২৩ সালে ফ্রান্স তাঁর ও আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শেষ কথায় অনুতাপ
বৈরুতে সিএনএনের দল চলে আসার আগে দরজার কাছে এসে আল-হাসান থেমে যান। চোখ লালচে হয়ে ওঠে তাঁর। তিনি বলেন, ‘এটা মনে পড়লেই কষ্ট হয়। এমনটা ঘটুক, চাইনি আমি। অস্টিনের মায়ের কাছে আমি ক্ষমা চাই।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত চার দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে
১৬ জুলাই ২০২৩
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। টোকিওতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচার শুরুর প্রথম দিনেই আদালতকে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সত্যি।’
৩ ঘণ্টা আগে
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। টোকিওতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচার শুরুর প্রথম দিনেই আদালতকে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সত্যি।’
২০২২ সালে পশ্চিম জাপানের নারা শহরে একটি নির্বাচনী প্রচারসভায় ঘরে তৈরি বন্দুক দিয়ে শিনজো আবেকে গুলি করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দিনই হাসপাতালে মারা যান জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল।
‘আবেনোমিকস’ নামে পরিচিত অর্থনৈতিক নীতির প্রণেতা এবং কট্টর পররাষ্ট্রনীতির জন্য খ্যাত শিনজো আবেকে হত্যার পর রাজনৈতিকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির পর প্রকাশ্যে আসে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও ইউনিফিকেশন চার্চের (যা ‘মুনিজ’ নামেও পরিচিত) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
ইয়ামাগামি তদন্তকারীদের জানান, তিনি আবেকে গুলি করেছিলেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, আবে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছেন, যার কারণে তাঁর মা ও পরিবার আর্থিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। ইয়ামাগামির অভিযোগ, ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রমাণ হিসেবে তাঁর মা ওই চার্চে প্রায় ১০ কোটি ইয়েন (প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার) দান করেছিলেন।
এই অভিযোগের পর চার্চের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এবং গণবিবাহের জন্য পরিচিত এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে তদন্তের একপর্যায়ে জাপানের চার মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের মার্চে টোকিও আদালত ইউনিফিকেশন চার্চকে বিলুপ্তির আদেশ দেন, তাদের করমুক্তির সুবিধা বাতিল করেন এবং সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দেন।
জাপান টাইমসের বরাতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, এত কিছুর পরও ইয়ামাগামির মা তাঁর বিশ্বাস থেকে সরে আসেননি। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড আমার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে।’
ইয়ামাগামির বিচার আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি অস্ত্র আইন ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্তের তৈরি বন্দুকটি জাপানের প্রচলিত অস্ত্র সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।
জাপানে অস্ত্র সহিংসতার ঘটনা খুবই কম। শিনজো আবে হত্যার পর থেকে দেশটিতে ঘরে তৈরি বন্দুকের ওপর আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। টোকিওতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচার শুরুর প্রথম দিনেই আদালতকে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সত্যি।’
২০২২ সালে পশ্চিম জাপানের নারা শহরে একটি নির্বাচনী প্রচারসভায় ঘরে তৈরি বন্দুক দিয়ে শিনজো আবেকে গুলি করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দিনই হাসপাতালে মারা যান জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল।
‘আবেনোমিকস’ নামে পরিচিত অর্থনৈতিক নীতির প্রণেতা এবং কট্টর পররাষ্ট্রনীতির জন্য খ্যাত শিনজো আবেকে হত্যার পর রাজনৈতিকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির পর প্রকাশ্যে আসে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও ইউনিফিকেশন চার্চের (যা ‘মুনিজ’ নামেও পরিচিত) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
ইয়ামাগামি তদন্তকারীদের জানান, তিনি আবেকে গুলি করেছিলেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, আবে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছেন, যার কারণে তাঁর মা ও পরিবার আর্থিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। ইয়ামাগামির অভিযোগ, ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রমাণ হিসেবে তাঁর মা ওই চার্চে প্রায় ১০ কোটি ইয়েন (প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার) দান করেছিলেন।
এই অভিযোগের পর চার্চের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এবং গণবিবাহের জন্য পরিচিত এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে তদন্তের একপর্যায়ে জাপানের চার মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের মার্চে টোকিও আদালত ইউনিফিকেশন চার্চকে বিলুপ্তির আদেশ দেন, তাদের করমুক্তির সুবিধা বাতিল করেন এবং সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দেন।
জাপান টাইমসের বরাতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, এত কিছুর পরও ইয়ামাগামির মা তাঁর বিশ্বাস থেকে সরে আসেননি। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড আমার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে।’
ইয়ামাগামির বিচার আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি অস্ত্র আইন ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্তের তৈরি বন্দুকটি জাপানের প্রচলিত অস্ত্র সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।
জাপানে অস্ত্র সহিংসতার ঘটনা খুবই কম। শিনজো আবে হত্যার পর থেকে দেশটিতে ঘরে তৈরি বন্দুকের ওপর আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত চার দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে
১৬ জুলাই ২০২৩
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে মাউন্ট কাসিউনের পাথুরে ঢালে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সামরিক অঞ্চল। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছেছিল মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধানে।
১ ঘণ্টা আগে
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেসের (এএমডি) সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলারের অংশীদারত্বে দুটি সুপার কম্পিউটার নির্মাণ করছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এই সুপার কম্পিউটারগুলো ব্যবহৃত হবে পারমাণবিক শক্তি, ক্যানসার চিকিৎসা ও জাতীয় নিরাপত্তাসহ জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়।
এই নতুন অংশীদারত্বের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও এএমডির প্রধান নির্বাহী লিসা সু নিশ্চিত করেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
তাঁর ভাষ্য, এই সিস্টেমগুলো পারমাণবিক শক্তি ও ফিউশন এনার্জি, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে ‘অভূতপূর্ব গতি’ আনবে।
বিজ্ঞানীরা এখন সূর্যের জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়া অর্থাৎ ফিউশন বিক্রিয়া পৃথিবীতে পুনরুৎপাদনের চেষ্টা করছেন। এর জন্য তাঁরা তীব্র তাপ ও চাপে হালকা পরমাণুগুলোকে একত্র করে বিপুল শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা করছেন।
রাইট বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, কিন্তু প্লাজমা অত্যন্ত অস্থিতিশীল। আমাদের সূর্যের কেন্দ্রের মতো পরিবেশ পৃথিবীতে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই এআই-চালিত সুপার কম্পিউটারগুলোর মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি অনেক দ্রুত হবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফিউশন শক্তি ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বাস্তব পথ আমরা খুঁজে পাব।’
রাইট জানান, সুপার কম্পিউটারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে এবং ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের গতি বাড়াবে; অণুস্তরে রোগ নিরাময়ের সম্ভাব্য উপায়গুলো সিমুলেশন করে।
তাঁর আশা, ‘আগামী পাঁচ থেকে আট বছরের মধ্যে আমরা এমন একপর্যায়ে পৌঁছাব, যেখানে আজ যেসব ক্যানসার মৃত্যুদণ্ডের সমান মনে করা হয়, সেগুলোর অনেকগুলোই নিয়ন্ত্রণযোগ্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হবে।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেসের (এএমডি) সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলারের অংশীদারত্বে দুটি সুপার কম্পিউটার নির্মাণ করছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এই সুপার কম্পিউটারগুলো ব্যবহৃত হবে পারমাণবিক শক্তি, ক্যানসার চিকিৎসা ও জাতীয় নিরাপত্তাসহ জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়।
এই নতুন অংশীদারত্বের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও এএমডির প্রধান নির্বাহী লিসা সু নিশ্চিত করেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
তাঁর ভাষ্য, এই সিস্টেমগুলো পারমাণবিক শক্তি ও ফিউশন এনার্জি, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে ‘অভূতপূর্ব গতি’ আনবে।
বিজ্ঞানীরা এখন সূর্যের জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়া অর্থাৎ ফিউশন বিক্রিয়া পৃথিবীতে পুনরুৎপাদনের চেষ্টা করছেন। এর জন্য তাঁরা তীব্র তাপ ও চাপে হালকা পরমাণুগুলোকে একত্র করে বিপুল শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা করছেন।
রাইট বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, কিন্তু প্লাজমা অত্যন্ত অস্থিতিশীল। আমাদের সূর্যের কেন্দ্রের মতো পরিবেশ পৃথিবীতে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই এআই-চালিত সুপার কম্পিউটারগুলোর মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি অনেক দ্রুত হবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফিউশন শক্তি ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বাস্তব পথ আমরা খুঁজে পাব।’
রাইট জানান, সুপার কম্পিউটারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে এবং ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের গতি বাড়াবে; অণুস্তরে রোগ নিরাময়ের সম্ভাব্য উপায়গুলো সিমুলেশন করে।
তাঁর আশা, ‘আগামী পাঁচ থেকে আট বছরের মধ্যে আমরা এমন একপর্যায়ে পৌঁছাব, যেখানে আজ যেসব ক্যানসার মৃত্যুদণ্ডের সমান মনে করা হয়, সেগুলোর অনেকগুলোই নিয়ন্ত্রণযোগ্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হবে।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত চার দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে
১৬ জুলাই ২০২৩
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে মাউন্ট কাসিউনের পাথুরে ঢালে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সামরিক অঞ্চল। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছেছিল মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধানে।
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। টোকিওতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচার শুরুর প্রথম দিনেই আদালতকে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সত্যি।’
৩ ঘণ্টা আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জনগণকে চরম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছাদের ওপর ওঠা, বালুর বস্তা জড়ো করা বা গাছ কাটার মতো কাজগুলো আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও, সামান্য ভুলও মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তা বা আবর্জনাপূর্ণ এলাকায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদিও বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে, তবে হাসপাতালগুলো খোলা আছে এবং ঘূর্ণিঝড়-সম্পর্কিত আঘাতের চিকিৎসা দিচ্ছে।
জ্যামাইকার পানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ম্যাথিউ সামুদা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘নিউজডে’ অনুষ্ঠানে দেশের পরিস্থিতিকে ‘ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জ্যামাইকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ সমুদ্র থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বসবাস করে। এই ঘূর্ণিঝড় রাজধানী কিংস্টন, ওল্ড হারবার বে, রকি পয়েন্ট এবং সেন্ট এলিজাবেথের মতো বেশ কয়েকটি নিচু উপকূলীয় অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামুদা জানান, কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ ধরে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করেছে এবং বন্যার হাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি বাঁচাতে বালুর বস্তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বহু মানুষ তাদের ‘জীবন রক্ষার চেয়ে সম্পত্তি রক্ষা করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন’, এটি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
মন্ত্রী সামুদা এই পরিস্থিতিতে বিদেশে বসবাসরত জ্যামাইকান প্রবাসীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন: ‘সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই’ যেন তাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফোনকল করে খোঁজ নেন এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উৎসাহিত করেন।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জনগণকে চরম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছাদের ওপর ওঠা, বালুর বস্তা জড়ো করা বা গাছ কাটার মতো কাজগুলো আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও, সামান্য ভুলও মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তা বা আবর্জনাপূর্ণ এলাকায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদিও বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে, তবে হাসপাতালগুলো খোলা আছে এবং ঘূর্ণিঝড়-সম্পর্কিত আঘাতের চিকিৎসা দিচ্ছে।
জ্যামাইকার পানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ম্যাথিউ সামুদা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘নিউজডে’ অনুষ্ঠানে দেশের পরিস্থিতিকে ‘ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জ্যামাইকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ সমুদ্র থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বসবাস করে। এই ঘূর্ণিঝড় রাজধানী কিংস্টন, ওল্ড হারবার বে, রকি পয়েন্ট এবং সেন্ট এলিজাবেথের মতো বেশ কয়েকটি নিচু উপকূলীয় অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামুদা জানান, কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ ধরে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করেছে এবং বন্যার হাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি বাঁচাতে বালুর বস্তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বহু মানুষ তাদের ‘জীবন রক্ষার চেয়ে সম্পত্তি রক্ষা করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন’, এটি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
মন্ত্রী সামুদা এই পরিস্থিতিতে বিদেশে বসবাসরত জ্যামাইকান প্রবাসীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন: ‘সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই’ যেন তাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফোনকল করে খোঁজ নেন এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উৎসাহিত করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত চার দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে
১৬ জুলাই ২০২৩
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে মাউন্ট কাসিউনের পাথুরে ঢালে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সামরিক অঞ্চল। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছেছিল মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের সন্ধানে।
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। টোকিওতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচার শুরুর প্রথম দিনেই আদালতকে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সত্যি।’
৩ ঘণ্টা আগে
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
৪ ঘণ্টা আগে