অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিপ উৎপাদক কোম্পানি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে টিএসএমসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেবে টিএসএমসি। এটি মূলত তাইওয়ান থেকে আমদানি করা চিপের ওপর সম্ভাব্য শুল্ক আরোপ প্রতিরোধের একটি পদক্ষেপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি আগামী সোমবার এই ঘোষণা দেবে। সেদিন টিএসএমসির প্রধান নির্বাহী সিসি ওয়েই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানেই এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের প্রতি যে সমর্থন দেখাচ্ছে, এটি তারই সর্বশেষ উদাহরণ। গত সপ্তাহে, অ্যাপল ঘোষণা করেছিল যে তারা আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে।
টিএসএমসি এরই মধ্যেই অ্যারিজোনায় উৎপাদন অবকাঠামো গড়ে তুলতে ৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি কি না, নাকি আগেই ঘোষিত অর্থের কিছু অংশ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টারের ওপর শুল্ক আরোপ করতে চান। পাশাপাশি, ওয়াশিংটন টিএসএমসি ঘোষিত ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের জন্য যে ৬৬০ কোটি ডলার ডলার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটিও বাতিল করতে চান ট্রাম্প। গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প হাউস রিপাবলিকানদের বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা বিদেশে উৎপাদিত কম্পিউটার চিপের ওপর শুল্ক আরোপ করব, যাতে এই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোর উৎপাদন আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানো যায়।’
এদিকে, গত ২৬ জানুয়ারি চীন অভিযোগ করে, তাইওয়ান তার সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘উপহার’ হিসেবে তুলে দিতে চাইছে। চীন সরকারের এক মুখপাত্র দাবি করেন, রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার জন্য এই শিল্পকে ব্যবহার করতে চাইছে তাইওয়ান।
বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের তাইওয়ানবিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান অভিযোগ করেন, তাইওয়ানের মানুষ শঙ্কিত যে টিএসএমসি হয়তো ‘যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদনের কোম্পানি’ হয়ে উঠতে পারে। তবে চীনের অভিযোগ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি তাইওয়ান বা টিএসএমসি।
তিনি আরও বলেন, ‘নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) সরকার বাইরের শক্তির কাছে অবাধে দাবি জানাচ্ছে। তারা তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ও শক্তিশালী কোম্পানিগুলোর ব্যবহার করে অন্য দেশগুলোর কাছে স্বার্থের দরজা খুলে দিচ্ছে, এমনকি এই শিল্পগুলোকে উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে, যা আসলে স্বাধীনতার জন্য একটি হাতিয়ার।’
চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। যদিও তাইপেই সরকার এর দৃঢ় বিরোধিতা করে। তবে তাইওয়ানের বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বেইজিংয়ের কোনো হাত নেই।
চিপ তৈরিতে উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশটির চিপ বা অপারেটিং সিস্টেমের ঘাটতির বিষয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা এখন অনেকটাই কমে গেছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে জানিয়েছেন, চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই।
যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিপ উৎপাদক কোম্পানি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে টিএসএমসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেবে টিএসএমসি। এটি মূলত তাইওয়ান থেকে আমদানি করা চিপের ওপর সম্ভাব্য শুল্ক আরোপ প্রতিরোধের একটি পদক্ষেপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি আগামী সোমবার এই ঘোষণা দেবে। সেদিন টিএসএমসির প্রধান নির্বাহী সিসি ওয়েই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানেই এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের প্রতি যে সমর্থন দেখাচ্ছে, এটি তারই সর্বশেষ উদাহরণ। গত সপ্তাহে, অ্যাপল ঘোষণা করেছিল যে তারা আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে।
টিএসএমসি এরই মধ্যেই অ্যারিজোনায় উৎপাদন অবকাঠামো গড়ে তুলতে ৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি কি না, নাকি আগেই ঘোষিত অর্থের কিছু অংশ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টারের ওপর শুল্ক আরোপ করতে চান। পাশাপাশি, ওয়াশিংটন টিএসএমসি ঘোষিত ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের জন্য যে ৬৬০ কোটি ডলার ডলার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটিও বাতিল করতে চান ট্রাম্প। গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প হাউস রিপাবলিকানদের বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা বিদেশে উৎপাদিত কম্পিউটার চিপের ওপর শুল্ক আরোপ করব, যাতে এই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোর উৎপাদন আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানো যায়।’
এদিকে, গত ২৬ জানুয়ারি চীন অভিযোগ করে, তাইওয়ান তার সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘উপহার’ হিসেবে তুলে দিতে চাইছে। চীন সরকারের এক মুখপাত্র দাবি করেন, রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার জন্য এই শিল্পকে ব্যবহার করতে চাইছে তাইওয়ান।
বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের তাইওয়ানবিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান অভিযোগ করেন, তাইওয়ানের মানুষ শঙ্কিত যে টিএসএমসি হয়তো ‘যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদনের কোম্পানি’ হয়ে উঠতে পারে। তবে চীনের অভিযোগ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি তাইওয়ান বা টিএসএমসি।
তিনি আরও বলেন, ‘নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) সরকার বাইরের শক্তির কাছে অবাধে দাবি জানাচ্ছে। তারা তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ও শক্তিশালী কোম্পানিগুলোর ব্যবহার করে অন্য দেশগুলোর কাছে স্বার্থের দরজা খুলে দিচ্ছে, এমনকি এই শিল্পগুলোকে উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে, যা আসলে স্বাধীনতার জন্য একটি হাতিয়ার।’
চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। যদিও তাইপেই সরকার এর দৃঢ় বিরোধিতা করে। তবে তাইওয়ানের বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বেইজিংয়ের কোনো হাত নেই।
চিপ তৈরিতে উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশটির চিপ বা অপারেটিং সিস্টেমের ঘাটতির বিষয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা এখন অনেকটাই কমে গেছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে জানিয়েছেন, চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
৫ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে