Ajker Patrika

‘তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বেকার হয়েছে প্রায় ১০ লাখ আফগান’

আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১২: ১১
‘তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বেকার হয়েছে প্রায় ১০ লাখ আফগান’

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর চাকরি হারিয়েছে প্রায় ১০ লাখ আফগান নাগরিক। আন্তর্জাতিক ও মার্কিন সংস্থাগুলোর হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

বার্তা সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও আফগানিস্তানের পুনর্গঠনবিষয়ক মার্কিন বিশেষ মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদন এ ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে দ্য খামা প্রেসও। 

আফগানিস্তানের পুনর্গঠনবিষয়ক মার্কিন বিশেষ মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা হাতে নেওয়ার পর থেকে ৯ লাখেরও বেশি আফগান নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন। বিশেষ করে দেশটির কর্মজীবী নারীরা এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। চলতি বছরের মাঝ বরাবর নারীদের চাকরি হারানোর হার আরও ২১ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাওয়ার পর থেকেই দেশটিতে বেকারত্বের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির বিভিন্ন স্থানে দারিদ্র্যের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এতে করে লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকেই ৫ লাখেরও বেশি আফগান নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন।

এদিকে গত শনিবার আফগানিস্তানের নারীদের মুখ ঢেকে বাইরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ডিক্রি জারি করেছে তালেবান সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা ও তালেবানপ্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কাবুলে সংবাদ সম্মেলন করে দেশটির নারীদের ঘরের বাইরে পুরো শরীর ঢাকা বোরকা পরার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি না মানলে নারীদের বাবা অথবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের কারাদণ্ড দেওয়া হবে অথবা সরকারি চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, নারীদের ওপর এসব নিত্যনতুন বিধিনিষেধ আরোপ আফগানিস্তানে বেকারত্বের হার বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া বেকারদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও তালেবান সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।

গত আগস্টে তালেবানের হাতে নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে তাড়াহুড়ো করে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিদেশের মাটিতে থাকা আফগানিস্তানের সব সম্পদ জব্দ করে রেখেছে, বন্ধ আছে সহায়তা প্রদানও। সেই থেকেই দেশটির অর্থনীতি বেকায়দায় আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত