Ajker Patrika

কাবুলে মার্কিন শেষ হামলার লক্ষ্য ছিল বেসামরিক মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ২১
কাবুলে মার্কিন শেষ হামলার লক্ষ্য ছিল বেসামরিক মানুষ

২০ বছরের যুদ্ধ শেষে গত ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে মার্কিন বাহিনী। এর আগের দিন ২৯ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শেষ হামলাটি চালায় তারা। এতে সাত শিশুসহ ১০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। তবে ওয়াশিংটনের তরফে বলা হয়েছিল, জঙ্গিদের লক্ষ্য করে ওই ড্রোন (মানুষবিহীন বিমান) হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন জঙ্গি নেতা। কিন্তু তিন সপ্তাহ পর এসে তারা স্বীকার করল আসলে ভুল লক্ষ্যবস্তুতেই ওই হামলা করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি গত শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ভুল করে এক ত্রাণসহায়তাকর্মীর একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে শনাক্ত করেন। তাঁরা ভেবেছিলেন ব্যক্তিগত গাড়িটি ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) কোনো সম্ভাব্য আত্মঘাতী হামলাকারীর। এরপর ওই গাড়িটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘নিহতদের একজন ছিলেন জামাইরি আহমাদি। যিনি ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক পুষ্টি ও শিক্ষাবিষয়ক একটি এনজিওতে কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে আইএস-কের কোনো সম্পর্ক নেই।

এ জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।’

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর দেশটির নাগরিকেরা দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হন। তাঁদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যখন ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যস্ত, তখন ওই বিমানবন্দর এলাকায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৭০ বেসামরিক নাগরিক ও ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হন। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা আইএস-কে (ইসলামিক স্টেট–খোরাসান) ওই হামলার দায় স্বীকার করে। ওই হামলার কয়েক দিন পর ড্রোন হামলাটি চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে ২০ বছর যুদ্ধের সমাপ্তি টানার শেষ মুহূর্তে এটিই ছিল মার্কিন বাহিনীর শেষ হামলা। এতে নিহত সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স ছিল দুই বছর।

মার্কিন কর্তৃপক্ষ এখন স্বীকার করছে, ওই ত্রাণসহায়তাকর্মীর গাড়িটি আইএস–কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ভবনের কাছে দেখা গিয়েছিল। কাবুল বিমানবন্দরে আবার আইএস–কের আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে অন্য গোয়েন্দাদের তথ্য মিলিয়ে দেখেই গাড়িটির ওপর ড্রোন হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ড্রোন দেখতে পায়, লোকটি গাড়ির বুটে (পেছনের অংশে) বিস্ফোরকদ্রব্যের মতো দেখতে কিছু একটা তুলছেন। আসলে সেগুলো ছিল পানির কনটেইনার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত