ফুটপাতে বা মেট্রো স্টেশনে হাঁটতে গিয়ে নিশ্চয়ই আপনার চোখে পড়েছে হলুদ রঙের বিশেষ এক ধরনের টাইলস, যেগুলোর মধ্যে সামান্য উঁচু লম্বা দাগ বা গোল ডট থাকে। এই টাইলসগুলো মূলত দৃষ্টিহীনদের চলাচলের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘ফুট ব্রেইল’।
১৯৬৫ সালে আজকের এই দিনে (১৮ মার্চ) বিশেষ এই টাইলস উদ্ভাবন করেন জাপানি প্রকৌশলী সেইচি মিয়াকে। তাঁর একজন দৃষ্টিহীন বন্ধু ছিলেন। সেই বন্ধুর চলাচল সহজ করতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বইয়ের ব্রেইল পদ্ধতিকে চলাচলের পথেও কাজে লাগানোর কথা মাথায় আসে মিয়াকের।
সেই চিন্তা থেকেই পুরোপুরি নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে তিনি বিশেষ এই টাইলস বানান এবং এগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেন, যেগুলো টেনজি ব্লক নামে পরিচিত। পরে, ১৯৬৭ সালে, ওকায়ামা শহরের দৃষ্টিহীনদের জন্য একটি বিদ্যালয়ের সামনে প্রথমবার এগুলো স্থাপন করা হয়।
এর ১০ বছর পর, ১৯৭৭ সালে জাপান ন্যাশনাল রেলওয়ে তাদের স্টেশনে স্থাপন করে এই টেনজি ব্লক। জাপান ন্যাশনাল রেলওয়ে (বর্তমানে জাপান রেলওয়ে) এই পদ্ধতি গ্রহণের পর এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৮৫ সালে, এই ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দৃষ্টিহীনদের জন্য বিপদ নির্দেশিকা’ নামে স্বীকৃতি পায়।
পরে, ১৯৯৪ সাল থেকে ২ হাজার বর্গমিটারের বেশি আয়তনবিশিষ্ট ভবনগুলোর জন্য আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করা হয় এই টাইলসের ব্যবহার। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর (যেমন: স্কুল, হাসপাতাল, থিয়েটার, কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল, অফিস, প্রবীণদের জন্য বাসস্থান ইত্যাদি) জন্য এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে যথাসম্ভব স্থাপনের প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলা হয়েছে জাপানের আইনে। ২০০৬ সালে আইন পরিবর্তন করে পরিধি বাড়িয়ে ভবনের বাইরের এলাকাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া, আইনের মাধ্যমে সমস্ত গণপরিবহন কেন্দ্রে জনসাধারণের প্রবেশপথ থেকে বোর্ডিং এলাকা বা টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত এই টাইলস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাপানি প্রকৌশলীর এই উদ্ভাবন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
ফুট ব্রেইল বা টেনজি ব্লক মূলত দুই ধরনের হয়—সতর্কতামূলক ব্লক: এতে ছোট ছোট গোলাকার ডট থাকে, যা জুতার সংস্পর্শে এলেই অনুভব করা যায়। এটি সাধারণত সিঁড়ির সামনে, ক্রসওয়াক, এলিভেটর এবং গাইডেন্স ব্লকের সংযোগস্থলে স্থাপন করা হয়। আরেক ধরনের টাইলসকে বলা হয় দিকনির্দেশক ব্লক: চারটি সমান্তরাল উঁচু রেখার একটি সিরিজ, যা নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
ফুটপাতে বা মেট্রো স্টেশনে হাঁটতে গিয়ে নিশ্চয়ই আপনার চোখে পড়েছে হলুদ রঙের বিশেষ এক ধরনের টাইলস, যেগুলোর মধ্যে সামান্য উঁচু লম্বা দাগ বা গোল ডট থাকে। এই টাইলসগুলো মূলত দৃষ্টিহীনদের চলাচলের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘ফুট ব্রেইল’।
১৯৬৫ সালে আজকের এই দিনে (১৮ মার্চ) বিশেষ এই টাইলস উদ্ভাবন করেন জাপানি প্রকৌশলী সেইচি মিয়াকে। তাঁর একজন দৃষ্টিহীন বন্ধু ছিলেন। সেই বন্ধুর চলাচল সহজ করতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বইয়ের ব্রেইল পদ্ধতিকে চলাচলের পথেও কাজে লাগানোর কথা মাথায় আসে মিয়াকের।
সেই চিন্তা থেকেই পুরোপুরি নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে তিনি বিশেষ এই টাইলস বানান এবং এগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেন, যেগুলো টেনজি ব্লক নামে পরিচিত। পরে, ১৯৬৭ সালে, ওকায়ামা শহরের দৃষ্টিহীনদের জন্য একটি বিদ্যালয়ের সামনে প্রথমবার এগুলো স্থাপন করা হয়।
এর ১০ বছর পর, ১৯৭৭ সালে জাপান ন্যাশনাল রেলওয়ে তাদের স্টেশনে স্থাপন করে এই টেনজি ব্লক। জাপান ন্যাশনাল রেলওয়ে (বর্তমানে জাপান রেলওয়ে) এই পদ্ধতি গ্রহণের পর এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৮৫ সালে, এই ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দৃষ্টিহীনদের জন্য বিপদ নির্দেশিকা’ নামে স্বীকৃতি পায়।
পরে, ১৯৯৪ সাল থেকে ২ হাজার বর্গমিটারের বেশি আয়তনবিশিষ্ট ভবনগুলোর জন্য আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করা হয় এই টাইলসের ব্যবহার। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর (যেমন: স্কুল, হাসপাতাল, থিয়েটার, কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল, অফিস, প্রবীণদের জন্য বাসস্থান ইত্যাদি) জন্য এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে যথাসম্ভব স্থাপনের প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলা হয়েছে জাপানের আইনে। ২০০৬ সালে আইন পরিবর্তন করে পরিধি বাড়িয়ে ভবনের বাইরের এলাকাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া, আইনের মাধ্যমে সমস্ত গণপরিবহন কেন্দ্রে জনসাধারণের প্রবেশপথ থেকে বোর্ডিং এলাকা বা টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত এই টাইলস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাপানি প্রকৌশলীর এই উদ্ভাবন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
ফুট ব্রেইল বা টেনজি ব্লক মূলত দুই ধরনের হয়—সতর্কতামূলক ব্লক: এতে ছোট ছোট গোলাকার ডট থাকে, যা জুতার সংস্পর্শে এলেই অনুভব করা যায়। এটি সাধারণত সিঁড়ির সামনে, ক্রসওয়াক, এলিভেটর এবং গাইডেন্স ব্লকের সংযোগস্থলে স্থাপন করা হয়। আরেক ধরনের টাইলসকে বলা হয় দিকনির্দেশক ব্লক: চারটি সমান্তরাল উঁচু রেখার একটি সিরিজ, যা নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৬ ঘণ্টা আগে