আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেশাদার বিদেশি নাগরিকদের আকর্ষণে চীনা কর্তৃপক্ষ গত আগস্টে বিশেষ ‘কে-ভিসা’ ঘোষণা করে। ১ অক্টোবর এ ভিসা কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে। শুরুতে চীনের এই উদ্যোগ সেভাবে সাড়া ফেলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এইচ-ওয়ানবি’ ভিসার ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করার পর চীনের উদ্যোগে সাড়া পড়েছে। বিশেষ করে ভারতীয়রা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-ওয়ানবি ভিসার সিংহভাগ এত দিন ভারতীয়দের দখলে ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই ভিসার ৭০ শতাংশই পেতেন ভারতীয়রা। ফলে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে ভারতীয়দের জন্য। এর মধ্যেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো চীনের নতুন ভিসা কর্মসূচির বিষয়ে ফলাও করে প্রচার শুরু করেছে।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চীনের এই উদ্যোগে শঙ্কায় পড়েছেন চীনা নাগরিকেরা। কারণ, চীনের চাকরির বাজার যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় নয়। সেখানে বেকারত্বেরও সমস্যা রয়েছে। এ কারণে চীনা নাগরিকদের উদ্বেগ, বিদেশিদের কারণে তাদের চাকরির বাজার আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমাদের এখানে অসংখ্য স্নাতক ডিগ্রিধারী আছেন, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিধারীরও অভাব নেই। স্থানীয় মেধার কোনো ঘাটতি নেই আমাদের এখানে, এর মধ্যেই আপনারা (সরকার) বিদেশি স্নাতকদের আনছেন?’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নতুন নতুন বহু কর্মসূচি আসছে, যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ফেলা হচ্ছে। আর দিনশেষে বিদেশি পাসপোর্টই সেরা!’
সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, চীনে তরুণদের মধ্যে গত আগস্টে বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর এই হার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দেশটিতে ১ কোটি ২২ লাখ নতুন স্নাতক চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করছে।
তবে চীনের সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো নতুন ভিসা কর্মসূচির পক্ষে সরব। গ্লোবাল টাইমস গত সোমবার এক মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘নতুন এ কর্মসূচি বিশ্বকে আরও উন্মুক্ত ও আত্মবিশ্বাসী চীনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’ আর গত মঙ্গলবার পিপলস ডেইলি একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম ‘কে-ভিসার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো মানে জনগণকে বিভ্রান্ত করা’। এতে বলা হয়েছে, ‘চীন যেহেতু বিশ্ব মঞ্চে পা রাখছে, কাজেই এ দেশের আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় মেধার প্রয়োজন বেশি।’
অবশ্য এখনো পরিষ্কার নয়, চীনের ‘কে-ভিসা’য় বিদেশি নাগরিকেরা সে দেশে গিয়ে প্রকৃত অর্থেই কাজের সুযোগ পাবেন কি না, নাকি শুধু বিদেশিদের জন্য চীনে যাওয়া সহজ করার উদ্যোগ এটি। চীনা সরকার বলেছে, যাঁরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা এ ভিসা কর্মসূচির আওতায় আবেদন করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এ কর্মসূচি শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিনিময়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এর আগে গত আগস্টে চীনের সরকার বলেছিল, কে-ভিসা কর্মসূচির আওতায় তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন, যাঁরা চীনের ভেতরের ও বাইরের সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ে স্নাতক অথবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন অথবা ওই সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা কিংবা গবেষণা করছেন।
চীনের এ কর্মসূচির বিশেষ দিক হলো, এই ভিসার আবেদনের জন্য দেশটির স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়োগপত্র নিতে হবে না এবং এ কর্মসূচির আওতায় যাঁরা চীনে যাবেন, তাঁদের ভিসার মেয়াদ ও চীনে অবস্থানকালের বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে।
গ্লোবাল টাইমস বলেছে, কে-ভিসা যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচির মতো নয়। অর্থাৎ এ কর্মসূচি শুধু কাজের অনুমতি নয়। আর পিপলস ডেইলি বলেছে, এ ভিসা কর্মসূচির আওতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেশাদার বিদেশি তরুণেরা চীনে কাজ করার ও বসবাসের অনুমতি পাবেন। তবে এটি অভিবাসনের মতো কর্মসূচি নয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর অবস্থানের সুযোগ নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বিদেশি মেধাবীদের জন্য নিজের দুয়ার বন্ধ করছে, চীন সেখানে দুয়ার খুলছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেশাদার বিদেশি নাগরিকদের আকর্ষণে চীনা কর্তৃপক্ষ গত আগস্টে বিশেষ ‘কে-ভিসা’ ঘোষণা করে। ১ অক্টোবর এ ভিসা কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে। শুরুতে চীনের এই উদ্যোগ সেভাবে সাড়া ফেলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এইচ-ওয়ানবি’ ভিসার ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করার পর চীনের উদ্যোগে সাড়া পড়েছে। বিশেষ করে ভারতীয়রা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-ওয়ানবি ভিসার সিংহভাগ এত দিন ভারতীয়দের দখলে ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই ভিসার ৭০ শতাংশই পেতেন ভারতীয়রা। ফলে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে ভারতীয়দের জন্য। এর মধ্যেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো চীনের নতুন ভিসা কর্মসূচির বিষয়ে ফলাও করে প্রচার শুরু করেছে।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চীনের এই উদ্যোগে শঙ্কায় পড়েছেন চীনা নাগরিকেরা। কারণ, চীনের চাকরির বাজার যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় নয়। সেখানে বেকারত্বেরও সমস্যা রয়েছে। এ কারণে চীনা নাগরিকদের উদ্বেগ, বিদেশিদের কারণে তাদের চাকরির বাজার আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমাদের এখানে অসংখ্য স্নাতক ডিগ্রিধারী আছেন, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিধারীরও অভাব নেই। স্থানীয় মেধার কোনো ঘাটতি নেই আমাদের এখানে, এর মধ্যেই আপনারা (সরকার) বিদেশি স্নাতকদের আনছেন?’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নতুন নতুন বহু কর্মসূচি আসছে, যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ফেলা হচ্ছে। আর দিনশেষে বিদেশি পাসপোর্টই সেরা!’
সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, চীনে তরুণদের মধ্যে গত আগস্টে বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর এই হার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দেশটিতে ১ কোটি ২২ লাখ নতুন স্নাতক চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করছে।
তবে চীনের সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো নতুন ভিসা কর্মসূচির পক্ষে সরব। গ্লোবাল টাইমস গত সোমবার এক মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘নতুন এ কর্মসূচি বিশ্বকে আরও উন্মুক্ত ও আত্মবিশ্বাসী চীনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’ আর গত মঙ্গলবার পিপলস ডেইলি একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম ‘কে-ভিসার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো মানে জনগণকে বিভ্রান্ত করা’। এতে বলা হয়েছে, ‘চীন যেহেতু বিশ্ব মঞ্চে পা রাখছে, কাজেই এ দেশের আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় মেধার প্রয়োজন বেশি।’
অবশ্য এখনো পরিষ্কার নয়, চীনের ‘কে-ভিসা’য় বিদেশি নাগরিকেরা সে দেশে গিয়ে প্রকৃত অর্থেই কাজের সুযোগ পাবেন কি না, নাকি শুধু বিদেশিদের জন্য চীনে যাওয়া সহজ করার উদ্যোগ এটি। চীনা সরকার বলেছে, যাঁরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা এ ভিসা কর্মসূচির আওতায় আবেদন করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এ কর্মসূচি শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিনিময়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এর আগে গত আগস্টে চীনের সরকার বলেছিল, কে-ভিসা কর্মসূচির আওতায় তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন, যাঁরা চীনের ভেতরের ও বাইরের সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ে স্নাতক অথবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন অথবা ওই সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা কিংবা গবেষণা করছেন।
চীনের এ কর্মসূচির বিশেষ দিক হলো, এই ভিসার আবেদনের জন্য দেশটির স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়োগপত্র নিতে হবে না এবং এ কর্মসূচির আওতায় যাঁরা চীনে যাবেন, তাঁদের ভিসার মেয়াদ ও চীনে অবস্থানকালের বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে।
গ্লোবাল টাইমস বলেছে, কে-ভিসা যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচির মতো নয়। অর্থাৎ এ কর্মসূচি শুধু কাজের অনুমতি নয়। আর পিপলস ডেইলি বলেছে, এ ভিসা কর্মসূচির আওতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেশাদার বিদেশি তরুণেরা চীনে কাজ করার ও বসবাসের অনুমতি পাবেন। তবে এটি অভিবাসনের মতো কর্মসূচি নয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর অবস্থানের সুযোগ নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বিদেশি মেধাবীদের জন্য নিজের দুয়ার বন্ধ করছে, চীন সেখানে দুয়ার খুলছে।
সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। কিন্তু এই ছবি পছন্দ না হওয়ায় ম্যাগাজিনটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন—ছবিতে তাঁর চুল ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
৯ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
১১ ঘণ্টা আগে