Ajker Patrika

সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামানের প্রত্যর্পণে মালয়েশিয়ার আদালতের স্থগিতাদেশ

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯: ২৬
সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামানের প্রত্যর্পণে মালয়েশিয়ার আদালতের স্থগিতাদেশ

মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট দেশটির অভিবাসন বিভাগের বিরুদ্ধে এই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ মঞ্জুর করে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ আরোপ করেন মালয়েশিয়া হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান। 

স্থগিতাদেশের জন্য খায়রুজ্জামানের আবেদন মঞ্জুর করতে গিয়ে জাইনি বলেছেন, ‘আমি শুনতে চাই না যে আমি যে আদালতের আদেশ দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছে।’

মূলত সাবেক এই বাংলাদেশি হাইকমিশনারের আইনজীবীদের দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস রিট আবেদনের পর এই আদেশ দেন তিনি। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অজ্ঞাত কারণে ৬৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ খায়রুরুজ্জামানকে হাতে পেতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এডমন্ড বন বলেন, ‘আমি আশা করি অভিবাসন বিভাগ বিষয়গুলো নিজের হাতে নেবে না। 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান এক দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজর ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে তাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাঁকে মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হয়। সেখানে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।  ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে বন্দী অবস্থায় কারাগারেই হত্যা করা হয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত এম খায়রুজ্জামান জেলে ছিলেন। এ সময় তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের আগে তিনি ফিলিপাইনে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার গঠনের পর এম খায়রুজ্জামানকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০০৪ সালে জেলহত্যা মামলায় তিনি খালাস পান। এরপর এম খায়রুজ্জামানকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০০৫-এর সেপ্টেম্বর থেকে আগস্ট ২০০৬ পর্যন্ত মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০০৭ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ায় প্রথম শ্রেণির হাইকমিশনার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এম খায়রুজ্জামানকে হাইকমিশনার পদ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে ডেকে পাঠানো হয়। 

এরপর থেকে তিনি জীবনের ঝুঁকি দেখিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন।

মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে জানানো হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সমাবেশের জন্য বিশেষ ট্রেন, যে ব্যাখ্যা দিল রেল মন্ত্রণালয়

আবাসিক হোটেলে অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার

কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের দেড় হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১২

শর্তের জালে মার্কিন চাপ

ঢাকায় সমাবেশের জন্য ৩ জোড়া ট্রেন ভাড়া করেছে জামায়াত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত